نَحْنُ اَوْلِيَاۤؤُكُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَفِى الْاٰخِرَةِ ۚوَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَشْتَهِيْٓ اَنْفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيْهَا مَا تَدَّعُوْنَ ۗ ٣١
- naḥnu
- نَحْنُ
- আমরা
- awliyāukum
- أَوْلِيَآؤُكُمْ
- তোমাদের বন্ধু
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-ḥayati
- ٱلْحَيَوٰةِ
- জীবনের
- l-dun'yā
- ٱلدُّنْيَا
- দুনিয়ার
- wafī
- وَفِى
- এবং মধ্যে
- l-ākhirati
- ٱلْءَاخِرَةِۖ
- পরকালের
- walakum
- وَلَكُمْ
- এবং তোমাদের জন্যে (রয়েছে)
- fīhā
- فِيهَا
- তার মধ্যে
- mā
- مَا
- যা
- tashtahī
- تَشْتَهِىٓ
- চায়
- anfusukum
- أَنفُسُكُمْ
- তোমাদের মন
- walakum
- وَلَكُمْ
- এবং তোমাদের জন্যে
- fīhā
- فِيهَا
- তার মধ্যে (রয়েছে)
- mā
- مَا
- যা
- taddaʿūna
- تَدَّعُونَ
- তোমরা দাবি করবে
পার্থিব জীবনে আর আখিরাতে আমরাই তোমাদের সঙ্গী-সাথী। আর সেখানে (অর্থাৎ জান্নাতে) তোমাদের জন্য তোমাদের মন যা চায় তা-ই আছে; তোমরা যে জিনিসের আকাঙ্ক্ষা কর, তোমাদের জন্য সেখানে তা-ই আছে ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩১)ব্যাখ্যা
نُزُلًا مِّنْ غَفُوْرٍ رَّحِيْمٍ ࣖ ٣٢
- nuzulan
- نُزُلًا
- আপ্যায়ন
- min
- مِّنْ
- (আল্লাহর) পক্ষ থেকে
- ghafūrin
- غَفُورٍ
- (যিনি) ক্ষমাশীল
- raḥīmin
- رَّحِيمٍ
- পরম দয়ালু"
পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (আল্লাহ)’র পক্ষ থেকে আপ্যায়ন হিসেবে। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩২)ব্যাখ্যা
وَمَنْ اَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّنْ دَعَآ اِلَى اللّٰهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَّقَالَ اِنَّنِيْ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ ٣٣
- waman
- وَمَنْ
- এবং কার
- aḥsanu
- أَحْسَنُ
- উত্তম
- qawlan
- قَوْلًا
- কথা (হতে পারে)
- mimman
- مِّمَّن
- তার চেয়ে যে
- daʿā
- دَعَآ
- ডাকে
- ilā
- إِلَى
- দিকে
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- আল্লাহর
- waʿamila
- وَعَمِلَ
- ও কাজ করে
- ṣāliḥan
- صَٰلِحًا
- সৎ
- waqāla
- وَقَالَ
- এবং বলে
- innanī
- إِنَّنِى
- "নিশ্চয়ই আমি
- mina
- مِنَ
- অন্তর্ভুক্ত
- l-mus'limīna
- ٱلْمُسْلِمِينَ
- আত্মসমর্পণকারীদের (অর্থাৎ মুসলমানদের)"
কথায় ঐ ব্যক্তি থেকে কে বেশি উত্তম যে (মানুষকে) আল্লাহর দিকে আহবান করে, আর সৎ কাজ করে এবং বলে, ‘আমি (আল্লাহর প্রতি) অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত’। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৩)ব্যাখ্যা
