Skip to content

সূরা আল আনআম - Page: 2

Al-An'am

(al-ʾAnʿām)

১১

قُلْ سِيْرُوْا فِى الْاَرْضِ ثُمَّ انْظُرُوْا كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُكَذِّبِيْنَ ١١

qul
قُلْ
বলো
sīrū
سِيرُوا۟
"তোমরা ভ্রমণ করো
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
thumma
ثُمَّ
এরপর
unẓurū
ٱنظُرُوا۟
তোমরা দেখো
kayfa
كَيْفَ
কেমন
kāna
كَانَ
ছিলো
ʿāqibatu
عَٰقِبَةُ
পরিণাম
l-mukadhibīna
ٱلْمُكَذِّبِينَ
সত্য অমান্যকারীদের"
বল, দুনিয়ায় পরিভ্রমণ কর, অতঃপর দেখ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের পরিণাম কী দাঁড়িয়েছিল। ([৬] আল আনআম: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

قُلْ لِّمَنْ مَّا فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ قُلْ لِّلّٰهِ ۗ كَتَبَ عَلٰى نَفْسِهِ الرَّحْمَةَ ۗ لَيَجْمَعَنَّكُمْ اِلٰى يَوْمِ الْقِيٰمَةِ لَا رَيْبَ فِيْهِۗ اَلَّذِيْنَ خَسِرُوْٓا اَنْفُسَهُمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُوْنَ ١٢

qul
قُل
বলো
liman
لِّمَن
"কার (মালিকানায়)
مَّا
যাকিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۖ
ও পৃথিবীর"
qul
قُل
বলো
lillahi
لِّلَّهِۚ
"জন্যে আল্লাহরই (মালিকানায়)"
kataba
كَتَبَ
তিনি নির্ধারিত করে দিয়েছেন
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
nafsihi
نَفْسِهِ
নিজের তাঁর
l-raḥmata
ٱلرَّحْمَةَۚ
দয়া করা
layajmaʿannakum
لَيَجْمَعَنَّكُمْ
নিশ্চয়ই একত্র করবেন তোমাদের
ilā
إِلَىٰ
দিকে
yawmi
يَوْمِ
দিনে
l-qiyāmati
ٱلْقِيَٰمَةِ
ক্বিয়ামাতের
لَا
নেই
rayba
رَيْبَ
সন্দেহ
fīhi
فِيهِۚ
মধ্যে তার (বিন্দুমাত্র)
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
khasirū
خَسِرُوٓا۟
ক্ষতিগ্রস্ত করেছে
anfusahum
أَنفُسَهُمْ
নিজেদেরকে তাদের
fahum
فَهُمْ
অতঃপর তারা
لَا
না
yu'minūna
يُؤْمِنُونَ
ঈমান আনবে
বল, আসমানে আর যমীনে যা আছে তা কার? বল, আল্লাহরই। দয়া করা তিনি তাঁর জন্য কর্তব্য স্থির করে নিয়েছেন, তিনি কিয়ামাত দিবসে তোমাদের সবাইকে একত্রিত করবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। যারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করেছে তারা ঈমান আনবে না। ([৬] আল আনআম: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

۞ وَلَهٗ مَا سَكَنَ فِى الَّيْلِ وَالنَّهَارِ ۗوَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ ١٣

walahu
وَلَهُۥ
এবং জন্যে তাঁরই
مَا
যাকিছু
sakana
سَكَنَ
স্থিতি লাভ করে
فِى
মধ্যে
al-layli
ٱلَّيْلِ
রাতের
wal-nahāri
وَٱلنَّهَارِۚ
ও দিনের
wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনিই
l-samīʿu
ٱلسَّمِيعُ
সবকিছু শুনেন
l-ʿalīmu
ٱلْعَلِيمُ
সবকিছু জানেন
রাতে (অন্ধকারে) আর দিনে (আলোয়) যা বাস করে তা তাঁরই, তিনি হলেন সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। ([৬] আল আনআম: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

قُلْ اَغَيْرَ اللّٰهِ اَتَّخِذُ وَلِيًّا فَاطِرِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَهُوَ يُطْعِمُ وَلَا يُطْعَمُ ۗ قُلْ اِنِّيْٓ اُمِرْتُ اَنْ اَكُوْنَ اَوَّلَ مَنْ اَسْلَمَ وَلَا تَكُوْنَنَّ مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ ١٤

