Skip to content

সূরা ইউনুস - Page: 2

Yunus

(al-Yūnus)

১১

۞ وَلَوْ يُعَجِّلُ اللّٰهُ لِلنَّاسِ الشَّرَّ اسْتِعْجَالَهُمْ بِالْخَيْرِ لَقُضِيَ اِلَيْهِمْ اَجَلُهُمْۗ فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَاۤءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ ١١

walaw
وَلَوْ
এবং যদি
yuʿajjilu
يُعَجِّلُ
তাড়াতাড়ি করতেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
lilnnāsi
لِلنَّاسِ
জন্যে মানুষের
l-shara
ٱلشَّرَّ
অকল্যাণ
is'tiʿ'jālahum
ٱسْتِعْجَالَهُم
(যেমন) তারা তাড়াতাড়ি চায়
bil-khayri
بِٱلْخَيْرِ
ব্যাপারে (দুনিয়ার) কল্যাণের
laquḍiya
لَقُضِىَ
অবশ্যই পুরা হয়ে যেতো
ilayhim
إِلَيْهِمْ
প্রতি তাদের
ajaluhum
أَجَلُهُمْۖ
মেয়াদ তাদের
fanadharu
فَنَذَرُ
অতএব আমরা ছেড়ে দিয়েছি
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদেরকে) যারা
لَا
না
yarjūna
يَرْجُونَ
আশা রাখে
liqāanā
لِقَآءَنَا
সাক্ষাতের আমাদের
فِى
মধ্যে
ṭugh'yānihim
طُغْيَٰنِهِمْ
অবাধ্যতার তাদের
yaʿmahūna
يَعْمَهُونَ
উদ্‌ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়
মানুষের অপকর্মের শাস্তি হিসেবে আল্লাহ যদি মানুষের অকল্যাণ করার ব্যাপারে দ্রুততা অবলম্বন করতেন যতটা দ্রুততার সঙ্গে তারা (দুনিয়ার) কল্যাণ পেতে চায়, তবে তাদের কাজ করার অবকাশ কবেই না খতম করে দেয়া হত, (কিন্তু আল্লাহ তা করেন না)। কাজেই যারা আমার সাক্ষাতের আশা রাখে না, তাদেরকে আমি তাদের অবাধ্যতায় দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়ানোর অবকাশ দেই। ([১০] ইউনুস: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

وَاِذَا مَسَّ الْاِنْسَانَ الضُّرُّ دَعَانَا لِجَنْۢبِهٖٓ اَوْ قَاعِدًا اَوْ قَاۤىِٕمًا ۚفَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُ ضُرَّهٗ مَرَّ كَاَنْ لَّمْ يَدْعُنَآ اِلٰى ضُرٍّ مَّسَّهٗۗ كَذٰلِكَ زُيِّنَ لِلْمُسْرِفِيْنَ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ ١٢

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
massa
مَسَّ
স্পর্শ করে
l-insāna
ٱلْإِنسَٰنَ
মানুষকে
l-ḍuru
ٱلضُّرُّ
দুঃখ-দৈন্য (দিয়ে)
daʿānā
دَعَانَا
(তখন) ডাকে আমাদেরকে
lijanbihi
لِجَنۢبِهِۦٓ
উপর পাশের তার (অর্থাৎ শুয়ে)
aw
أَوْ
বা
qāʿidan
قَاعِدًا
বসে
aw
أَوْ
বা
qāiman
قَآئِمًا
দাঁড়িয়ে
falammā
فَلَمَّا
অতঃপর যখন
kashafnā
كَشَفْنَا
আমরা দূর করি
ʿanhu
عَنْهُ
থেকে তার
ḍurrahu
ضُرَّهُۥ
দুঃখ-দৈন্য তার
marra
مَرَّ
সে চলে (এমনভাবে)
ka-an
كَأَن
যেন
lam
لَّمْ
নি
yadʿunā
يَدْعُنَآ
আমাদেরকে ডাকেই
ilā
إِلَىٰ
জন্যে
ḍurrin
ضُرٍّ
দুঃখের
massahu
مَّسَّهُۥۚ
স্পর্শ করেছিলো তাকে
kadhālika
كَذَٰلِكَ
এভাবে
zuyyina
زُيِّنَ
সুশোভিত করা হয়েছে
lil'mus'rifīna
لِلْمُسْرِفِينَ
জন্যে সীমালঙ্ঘনকারীদের
مَا
যা
kānū
كَانُوا۟
তারা ছিলো
yaʿmalūna
يَعْمَلُونَ
তারা কাজ করতে
মানুষকে যখন দুঃখ ক্লেশ স্পর্শ করে, তখন তারা শুয়ে, বসে ও দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। অতঃপর যখন আমি তার দুঃখ ক্লেশ দূর করে দেই, তখন সে এমনভাবে চলে যায়, মনে হয় যেন তাকে দুঃখ-ক্লেশ স্পর্শ করার কারণে সে আমাকে কখনই ডাকেনি। এভাবেই যারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের জন্য তাদের কাজকর্মগুলোকে চাকচিক্যময় বানিয়ে দেয়া হয়েছে। ([১০] ইউনুস: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