وَلَا تَسْتَوِى الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۗاِدْفَعْ بِالَّتِيْ هِيَ اَحْسَنُ فَاِذَا الَّذِيْ بَيْنَكَ وَبَيْنَهٗ عَدَاوَةٌ كَاَنَّهٗ وَلِيٌّ حَمِيْمٌ ٣٤
- walā
- وَلَا
- এবং না
- tastawī
- تَسْتَوِى
- সমান হয়
- l-ḥasanatu
- ٱلْحَسَنَةُ
- ভালো
- walā
- وَلَا
- আর না
- l-sayi-atu
- ٱلسَّيِّئَةُۚ
- মন্দ
- id'faʿ
- ٱدْفَعْ
- প্রতিহত করো
- bi-allatī
- بِٱلَّتِى
- সেই (জ্ঞান) দ্বারা
- hiya
- هِىَ
- যা
- aḥsanu
- أَحْسَنُ
- উত্তম
- fa-idhā
- فَإِذَا
- ফলে (দেখবে) তখন
- alladhī
- ٱلَّذِى
- যে
- baynaka
- بَيْنَكَ
- তোমার মাঝে
- wabaynahu
- وَبَيْنَهُۥ
- ও তার মাঝে
- ʿadāwatun
- عَدَٰوَةٌ
- শত্রুতা (আছে)
- ka-annahu
- كَأَنَّهُۥ
- সে যেন (হয়ে যাবে)
- waliyyun
- وَلِىٌّ
- বন্ধু
- ḥamīmun
- حَمِيمٌ
- অন্তরঙ্গ
ভাল আর মন্দ সমান নয়। উৎকৃষ্ট দিয়ে মন্দকে দূর কর। তখন দেখবে, তোমার আর যার মধ্যে শত্রুতা আছে সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৪)ব্যাখ্যা
وَمَا يُلَقّٰىهَآ اِلَّا الَّذِيْنَ صَبَرُوْاۚ وَمَا يُلَقّٰىهَآ اِلَّا ذُوْ حَظٍّ عَظِيْمٍ ٣٥
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- yulaqqāhā
- يُلَقَّىٰهَآ
- তা (জুটে) লাভ করে
- illā
- إِلَّا
- এ ব্যতীত
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যারা
- ṣabarū
- صَبَرُوا۟
- ধৈর্য্য ধরে
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- yulaqqāhā
- يُلَقَّىٰهَآ
- তা (জুটে) লাভ করে
- illā
- إِلَّا
- এ ব্যতীত
- dhū
- ذُو
- অধিকারী
- ḥaẓẓin
- حَظٍّ
- ভাগ্যের
- ʿaẓīmin
- عَظِيمٍ
- মহা
এ গুণ কেবল তারাই লাভ করে যারা ধৈর্যশীল, এ গুণ কেবল তারাই লাভ করে যারা মহা ভাগ্যবান। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৫)ব্যাখ্যা
وَاِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطٰنِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِ ۗاِنَّهٗ هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ ٣٦
- wa-immā
- وَإِمَّا
- আর যদি
- yanzaghannaka
- يَنزَغَنَّكَ
- তোমাকে উস্কানি দেয়
- mina
- مِنَ
- পক্ষ হতে
- l-shayṭāni
- ٱلشَّيْطَٰنِ
- শয়তানের
- nazghun
- نَزْغٌ
- (যে কোন) কুমন্ত্রণা
- fa-is'taʿidh
- فَٱسْتَعِذْ
- তবে আশ্রয় চাও
- bil-lahi
- بِٱللَّهِۖ
- আল্লাহর
- innahu
- إِنَّهُۥ
- তিনি নিশ্চয়ই
- huwa
- هُوَ
- তিনিই
- l-samīʿu
- ٱلسَّمِيعُ
- সবকিছু শুনেন
- l-ʿalīmu
- ٱلْعَلِيمُ
- সবকিছুু জানেন
শয়ত্বানের পক্ষ থেকে যদি তুমি কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তাহলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৬)ব্যাখ্যা
وَمِنْ اٰيٰتِهِ الَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُۗ لَا تَسْجُدُوْا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوْا لِلّٰهِ الَّذِيْ خَلَقَهُنَّ اِنْ كُنْتُمْ اِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ ٣٧
