সূরা ত্বোয়া-হা - Page: 12

۞ وَعَنَتِ الْوُجُوْهُ لِلْحَيِّ الْقَيُّوْمِۗ وَقَدْ خَابَ مَنْ حَمَلَ ظُلْمًا ١١١

চিরঞ্জীব চিরস্থায়ীর সম্মুখে সকলেই হবে অধোমুখী, আর সে ব্যর্থ হবে যে যুলমের (পাপের) ভার বহন করবে। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১১১)

وَمَنْ يَّعْمَلْ مِنَ الصّٰلِحٰتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا يَخٰفُ ظُلْمًا وَّلَا هَضْمًا ١١٢

যে সৎ কাজ করবে মু’মিন হয়ে, তার অবিচার বা ক্ষতির কোন আশংকা নেই। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১১২)

وَكَذٰلِكَ اَنْزَلْنٰهُ قُرْاٰنًا عَرَبِيًّا وَّصَرَّفْنَا فِيْهِ مِنَ الْوَعِيْدِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُوْنَ اَوْ يُحْدِثُ لَهُمْ ذِكْرًا ١١٣

এভাবেই আমি কুরআনকে আরবী ভাষায় নাযিল করেছি আর তাতে সতর্কবাণী বিস্তারিতভাবে বিবৃত করেছি যাতে তারা আল্লাহকে ভয় করে অথবা তা হয় তাদের জন্য উপদেশ। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১১৩)

فَتَعٰلَى اللّٰهُ الْمَلِكُ الْحَقُّۚ وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْاٰنِ مِنْ قَبْلِ اَنْ يُّقْضٰٓى اِلَيْكَ وَحْيُهٗ ۖوَقُلْ رَّبِّ زِدْنِيْ عِلْمًا ١١٤

আল্লাহ সর্বোচ্চ, প্রকৃত অধিপতি, তোমার প্রতি (আল্লাহর) ওয়াহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তুমি কুরআন বক্ষে ধারণের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করো না। আর বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! জ্ঞানে আমায় সমৃদ্ধি দান করুন।’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ১১৪)

وَلَقَدْ عَهِدْنَآ اِلٰٓى اٰدَمَ مِنْ قَبْلُ فَنَسِيَ وَلَمْ نَجِدْ لَهٗ عَزْمًا ࣖ ١١٥

ইতোপূর্বে আমি আদামের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম, কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিল, আমি তাকে দৃঢ়-সংকল্প পাইনি। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১১৫)

وَاِذْ قُلْنَا لِلْمَلٰۤىِٕكَةِ اسْجُدُوْا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوْٓا اِلَّآ اِبْلِيْسَ اَبٰى ۗ ١١٦

স্মরণ কর, যখন ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, ‘তোমরা আদামকে সেজদা কর,’ তখন ইবলিস ছাড়া সবাই সেজদা করল, সে অমান্য করল। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১১৬)

فَقُلْنَا يٰٓاٰدَمُ اِنَّ هٰذَا عَدُوٌّ لَّكَ وَلِزَوْجِكَ فَلَا يُخْرِجَنَّكُمَا مِنَ الْجَنَّةِ فَتَشْقٰى ١١٧

তখন আমি বললাম, ‘হে আদাম! এ হচ্ছে তোমার আর তোমার স্ত্রীর দুশমন। কাজেই সে যেন কিছুতেই তোমাদেরকে জান্নাত থেকে বের করে না দেয়, তাহলে তোমরা দুর্দশায় পতিত হবে। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১১৭)

اِنَّ لَكَ اَلَّا تَجُوْعَ فِيْهَا وَلَا تَعْرٰى ۙ ١١٨

তোমার জন্য (এত অধিক পরিমাণ) দেয়া হল যে, তুমি সেখানে (অর্থাৎ জান্নাতে) ক্ষুধার্তও হবে না, নগ্নও হবে না। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১১৮)

وَاَنَّكَ لَا تَظْمَؤُا فِيْهَا وَلَا تَضْحٰى ١١٩

সেখানে তুমি তৃষ্ণার্তও হবে না, রোদেও পুড়বে না। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১১৯)

فَوَسْوَسَ اِلَيْهِ الشَّيْطٰنُ قَالَ يٰٓاٰدَمُ هَلْ اَدُلُّكَ عَلٰى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لَّا يَبْلٰى ١٢٠

কিন্তু শয়ত্বান তাকে কুমন্ত্রণা দিল। সে বলল, ‘হে আদাম! আমি কি তোমাকে জানিয়ে দেব চিরস্থায়ী জীবনদায়ী গাছের কথা আর এমন রাজ্যের কথা যা কোনদিন ক্ষয় হবে না?’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ১২০)