সূরা আল আ'রাফ - Page: 14

فَاِذَا جَاۤءَتْهُمُ الْحَسَنَةُ قَالُوْا لَنَا هٰذِهٖ ۚوَاِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَّطَّيَّرُوْا بِمُوْسٰى وَمَنْ مَّعَهٗۗ اَلَآ اِنَّمَا طٰۤىِٕرُهُمْ عِنْدَ اللّٰهِ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ ١٣١

তারা সুদিনের মুখ দেখলে বলত, ‘এটাই তো আমাদের প্রাপ্য।’ আর যখন তারা দুর্দিনে পতিত হত তখন মূসা আর তার সঙ্গী-সাথীদেরকে অলক্ষুণে বলে দোষারোপ করত। প্রকৃতপক্ষে তাদের মন্দভাগ্য তো আল্লাহর হাতে নিবদ্ধ, কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না। ([৭] আল আ'রাফ: ১৩১)

وَقَالُوْا مَهْمَا تَأْتِنَا بِهٖ مِنْ اٰيَةٍ لِّتَسْحَرَنَا بِهَاۙ فَمَا نَحْنُ لَكَ بِمُؤْمِنِيْنَ ١٣٢

তারা বলল, ‘আমাদেরকে যাদুগ্রস্ত করার জন্য তুমি যে কোন নিদর্শনই নিয়ে আস না কেন, আমরা কিছুতেই তোমাতে বিশ্বাস করব না।’ ([৭] আল আ'রাফ: ১৩২)

فَاَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الطُّوْفَانَ وَالْجَرَادَ وَالْقُمَّلَ وَالضَّفَادِعَ وَالدَّمَ اٰيٰتٍ مُّفَصَّلٰتٍۗ فَاسْتَكْبَرُوْا وَكَانُوْا قَوْمًا مُّجْرِمِيْنَ ١٣٣

অতঃপর আমি তাদের উপর প্লাবন, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্তের বিপদ পাঠিয়েছিলাম সুস্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে, কিন্তু তারা ঔদ্ধত্য প্রকাশ করল। তারা ছিল এক অপরাধী জাতি। ([৭] আল আ'রাফ: ১৩৩)

وَلَمَّا وَقَعَ عَلَيْهِمُ الرِّجْزُ قَالُوْا يٰمُوْسَى ادْعُ لَنَا رَبَّكَ بِمَا عَهِدَ عِنْدَكَۚ لَىِٕنْ كَشَفْتَ عَنَّا الرِّجْزَ لَنُؤْمِنَنَّ لَكَ وَلَنُرْسِلَنَّ مَعَكَ بَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَ ۚ ١٣٤

যখন তাদের উপর কোন বালা-মুসিবত আসত তখন তারা বলত, ‘হে মূসা! তোমার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য প্রার্থনা জানাও যে মতে তিনি তোমার সাথে অঙ্গীকার করেছেন, যদি আমাদের থেকে বিপদ দূর করে দাও তাহলে আমরা অবশ্যই তোমাতে ঈমান আনব আর বানী ইসরাঈলকে অবশ্যই তোমার সাথে পাঠিয়ে দেব।’ ([৭] আল আ'রাফ: ১৩৪)

فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُمُ الرِّجْزَ اِلٰٓى اَجَلٍ هُمْ بَالِغُوْهُ اِذَا هُمْ يَنْكُثُوْنَ ١٣٥

অতঃপর যখন তাদের উপর থেকে বিপদ সরিয়ে দিতাম একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যা তাদেরকে পূর্ণ করতে হত, তখন তারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করত। ([৭] আল আ'রাফ: ১৩৫)

فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَاَغْرَقْنٰهُمْ فِى الْيَمِّ بِاَنَّهُمْ كَذَّبُوْا بِاٰيٰتِنَا وَكَانُوْا عَنْهَا غٰفِلِيْنَ ١٣٦

তখন আমি তাদের উপর প্রতিশোধ নিলাম আর তাদেরকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মারলাম কেননা তারা আমার নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করেছিল আর এ ব্যাপারে তারা ছিল চিন্তা-ভাবনাহীন। ([৭] আল আ'রাফ: ১৩৬)

وَاَوْرَثْنَا الْقَوْمَ الَّذِيْنَ كَانُوْا يُسْتَضْعَفُوْنَ مَشَارِقَ الْاَرْضِ وَمَغَارِبَهَا الَّتِيْ بٰرَكْنَا فِيْهَاۗ وَتَمَّتْ كَلِمَتُ رَبِّكَ الْحُسْنٰى عَلٰى بَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَۙ بِمَا صَبَرُوْاۗ وَدَمَّرْنَا مَا كَانَ يَصْنَعُ فِرْعَوْنُ وَقَوْمُهٗ وَمَا كَانُوْا يَعْرِشُوْنَ ١٣٧

আর আমি দুর্বল করে রাখা লোকেদেরকে সেই যমীনের পূর্বের আর পশ্চিমের উত্তরাধিকারী বানিয়ে দিলাম যাতে আমি কল্যাণ নিহিত রেখেছি। এভাবে বানী ইসরাঈলের ব্যাপারে তাদের ধৈর্য ধারণের কারণে তোমার প্রতিপালকের কল্যাণময় অঙ্গীকার পূর্ণ হল আর ফির‘আওন ও তার লোকজনের গৌরবময় কাজ ও সুন্দর প্রাসাদগুলোকে ধ্বংস করে দিলাম। ([৭] আল আ'রাফ: ১৩৭)

وَجَاوَزْنَا بِبَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَ الْبَحْرَ فَاَتَوْا عَلٰى قَوْمٍ يَّعْكُفُوْنَ عَلٰٓى اَصْنَامٍ لَّهُمْ ۚقَالُوْا يٰمُوْسَى اجْعَلْ لَّنَآ اِلٰهًا كَمَا لَهُمْ اٰلِهَةٌ ۗقَالَ اِنَّكُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُوْنَ ١٣٨

বানী ইসরাঈলকে আমি সমুদ্র পার করিয়ে দিলাম, অতঃপর তারা এমন এক জাতির নিকট এলো যারা ছিল প্রতিমা পূজারী। মূসার লোকজন বলল, হে মূসা! আমাদের জন্যও ‘কোন দেবতা বানিয়ে দাও যেমন তাদের দেবতা আছে। মূসা বলল, তোমরা হলে এমন এক সম্প্রদায় যারা মূর্খদের মতো আচরণ করে।’ ([৭] আল আ'রাফ: ১৩৮)

اِنَّ هٰٓؤُلَاۤءِ مُتَبَّرٌ مَّا هُمْ فِيْهِ وَبٰطِلٌ مَّا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ ١٣٩

এসব লোক যাতে মত্ত আছে তা ধ্বংস হয়ে যাবে আর তারা যে সব কাজ করছে তা সব বাতিল। ([৭] আল আ'রাফ: ১৩৯)

قَالَ اَغَيْرَ اللّٰهِ اَبْغِيْكُمْ اِلٰهًا وَّهُوَ فَضَّلَكُمْ عَلَى الْعٰلَمِيْنَ ١٤٠

সে বলল, ‘আমি কি আল্লাহ ছাড়া তোমাদের জন্য অন্য ইলাহ খুঁজব অথচ তিনি তোমাদেরকে বিশ্বজগতের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন?’ ([৭] আল আ'রাফ: ১৪০)