۞ وَلَوْ يُعَجِّلُ اللّٰهُ لِلنَّاسِ الشَّرَّ اسْتِعْجَالَهُمْ بِالْخَيْرِ لَقُضِيَ اِلَيْهِمْ اَجَلُهُمْۗ فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَاۤءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ ١١
- walaw
- وَلَوْ
- এবং যদি
- yuʿajjilu
- يُعَجِّلُ
- তাড়াতাড়ি করতেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- lilnnāsi
- لِلنَّاسِ
- জন্যে মানুষের
- l-shara
- ٱلشَّرَّ
- অকল্যাণ
- is'tiʿ'jālahum
- ٱسْتِعْجَالَهُم
- (যেমন) তারা তাড়াতাড়ি চায়
- bil-khayri
- بِٱلْخَيْرِ
- ব্যাপারে (দুনিয়ার) কল্যাণের
- laquḍiya
- لَقُضِىَ
- অবশ্যই পুরা হয়ে যেতো
- ilayhim
- إِلَيْهِمْ
- প্রতি তাদের
- ajaluhum
- أَجَلُهُمْۖ
- মেয়াদ তাদের
- fanadharu
- فَنَذَرُ
- অতএব আমরা ছেড়ে দিয়েছি
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- (তাদেরকে) যারা
- lā
- لَا
- না
- yarjūna
- يَرْجُونَ
- আশা রাখে
- liqāanā
- لِقَآءَنَا
- সাক্ষাতের আমাদের
- fī
- فِى
- মধ্যে
- ṭugh'yānihim
- طُغْيَٰنِهِمْ
- অবাধ্যতার তাদের
- yaʿmahūna
- يَعْمَهُونَ
- উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়
মানুষের অপকর্মের শাস্তি হিসেবে আল্লাহ যদি মানুষের অকল্যাণ করার ব্যাপারে দ্রুততা অবলম্বন করতেন যতটা দ্রুততার সঙ্গে তারা (দুনিয়ার) কল্যাণ পেতে চায়, তবে তাদের কাজ করার অবকাশ কবেই না খতম করে দেয়া হত, (কিন্তু আল্লাহ তা করেন না)। কাজেই যারা আমার সাক্ষাতের আশা রাখে না, তাদেরকে আমি তাদের অবাধ্যতায় দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়ানোর অবকাশ দেই। ([১০] ইউনুস: ১১)ব্যাখ্যা
وَاِذَا مَسَّ الْاِنْسَانَ الضُّرُّ دَعَانَا لِجَنْۢبِهٖٓ اَوْ قَاعِدًا اَوْ قَاۤىِٕمًا ۚفَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُ ضُرَّهٗ مَرَّ كَاَنْ لَّمْ يَدْعُنَآ اِلٰى ضُرٍّ مَّسَّهٗۗ كَذٰلِكَ زُيِّنَ لِلْمُسْرِفِيْنَ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ ١٢
- wa-idhā
- وَإِذَا
- এবং যখন
- massa
- مَسَّ
- স্পর্শ করে
- l-insāna
- ٱلْإِنسَٰنَ
- মানুষকে
- l-ḍuru
- ٱلضُّرُّ
- দুঃখ-দৈন্য (দিয়ে)
- daʿānā
- دَعَانَا
- (তখন) ডাকে আমাদেরকে
- lijanbihi
- لِجَنۢبِهِۦٓ
- উপর পাশের তার (অর্থাৎ শুয়ে)
- aw
- أَوْ
- বা
- qāʿidan
- قَاعِدًا
- বসে
- aw
- أَوْ
- বা
- qāiman
- قَآئِمًا
- দাঁড়িয়ে
- falammā
- فَلَمَّا
- অতঃপর যখন
- kashafnā
- كَشَفْنَا
- আমরা দূর করি
- ʿanhu
- عَنْهُ
- থেকে তার
- ḍurrahu
- ضُرَّهُۥ
- দুঃখ-দৈন্য তার
- marra
- مَرَّ
- সে চলে (এমনভাবে)
- ka-an
- كَأَن
- যেন
- lam
- لَّمْ
- নি
- yadʿunā
- يَدْعُنَآ
- আমাদেরকে ডাকেই
- ilā
- إِلَىٰ
- জন্যে
- ḍurrin
- ضُرٍّ
- দুঃখের
- massahu
- مَّسَّهُۥۚ
- স্পর্শ করেছিলো তাকে
- kadhālika
- كَذَٰلِكَ
- এভাবে
- zuyyina
- زُيِّنَ
- সুশোভিত করা হয়েছে
- lil'mus'rifīna
- لِلْمُسْرِفِينَ
- জন্যে সীমালঙ্ঘনকারীদের
