Skip to content

সূরা হা-মীম সেজদাহ - Page: 4

Fussilat

(Fuṣṣilat)

৩১

نَحْنُ اَوْلِيَاۤؤُكُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَفِى الْاٰخِرَةِ ۚوَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَشْتَهِيْٓ اَنْفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَدَّعُوْنَ ۗ ٣١

naḥnu
نَحْنُ
আমরা
awliyāukum
أَوْلِيَآؤُكُمْ
তোমাদের বন্ধু
فِى
মধ্যে
l-ḥayati
ٱلْحَيَوٰةِ
জীবনের
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
দুনিয়ার
wafī
وَفِى
এবং মধ্যে
l-ākhirati
ٱلْءَاخِرَةِۖ
পরকালের
walakum
وَلَكُمْ
এবং তোমাদের জন্যে (রয়েছে)
fīhā
فِيهَا
তার মধ্যে
مَا
যা
tashtahī
تَشْتَهِىٓ
চায়
anfusukum
أَنفُسُكُمْ
তোমাদের মন
walakum
وَلَكُمْ
এবং তোমাদের জন্যে
fīhā
فِيهَا
তার মধ্যে (রয়েছে)
مَا
যা
taddaʿūna
تَدَّعُونَ
তোমরা দাবি করবে
পার্থিব জীবনে আর আখিরাতে আমরাই তোমাদের সঙ্গী-সাথী। আর সেখানে (অর্থাৎ জান্নাতে) তোমাদের জন্য তোমাদের মন যা চায় তা-ই আছে; তোমরা যে জিনিসের আকাঙ্ক্ষা কর, তোমাদের জন্য সেখানে তা-ই আছে ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩১)
ব্যাখ্যা
৩২

نُزُلًا مِّنْ غَفُوْرٍ رَّحِيْمٍ ࣖ ٣٢

nuzulan
نُزُلًا
আপ্যায়ন
min
مِّنْ
(আল্লাহর) পক্ষ থেকে
ghafūrin
غَفُورٍ
(যিনি) ক্ষমাশীল
raḥīmin
رَّحِيمٍ
পরম দয়ালু"
পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (আল্লাহ)’র পক্ষ থেকে আপ্যায়ন হিসেবে। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩২)
ব্যাখ্যা
৩৩

وَمَنْ اَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّنْ دَعَآ اِلَى اللّٰهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَّقَالَ اِنَّنِيْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ ٣٣

waman
وَمَنْ
এবং কার
aḥsanu
أَحْسَنُ
উত্তম
qawlan
قَوْلًا
কথা (হতে পারে)
mimman
مِّمَّن
তার চেয়ে যে
daʿā
دَعَآ
ডাকে
ilā
إِلَى
দিকে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
waʿamila
وَعَمِلَ
ও কাজ করে
ṣāliḥan
صَٰلِحًا
সৎ
waqāla
وَقَالَ
এবং বলে
innanī
إِنَّنِى
"নিশ্চয়ই আমি
mina
مِنَ
অন্তর্ভুক্ত
l-mus'limīna
ٱلْمُسْلِمِينَ
আত্মসমর্পণকারীদের (অর্থাৎ মুসলমানদের)"
কথায় ঐ ব্যক্তি থেকে কে বেশি উত্তম যে (মানুষকে) আল্লাহর দিকে আহবান করে, আর সৎ কাজ করে এবং বলে, ‘আমি (আল্লাহর প্রতি) অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত’। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৩)
ব্যাখ্যা
৩৪

وَلَا تَسْتَوِى الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۗاِدْفَعْ بِالَّتِيْ هِيَ اَحْسَنُ فَاِذَا الَّذِيْ بَيْنَكَ وَبَيْنَهٗ عَدَاوَةٌ كَاَنَّهٗ وَلِيٌّ حَمِيْمٌ ٣٤

walā
وَلَا
এবং না
tastawī
تَسْتَوِى
সমান হয়
l-ḥasanatu
ٱلْحَسَنَةُ
ভালো
walā
وَلَا
আর না
l-sayi-atu
ٱلسَّيِّئَةُۚ
মন্দ
id'faʿ
ٱدْفَعْ
প্রতিহত করো
bi-allatī
بِٱلَّتِى
সেই (জ্ঞান) দ্বারা
hiya
هِىَ
যা
aḥsanu
أَحْسَنُ
উত্তম
fa-idhā
فَإِذَا
ফলে (দেখবে) তখন
alladhī
ٱلَّذِى
যে
baynaka
بَيْنَكَ
তোমার মাঝে
wabaynahu
وَبَيْنَهُۥ
ও তার মাঝে
ʿadāwatun
عَدَٰوَةٌ
শত্রুতা (আছে)
ka-annahu
كَأَنَّهُۥ
সে যেন (হয়ে যাবে)
waliyyun
وَلِىٌّ
বন্ধু
ḥamīmun
حَمِيمٌ
অন্তরঙ্গ
ভাল আর মন্দ সমান নয়। উৎকৃষ্ট দিয়ে মন্দকে দূর কর। তখন দেখবে, তোমার আর যার মধ্যে শত্রুতা আছে সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৪)
ব্যাখ্যা
৩৫