qul
قُلْ
বলো
aghayra
أَغَيْرَ
"কি ছাড়া
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ্‌
attakhidhu
أَتَّخِذُ
গ্রহণ করবো আমি
waliyyan
وَلِيًّا
অভিভাবক (অন্য)
fāṭiri
فَاطِرِ
(অথচ আল্লাহ) স্রষ্টা
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِ
ও পৃথিবীর
wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনিই
yuṭ'ʿimu
يُطْعِمُ
খাওয়ান
walā
وَلَا
কিন্তু না
yuṭ'ʿamu
يُطْعَمُۗ
খাবার দেয়া হয় তাঁকে"
qul
قُلْ
বলো
innī
إِنِّىٓ
"নিশ্চয়ই আমি
umir'tu
أُمِرْتُ
আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে
an
أَنْ
যে
akūna
أَكُونَ
হই আমি
awwala
أَوَّلَ
প্রথম
man
مَنْ
যে
aslama
أَسْلَمَۖ
আত্মসমর্পণ করে
walā
وَلَا
এবং না
takūnanna
تَكُونَنَّ
তুমি কিছুতেই হয়ো
mina
مِنَ
অন্তর্ভুক্ত
l-mush'rikīna
ٱلْمُشْرِكِينَ
মুশরিকদের"
বল, আমি কি আসমান যমীনের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যকে অভিভাবক বানিয়ে নেব, অথচ তিনিই খাওয়ান, তাঁকে খাওয়ানো হয় না, বল আমাকে আদেশ করা হয়েছে আমি যেন আত্মসমর্পণকারীদের প্রথম হই, আর তুমি কিছুতেই মুশরিকদের মধ্যে শামিল হবে না। ([৬] আল আনআম: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

قُلْ اِنِّيْٓ اَخَافُ اِنْ عَصَيْتُ رَبِّيْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيْمٍ ١٥

qul
قُلْ
বলো
innī
إِنِّىٓ
"নিশ্চয়ই আমি
akhāfu
أَخَافُ
ভয় করি আমি
in
إِنْ
যদি
ʿaṣaytu
عَصَيْتُ
আমি অবাধ্য হই
rabbī
رَبِّى
আমার রবের
ʿadhāba
عَذَابَ
শাস্তির
yawmin
يَوْمٍ
দিনের"
ʿaẓīmin
عَظِيمٍ
ভয়াবহ"
বল, যদি আমি আমার রবের অবাধ্য হই, তবে আমি বড় (ভয়াবহ) দিনের শাস্তির ভয় করি। ([৬] আল আনআম: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

مَنْ يُّصْرَفْ عَنْهُ يَوْمَىِٕذٍ فَقَدْ رَحِمَهٗ ۗوَذٰلِكَ الْفَوْزُ الْمُبِيْنُ ١٦

man
مَّن
যে
yuṣ'raf
يُصْرَفْ
রেহাই পেলো
ʿanhu
عَنْهُ
থেকে তা
yawma-idhin
يَوْمَئِذٍ
সেদিন
faqad
فَقَدْ
তবে নিশ্চয়ই
raḥimahu
رَحِمَهُۥۚ
তিনি দয়া করলেন তাকে
wadhālika
وَذَٰلِكَ
এবং এটা
l-fawzu
ٱلْفَوْزُ
সাফল্য
l-mubīnu
ٱلْمُبِينُ
সুস্পষ্ট
সে দিন যাকে (শাস্তি থেকে) রক্ষা করা হবে তাকে তো বড় অনুগ্রহ করা হবে। আর এটাই হবে সুস্পষ্ট সাফল্য। ([৬] আল আনআম: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

وَاِنْ يَّمْسَسْكَ اللّٰهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهٗٓ اِلَّا هُوَ ۗوَاِنْ يَّمْسَسْكَ بِخَيْرٍ فَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ١٧

wa-in
وَإِن
এবং যদি
yamsaska
يَمْسَسْكَ
তোমাকে স্পর্শ করেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
biḍurrin
بِضُرٍّ
দিয়ে অনিষ্ট
falā
فَلَا
তবে নেই
kāshifa
كَاشِفَ
কোনো অপসারণকারী
lahu
لَهُۥٓ
জন্যে তার
illā
إِلَّا
ছাড়া
huwa
هُوَۖ
তিনি
wa-in
وَإِن
এবং যদি
yamsaska
يَمْسَسْكَ
তোমাকে স্পর্শ করেন
bikhayrin
بِخَيْرٍ
দিয়ে কল্যাণ
fahuwa
فَهُوَ
তবুও তিনি
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুর
qadīrun
قَدِيرٌ
সর্বশক্তিমান
আল্লাহ তোমার কোন ক্ষতি করতে চাইলে তিনি ছাড়া কেউ তা সরাতে পারবে না। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ করতে চান, তবে তো সব কিছুই করার তাঁর ক্ষমতা রয়েছে। ([৬] আল আনআম: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

وَهُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِهٖۗ وَهُوَ الْحَكِيْمُ الْخَبِيْرُ ١٨

wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনি
l-qāhiru
ٱلْقَاهِرُ
পরাক্রমশালী
fawqa
فَوْقَ
উপর
ʿibādihi
عِبَادِهِۦۚ
দাসদের তাঁর
wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনি
l-ḥakīmu
ٱلْحَكِيمُ
প্রজ্ঞাময়
l-khabīru
ٱلْخَبِيرُ
খুবই অবহিত
তিনি তাঁর বান্দাদের উপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণকারী, তিনি হলেন প্রজ্ঞাময়, সর্ববিষয়ে ওয়াকিফহাল। ([৬] আল আনআম: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