- mā
- مَا
- যা
- kānū
- كَانُوا۟
- তারা ছিলো
- yaʿmalūna
- يَعْمَلُونَ
- তারা কাজ করতে
মানুষকে যখন দুঃখ ক্লেশ স্পর্শ করে, তখন তারা শুয়ে, বসে ও দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। অতঃপর যখন আমি তার দুঃখ ক্লেশ দূর করে দেই, তখন সে এমনভাবে চলে যায়, মনে হয় যেন তাকে দুঃখ-ক্লেশ স্পর্শ করার কারণে সে আমাকে কখনই ডাকেনি। এভাবেই যারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের জন্য তাদের কাজকর্মগুলোকে চাকচিক্যময় বানিয়ে দেয়া হয়েছে। ([১০] ইউনুস: ১২)ব্যাখ্যা
وَلَقَدْ اَهْلَكْنَا الْقُرُوْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَمَّا ظَلَمُوْاۙ وَجَاۤءَتْهُمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَيِّنٰتِ وَمَا كَانُوْا لِيُؤْمِنُوْا ۗ كَذٰلِكَ نَجْزِى الْقَوْمَ الْمُجْرِمِيْنَ ١٣
- walaqad
- وَلَقَدْ
- এবং নিশ্চয়ই
- ahlaknā
- أَهْلَكْنَا
- ধ্বংস করেছি আমরা
- l-qurūna
- ٱلْقُرُونَ
- বহু মানবগোষ্ঠীকে
- min
- مِن
- থেকেও
- qablikum
- قَبْلِكُمْ
- পূর্ব তোমাদের
- lammā
- لَمَّا
- যখন
- ẓalamū
- ظَلَمُوا۟ۙ
- তারা অবিচার করেছিলো
- wajāathum
- وَجَآءَتْهُمْ
- ও কাছে এসেছিলো তাদের
- rusuluhum
- رُسُلُهُم
- রাসূলরা তাদের
- bil-bayināti
- بِٱلْبَيِّنَٰتِ
- সহ সুস্পষ্ট নিদর্শনগুলো
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- kānū
- كَانُوا۟
- তারা ছিলো
- liyu'minū
- لِيُؤْمِنُوا۟ۚ
- জন্যে ঈমান আনার
- kadhālika
- كَذَٰلِكَ
- এভাবে
- najzī
- نَجْزِى
- প্রতিফল দিই আমরা
- l-qawma
- ٱلْقَوْمَ
- সসম্প্রদায়কে
- l-muj'rimīna
- ٱلْمُجْرِمِينَ
- অপরাধী
তোমাদের পূর্বেকার বহু জনগোষ্ঠীকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি যখন তারা বাড়াবাড়িতে লিপ্ত হয়েছিল, তাদের কাছে রসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছিল, কিন্তু তারা আদৌ ঈমান আনেনি। এভাবেই আমি অপরাধীদেরকে (পাপের) প্রতিদান দিয়ে থাকি। ([১০] ইউনুস: ১৩)ব্যাখ্যা
ثُمَّ جَعَلْنٰكُمْ خَلٰۤىِٕفَ فِى الْاَرْضِ مِنْۢ بَعْدِهِمْ لِنَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُوْنَ ١٤
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- jaʿalnākum
- جَعَلْنَٰكُمْ
- আমরা বানালাম তোমাদেরকে
- khalāifa
- خَلَٰٓئِفَ
- প্রতিনিধি
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-arḍi
- ٱلْأَرْضِ
- পৃথিবীর
- min
- مِنۢ
- থেকে
- baʿdihim
- بَعْدِهِمْ
- পর তাদের
- linanẓura
- لِنَنظُرَ
- যেন দেখি আমরা
- kayfa
- كَيْفَ
- কেমন
- taʿmalūna
- تَعْمَلُونَ
- তোমরা কাজ করো
অতঃপর তাদের পর আমি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছি এটা দেখার জন্য যে, তোমরা কী রকম ‘আমাল কর। ([১০] ইউনুস: ১৪)ব্যাখ্যা
