সূরা আল-ফুরকান - Page: 4

وَكَذٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا مِّنَ الْمُجْرِمِيْنَۗ وَكَفٰى بِرَبِّكَ هَادِيًا وَّنَصِيْرًا ٣١

এভাবেই আমি প্রত্যেক নবীর জন্য অপরাধীদের মধ্য হতে শত্রু বানিয়ে দিয়েছি, পথ প্রদর্শক ও সাহায্যকারী হিসেবে তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট। ([২৫] আল-ফুরকান: ৩১)

وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَوْلَا نُزِّلَ عَلَيْهِ الْقُرْاٰنُ جُمْلَةً وَّاحِدَةً ۛ كَذٰلِكَ ۛ لِنُثَبِّتَ بِهٖ فُؤَادَكَ وَرَتَّلْنٰهُ تَرْتِيْلًا ٣٢

কাফিররা বলে- তার কাছে পুরো কুরআন এক সাথে অবতীর্ণ করা হল না কেন? আমি এভাবেই অবতীর্ণ করেছি। তোমার হৃদয়কে তা দ্বারা সুদৃঢ় করার জন্য আমি তোমার কাছে তা ধীরে ধীরে পরিকল্পিত স্তরে ক্রমশঃ আবৃত্তি করিয়েছি। ([২৫] আল-ফুরকান: ৩২)

وَلَا يَأْتُوْنَكَ بِمَثَلٍ اِلَّا جِئْنٰكَ بِالْحَقِّ وَاَحْسَنَ تَفْسِيْرًا ۗ ٣٣

তোমার কাছে তারা এমন কোন সমস্যাই নিয়ে আসে না যার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করিনি। ([২৫] আল-ফুরকান: ৩৩)

اَلَّذِيْنَ يُحْشَرُوْنَ عَلٰى وُجُوْهِهِمْ اِلٰى جَهَنَّمَۙ اُولٰۤىِٕكَ شَرٌّ مَّكَانًا وَّاَضَلُّ سَبِيْلًا ࣖ ٣٤

যাদেরকে মুখের ভরে জাহান্নামের পানে একত্রিত করা হবে, তারা মর্যাদার ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিকৃষ্ট আর পথের দিক থেকে সবচেয়ে গুমরাহ্। ([২৫] আল-ফুরকান: ৩৪)

وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسَى الْكِتٰبَ وَجَعَلْنَا مَعَهٗٓ اَخَاهُ هٰرُوْنَ وَزِيْرًا ۚ ٣٥

আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম আর তার সাথে তার ভাই হারূনকে আমি সাহায্যকারী বানিয়েছিলাম। ([২৫] আল-ফুরকান: ৩৫)

فَقُلْنَا اذْهَبَآ اِلَى الْقَوْمِ الَّذِيْنَ كَذَّبُوْا بِاٰيٰتِنَاۗ فَدَمَّرْنٰهُمْ تَدْمِيْرًا ۗ ٣٦

অতঃপর তাদেরকে বলেছিলাম, ‘তোমরা সেই জাতির নিকট যাও যারা আমার নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’ অতঃপর আমি তাদেরকে পূর্ণ বিধ্বস্তিতে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিলাম। ([২৫] আল-ফুরকান: ৩৬)

وَقَوْمَ نُوْحٍ لَّمَّا كَذَّبُوا الرُّسُلَ اَغْرَقْنٰهُمْ وَجَعَلْنٰهُمْ لِلنَّاسِ اٰيَةًۗ وَاَعْتَدْنَا لِلظّٰلِمِيْنَ عَذَابًا اَلِيْمًا ۚ ٣٧

আর নূহের জাতি যখন রসূলদেরকে মিথ্যারোপ করল, আমি তাদেরকে ডুবিয়ে দিলাম, আর মানুষের জন্য তাদেরকে নিদর্শন বানিয়ে দিলাম। আমি যালিমদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। ([২৫] আল-ফুরকান: ৩৭)

وَعَادًا وَّثَمُوْدَا۟ وَاَصْحٰبَ الرَّسِّ وَقُرُوْنًاۢ بَيْنَ ذٰلِكَ كَثِيْرًا ٣٨

সে রকমই আমি ধ্বংস করেছি ‘আদ, সামূদ, কূপবাসী আর তাদের মধ্যবর্তী বহু বহু বংশধরকে। ([২৫] আল-ফুরকান: ৩৮)

وَكُلًّا ضَرَبْنَا لَهُ الْاَمْثَالَۖ وَكُلًّا تَبَّرْنَا تَتْبِيْرًا ٣٩

আমি তাদের প্রত্যেকের জন্য দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছিলাম (যাতে তারা সঠিক পথের সন্ধান পেতে পারে) আর তাদের প্রত্যেককেই সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম (তাদের পাপের কারণে)। ([২৫] আল-ফুরকান: ৩৯)

وَلَقَدْ اَتَوْا عَلَى الْقَرْيَةِ الَّتِيْٓ اُمْطِرَتْ مَطَرَ السَّوْءِۗ اَفَلَمْ يَكُوْنُوْا يَرَوْنَهَاۚ بَلْ كَانُوْا لَا يَرْجُوْنَ نُشُوْرًا ٤٠

তারা (অর্থাৎ কাফিররা) তো সে জনপদ দিয়েই অতিক্রম করে যার উপর বর্ষিত হয়েছিল অকল্যাণের বৃষ্টি, তারা কি তা দেখে না? আসলে তারা পুনরুত্থানের কথা চিন্তা করে না। ([২৫] আল-ফুরকান: ৪০)