- wamin
- وَمِنْ
- এবং মধ্যে হ'তে
- āyātihi
- ءَايَٰتِهِ
- তাঁর নিদর্শনাবলীর
- al-laylu
- ٱلَّيْلُ
- (রয়েছে) রাত
- wal-nahāru
- وَٱلنَّهَارُ
- ও দিন
- wal-shamsu
- وَٱلشَّمْسُ
- এবং সূর্য
- wal-qamaru
- وَٱلْقَمَرُۚ
- ও চাঁদ
- lā
- لَا
- না
- tasjudū
- تَسْجُدُوا۟
- তোমরা সিজদা করো
- lilshamsi
- لِلشَّمْسِ
- সূর্যকে
- walā
- وَلَا
- আর না
- lil'qamari
- لِلْقَمَرِ
- চাঁদকে
- wa-us'judū
- وَٱسْجُدُوا۟
- এবং তোমরা সিজদা করো
- lillahi
- لِلَّهِ
- আল্লাহর-ই
- alladhī
- ٱلَّذِى
- যিনি
- khalaqahunna
- خَلَقَهُنَّ
- তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন
- in
- إِن
- যদি
- kuntum
- كُنتُمْ
- তোমরা হও (বাস্তবিকই)
- iyyāhu
- إِيَّاهُ
- তাঁরই শুধু
- taʿbudūna
- تَعْبُدُونَ
- তোমরা ইবাদত করো
তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হল রাত, দিন, সূর্য আর চন্দ্র। সূর্যকে সেজদা করো না, চন্দ্রকেও না। সেজদা কর আল্লাহকে যিনি ওগুলোকে সৃষ্টি করেছেন যদি সত্যিকারভাবে একমাত্র তাঁরই তোমরা ইবাদাত করতে চাও। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৭)ব্যাখ্যা
فَاِنِ اسْتَكْبَرُوْا فَالَّذِيْنَ عِنْدَ رَبِّكَ يُسَبِّحُوْنَ لَهٗ بِالَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَهُمْ لَا يَسْـَٔمُوْنَ ۩ ٣٨
- fa-ini
- فَإِنِ
- অতঃপর যদি
- is'takbarū
- ٱسْتَكْبَرُوا۟
- তোমরা অহংকার করো (তবে কোন পরোয়া নেই)
- fa-alladhīna
- فَٱلَّذِينَ
- কারণ যারা (আছে)
- ʿinda
- عِندَ
- কাছে
- rabbika
- رَبِّكَ
- তোমার রবের
- yusabbiḥūna
- يُسَبِّحُونَ
- তারা মহিমা ঘোষণা করছে
- lahu
- لَهُۥ
- তাঁরই
- bi-al-layli
- بِٱلَّيْلِ
- রাতে
- wal-nahāri
- وَٱلنَّهَارِ
- ও দিনে
- wahum
- وَهُمْ
- এবং তারা
- lā
- لَا
- না
- yasamūna
- يَسْـَٔمُونَ۩
- ক্লান্ত হয়
অতঃপর তারা যদি অহংকার করে তবে (তারা জেনে নিক যে), তোমার প্রতিপালকের নিকটে যারা রয়েছে তারা দিন-রাত তাঁর মাহাত্ম্য বর্ণনায় লিপ্ত আছে, আর তারা কখনও ক্লান্তিবোধ করে না।[সাজদাহ] ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৮)ব্যাখ্যা
وَمِنْ اٰيٰتِهٖٓ اَنَّكَ تَرَى الْاَرْضَ خَاشِعَةً فَاِذَآ اَنْزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاۤءَ اهْتَزَّتْ وَرَبَتْۗ اِنَّ الَّذِيْٓ اَحْيَاهَا لَمُحْيِ الْمَوْتٰى ۗاِنَّهٗ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ٣٩
- wamin
- وَمِنْ
- এবং মধ্য হ'তে
- āyātihi
- ءَايَٰتِهِۦٓ
- তাঁর নিদর্শনাবলীর
- annaka
- أَنَّكَ
- (এগুলোও) যে
- tarā
- تَرَى
- তুমি দেখো
- l-arḍa
- ٱلْأَرْضَ
- জমিকে
- khāshiʿatan
- خَٰشِعَةً