وَاِذَا تُتْلٰى عَلَيْهِمْ اٰيَاتُنَا بَيِّنٰتٍۙ قَالَ الَّذِيْنَ لَا يَرْجُوْنَ لِقَاۤءَنَا ائْتِ بِقُرْاٰنٍ غَيْرِ هٰذَآ اَوْ بَدِّلْهُ ۗ قُلْ مَا يَكُوْنُ لِيْٓ اَنْ اُبَدِّلَهٗ مِنْ تِلْقَاۤئِ نَفْسِيْ ۚاِنْ اَتَّبِعُ اِلَّا مَا يُوْحٰٓى اِلَيَّ ۚ اِنِّيْٓ اَخَافُ اِنْ عَصَيْتُ رَبِّيْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيْمٍ ١٥
- wa-idhā
- وَإِذَا
- এবং যখন
- tut'lā
- تُتْلَىٰ
- তিলাওয়াত করা হয়
- ʿalayhim
- عَلَيْهِمْ
- নিকট তাদের
- āyātunā
- ءَايَاتُنَا
- আয়াতগুলোকে আমাদের
- bayyinātin
- بَيِّنَٰتٍۙ
- সুস্পষ্ট
- qāla
- قَالَ
- বলে
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যারা
- lā
- لَا
- না
- yarjūna
- يَرْجُونَ
- আশা রাখে
- liqāanā
- لِقَآءَنَا
- সাক্ষাতের আমাদের
- i'ti
- ٱئْتِ
- "আসো
- biqur'ānin
- بِقُرْءَانٍ
- নিয়ে কুরআন
- ghayri
- غَيْرِ
- ছাড়া
- hādhā
- هَٰذَآ
- এটা (অন্য একটি)
- aw
- أَوْ
- অথবা
- baddil'hu
- بَدِّلْهُۚ
- পরিবর্তন করো তা"
- qul
- قُلْ
- বলো
- mā
- مَا
- "নয়
- yakūnu
- يَكُونُ
- সঙ্গত
- lī
- لِىٓ
- জন্যে আমার
- an
- أَنْ
- যে
- ubaddilahu
- أُبَدِّلَهُۥ
- পরিবর্তন করবো আমি তা
- min
- مِن
- হতে
- til'qāi
- تِلْقَآئِ
- পক্ষ
- nafsī
- نَفْسِىٓۖ
- নিজের আমার
- in
- إِنْ
- না
- attabiʿu
- أَتَّبِعُ
- আমি অনুসরণ করি
- illā
- إِلَّا
- এ ছাড়া
- mā
- مَا
- যা
- yūḥā
- يُوحَىٰٓ
- ওহী করা হয়
- ilayya
- إِلَىَّۖ
- প্রতি আমার
- innī
- إِنِّىٓ
- নিশ্চয়ই আমি
- akhāfu
- أَخَافُ
- ভয় করি
- in
- إِنْ
- যদি
- ʿaṣaytu
- عَصَيْتُ
- আমি অবাধ্যতা করি
- rabbī
- رَبِّى
- আমার রবের
- ʿadhāba
- عَذَابَ
- শাস্তির
- yawmin
- يَوْمٍ
- দিনের"
- ʿaẓīmin
- عَظِيمٍ
- মহা"
যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতগুলো তাদের কাছে পঠিত হয়, তখন যারা আমার সাক্ষাতের আশা রাখে না তারা বলে, ‘এটা বাদে অন্য আরেকটা কুরআন আন কিংবা ওটাকে বদলাও’। বল, ‘‘আমার নিজের ইচ্ছেমত ওটা বদলানো আমার কাজ নয়, আমার কাছে যা ওয়াহী করা হয় আমি কেবল সেটারই অনুসরণ করে থাকি। আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করলে এক অতি বড় বিভীষিকার দিনে আমি শাস্তির ভয় করি’’। ([১০] ইউনুস: ১৫)ব্যাখ্যা
قُلْ لَّوْ شَاۤءَ اللّٰهُ مَا تَلَوْتُهٗ عَلَيْكُمْ وَلَآ اَدْرٰىكُمْ بِهٖ ۖفَقَدْ لَبِثْتُ فِيْكُمْ عُمُرًا مِّنْ قَبْلِهٖۗ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ ١٦
- qul
- قُل
- বলো
- law
- لَّوْ
- "যদি
- shāa
- شَآءَ
- চাইতেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- mā
- مَا
- না
- talawtuhu
- تَلَوْتُهُۥ
- আমি তিলাওয়াত করতাম তা
- ʿalaykum
- عَلَيْكُمْ
- কাছে তোমাদের
- walā
- وَلَآ
- এবং না
- adrākum
- أَدْرَىٰكُم
- তিনি জানাতেন তোমাদের
- bihi
- بِهِۦۖ
- সম্বন্ধে তা
- faqad
- فَقَدْ
- অতঃপর নিশ্চয়ই
- labith'tu
- لَبِثْتُ
- আমি অবস্থান করেছি
- fīkum
- فِيكُمْ
- মাঝে তোমাদের
- ʿumuran
- عُمُرًا
- এক বয়স
- min
- مِّن
- থেকে
- qablihi
- قَبْلِهِۦٓۚ
