Skip to content

সূরা আন নিসা - Page: 11

An-Nisa

(an-Nisāʾ)

১০১

وَاِذَا ضَرَبْتُمْ فِى الْاَرْضِ فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ اَنْ تَقْصُرُوْا مِنَ الصَّلٰوةِ ۖ اِنْ خِفْتُمْ اَنْ يَّفْتِنَكُمُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاۗ اِنَّ الْكٰفِرِيْنَ كَانُوْا لَكُمْ عَدُوًّا مُّبِيْنًا ١٠١

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
ḍarabtum
ضَرَبْتُمْ
তোমরা সফর কর
فِى
(মধ্যে)
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
জমিনে
falaysa
فَلَيْسَ
নাই তখন
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
junāḥun
جُنَاحٌ
কোন গুনাহ
an
أَن
যে
taqṣurū
تَقْصُرُوا۟
তোমরা কসর করবে
mina
مِنَ
থেকে
l-ṣalati
ٱلصَّلَوٰةِ
সলাতে
in
إِنْ
যদি
khif'tum
خِفْتُمْ
তোমরা ভয় কর
an
أَن
যে
yaftinakumu
يَفْتِنَكُمُ
তোমাদের বিপদে ফেলবে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
kafarū
كَفَرُوٓا۟ۚ
কুফরী করেছে
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-kāfirīna
ٱلْكَٰفِرِينَ
কাফিররা
kānū
كَانُوا۟
হলো
lakum
لَكُمْ
তোমাদের জন্য
ʿaduwwan
عَدُوًّا
শত্রু
mubīnan
مُّبِينًا
প্রকাশ্য
যখন তোমরা দেশে-বিদেশে সফর কর, তখন নামায কসর করাতে তোমাদের কিছুমাত্র দোষ নেই, যদি তোমরা ভয় কর যে, কাফিরগণ তোমাদেরকে বিপদগ্রস্ত করবে। নিঃসন্দেহে কাফিরগণ তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। ([৪] আন নিসা: ১০১)
ব্যাখ্যা
১০২

وَاِذَا كُنْتَ فِيْهِمْ فَاَقَمْتَ لَهُمُ الصَّلٰوةَ فَلْتَقُمْ طَاۤىِٕفَةٌ مِّنْهُمْ مَّعَكَ وَلْيَأْخُذُوْٓا اَسْلِحَتَهُمْ ۗ فَاِذَا سَجَدُوْا فَلْيَكُوْنُوْا مِنْ وَّرَاۤىِٕكُمْۖ وَلْتَأْتِ طَاۤىِٕفَةٌ اُخْرٰى لَمْ يُصَلُّوْا فَلْيُصَلُّوْا مَعَكَ وَلْيَأْخُذُوْا حِذْرَهُمْ وَاَسْلِحَتَهُمْ ۗ وَدَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَوْ تَغْفُلُوْنَ عَنْ اَسْلِحَتِكُمْ وَاَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيْلُوْنَ عَلَيْكُمْ مَّيْلَةً وَّاحِدَةً ۗوَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ اِنْ كَانَ بِكُمْ اَذًى مِّنْ مَّطَرٍ اَوْ كُنْتُمْ مَّرْضٰٓى اَنْ تَضَعُوْٓا اَسْلِحَتَكُمْ وَخُذُوْا حِذْرَكُمْ ۗ اِنَّ اللّٰهَ اَعَدَّ لِلْكٰفِرِيْنَ عَذَابًا مُّهِيْنًا ١٠٢

