Skip to content

সূরা ইয়াসীন - Page: 4

Ya-Sin

(Yāʾ Sīn)

৩১

اَلَمْ يَرَوْا كَمْ اَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِّنَ الْقُرُوْنِ اَنَّهُمْ اِلَيْهِمْ لَا يَرْجِعُوْنَ ٣١

alam
أَلَمْ
দেখে নি কি
yaraw
يَرَوْا۟
তারা
kam
كَمْ
কত (জাতিকে)
ahlaknā
أَهْلَكْنَا
আমরা ধ্বংস করেছি
qablahum
قَبْلَهُم
তাদের পূর্বে
mina
مِّنَ
মধ্য হ'তে
l-qurūni
ٱلْقُرُونِ
মানবগোষ্ঠীর
annahum
أَنَّهُمْ
তারা যে
ilayhim
إِلَيْهِمْ
তাদের মধ্যে
لَا
না
yarjiʿūna
يَرْجِعُونَ
ফিরে আসবে
তারা কি দেখে না যে, তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিয়েছি? তারা তাদের কাছে ফিরে আসবে না। ([৩৬] ইয়াসীন: ৩১)
ব্যাখ্যা
৩২

وَاِنْ كُلٌّ لَّمَّا جَمِيْعٌ لَّدَيْنَا مُحْضَرُوْنَ ࣖ ٣٢

wa-in
وَإِن
এবং নি
kullun
كُلٌّ
কেউ (এমন)
lammā
لَّمَّا
এছাড়া
jamīʿun
جَمِيعٌ
সকলকেই
ladaynā
لَّدَيْنَا
আমাদের কাছে
muḥ'ḍarūna
مُحْضَرُونَ
উপস্থিত করা হবে
তাদের সব্বাইকে একত্রে আমার কাছে হাজির করা হবে। ([৩৬] ইয়াসীন: ৩২)
ব্যাখ্যা
৩৩

وَاٰيَةٌ لَّهُمُ الْاَرْضُ الْمَيْتَةُ ۖاَحْيَيْنٰهَا وَاَخْرَجْنَا مِنْهَا حَبًّا فَمِنْهُ يَأْكُلُوْنَ ٣٣

waāyatun
وَءَايَةٌ
এবং (অন্যতম) নিদর্শন
lahumu
لَّهُمُ
তাদের জন্য (রয়েছে)
l-arḍu
ٱلْأَرْضُ
মাটি
l-maytatu
ٱلْمَيْتَةُ
নিষ্প্রাণ
aḥyaynāhā
أَحْيَيْنَٰهَا
তাকে আমরা জীবিত করি
wa-akhrajnā
وَأَخْرَجْنَا
ও আমরা উৎপন্ন করি
min'hā
مِنْهَا
তা থেকে
ḥabban
حَبًّا
শস্যদানা
famin'hu
فَمِنْهُ
অতঃপর তা থেকে
yakulūna
يَأْكُلُونَ
তারা খায়
মৃত যমীন তাদের জন্য একটা নিদর্শন। তাকে আমি জীবিত করি আর তা থেকে আমি উৎপন্ন করি শস্য যা থেকে তারা খায়। ([৩৬] ইয়াসীন: ৩৩)
ব্যাখ্যা
৩৪

وَجَعَلْنَا فِيْهَا جَنّٰتٍ مِّنْ نَّخِيْلٍ وَّاَعْنَابٍ وَّفَجَّرْنَا فِيْهَا مِنَ الْعُيُوْنِۙ ٣٤

wajaʿalnā
وَجَعَلْنَا
এবং আমরা বানিয়েছি
fīhā
فِيهَا
তার মধ্যে
jannātin
جَنَّٰتٍ
বাগানসমূহ
min
مِّن
থেকে
nakhīlin
نَّخِيلٍ
খেজুরের
wa-aʿnābin
وَأَعْنَٰبٍ
ও আঙ্গুরের
wafajjarnā
وَفَجَّرْنَا
এবং আমরা বইয়ে দিয়েছি
fīhā
فِيهَا
তার মধ্যে
mina
مِنَ
মধ্য হতে
l-ʿuyūni
ٱلْعُيُونِ
ঝর্ণা সমূহ
আর আমি তাতে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান তৈরি করি, আর তাতে প্রবাহিত করি ঝর্ণাধারা। ([৩৬] ইয়াসীন: ৩৪)
ব্যাখ্যা
৩৫

لِيَأْكُلُوْا مِنْ ثَمَرِهٖۙ وَمَا عَمِلَتْهُ اَيْدِيْهِمْ ۗ اَفَلَا يَشْكُرُوْنَ ٣٥

liyakulū
لِيَأْكُلُوا۟
তারা খেতে পারে যেন
min
مِن
থেকে
thamarihi
ثَمَرِهِۦ
তার ফলমূল
wamā
وَمَا
অথচ নি
ʿamilathu
عَمِلَتْهُ
তা সৃষ্টি করেছে
aydīhim
أَيْدِيهِمْۖ
তাদের হাতগুলো
afalā
أَفَلَا
তবুও কি না
yashkurūna
يَشْكُرُونَ
তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে
যাতে তারা তার ফল খেতে পারে- যা তারা তাদের হাত দিয়ে বানায়নি। তাহলে কেন তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না? ([৩৬] ইয়াসীন: ৩৫)
ব্যাখ্যা
৩৬