- পূর্ব এর
- afalā
- أَفَلَا
- কি তবুও না
- taʿqilūna
- تَعْقِلُونَ
- তোমরা বুঝবে"
বল, ‘‘আল্লাহর ইচ্ছে হলে আমি তোমাদের কাছে তা তিলাওয়াত করতাম না, আর আল্লাহও তোমাদেরকে তার খবর দিতেন না। আমি তো এর পূর্বে একটা দীর্ঘ সময় তোমাদের মাঝে অতিবাহিত করেছি, তা সত্ত্বেও তোমরা কি বুঝবে না? ([১০] ইউনুস: ১৬)ব্যাখ্যা
فَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰى عَلَى اللّٰهِ كَذِبًا اَوْ كَذَّبَ بِاٰيٰتِهٖۗ اِنَّهٗ لَا يُفْلِحُ الْمُجْرِمُوْنَ ١٧
- faman
- فَمَنْ
- অতএব কে
- aẓlamu
- أَظْلَمُ
- অধিক সীমালঙ্ঘনকারী (হতে পারে)
- mimmani
- مِمَّنِ
- (তার) চেয়ে যে
- if'tarā
- ٱفْتَرَىٰ
- রচনা করে
- ʿalā
- عَلَى
- উপর
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- আল্লাহ
- kadhiban
- كَذِبًا
- মিথ্যা
- aw
- أَوْ
- বা
- kadhaba
- كَذَّبَ
- মিথ্যারোপ করে
- biāyātihi
- بِـَٔايَٰتِهِۦٓۚ
- সম্পর্কে তাঁর নিদর্শনগুলো
- innahu
- إِنَّهُۥ
- নিশ্চয়ই তা
- lā
- لَا
- না
- yuf'liḥu
- يُفْلِحُ
- সফলকাম হয়
- l-muj'rimūna
- ٱلْمُجْرِمُونَ
- অপরাধীরা
তার চেয়ে বড় যালিম আর কে হতে পারে যে মিথ্যা রচনা ক’রে আল্লাহর নামে চালিয়ে দেয় অথবা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে ঘোষণা করে; নিশ্চিতই অপরাধীরা সাফল্য লাভ করতে পারে না। ([১০] ইউনুস: ১৭)ব্যাখ্যা
وَيَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ مَا لَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنْفَعُهُمْ وَيَقُوْلُوْنَ هٰٓؤُلَاۤءِ شُفَعَاۤؤُنَا عِنْدَ اللّٰهِ ۗقُلْ اَتُنَبِّـُٔوْنَ اللّٰهَ بِمَا لَا يَعْلَمُ فِى السَّمٰوٰتِ وَلَا فِى الْاَرْضِۗ سُبْحٰنَهٗ وَتَعٰلٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ ١٨
- wayaʿbudūna
- وَيَعْبُدُونَ
- এবং তারা ইবাদত করে
- min
- مِن
- দিয়ে
- dūni
- دُونِ
- ছেড়ে
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- আল্লাহকে
- mā
- مَا
- যা
- lā
- لَا
- না
- yaḍurruhum
- يَضُرُّهُمْ
- ক্ষতি করতে পারে তাদের
- walā
- وَلَا
- আর না
- yanfaʿuhum
- يَنفَعُهُمْ
- উপকার করতে পারে তাদের
- wayaqūlūna
- وَيَقُولُونَ
- এবং তারা বলে
- hāulāi
- هَٰٓؤُلَآءِ
- "এসব
- shufaʿāunā
- شُفَعَٰٓؤُنَا
- সুপারিশকারী আমাদের
- ʿinda
- عِندَ
- কাছে
- l-lahi
- ٱللَّهِۚ
- আল্লাহর"
- qul
- قُلْ
- বলো
- atunabbiūna
- أَتُنَبِّـُٔونَ
- "কি তোমরা সংবাদ দিচ্ছো
- l-laha
- ٱللَّهَ
- আল্লাহকে
- bimā
- بِمَا
- তা সম্বন্ধে যা
- lā
- لَا
- না
- yaʿlamu
- يَعْلَمُ
- তিনি জানেন
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশসমূহের
- walā
- وَلَا
- এবং না
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-arḍi
- ٱلْأَرْضِۚ
- পৃথিবীর"
- sub'ḥānahu
- سُبْحَٰنَهُۥ
- পবিত্র তিনি
- wataʿālā
- وَتَعَٰلَىٰ
- এবং বহু উর্ধ্বে
- ʿammā
- عَمَّا
- তা হতে যা
- yush'rikūna
- يُشْرِكُونَ