وَلَقَدْ اَهْلَكْنَا الْقُرُوْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَمَّا ظَلَمُوْاۙ وَجَاۤءَتْهُمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَيِّنٰتِ وَمَا كَانُوْا لِيُؤْمِنُوْا ۗ كَذٰلِكَ نَجْزِى الْقَوْمَ الْمُجْرِمِيْنَ ١٣

walaqad
وَلَقَدْ
এবং নিশ্চয়ই
ahlaknā
أَهْلَكْنَا
ধ্বংস করেছি আমরা
l-qurūna
ٱلْقُرُونَ
বহু মানবগোষ্ঠীকে
min
مِن
থেকেও
qablikum
قَبْلِكُمْ
পূর্ব তোমাদের
lammā
لَمَّا
যখন
ẓalamū
ظَلَمُوا۟ۙ
তারা অবিচার করেছিলো
wajāathum
وَجَآءَتْهُمْ
ও কাছে এসেছিলো তাদের
rusuluhum
رُسُلُهُم
রাসূলরা তাদের
bil-bayināti
بِٱلْبَيِّنَٰتِ
সহ সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো
wamā
وَمَا
এবং না
kānū
كَانُوا۟
তারা ছিলো
liyu'minū
لِيُؤْمِنُوا۟ۚ
জন্যে ঈমান আনার
kadhālika
كَذَٰلِكَ
এভাবে
najzī
نَجْزِى
প্রতিফল দিই আমরা
l-qawma
ٱلْقَوْمَ
সসম্প্রদায়কে
l-muj'rimīna
ٱلْمُجْرِمِينَ
অপরাধী
তোমাদের পূর্বেকার বহু জনগোষ্ঠীকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি যখন তারা বাড়াবাড়িতে লিপ্ত হয়েছিল, তাদের কাছে রসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছিল, কিন্তু তারা আদৌ ঈমান আনেনি। এভাবেই আমি অপরাধীদেরকে (পাপের) প্রতিদান দিয়ে থাকি। ([১০] ইউনুস: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

ثُمَّ جَعَلْنٰكُمْ خَلٰۤىِٕفَ فِى الْاَرْضِ مِنْۢ بَعْدِهِمْ لِنَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُوْنَ ١٤

thumma
ثُمَّ
এরপর
jaʿalnākum
جَعَلْنَٰكُمْ
আমরা বানালাম তোমাদেরকে
khalāifa
خَلَٰٓئِفَ
প্রতিনিধি
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
min
مِنۢ
থেকে
baʿdihim
بَعْدِهِمْ
পর তাদের
linanẓura
لِنَنظُرَ
যেন দেখি আমরা
kayfa
كَيْفَ
কেমন
taʿmalūna
تَعْمَلُونَ
তোমরা কাজ করো
অতঃপর তাদের পর আমি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছি এটা দেখার জন্য যে, তোমরা কী রকম ‘আমাল কর। ([১০] ইউনুস: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

