সূরা সাবা - Page: 4

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ بِهٰذَا الْقُرْاٰنِ وَلَا بِالَّذِيْ بَيْنَ يَدَيْهِۗ وَلَوْ تَرٰىٓ اِذِ الظّٰلِمُوْنَ مَوْقُوْفُوْنَ عِنْدَ رَبِّهِمْۖ يَرْجِعُ بَعْضُهُمْ اِلٰى بَعْضِ ِۨالْقَوْلَۚ يَقُوْلُ الَّذِيْنَ اسْتُضْعِفُوْا لِلَّذِيْنَ اسْتَكْبَرُوْا لَوْلَآ اَنْتُمْ لَكُنَّا مُؤْمِنِيْنَ ٣١

কাফিরগণ বলে- আমরা এ কুরআনে কক্ষনো বিশ্বাস করব না, আর তার আগের কিতাবগুলোতেও না। তুমি যদি দেখতে! যখন যালিমদেরকে তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দাঁড় করানো হবে, তখন তারা পরস্পর বাদানুবাদ করবে। যাদেরকে দুর্বল ক’রে রাখা হয়েছিল তারা দাম্ভিকদেরকে বলবে- তোমরা না থাকলে আমরা অবশ্যই মু’মিন হতাম। ([৩৪] সাবা: ৩১)

قَالَ الَّذِيْنَ اسْتَكْبَرُوْا لِلَّذِيْنَ اسْتُضْعِفُوْٓا اَنَحْنُ صَدَدْنٰكُمْ عَنِ الْهُدٰى بَعْدَ اِذْ جَاۤءَكُمْ بَلْ كُنْتُمْ مُّجْرِمِيْنَ ٣٢

যাদেরকে দুর্বল ক’রে রাখা হয়েছিল দাম্ভিকরা তাদেরকে বলবে- তোমাদের কাছে সত্য পথের দিশা আসার পর আমরা কি তোমাদেরকে তাত্থেকে বাধা দিয়েছিলাম? বরং তোমরা নিজেরাই ছিলে অপরাধী। ([৩৪] সাবা: ৩২)

وَقَالَ الَّذِيْنَ اسْتُضْعِفُوْا لِلَّذِيْنَ اسْتَكْبَرُوْا بَلْ مَكْرُ الَّيْلِ وَالنَّهَارِ اِذْ تَأْمُرُوْنَنَآ اَنْ نَّكْفُرَ بِاللّٰهِ وَنَجْعَلَ لَهٗٓ اَنْدَادًا ۗوَاَسَرُّوا النَّدَامَةَ لَمَّا رَاَوُا الْعَذَابَۗ وَجَعَلْنَا الْاَغْلٰلَ فِيْٓ اَعْنَاقِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاۗ هَلْ يُجْزَوْنَ اِلَّا مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ ٣٣

যাদেরকে দুর্বল ক’রে রাখা হয়েছিল তারা দাম্ভিকদের বলবে- তোমরাই তো বরং দিন-রাত চক্রান্ত করতে। তোমরা আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যাতে আমরা আল্লাহকে অস্বীকার করি আর তাঁর সমকক্ষ স্থির করি। যখন তারা শাস্তি দেখবে তখন মনের অনুতাপ মনেই লুকিয়ে রাখবে, আর আমি কাফিরদের গলায় শৃঙ্খল পরিয়ে দেব। তারা যা (দুনিয়াতে) করত তার প্রতিফলই তাদেরকে দেয়া হবে। ([৩৪] সাবা: ৩৩)

وَمَآ اَرْسَلْنَا فِيْ قَرْيَةٍ مِّنْ نَّذِيْرٍ ِالَّا قَالَ مُتْرَفُوْهَآ ۙاِنَّا بِمَآ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ كٰفِرُوْنَ ٣٤

যখনই কোন জনপদে আমি সতর্ককারী পাঠিয়েছি, সেখানকার বিত্তবানরা বলেছে তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তা অস্বীকার করছি। ([৩৪] সাবা: ৩৪)

وَقَالُوْا نَحْنُ اَكْثَرُ اَمْوَالًا وَّاَوْلَادًاۙ وَّمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِيْنَ ٣٥

তারা বলত- ধন-মাল আর বাল-বাচ্চায় আমরা বেশি, আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হতে পারি না। ([৩৪] সাবা: ৩৫)

قُلْ اِنَّ رَبِّيْ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَاۤءُ وَيَقْدِرُ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ ࣖ ٣٦

বল- আমার প্রতিপালক যার জন্য চান রিযক প্রশস্ত করেন বা সীমিত করেন, কিন্তু (এর তাৎপর্য) অধিকাংশ লোকই জানে না। ([৩৪] সাবা: ৩৬)

وَمَآ اَمْوَالُكُمْ وَلَآ اَوْلَادُكُمْ بِالَّتِيْ تُقَرِّبُكُمْ عِنْدَنَا زُلْفٰىٓ اِلَّا مَنْ اٰمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًاۙ فَاُولٰۤىِٕكَ لَهُمْ جَزَاۤءُ الضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوْا وَهُمْ فِى الْغُرُفٰتِ اٰمِنُوْنَ ٣٧

ওটা না তোমাদের মাল-ধন, আর না তোমাদের সন্তান-সন্ততি যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে। তবে যে কেউ ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদেরই জন্য আছে বহুগুণ প্রতিদান তাদের কাজের জন্য। তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে। ([৩৪] সাবা: ৩৭)

وَالَّذِيْنَ يَسْعَوْنَ فِيْٓ اٰيٰتِنَا مُعٰجِزِيْنَ اُولٰۤىِٕكَ فِى الْعَذَابِ مُحْضَرُوْنَ ٣٨

যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার জন্য চেষ্টা চালায়, তাদেরকে ‘আযাবে উপস্থিত করা হবে। ([৩৪] সাবা: ৩৮)

قُلْ اِنَّ رَبِّيْ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَّشَاۤءُ مِنْ عِبَادِهٖ وَيَقْدِرُ لَهٗ ۗوَمَآ اَنْفَقْتُمْ مِّنْ شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهٗ ۚوَهُوَ خَيْرُ الرّٰزِقِيْنَ ٣٩

বল- আমার প্রতিপালকই তাঁর বান্দাহদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছে রিযক প্রশস্ত করেন, আর যার জন্য ইচ্ছে সীমিত করেন। তোমরা যা কিছু (সৎ কাজে) ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রিযকদাতা। ([৩৪] সাবা: ৩৯)

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا ثُمَّ يَقُوْلُ لِلْمَلٰۤىِٕكَةِ اَهٰٓؤُلَاۤءِ اِيَّاكُمْ كَانُوْا يَعْبُدُوْنَ ٤٠

যেদিন তিনি তাদের সববাইকে একত্রিত করবেন, অতঃপর ফেরেশতাদেরকে বলবে-ওরা কি একমাত্র তোমাদেরই পূজা করত? ([৩৪] সাবা: ৪০)