- তারা শিরক করছে
আর তারা আল্লাহকে ছেড়ে ‘ইবাদাত করে এমন কিছুর যা না পারে তাদের কোন ক্ষতি করতে, আর না পারে কোন উপকার করতে। আর তারা বলে, ‘‘ওগুলো আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশকারী’’। বল, ‘‘তোমরা কি আল্লাহকে এমন কিছুর সংবাদ দিতে চাও, যা তিনি অবগত নন, না আকাশমন্ডলীতে আর না যমীনে? মহান পবিত্র তিনি, তোমরা যা কিছুকে তাঁর শরীক গণ্য কর তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে। ([১০] ইউনুস: ১৮)ব্যাখ্যা
وَمَا كَانَ النَّاسُ اِلَّآ اُمَّةً وَّاحِدَةً فَاخْتَلَفُوْاۗ وَلَوْلَا كَلِمَةٌ سَبَقَتْ مِنْ رَّبِّكَ لَقُضِيَ بَيْنَهُمْ فِيْمَا فِيْهِ يَخْتَلِفُوْنَ ١٩
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- kāna
- كَانَ
- ছিলো
- l-nāsu
- ٱلنَّاسُ
- মানুষ
- illā
- إِلَّآ
- এ ছাড়া
- ummatan
- أُمَّةً
- উম্মত
- wāḥidatan
- وَٰحِدَةً
- একই
- fa-ikh'talafū
- فَٱخْتَلَفُوا۟ۚ
- এরপর তারা মতভেদ করে
- walawlā
- وَلَوْلَا
- এবং যদি না
- kalimatun
- كَلِمَةٌ
- একটি কথা
- sabaqat
- سَبَقَتْ
- পূর্ব ঘোষিত হতে
- min
- مِن
- পক্ষ হতে
- rabbika
- رَّبِّكَ
- তোমার রবের
- laquḍiya
- لَقُضِىَ
- অবশ্যই মীমাংসা করে দেয়া হতো
- baynahum
- بَيْنَهُمْ
- মাঝে তাদের
- fīmā
- فِيمَا
- বিষয়ে সে
- fīhi
- فِيهِ
- সম্পর্কে যা
- yakhtalifūna
- يَخْتَلِفُونَ
- তারা মতভেদ করছে
মানুষ ছিল এক উম্মতভুক্ত। পরে তারা মতভেদ সৃষ্টি করল। তোমার প্রতিপালক পূর্বেই যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করতেন, তাহলে যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে তার মীমাংসা অবশ্যই করে দেয়া হত। ([১০] ইউনুস: ১৯)ব্যাখ্যা
وَيَقُوْلُوْنَ لَوْلَآ اُنْزِلَ عَلَيْهِ اٰيَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖۚ فَقُلْ اِنَّمَا الْغَيْبُ لِلّٰهِ فَانْتَظِرُوْاۚ اِنِّيْ مَعَكُمْ مِّنَ الْمُنْتَظِرِيْنَ ࣖ ٢٠
- wayaqūlūna
- وَيَقُولُونَ
- এবং তারা বলে
- lawlā
- لَوْلَآ
- "কেন না
- unzila
- أُنزِلَ
- অবতীর্ণ করা হলো
- ʿalayhi
- عَلَيْهِ
- উপর তার
- āyatun
- ءَايَةٌ
- কোনো নিদর্শন
- min
- مِّن
- পক্ষ হতে
- rabbihi
- رَّبِّهِۦۖ
- রবের তার"
- faqul
- فَقُلْ
- তাহ'লে বলো
- innamā
- إِنَّمَا
- "মুলতঃ
- l-ghaybu
- ٱلْغَيْبُ
- অদৃশ্যের (জ্ঞান)
- lillahi
- لِلَّهِ
- নিকট আল্লাহরই (আছে)
- fa-intaẓirū
- فَٱنتَظِرُوٓا۟
- অতএব তোমরা অপেক্ষা করো
- innī
- إِنِّى
- নিশ্চয়ই আমি
- maʿakum
- مَعَكُم
- সাথে তোমাদের
- mina
- مِّنَ
- অন্তর্ভুক্ত
- l-muntaẓirīna
- ٱلْمُنتَظِرِينَ
- অপেক্ষাকারীদের"
তারা বলে, ‘‘তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেন?’’ এদের জবাবে বলে দাও, ‘‘অদৃশ্য জগতের একচ্ছত্র মালিক হলেন আল্লাহ, কাজেই তোমরা অপেক্ষা কর (এবং ভবিষ্যতে কী হয় দেখ), আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষমান থাকলাম। ([১০] ইউনুস: ২০)ব্যাখ্যা