সূরা নমল - Page: 7

اَمَّنْ جَعَلَ الْاَرْضَ قَرَارًا وَّجَعَلَ خِلٰلَهَآ اَنْهٰرًا وَّجَعَلَ لَهَا رَوَاسِيَ وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًاۗ ءَاِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ۗبَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ ۗ ٦١

নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য করেছেন আর তার ফাঁকে ফাঁকে নদীনালা প্রবাহিত করেছেন, তাতে সুদৃঢ় পর্বত সংস্থাপিত করেছেন এবং দু’ দরিয়ার মাঝে পার্থক্যকারী আড়াল সৃষ্টি করেছেন; আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহ আছে কি? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না। ([২৭] নমল: ৬১)

اَمَّنْ يُّجِيْبُ الْمُضْطَرَّ اِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوْۤءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَاۤءَ الْاَرْضِۗ ءَاِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ۗقَلِيْلًا مَّا تَذَكَّرُوْنَۗ ٦٢

নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি আর্তের আহবানে সাড়া দেন যখন সে তাঁকে ডাকে এবং দুঃখ-কষ্ট দূর করেন আর তোমাদেরকে পৃথিবীর উত্তরাধিকারী করেন? আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? অতি সামান্য উপদেশই তোমরা গ্রহণ কর। ([২৭] নমল: ৬২)

اَمَّنْ يَّهْدِيْكُمْ فِيْ ظُلُمٰتِ الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَنْ يُّرْسِلُ الرِّيٰحَ بُشْرًا ۢ بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهٖۗ ءَاِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ۗتَعٰلَى اللّٰهُ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ ٦٣

নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি জল স্থলের গভীর অন্ধকারে পথ দেখান এবং যিনি তাঁর (বৃষ্টিরূপী) অনুগ্রহের পূর্বক্ষণে শুভবার্তাবাহী বাতাস প্রেরণ করেন? আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? তারা যাকে (আল্লাহর) শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। ([২৭] নমল: ৬৩)

اَمَّنْ يَّبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيْدُهٗ وَمَنْ يَّرْزُقُكُمْ مِّنَ السَّمَاۤءِ وَالْاَرْضِۗ ءَاِلٰهٌ مَّعَ اللّٰهِ ۗقُلْ هَاتُوْا بُرْهَانَكُمْ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِيْنَ ٦٤

নাকি তিনিই (শ্রেষ্ঠ) যিনি সৃষ্টির সূচনা করেন, অতঃপর তার পুনরাবৃত্তি করেন এবং যিনি তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযক দান করেন? আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? বল, তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের প্রমাণপঞ্জি পেশ কর। ([২৭] নমল: ৬৪)

قُلْ لَّا يَعْلَمُ مَنْ فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ الْغَيْبَ اِلَّا اللّٰهُ ۗوَمَا يَشْعُرُوْنَ اَيَّانَ يُبْعَثُوْنَ ٦٥

বল, আকাশ ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না আল্লাহ ছাড়া, আর তারা জানে না কখন তাদেরকে জীবিত ক’রে উঠানো হবে। ([২৭] নমল: ৬৫)

بَلِ ادّٰرَكَ عِلْمُهُمْ فِى الْاٰخِرَةِۗ بَلْ هُمْ فِيْ شَكٍّ مِّنْهَاۗ بَلْ هُمْ مِّنْهَا عَمُوْنَ ࣖ ٦٦

বরং আখিরাত সম্পর্কিত তাদের জ্ঞানের সীমা শেষ, বরং এ ব্যাপারে তারা সন্দেহে আচ্ছন্ন বরং এ বিষয়ে তারা অন্ধ। ([২৭] নমল: ৬৬)

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْٓا ءَاِذَا كُنَّا تُرَابًا وَّاٰبَاۤؤُنَآ اَىِٕنَّا لَمُخْرَجُوْنَ ٦٧

অবিশ্বাসীরা বলে- আমরা আর আমাদের পিতৃপুরুষরা যখন মাটি হয়ে যাব তারপরও কি আমাদেরকে নিশ্চিতই বের করে উঠানো হবে? ([২৭] নমল: ৬৭)

لَقَدْ وُعِدْنَا هٰذَا نَحْنُ وَاٰبَاۤؤُنَا مِنْ قَبْلُۙ اِنْ هٰذَآ اِلَّآ اَسَاطِيْرُ الْاَوَّلِيْنَ ٦٨

এ ওয়া‘দা আমাদেরকে দেয়া হয়েছে, আমাদেরকে এবং পূর্বে আমাদের পিতৃপুরুষদেরকেও; এ সব পূর্বকালের কাহিনী ছাড়া কিছুই নয়। ([২৭] নমল: ৬৮)

قُلْ سِيْرُوْا فِى الْاَرْضِ فَانْظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُجْرِمِيْنَ ٦٩

বল, পৃথিবীতে ভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ অপরাধীদের পরিণাম কেমন হয়েছিল। ([২৭] নমল: ৬৯)

وَلَا تَحْزَنْ عَلَيْهِمْ وَلَا تَكُنْ فِيْ ضَيْقٍ مِّمَّا يَمْكُرُوْنَ ٧٠

তাদের জন্য দুঃখ কর না, আর তাদের চক্রান্তের কারণে মনে কষ্ট নিও না। ([২৭] নমল: ৭০)