وَاِذَا تُتْلٰى عَلَيْهِمْ اٰيَاتُنَا بَيِّنٰتٍۙ قَالَ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَاۤءَنَا ائْتِ بِقُرْاٰنٍ غَيْرِ هٰذَآ اَوْ بَدِّلْهُ ۗ قُلْ مَا يَكُوْنُ لِيْٓ اَنْ اُبَدِّلَهٗ مِنْ تِلْقَاۤئِ نَفْسِيْ ۚاِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا يُوْحٰٓى اِلَيَّ ۚ اِنِّيْٓ اَخَافُ اِنْ عَصَيْتُ رَبِّيْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيْمٍ ١٥

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
tut'lā
تُتْلَىٰ
তিলাওয়াত করা হয়
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
নিকট তাদের
āyātunā
ءَايَاتُنَا
আয়াতগুলোকে আমাদের
bayyinātin
بَيِّنَٰتٍۙ
সুস্পষ্ট
qāla
قَالَ
বলে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
لَا
না
yarjūna
يَرْجُونَ
আশা রাখে
liqāanā
لِقَآءَنَا
সাক্ষাতের আমাদের
i'ti
ٱئْتِ
"আসো
biqur'ānin
بِقُرْءَانٍ
নিয়ে কুরআন
ghayri
غَيْرِ
ছাড়া
hādhā
هَٰذَآ
এটা (অন্য একটি)
aw
أَوْ
অথবা
baddil'hu
بَدِّلْهُۚ
পরিবর্তন করো তা"
qul
قُلْ
বলো
مَا
"নয়
yakūnu
يَكُونُ
সঙ্গত
لِىٓ
জন্যে আমার
an
أَنْ
যে
ubaddilahu
أُبَدِّلَهُۥ
পরিবর্তন করবো আমি তা
min
مِن
হতে
til'qāi
تِلْقَآئِ
পক্ষ
nafsī
نَفْسِىٓۖ
নিজের আমার
in
إِنْ
না
attabiʿu
أَتَّبِعُ
আমি অনুসরণ করি
illā
إِلَّا
এ ছাড়া
مَا
যা
yūḥā
يُوحَىٰٓ
ওহী করা হয়
ilayya
إِلَىَّۖ
প্রতি আমার
innī
إِنِّىٓ
নিশ্চয়ই আমি
akhāfu
أَخَافُ
ভয় করি
in
إِنْ
যদি
ʿaṣaytu
عَصَيْتُ
আমি অবাধ্যতা করি
rabbī
رَبِّى
আমার রবের
ʿadhāba
عَذَابَ
শাস্তির
yawmin
يَوْمٍ
দিনের"
ʿaẓīmin
عَظِيمٍ
মহা"
যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতগুলো তাদের কাছে পঠিত হয়, তখন যারা আমার সাক্ষাতের আশা রাখে না তারা বলে, ‘এটা বাদে অন্য আরেকটা কুরআন আন কিংবা ওটাকে বদলাও’। বল, ‘‘আমার নিজের ইচ্ছেমত ওটা বদলানো আমার কাজ নয়, আমার কাছে যা ওয়াহী করা হয় আমি কেবল সেটারই অনুসরণ করে থাকি। আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করলে এক অতি বড় বিভীষিকার দিনে আমি শাস্তির ভয় করি’’। ([১০] ইউনুস: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

قُلْ لَّوْ شَاۤءَ اللّٰهُ مَا تَلَوْتُهٗ عَلَيْكُمْ وَلَآ اَدْرٰىكُمْ بِهٖ ۖفَقَدْ لَبِثْتُ فِيْكُمْ عُمُرًا مِّنْ قَبْلِهٖۗ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ١٦