قُلْ اَيُّ شَيْءٍ اَكْبَرُ شَهَادَةً ۗ قُلِ اللّٰهُ ۗشَهِيْدٌۢ بَيْنِيْ وَبَيْنَكُمْ ۗوَاُوْحِيَ اِلَيَّ هٰذَا الْقُرْاٰنُ لِاُنْذِرَكُمْ بِهٖ وَمَنْۢ بَلَغَ ۗ اَىِٕنَّكُمْ لَتَشْهَدُوْنَ اَنَّ مَعَ اللّٰهِ اٰلِهَةً اُخْرٰىۗ قُلْ لَّآ اَشْهَدُ ۚ قُلْ اِنَّمَا هُوَ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ وَّاِنَّنِيْ بَرِيْۤءٌ مِّمَّا تُشْرِكُوْنَ ١٩

qul
قُلْ
বলো
ayyu
أَىُّ
"কোনো
shayin
شَىْءٍ
জিনিস
akbaru
أَكْبَرُ
সবচেয়ে বড়
shahādatan
شَهَٰدَةًۖ
সাক্ষ্য হিসেবে"
quli
قُلِ
বলো
l-lahu
ٱللَّهُۖ
"আল্লাহ
shahīdun
شَهِيدٌۢ
সাক্ষী
baynī
بَيْنِى
মাঝে আমার
wabaynakum
وَبَيْنَكُمْۚ
ও মাঝে তোমাদের
waūḥiya
وَأُوحِىَ
এবং ওহী করা হয়েছে
ilayya
إِلَىَّ
আমার প্রতি
hādhā
هَٰذَا
এই
l-qur'ānu
ٱلْقُرْءَانُ
কুরআন
li-undhirakum
لِأُنذِرَكُم
যেন আমি সতর্ক করি তোমাদের
bihi
بِهِۦ
দিয়ে তা
waman
وَمَنۢ
এবং যাকে
balagha
بَلَغَۚ
পৌঁছে (তা)
a-innakum
أَئِنَّكُمْ
কি নিশ্চয়ই তোমরা
latashhadūna
لَتَشْهَدُونَ
অবশ্যই সাক্ষী দিচ্ছো
anna
أَنَّ
যে
maʿa
مَعَ
সাথে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ālihatan
ءَالِهَةً
ইলাহ (আছে)
ukh'rā
أُخْرَىٰۚ
অন্য কোনো"
qul
قُل
বলো
لَّآ
"না"
ashhadu
أَشْهَدُۚ
"সাক্ষী দিই আমি"
qul
قُلْ
বলো
innamā
إِنَّمَا
"প্রকৃতপক্ষে
huwa
هُوَ
তিনিই
ilāhun
إِلَٰهٌ
ইলাহ
wāḥidun
وَٰحِدٌ
একই
wa-innanī
وَإِنَّنِى
এবং নিশ্চয়ই আমি
barīon
بَرِىٓءٌ
দায়িত্বমুক্ত
mimmā
مِّمَّا
(তা) হতে যা
tush'rikūna
تُشْرِكُونَ
তোমরা শিরক করছো
বল, সাক্ষ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় কোনটি? বল, আল্লাহ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী। আর এ কুরআন আমার প্রতি নাযিল করা হয়েছে যাতে আমি তার সাহায্যে তোমাদেরকে আর যাদের কাছে তা পৌঁছবে তাদেরকে সতর্ক করি। তোমরা কি এমন সাক্ষ্য দিতে পার যে, আল্লাহর সঙ্গে অন্য ইলাহও আছে? বল, আমি এমন সাক্ষ্য দেই না, বল তিনি তো এক ইলাহ আর তোমরা যে তাঁর অংশীদার স্থাপন কর, তা থেকে আমি সম্পূর্ণ মুক্ত। ([৬] আল আনআম: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

اَلَّذِيْنَ اٰتَيْنٰهُمُ الْكِتٰبَ يَعْرِفُوْنَهٗ كَمَا يَعْرِفُوْنَ اَبْنَاۤءَهُمْۘ اَلَّذِيْنَ خَسِرُوْٓا اَنْفُسَهُمْ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُوْنَ ࣖ ٢٠

alladhīna
ٱلَّذِينَ
যাদেরকে
ātaynāhumu
ءَاتَيْنَٰهُمُ
আমরা দিয়েছি তাদের
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
yaʿrifūnahu
يَعْرِفُونَهُۥ
তারা চিনে তাকে
kamā
كَمَا
যেমন
yaʿrifūna
يَعْرِفُونَ
তারা চিনে
abnāahumu
أَبْنَآءَهُمُۘ
সন্তানদের তাদের
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
khasirū
خَسِرُوٓا۟
ক্ষতিগ্রস্ত করেছে
anfusahum
أَنفُسَهُمْ
নিজেদেরকে তাদের
fahum
فَهُمْ
অতঃপর তারা
لَا
না
yu'minūna
يُؤْمِنُونَ
বিশ্বাস করবে
আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা তাকে (অর্থাৎ নাবীকে) তেমনি চিনে যেমন চিনে তাদের নিজেদের সন্তানদেরকে, যারা নিজেদের আত্মার ধ্বংস সাধন করেছে, তারা ঈমান আনতে পারবে না। ([৬] আল আনআম: ২০)
ব্যাখ্যা