wa-idhā
وَإِذَا
এবং (হে নবী) যখন
kunta
كُنتَ
তুমি হও
fīhim
فِيهِمْ
তাদের মধ্যে
fa-aqamta
فَأَقَمْتَ
তুমি অতঃপর কায়েম করবে
lahumu
لَهُمُ
তাদের জন্য
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَ
সলাত
faltaqum
فَلْتَقُمْ
দাঁড়ায় যেন তখন
ṭāifatun
طَآئِفَةٌ
একদল
min'hum
مِّنْهُم
তাদের মধ্য হতে
maʿaka
مَّعَكَ
তোমার সাথে
walyakhudhū
وَلْيَأْخُذُوٓا۟
এবং তারা যেন রাখে
asliḥatahum
أَسْلِحَتَهُمْ
তাদের অস্ত্র (তাদের কাছে)
fa-idhā
فَإِذَا
অতঃপর যখন
sajadū
سَجَدُوا۟
তারা সিজদা করে ফেলে
falyakūnū
فَلْيَكُونُوا۟
তারা তখন হবে
min
مِن
(থেকে)
warāikum
وَرَآئِكُمْ
তোমাদের পিছনে
waltati
وَلْتَأْتِ
এবং আসে যেন
ṭāifatun
طَآئِفَةٌ
দল
ukh'rā
أُخْرَىٰ
অন্য (যারা)
lam
لَمْ
নাই
yuṣallū
يُصَلُّوا۟
সলাত পড়ে
falyuṣallū
فَلْيُصَلُّوا۟
তারা পড়ে যেন তখন
maʿaka
مَعَكَ
তোমার সাথে
walyakhudhū
وَلْيَأْخُذُوا۟
ও তারাও রাখে যেন
ḥidh'rahum
حِذْرَهُمْ
সতর্কতা তাদের
wa-asliḥatahum
وَأَسْلِحَتَهُمْۗ
ও তাদের অস্ত্রশস্ত্র (তাদের কাছে)
wadda
وَدَّ
কামনা করে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
কুফরী করেছে
law
لَوْ
যদি
taghfulūna
تَغْفُلُونَ
গাফিল হও তোমরা
ʿan
عَنْ
হতে
asliḥatikum
أَسْلِحَتِكُمْ
তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র
wa-amtiʿatikum
وَأَمْتِعَتِكُمْ
ও সাজসরঞ্জাম (হতে)
fayamīlūna
فَيَمِيلُونَ
তারা তবে আক্রমণ করবে
ʿalaykum
عَلَيْكُم
তোমাদের উপর
maylatan
مَّيْلَةً
আক্রমণ
wāḥidatan
وَٰحِدَةًۚ
একবারই
walā
وَلَا
এবং না (হবে)
junāḥa
جُنَاحَ
গুনাহ
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
in
إِن
যদি
kāna
كَانَ
হয়
bikum
بِكُمْ
তোমাদের
adhan
أَذًى
কষ্ট
min
مِّن
হতে
maṭarin
مَّطَرٍ
বৃষ্টি
aw
أَوْ
অথবা
kuntum
كُنتُم
তোমরা হও
marḍā
مَّرْضَىٰٓ
অসুস্থ
an
أَن
(যে)
taḍaʿū
تَضَعُوٓا۟
তোমাদের সংবরণ করায়
asliḥatakum
أَسْلِحَتَكُمْۖ
তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র
wakhudhū
وَخُذُوا۟
কিন্তু তোমরা অবলম্বন করবে
ḥidh'rakum
حِذْرَكُمْۗ
তোমাদের সতর্কতা
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ্‌
aʿadda
أَعَدَّ
প্রস্তুত করে রেখেছেন
lil'kāfirīna
لِلْكَٰفِرِينَ
কাফিরদের জন্য
ʿadhāban
عَذَابًا
আজাব
muhīnan
مُّهِينًا
লাঞ্ছনাকর
এবং যখন তুমি মু’মিনদের মাঝে অবস্থান করবে আর তাদের সঙ্গে নামায কায়িম করবে তখন তাদের একটি দল যেন তোমার সঙ্গে দাঁড়ায় এবং সশস্ত্র থাকে, তাদের সাজদাহ করা হলে তারা যেন তোমাদের পশ্চাতে অবস্থান করে এবং অপর যে দলটি নামায আদায় করেনি তারা যেন তোমার সঙ্গে নামায আদায় করে এবং সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে; কাফিরগণ কামনা করে যে, তোমরা যেন তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জামের ব্যাপারে অসতর্ক হও, যাতে তারা একজোটে তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমাদের বৃষ্টির কারণে কষ্ট হয়, কিংবা তোমরা পীড়িত হও, তবে অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন গুনাহ নেই, কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করবে, আল্লাহ কাফিরদের জন্য অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। ([৪] আন নিসা: ১০২)
ব্যাখ্যা
১০৩

فَاِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلٰوةَ فَاذْكُرُوا اللّٰهَ قِيَامًا وَّقُعُوْدًا وَّعَلٰى جُنُوْبِكُمْ ۚ فَاِذَا اطْمَأْنَنْتُمْ فَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ ۚ اِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ كِتٰبًا مَّوْقُوْتًا ١٠٣

fa-idhā
فَإِذَا
অতঃপর যখন
qaḍaytumu
قَضَيْتُمُ
তোমরা সমাপ্ত কর
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَ
সলাত
fa-udh'kurū
فَٱذْكُرُوا۟
তোমরা তখন স্মরণ কর
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
qiyāman
قِيَٰمًا
দাঁড়িয়ে
waquʿūdan
وَقُعُودًا
ও বসে
waʿalā
وَعَلَىٰ
ও উপর
junūbikum
جُنُوبِكُمْۚ
তোমাদের পাশগুলোর (অর্থাৎ শুয়ে)
fa-idhā
فَإِذَا
যখন অতঃপর
iṭ'manantum
ٱطْمَأْنَنتُمْ
তোমরা নিরাপদ হও
fa-aqīmū
فَأَقِيمُوا۟
তোমরা তখন কায়েম কর
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَۚ
সলাত
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَ
সলাত
kānat
كَانَتْ
হলো
ʿalā
عَلَى
উপর
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَ
মু'মিনদের
kitāban
كِتَٰبًا
ফরজ
mawqūtan
مَّوْقُوتًا
নির্দিষ্ট সময়ে
যখন তোমরা নামায আদায় করে নেবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে, অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন (যথানিয়মে) নামায কায়িম করবে। নির্দিষ্ট সময়ে নামায কায়িম করা মু’মিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। ([৪] আন নিসা: ১০৩)
ব্যাখ্যা
১০৪

وَلَا تَهِنُوْا فِى ابْتِغَاۤءِ الْقَوْمِ ۗ اِنْ تَكُوْنُوْا تَأْلَمُوْنَ فَاِنَّهُمْ يَأْلَمُوْنَ كَمَا تَأْلَمُوْنَ ۚوَتَرْجُوْنَ مِنَ اللّٰهِ مَا لَا يَرْجُوْنَ ۗوَكَانَ اللّٰهُ عَلِيْمًا حَكِيْمًا ࣖ ١٠٤

walā
وَلَا
এবং না
tahinū
تَهِنُوا۟
তোমরা হতোদ্যম হয়ো
فِى
(মধ্যে)
ib'tighāi
ٱبْتِغَآءِ
পশ্চাদ্ধাবনে
l-qawmi
ٱلْقَوْمِۖ
(শত্রু) জাতির
in
إِن
যদি
takūnū
تَكُونُوا۟
পেয়ে থাকো
talamūna
تَأْلَمُونَ
তোমরা যন্ত্রণা
fa-innahum
فَإِنَّهُمْ
নিশ্চয় তবে তারাও
yalamūna
يَأْلَمُونَ
যন্ত্রণা পায়
kamā
كَمَا
যেমন
talamūna
تَأْلَمُونَۖ
তোমরা যন্ত্রণা পাও
watarjūna
وَتَرْجُونَ
আর তোমরা আশা কর (পুরস্কার)
mina
مِنَ
হতে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ
مَا
যা
لَا
না
yarjūna
يَرْجُونَۗ
তারা আশা করে
wakāna
وَكَانَ
এবং হলেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
ʿalīman
عَلِيمًا
সর্বজ্ঞ
ḥakīman
حَكِيمًا
প্রজ্ঞাময়
এ (শত্রু) কওমের পশ্চাদ্ধাবণে দুর্বলতা দেখাবে না, কেননা যদি তোমরা কষ্ট পাও, তবে তোমাদের মত তারাও তো কষ্ট পায়, আর তোমরা আল্লাহ হতে এমন কিছু আশা কর, যা তারা আশা করে না। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, বিজ্ঞানময়। ([৪] আন নিসা: ১০৪)
ব্যাখ্যা
১০৫