سُبْحٰنَ الَّذِيْ خَلَقَ الْاَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْۢبِتُ الْاَرْضُ وَمِنْ اَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُوْنَ ٣٦

sub'ḥāna
سُبْحَٰنَ
(আল্লাহ) মহান পবিত্র
alladhī
ٱلَّذِى
যিনি
khalaqa
خَلَقَ
সৃষ্টি করেছেন
l-azwāja
ٱلْأَزْوَٰجَ
জোড়া জোড়া
kullahā
كُلَّهَا
সব কিছুকেই
mimmā
مِمَّا
তা হ'তে যা
tunbitu
تُنۢبِتُ
উৎপন্ন করে
l-arḍu
ٱلْأَرْضُ
ভূমি
wamin
وَمِنْ
এবং মধ্য হ'তে
anfusihim
أَنفُسِهِمْ
তাদের নিজেদের (মানব জাতিরও)
wamimmā
وَمِمَّا
এবং তাহ'তেও যা
لَا
না
yaʿlamūna
يَعْلَمُونَ
(এখনও) তারা জানে
পূত পবিত্র সেই সত্তা যিনি জোড়া সৃষ্টি করেছেন প্রত্যেকটির যা উৎপন্ন করে যমীন, আর তাদের নিজেদের ভিতরেও আর সে সবেও যা তারা জানে না। ([৩৬] ইয়াসীন: ৩৬)
ব্যাখ্যা
৩৭

وَاٰيَةٌ لَّهُمُ الَّيْلُ ۖنَسْلَخُ مِنْهُ النَّهَارَ فَاِذَا هُمْ مُّظْلِمُوْنَۙ ٣٧

waāyatun
وَءَايَةٌ
এবং (আরো) একটি নিদর্শন
lahumu
لَّهُمُ
তাদের জন্যে
al-laylu
ٱلَّيْلُ
রাত
naslakhu
نَسْلَخُ
সরিয়ে দিই আমরা
min'hu
مِنْهُ
তা থেকে
l-nahāra
ٱلنَّهَارَ
দিনকে
fa-idhā
فَإِذَا
অতঃপর তখন
hum
هُم
তারা
muẓ'limūna
مُّظْلِمُونَ
অন্ধকারাচ্ছন্ন (হয়ে যায়)
তাদের জন্য একটি নিদর্শন হচ্ছে রাত, তাত্থেকে আমি দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারে ডুবে যায়। ([৩৬] ইয়াসীন: ৩৭)
ব্যাখ্যা
৩৮

وَالشَّمْسُ تَجْرِيْ لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ۗذٰلِكَ تَقْدِيْرُ الْعَزِيْزِ الْعَلِيْمِۗ ٣٨

wal-shamsu
وَٱلشَّمْسُ
এবং সূর্য
tajrī
تَجْرِى
আবর্তন করে
limus'taqarrin
لِمُسْتَقَرٍّ
নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে
lahā
لَّهَاۚ
তার
dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
taqdīru
تَقْدِيرُ
নির্দিষ্ট (হিসাব)
l-ʿazīzi
ٱلْعَزِيزِ
পরাক্রমশালীর
l-ʿalīmi
ٱلْعَلِيمِ
(যিনি) সুবিজ্ঞ
আর সূর্য তার জন্যে নির্দিষ্ট ক’রে দেয়া জায়গায় গতিশীল, এটা মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের সুনিরূপিত নির্ধারণ। ([৩৬] ইয়াসীন: ৩৮)
ব্যাখ্যা
৩৯

وَالْقَمَرَ قَدَّرْنٰهُ مَنَازِلَ حَتّٰى عَادَ كَالْعُرْجُوْنِ الْقَدِيْمِ ٣٩

wal-qamara
وَٱلْقَمَرَ
এবং চাঁদকে
qaddarnāhu
قَدَّرْنَٰهُ
তার আমরা নির্দিষ্ট করেছি
manāzila
مَنَازِلَ
বিভিন্ন কক্ষপথ (যার উপর চলে)
ḥattā
حَتَّىٰ
অবশেষে
ʿāda
عَادَ
সে ফিরে আসে
kal-ʿur'jūni
كَٱلْعُرْجُونِ
খেজুর শাখার মতো
l-qadīmi
ٱلْقَدِيمِ
(এমন যা শুষ্ক) পুরান
আর চাঁদ-তার জন্য আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মান্যিল (যা সে অতিক্রম করে), এমনকি শেষ পর্যন্ত সেটি খেজুরের কাঁদির পুরানো শুকনো দন্ডের মত হয়ে ফিরে আসে। ([৩৬] ইয়াসীন: ৩৯)
ব্যাখ্যা
৪০

لَا الشَّمْسُ يَنْۢبَغِيْ لَهَآ اَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا الَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ ۗوَكُلٌّ فِيْ فَلَكٍ يَّسْبَحُوْنَ ٤٠

لَا
না
l-shamsu
ٱلشَّمْسُ
সূর্য
yanbaghī
يَنۢبَغِى
ক্ষমতা রাখে
lahā
لَهَآ
তার জন্যে
an
أَن
যে
tud'rika
تُدْرِكَ
নাগাল পাবে
l-qamara
ٱلْقَمَرَ
চাঁদের
walā
وَلَا
আর না
al-laylu
ٱلَّيْلُ
রাত
sābiqu
سَابِقُ
অতিক্রমকারী (হ'তে পারে)
l-nahāri
ٱلنَّهَارِۚ
দিনের
wakullun
وَكُلٌّ
এবং প্রত্যেকে
فِى
উপর
falakin
فَلَكٍ
কক্ষের
yasbaḥūna
يَسْبَحُونَ
সাঁতার কাটছে
সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদকে ধরে ফেলা, আর রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে ছাড়িয়ে আগে বেড়ে যাওয়া, প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষ পথে সাঁতার কাটছে। ([৩৬] ইয়াসীন: ৪০)
ব্যাখ্যা