وَمَا يُلَقّٰىهَآ اِلَّا الَّذِيْنَ صَبَرُوْاۚ وَمَا يُلَقّٰىهَآ اِلَّا ذُوْ حَظٍّ عَظِيْمٍ ٣٥

wamā
وَمَا
এবং না
yulaqqāhā
يُلَقَّىٰهَآ
তা (জুটে) লাভ করে
illā
إِلَّا
এ ব্যতীত
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
ṣabarū
صَبَرُوا۟
ধৈর্য্য ধরে
wamā
وَمَا
এবং না
yulaqqāhā
يُلَقَّىٰهَآ
তা (জুটে) লাভ করে
illā
إِلَّا
এ ব্যতীত
dhū
ذُو
অধিকারী
ḥaẓẓin
حَظٍّ
ভাগ্যের
ʿaẓīmin
عَظِيمٍ
মহা
এ গুণ কেবল তারাই লাভ করে যারা ধৈর্যশীল, এ গুণ কেবল তারাই লাভ করে যারা মহা ভাগ্যবান। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৫)
ব্যাখ্যা
৩৬

وَاِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطٰنِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِ ۗاِنَّهٗ هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ ٣٦

wa-immā
وَإِمَّا
আর যদি
yanzaghannaka
يَنزَغَنَّكَ
তোমাকে উস্কানি দেয়
mina
مِنَ
পক্ষ হতে
l-shayṭāni
ٱلشَّيْطَٰنِ
শয়তানের
nazghun
نَزْغٌ
(যে কোন) কুমন্ত্রণা
fa-is'taʿidh
فَٱسْتَعِذْ
তবে আশ্রয় চাও
bil-lahi
بِٱللَّهِۖ
আল্লাহর
innahu
إِنَّهُۥ
তিনি নিশ্চয়ই
huwa
هُوَ
তিনিই
l-samīʿu
ٱلسَّمِيعُ
সবকিছু শুনেন
l-ʿalīmu
ٱلْعَلِيمُ
সবকিছুু জানেন
শয়ত্বানের পক্ষ থেকে যদি তুমি কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তাহলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৬)
ব্যাখ্যা
৩৭

وَمِنْ اٰيٰتِهِ الَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُۗ لَا تَسْجُدُوْا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوْا لِلّٰهِ الَّذِيْ خَلَقَهُنَّ اِنْ كُنْتُمْ اِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ ٣٧

wamin
وَمِنْ
এবং মধ্যে হ'তে
āyātihi
ءَايَٰتِهِ
তাঁর নিদর্শনাবলীর
al-laylu
ٱلَّيْلُ
(রয়েছে) রাত
wal-nahāru
وَٱلنَّهَارُ
ও দিন
wal-shamsu
وَٱلشَّمْسُ
এবং সূর্য
wal-qamaru
وَٱلْقَمَرُۚ
ও চাঁদ
لَا
না
tasjudū
تَسْجُدُوا۟
তোমরা সিজদা করো
lilshamsi
لِلشَّمْسِ
সূর্যকে
walā
وَلَا
আর না
lil'qamari
لِلْقَمَرِ
চাঁদকে
wa-us'judū
وَٱسْجُدُوا۟
এবং তোমরা সিজদা করো
lillahi
لِلَّهِ
আল্লাহর-ই
alladhī
ٱلَّذِى
যিনি
khalaqahunna
خَلَقَهُنَّ
তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন
in
إِن
যদি
kuntum
كُنتُمْ
তোমরা হও (বাস্তবিকই)
iyyāhu
إِيَّاهُ
তাঁরই শুধু
taʿbudūna
تَعْبُدُونَ
তোমরা ইবাদত করো
তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হল রাত, দিন, সূর্য আর চন্দ্র। সূর্যকে সেজদা করো না, চন্দ্রকেও না। সেজদা কর আল্লাহকে যিনি ওগুলোকে সৃষ্টি করেছেন যদি সত্যিকারভাবে একমাত্র তাঁরই তোমরা ইবাদাত করতে চাও। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৭)
ব্যাখ্যা
৩৮

فَاِنِ اسْتَكْبَرُوْا فَالَّذِيْنَ عِنْدَ رَبِّكَ يُسَبِّحُوْنَ لَهٗ بِالَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَهُمْ لَا يَسْـَٔمُوْنَ ۩ ٣٨

fa-ini
فَإِنِ
অতঃপর যদি
is'takbarū
ٱسْتَكْبَرُوا۟
তোমরা অহংকার করো (তবে কোন পরোয়া নেই)
fa-alladhīna
فَٱلَّذِينَ
কারণ যারা (আছে)
ʿinda
عِندَ
কাছে
rabbika
رَبِّكَ
তোমার রবের
yusabbiḥūna
يُسَبِّحُونَ
তারা মহিমা ঘোষণা করছে
lahu
لَهُۥ
তাঁরই
bi-al-layli
بِٱلَّيْلِ
রাতে
wal-nahāri
وَٱلنَّهَارِ
ও দিনে
wahum
وَهُمْ
এবং তারা
لَا
না
yasamūna
يَسْـَٔمُونَ۩
ক্লান্ত হয়
অতঃপর তারা যদি অহংকার করে তবে (তারা জেনে নিক যে), তোমার প্রতিপালকের নিকটে যারা রয়েছে তারা দিন-রাত তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণনায় লিপ্ত আছে, আর তারা কখনও ক্লান্তিবোধ করে না।[সাজদাহ] ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৮)
ব্যাখ্যা
৩৯