اِنَّآ اَنْزَلْنَآ اِلَيْكَ الْكِتٰبَ بِالْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ بِمَآ اَرٰىكَ اللّٰهُ ۗوَلَا تَكُنْ لِّلْخَاۤىِٕنِيْنَ خَصِيْمًا ۙ ١٠٥

innā
إِنَّآ
আমরা নিশ্চয়ই
anzalnā
أَنزَلْنَآ
আমরা নাযিল করেছি
ilayka
إِلَيْكَ
তোমার প্রতি
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
(এই) গ্রন্থখানি
bil-ḥaqi
بِٱلْحَقِّ
সত্য সহকারে
litaḥkuma
لِتَحْكُمَ
তুমি যাতে বিচার কর
bayna
بَيْنَ
মাঝে
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
লোকদের
bimā
بِمَآ
তেমনি যা
arāka
أَرَىٰكَ
তোমাকে দেখিয়েছেন
l-lahu
ٱللَّهُۚ
আল্লাহ
walā
وَلَا
এবং না
takun
تَكُن
তুমি হয়ো
lil'khāinīna
لِّلْخَآئِنِينَ
খিয়ানতকারীদের জন্য
khaṣīman
خَصِيمًا
বিতর্ককারী
অবশ্যই আমি সত্য সহকারে তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যেন তুমি যা আল্লাহ তোমাকে জানিয়েছেন, সে অনুসারে মানুষের মধ্যে বিচার ফায়সালা কর এবং খিয়ানতকারীদের পক্ষে তর্ক করো না। ([৪] আন নিসা: ১০৫)
ব্যাখ্যা
১০৬

وَّاسْتَغْفِرِ اللّٰهَ ۗاِنَّ اللّٰهَ كَانَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًاۚ ١٠٦

wa-is'taghfiri
وَٱسْتَغْفِرِ
এবং ক্ষমা চাও (কাছে)
l-laha
ٱللَّهَۖ
আল্লাহর
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
kāna
كَانَ
হলেন
ghafūran
غَفُورًا
ক্ষমাশীল
raḥīman
رَّحِيمًا
মেহেরবান
আর আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও, নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ([৪] আন নিসা: ১০৬)
ব্যাখ্যা
১০৭

وَلَا تُجَادِلْ عَنِ الَّذِيْنَ يَخْتَانُوْنَ اَنْفُسَهُمْ ۗ اِنَّ اللّٰهَ لَا يُحِبُّ مَنْ كَانَ خَوَّانًا اَثِيْمًاۙ ١٠٧

walā
وَلَا
এবং না
tujādil
تُجَٰدِلْ
তুমি বিসম্বাদ করো
ʿani
عَنِ
(তাদের) জন্য
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
yakhtānūna
يَخْتَانُونَ
খিয়ানত করে
anfusahum
أَنفُسَهُمْۚ
তাদের নিজেদের (উপর)
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
لَا
না
yuḥibbu
يُحِبُّ
পছন্দ করেন
man
مَن
যে
kāna
كَانَ
হবে
khawwānan
خَوَّانًا
খিয়ানতকারী
athīman
أَثِيمًا
পাপিষ্ঠ
নিজেদের (বিবেক ও জ্ঞানের) প্রতি খিয়ানতকারীদের পক্ষে তুমি বাদানুবাদ করো না, কারণ আল্লাহ অতি খিয়ানতকারী চরম পাপীকে পছন্দ করেন না। ([৪] আন নিসা: ১০৭)
ব্যাখ্যা
১০৮

يَّسْتَخْفُوْنَ مِنَ النَّاسِ وَلَا يَسْتَخْفُوْنَ مِنَ اللّٰهِ وَهُوَ مَعَهُمْ اِذْ يُبَيِّتُوْنَ مَا لَا يَرْضٰى مِنَ الْقَوْلِ ۗ وَكَانَ اللّٰهُ بِمَا يَعْمَلُوْنَ مُحِيْطًا ١٠٨