qul
قُل
বলো
law
لَّوْ
"যদি
shāa
شَآءَ
চাইতেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
مَا
না
talawtuhu
تَلَوْتُهُۥ
আমি তিলাওয়াত করতাম তা
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
কাছে তোমাদের
walā
وَلَآ
এবং না
adrākum
أَدْرَىٰكُم
তিনি জানাতেন তোমাদের
bihi
بِهِۦۖ
সম্বন্ধে তা
faqad
فَقَدْ
অতঃপর নিশ্চয়ই
labith'tu
لَبِثْتُ
আমি অবস্থান করেছি
fīkum
فِيكُمْ
মাঝে তোমাদের
ʿumuran
عُمُرًا
এক বয়স
min
مِّن
থেকে
qablihi
قَبْلِهِۦٓۚ
পূর্ব এর
afalā
أَفَلَا
কি তবুও না
taʿqilūna
تَعْقِلُونَ
তোমরা বুঝবে"
বল, ‘‘আল্লাহর ইচ্ছে হলে আমি তোমাদের কাছে তা তিলাওয়াত করতাম না, আর আল্লাহও তোমাদেরকে তার খবর দিতেন না। আমি তো এর পূর্বে একটা দীর্ঘ সময় তোমাদের মাঝে অতিবাহিত করেছি, তা সত্ত্বেও তোমরা কি বুঝবে না? ([১০] ইউনুস: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰى عَلَى اللّٰهِ كَذِبًا اَوْ كَذَّبَ بِاٰيٰتِهٖۗ اِنَّهٗ لَا يُفْلِحُ الْمُجْرِمُوْنَ ١٧

faman
فَمَنْ
অতএব কে
aẓlamu
أَظْلَمُ
অধিক সীমালঙ্ঘনকারী (হতে পারে)
mimmani
مِمَّنِ
(তার) চেয়ে যে
if'tarā
ٱفْتَرَىٰ
রচনা করে
ʿalā
عَلَى
উপর
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ
kadhiban
كَذِبًا
মিথ্যা
aw
أَوْ
বা
kadhaba
كَذَّبَ
মিথ্যারোপ করে
biāyātihi
بِـَٔايَٰتِهِۦٓۚ
সম্পর্কে তাঁর নিদর্শনগুলো
innahu
إِنَّهُۥ
নিশ্চয়ই তা
لَا
না
yuf'liḥu
يُفْلِحُ
সফলকাম হয়
l-muj'rimūna
ٱلْمُجْرِمُونَ
অপরাধীরা
তার চেয়ে বড় যালিম আর কে হতে পারে যে মিথ্যা রচনা ক’রে আল্লাহর নামে চালিয়ে দেয় অথবা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে ঘোষণা করে; নিশ্চিতই অপরাধীরা সাফল্য লাভ করতে পারে না। ([১০] ইউনুস: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

وَيَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُوْلُوْنَ هٰٓؤُلَاۤءِ شُفَعَاۤؤُنَا عِنْدَ اللّٰهِ ۗقُلْ اَتُنَبِّـُٔوْنَ اللّٰهَ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِى السَّمٰوٰتِ وَلَا فِى الْاَرْضِۗ سُبْحٰنَهٗ وَتَعٰلٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ ١٨

wayaʿbudūna
وَيَعْبُدُونَ
এবং তারা ইবাদত করে
min
مِن
দিয়ে
dūni
دُونِ
ছেড়ে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহকে
مَا
যা
لَا
না
yaḍurruhum
يَضُرُّهُمْ
ক্ষতি করতে পারে তাদের
walā
وَلَا
আর না
yanfaʿuhum
يَنفَعُهُمْ
উপকার করতে পারে তাদের
wayaqūlūna
وَيَقُولُونَ
এবং তারা বলে
hāulāi
هَٰٓؤُلَآءِ
"এসব
shufaʿāunā
شُفَعَٰٓؤُنَا
সুপারিশকারী আমাদের
ʿinda
عِندَ
কাছে
l-lahi
ٱللَّهِۚ
আল্লাহর"
qul
قُلْ
বলো
atunabbiūna
أَتُنَبِّـُٔونَ
"কি তোমরা সংবাদ দিচ্ছো
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
bimā
بِمَا
তা সম্বন্ধে যা
لَا
না
yaʿlamu
يَعْلَمُ
তিনি জানেন
فِى
মধ্যে
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহের
walā
وَلَا
এবং না
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِۚ
পৃথিবীর"
sub'ḥānahu
سُبْحَٰنَهُۥ
পবিত্র তিনি
wataʿālā
وَتَعَٰلَىٰ
এবং বহু উর্ধ্বে
ʿammā
عَمَّا
তা হতে যা
yush'rikūna
يُشْرِكُونَ
তারা শিরক করছে
আর তারা আল্লাহকে ছেড়ে ‘ইবাদাত করে এমন কিছুর যা না পারে তাদের কোন ক্ষতি করতে, আর না পারে কোন উপকার করতে। আর তারা বলে, ‘‘ওগুলো আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশকারী’’। বল, ‘‘তোমরা কি আল্লাহকে এমন কিছুর সংবাদ দিতে চাও, যা তিনি অবগত নন, না আকাশমন্ডলীতে আর না যমীনে? মহান পবিত্র তিনি, তোমরা যা কিছুকে তাঁর শরীক গণ্য কর তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে। ([১০] ইউনুস: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