- ঊষর (তৃণলতাহীন)
- fa-idhā
- فَإِذَآ
- অতঃপর যখন
- anzalnā
- أَنزَلْنَا
- আমরা বর্ষণ করি
- ʿalayhā
- عَلَيْهَا
- তার উপর
- l-māa
- ٱلْمَآءَ
- পানি
- ih'tazzat
- ٱهْتَزَّتْ
- উথলিয়ে উঠে
- warabat
- وَرَبَتْۚ
- ও স্ফীত হয় (আর শস্য জন্মে)
- inna
- إِنَّ
- নিশ্চয়ই
- alladhī
- ٱلَّذِىٓ
- যিনি
- aḥyāhā
- أَحْيَاهَا
- তা (অর্থাৎ যমীনকে) জীবিত করেন
- lamuḥ'yī
- لَمُحْىِ
- অবশ্যই জীবন দানকারী
- l-mawtā
- ٱلْمَوْتَىٰٓۚ
- মৃতদেরকে
- innahu
- إِنَّهُۥ
- নিশ্চয়ই তিনি
- ʿalā
- عَلَىٰ
- উপর
- kulli
- كُلِّ
- সব
- shayin
- شَىْءٍ
- কিছুর
- qadīrun
- قَدِيرٌ
- সর্বশক্তিমান
তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হল এই যে, তুমি যমীনকে দেখ শুষ্ক অনুর্বর পড়ে আছে। অতঃপর আমি যখন তার উপর বৃষ্টি বর্ষণ করি তখন তা সতেজ হয় ও বেড়ে যায়। যিনি এ মৃত যমীনকে জীবিত করেন, তিনি অবশ্যই মৃতদেরকে জীবিত করবেন। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৩৯)ব্যাখ্যা
اِنَّ الَّذِيْنَ يُلْحِدُوْنَ فِيْٓ اٰيٰتِنَا لَا يَخْفَوْنَ عَلَيْنَاۗ اَفَمَنْ يُّلْقٰى فِى النَّارِ خَيْرٌ اَمَّنْ يَّأْتِيْٓ اٰمِنًا يَّوْمَ الْقِيٰمَةِ ۗاِعْمَلُوْا مَا شِئْتُمْ ۙاِنَّهٗ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ ٤٠
- inna
- إِنَّ
- নিশ্চয়ই
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যারা
- yul'ḥidūna
- يُلْحِدُونَ
- বিকৃত অর্থ নেয়
- fī
- فِىٓ
- মধ্যে
- āyātinā
- ءَايَٰتِنَا
- আমাদের আয়াতগুলোর
- lā
- لَا
- নয়
- yakhfawna
- يَخْفَوْنَ
- তারা অগোচরে
- ʿalaynā
- عَلَيْنَآۗ
- আমাদের কাছে
- afaman
- أَفَمَن
- তবে কি যাকে
- yul'qā
- يُلْقَىٰ
- ফেলা হবে
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-nāri
- ٱلنَّارِ
- আগুনের
- khayrun
- خَيْرٌ
- উত্তম
- am
- أَم
- নাকি
- man
- مَّن
- যে
- yatī
- يَأْتِىٓ
- আসবে
- āminan
- ءَامِنًا
- নিরাপদ অবস্থায়
- yawma
- يَوْمَ
- দিনে
- l-qiyāmati
- ٱلْقِيَٰمَةِۚ
- ক্বিয়ামাতের
- iʿ'malū
- ٱعْمَلُوا۟
- তোমরা কাজ করো
- mā
- مَا
- যা
- shi'tum
- شِئْتُمْۖ
- তোমরা ইচ্ছে করো
- innahu
- إِنَّهُۥ
- নিশ্চয়ই তিনি
- bimā
- بِمَا
- ঐ বিষয়ে যা
- taʿmalūna
- تَعْمَلُونَ
- তোমরা কাজ করছো
- baṣīrun
- بَصِيرٌ
- খুব দেখছেন
যারা আমার আয়াতসমূহের অর্থকে ভিন্নপথে পরিচালিত করে, তারা আমার থেকে লুক্কায়িত নয়। যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে সেই উত্তম না ঐ ব্যক্তি যে ক্বিয়ামতের দিন সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়ে হাজির হবে? তোমাদের যা ইচ্ছে হয় করতে থাক। তোমরা যা কর তা তিনি (খুব ভালভাবেই) দেখেন। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ৪০)ব্যাখ্যা