yastakhfūna
يَسْتَخْفُونَ
তারা লুকাতে চায়
mina
مِنَ
থেকে
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
লোকদের
walā
وَلَا
অথচ না
yastakhfūna
يَسْتَخْفُونَ
তারা লুকাতে পারে
mina
مِنَ
থেকে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ
wahuwa
وَهُوَ
ও তিনি (ছিলেন)
maʿahum
مَعَهُمْ
তাদের সাথে
idh
إِذْ
যখন
yubayyitūna
يُبَيِّتُونَ
তারা রাতে পরামর্শ করে
مَا
যা
لَا
না
yarḍā
يَرْضَىٰ
তিনি পছন্দ করেন
mina
مِنَ
(থেকে)
l-qawli
ٱلْقَوْلِۚ
(কুট-কৌশলের) কথাবার্তা
wakāna
وَكَانَ
এবং হলেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
bimā
بِمَا
ঐ বিষয় যা
yaʿmalūna
يَعْمَلُونَ
তারা কাজ করছে
muḥīṭan
مُحِيطًا
আয়ত্তকারী
তারা মানুষ হতে গোপন করে থাকে, কিন্তু তারা আল্লাহ হতে গোপন করতে পারে না; কেননা যে সময়ে তারা রাত্রে এমন বিষয়ে পরামর্শ করে যা আল্লাহ পছন্দ করেন না, তখনও তিনি তাদের সঙ্গেই থাকেন; আল্লাহ তাদের সমুদয় কার্যকলাপকে বেষ্টন করে আছেন। ([৪] আন নিসা: ১০৮)
ব্যাখ্যা
১০৯

هٰٓاَنْتُمْ هٰٓؤُلَاۤءِ جَادَلْتُمْ عَنْهُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَاۗ فَمَنْ يُّجَادِلُ اللّٰهَ عَنْهُمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ اَمْ مَّنْ يَّكُوْنُ عَلَيْهِمْ وَكِيْلًا ١٠٩

hāantum
هَٰٓأَنتُمْ
হ্যাঁ তোমরাই
hāulāi
هَٰٓؤُلَآءِ
ঐসব লোক (যারা)
jādaltum
جَٰدَلْتُمْ
তোমরা ঝগড়া করেছ
ʿanhum
عَنْهُمْ
তাদের পক্ষে
فِى
(মধ্যে)
l-ḥayati
ٱلْحَيَوٰةِ
জীবনে
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
দুনিয়ায়
faman
فَمَن
কে অতঃপর
yujādilu
يُجَٰدِلُ
ঝগড়া করবে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহর (সাথে)
ʿanhum
عَنْهُمْ
তাদের পক্ষে
yawma
يَوْمَ
দিনে
l-qiyāmati
ٱلْقِيَٰمَةِ
কিয়ামাতের
am
أَم
অথবা
man
مَّن
কে
yakūnu
يَكُونُ
হবে
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
তাদের পক্ষে
wakīlan
وَكِيلًا
উকিল
দেখ, ওরা সেই লোক যাদের পক্ষে পার্থিব জীবনে তোমরা বিতর্ক করছ কিন্তু ক্বিয়ামাত দিবসে তাদের পক্ষ হতে আল্লাহর সম্মুখে কে ঝগড়া করবে? কিংবা কে তাদের উকীল হবে? ([৪] আন নিসা: ১০৯)
ব্যাখ্যা
১১০

وَمَنْ يَّعْمَلْ سُوْۤءًا اَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهٗ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّٰهَ يَجِدِ اللّٰهَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا ١١٠

waman
وَمَن
এবং যে
yaʿmal
يَعْمَلْ
কাজ করবে
sūan
سُوٓءًا
মন্দ
aw
أَوْ
বা
yaẓlim
يَظْلِمْ
জুলুম করবে
nafsahu
نَفْسَهُۥ
তার নিজের উপর
thumma
ثُمَّ
এরপর
yastaghfiri
يَسْتَغْفِرِ
ক্ষমা চাইবে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহর (কাছে)
yajidi
يَجِدِ
সে পাবে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
ghafūran
غَفُورًا
ক্ষমাশীল
raḥīman
رَّحِيمًا
মেহেরবান হিসেবে
যে ব্যক্তি অসৎকাজ করে কিংবা নিজের আত্মার প্রতি যুলম করে, অতঃপর আল্লাহ হতে ক্ষমা ভিক্ষে করে, সে আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু পাবে। ([৪] আন নিসা: ১১০)
ব্যাখ্যা