وَمِنْ اٰيٰتِهٖٓ اَنَّكَ تَرَى الْاَرْضَ خَاشِعَةً فَاِذَآ اَنْزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاۤءَ اهْتَزَّتْ وَرَبَتْۗ اِنَّ الَّذِيْٓ اَحْيَاهَا لَمُحْيِ الْمَوْتٰى ۗاِنَّهٗ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ٣٩

wamin
وَمِنْ
এবং মধ্য হ'তে
āyātihi
ءَايَٰتِهِۦٓ
তাঁর নিদর্শনাবলীর
annaka
أَنَّكَ
(এগুলোও) যে
tarā
تَرَى
তুমি দেখো
l-arḍa
ٱلْأَرْضَ
জমিকে
khāshiʿatan
خَٰشِعَةً
ঊষর (তৃণলতাহীন)
fa-idhā
فَإِذَآ
অতঃপর যখন
anzalnā
أَنزَلْنَا
আমরা বর্ষণ করি
ʿalayhā
عَلَيْهَا
তার উপর
l-māa
ٱلْمَآءَ
পানি
ih'tazzat
ٱهْتَزَّتْ
উথলিয়ে উঠে
warabat
وَرَبَتْۚ
ও স্ফীত হয় (আর শস্য জন্মে)
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
alladhī
ٱلَّذِىٓ
যিনি
aḥyāhā
أَحْيَاهَا
তা (অর্থাৎ যমীনকে) জীবিত করেন
lamuḥ'yī
لَمُحْىِ
অবশ্যই জীবন দানকারী
l-mawtā
ٱلْمَوْتَىٰٓۚ
মৃতদেরকে
innahu
إِنَّهُۥ
নিশ্চয়ই তিনি
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুর
qadīrun
قَدِيرٌ
সর্বশক্তিমান
তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হল এই যে, তুমি যমীনকে দেখ শুষ্ক অনুর্বর পড়ে আছে। অতঃপর আমি যখন তার উপর বৃষ্টি বর্ষণ করি তখন তা সতেজ হয় ও বেড়ে যায়। যিনি এ মৃত যমীনকে জীবিত করেন, তিনি অবশ্যই মৃতদেরকে জীবিত করবেন। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৯)
ব্যাখ্যা
৪০

اِنَّ الَّذِيْنَ يُلْحِدُوْنَ فِيْٓ اٰيٰتِنَا لَا يَخْفَوْنَ عَلَيْنَاۗ اَفَمَنْ يُّلْقٰى فِى النَّارِ خَيْرٌ اَمَّنْ يَّأْتِيْٓ اٰمِنًا يَّوْمَ الْقِيٰمَةِ ۗاِعْمَلُوْا مَا شِئْتُمْ ۙاِنَّهٗ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ ٤٠

inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
yul'ḥidūna
يُلْحِدُونَ
বিকৃত অর্থ নেয়
فِىٓ
মধ্যে
āyātinā
ءَايَٰتِنَا
আমাদের আয়াতগুলোর
لَا
নয়
yakhfawna
يَخْفَوْنَ
তারা অগোচরে
ʿalaynā
عَلَيْنَآۗ
আমাদের কাছে
afaman
أَفَمَن
তবে কি যাকে
yul'qā
يُلْقَىٰ
ফেলা হবে
فِى
মধ্যে
l-nāri
ٱلنَّارِ
আগুনের
khayrun
خَيْرٌ
উত্তম
am
أَم
নাকি
man
مَّن
যে
yatī
يَأْتِىٓ
আসবে
āminan
ءَامِنًا
নিরাপদ অবস্থায়
yawma
يَوْمَ
দিনে
l-qiyāmati
ٱلْقِيَٰمَةِۚ
ক্বিয়ামাতের
iʿ'malū
ٱعْمَلُوا۟
তোমরা কাজ করো
مَا
যা
shi'tum
شِئْتُمْۖ
তোমরা ইচ্ছে করো
innahu
إِنَّهُۥ
নিশ্চয়ই তিনি
bimā
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
taʿmalūna
تَعْمَلُونَ
তোমরা কাজ করছো
baṣīrun
بَصِيرٌ
খুব দেখছেন
যারা আমার আয়াতসমূহের অর্থকে ভিন্নপথে পরিচালিত করে, তারা আমার থেকে লুক্কায়িত নয়। যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে সেই উত্তম না ঐ ব্যক্তি যে ক্বিয়ামতের দিন সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়ে হাজির হবে? তোমাদের যা ইচ্ছে হয় করতে থাক। তোমরা যা কর তা তিনি (খুব ভালভাবেই) দেখেন। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪০)
ব্যাখ্যা