وَمَا كَانَ النَّاسُ اِلَّآ اُمَّةً وَّاحِدَةً فَاخْتَلَفُوْاۗ وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّكَ لَقُضِيَ بَيْنَهُمْ فِيْمَا فِيْهِ يَخْتَلِفُوْنَ ١٩

wamā
وَمَا
এবং না
kāna
كَانَ
ছিলো
l-nāsu
ٱلنَّاسُ
মানুষ
illā
إِلَّآ
এ ছাড়া
ummatan
أُمَّةً
উম্মত
wāḥidatan
وَٰحِدَةً
একই
fa-ikh'talafū
فَٱخْتَلَفُوا۟ۚ
এরপর তারা মতভেদ করে
walawlā
وَلَوْلَا
এবং যদি না
kalimatun
كَلِمَةٌ
একটি কথা
sabaqat
سَبَقَتْ
পূর্ব ঘোষিত হতে
min
مِن
পক্ষ হতে
rabbika
رَّبِّكَ
তোমার রবের
laquḍiya
لَقُضِىَ
অবশ্যই মীমাংসা করে দেয়া হতো
baynahum
بَيْنَهُمْ
মাঝে তাদের
fīmā
فِيمَا
বিষয়ে সে
fīhi
فِيهِ
সম্পর্কে যা
yakhtalifūna
يَخْتَلِفُونَ
তারা মতভেদ করছে
মানুষ ছিল এক উম্মতভুক্ত। পরে তারা মতভেদ সৃষ্টি করল। তোমার প্রতিপালক পূর্বেই যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করতেন, তাহলে যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে তার মীমাংসা অবশ্যই করে দেয়া হত। ([১০] ইউনুস: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

وَيَقُوْلُوْنَ لَوْلَآ اُنْزِلَ عَلَيْهِ اٰيَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖۚ فَقُلْ اِنَّمَا الْغَيْبُ لِلّٰهِ فَانْتَظِرُوْاۚ اِنِّيْ مَعَكُمْ مِّنَ الْمُنْتَظِرِيْنَ ࣖ ٢٠

wayaqūlūna
وَيَقُولُونَ
এবং তারা বলে
lawlā
لَوْلَآ
"কেন না
unzila
أُنزِلَ
অবতীর্ণ করা হলো
ʿalayhi
عَلَيْهِ
উপর তার
āyatun
ءَايَةٌ
কোনো নিদর্শন
min
مِّن
পক্ষ হতে
rabbihi
رَّبِّهِۦۖ
রবের তার"
faqul
فَقُلْ
তাহ'লে বলো
innamā
إِنَّمَا
"মুলতঃ
l-ghaybu
ٱلْغَيْبُ
অদৃশ্যের (জ্ঞান)
lillahi
لِلَّهِ
নিকট আল্লাহরই (আছে)
fa-intaẓirū
فَٱنتَظِرُوٓا۟
অতএব তোমরা অপেক্ষা করো
innī
إِنِّى
নিশ্চয়ই আমি
maʿakum
مَعَكُم
সাথে তোমাদের
mina
مِّنَ
অন্তর্ভুক্ত
l-muntaẓirīna
ٱلْمُنتَظِرِينَ
অপেক্ষাকারীদের"
তারা বলে, ‘‘তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেন?’’ এদের জবাবে বলে দাও, ‘‘অদৃশ্য জগতের একচ্ছত্র মালিক হলেন আল্লাহ, কাজেই তোমরা অপেক্ষা কর (এবং ভবিষ্যতে কী হয় দেখ), আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষমান থাকলাম। ([১০] ইউনুস: ২০)
ব্যাখ্যা