تَنْزِيْلُ الْكِتٰبِ لَا رَيْبَ فِيْهِ مِنْ رَّبِّ الْعٰلَمِيْنَۗ ٢
- tanzīlu
- تَنزِيلُ
- অবতরণ (হয়েছে)
- l-kitābi
- ٱلْكِتَٰبِ
- (এই) কিতাবের
- lā
- لَا
- নেই
- rayba
- رَيْبَ
- সন্দেহ
- fīhi
- فِيهِ
- মধ্যে তার
- min
- مِن
- পক্ষ হ'তে
- rabbi
- رَّبِّ
- রবের
- l-ʿālamīna
- ٱلْعَٰلَمِينَ
- বিশ্বজগতের
এ কিতাব বিশ্বজগতের পালনকর্তার নিকট হতে অবতীর্ণ, এতে কোন সন্দেহ নেই। ([৩২] সেজদাহ: ২)ব্যাখ্যা
اَمْ يَقُوْلُوْنَ افْتَرٰىهُ ۚ بَلْ هُوَ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّكَ لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَّآ اَتٰىهُمْ مِّنْ نَّذِيْرٍ مِّنْ قَبْلِكَ لَعَلَّهُمْ يَهْتَدُوْنَ ٣
- am
- أَمْ
- কি
- yaqūlūna
- يَقُولُونَ
- তারা বলেছে
- if'tarāhu
- ٱفْتَرَىٰهُۚ
- "সে মিথ্যা রচনা করেছে তা"
- bal
- بَلْ
- বরং
- huwa
- هُوَ
- তা
- l-ḥaqu
- ٱلْحَقُّ
- সত্য
- min
- مِن
- পক্ষ হ'তে
- rabbika
- رَّبِّكَ
- রবের তোমার
- litundhira
- لِتُنذِرَ
- যেন তুমি সতর্ক করো
- qawman
- قَوْمًا
- (এমন)এক জাতিকে
- mā
- مَّآ
- না
- atāhum
- أَتَىٰهُم
- কাছে এসেছে তাদের
- min
- مِّن
- কোনো
- nadhīrin
- نَّذِيرٍ
- সতর্ককারী
- min
- مِّن
- থেকে
- qablika
- قَبْلِكَ
- তোমার পূর্ব
- laʿallahum
- لَعَلَّهُمْ
- সম্ভবত তারা
- yahtadūna
- يَهْتَدُونَ
- সঠিক পথে চলবে
তবে তারা কি বলে যে, সে নিজেই তা রচনা করেছে (এবং আল্লাহর নিকট থেকে আগত কিতাব ব’লে মিথ্যে দাবী করছে, না তা নয়), বরং তা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে (আগত) সত্য যাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পার যাদের কাছে তোমার পূর্বে কোন সকর্তকারী আসেনি, সম্ভবতঃ তারা সঠিকপথ প্রাপ্ত হবে। ([৩২] সেজদাহ: ৩)ব্যাখ্যা
اَللّٰهُ الَّذِيْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِيْ سِتَّةِ اَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوٰى عَلَى الْعَرْشِۗ مَا لَكُمْ مِّنْ دُوْنِهٖ مِنْ وَّلِيٍّ وَّلَا شَفِيْعٍۗ اَفَلَا تَتَذَكَّرُوْنَ ٤
- al-lahu
- ٱللَّهُ
- (তিনিই)আল্লাহ
- alladhī
- ٱلَّذِى
- যিনি
- khalaqa
- خَلَقَ
- সৃষ্টি করেছেন
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশসমূহকে
- wal-arḍa
- وَٱلْأَرْضَ
- ও পৃথিবীকে
- wamā
- وَمَا
- এবং যা কিছু
- baynahumā
- بَيْنَهُمَا
- উভয়ের মাঝে তাদের (আছে)
- fī
- فِى
- মধ্যে
- sittati
- سِتَّةِ
- ছয়
- ayyāmin
- أَيَّامٍ
- দিনের
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- is'tawā
- ٱسْتَوَىٰ
- সমাসীন হন
- ʿalā
- عَلَى
- উপর
- l-ʿarshi
- ٱلْعَرْشِۖ
- আরশের
- mā
- مَا
- নেই
- lakum
- لَكُم
- জন্যে তোমাদের
- min
- مِّن
- ছাড়া
- dūnihi
- دُونِهِۦ
- তিনি
- min
- مِن
- কোনো
- waliyyin
- وَلِىٍّ
- অভিভাবক
- walā
- وَلَا
- আর না
- shafīʿin
- شَفِيعٍۚ
- সুপারিশকারী
- afalā
- أَفَلَا
- কি তবে না
- tatadhakkarūna
- تَتَذَكَّرُونَ
- তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে
আল্লাহ যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দু’এর মাঝে যা কিছু আছে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন- অতঃপর তিনি ‘আরশে সমুন্নত হন। তিনি ব্যতীত তোমাদের জন্য কোন অভিভাবক নেই, সুপারিশকারীও নেই। তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? ([৩২] সেজদাহ: ৪)ব্যাখ্যা
يُدَبِّرُ الْاَمْرَ مِنَ السَّمَاۤءِ اِلَى الْاَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ اِلَيْهِ فِيْ يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهٗٓ اَلْفَ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّوْنَ ٥
- yudabbiru
- يُدَبِّرُ
- তিনি পরিচালনা করেন
- l-amra
- ٱلْأَمْرَ
- সবকাজের
- mina
- مِنَ
- থেকে
- l-samāi
- ٱلسَّمَآءِ
- আকাশ
- ilā
- إِلَى
- পর্যন্ত
- l-arḍi
- ٱلْأَرْضِ
- পৃথিবী
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- yaʿruju
- يَعْرُجُ
- উত্থিত হবে
- ilayhi
- إِلَيْهِ
- দিকে তাঁরই
- fī
- فِى
- মধ্যে
- yawmin
- يَوْمٍ
- একদিনের
- kāna
- كَانَ
- হবে
- miq'dāruhu
- مِقْدَارُهُۥٓ
- যার পরিমাণ (তোমাদের কাছে)
- alfa
- أَلْفَ
- এক হাজার
- sanatin
- سَنَةٍ
- বছর
- mimmā
- مِّمَّا
- সেই(হিসেব)থেকে যা
- taʿuddūna
- تَعُدُّونَ
- তোমরা গণনা করো
তিনি আকাশ হতে পৃথিবী পর্যন্ত কার্য পরিচালনা করেন, অতঃপর সকল বিষয়াদি তাঁরই কাছে একদিন উত্থিত হবে যার পরিমাপ তোমাদের গণনা অনুযায়ী হাজার বছর। ([৩২] সেজদাহ: ৫)ব্যাখ্যা
ذٰلِكَ عٰلِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ الْعَزِيْزُ الرَّحِيْمُۙ ٦
- dhālika
- ذَٰلِكَ
- তিনিই
- ʿālimu
- عَٰلِمُ
- জ্ঞানী
- l-ghaybi
- ٱلْغَيْبِ
- অদৃশ্যের
- wal-shahādati
- وَٱلشَّهَٰدَةِ
- ও দৃশ্যের
- l-ʿazīzu
- ٱلْعَزِيزُ
- মহাপরাক্রমশালী
- l-raḥīmu
- ٱلرَّحِيمُ
- পরম দয়ালু
এমনই তিনি, অদৃশ্য ও দৃশ্যমান সম্পর্কে জ্ঞাত, মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। ([৩২] সেজদাহ: ৬)ব্যাখ্যা
الَّذِيْٓ اَحْسَنَ كُلَّ شَيْءٍ خَلَقَهٗ وَبَدَاَ خَلْقَ الْاِنْسَانِ مِنْ طِيْنٍ ٧
- alladhī
- ٱلَّذِىٓ
- যিনি
- aḥsana
- أَحْسَنَ
- অতি উত্তম করেছেন
- kulla
- كُلَّ
- প্রত্যেক
- shayin
- شَىْءٍ
- বস্তকে
- khalaqahu
- خَلَقَهُۥۖ
- তিনি সৃষ্টি করেছেন তা
- wabada-a
- وَبَدَأَ
- এবং সূচনা করেছেন
- khalqa
- خَلْقَ
- সৃষ্টি
- l-insāni
- ٱلْإِنسَٰنِ
- মানুষের
- min
- مِن
- থেকে
- ṭīnin
- طِينٍ
- কাদামাটি
যিনি সব কিছুকে উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছেন, আর মানুষ সৃষ্টির সূচনা করেছেন মাটি থেকে। ([৩২] সেজদাহ: ৭)ব্যাখ্যা
ثُمَّ جَعَلَ نَسْلَهٗ مِنْ سُلٰلَةٍ مِّنْ مَّاۤءٍ مَّهِيْنٍ ۚ ٨
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- jaʿala
- جَعَلَ
- সৃষ্টি করেছেন
- naslahu
- نَسْلَهُۥ
- বংশধরকে তার
- min
- مِن
- থেকে
- sulālatin
- سُلَٰلَةٍ
- নির্যাস
- min
- مِّن
- থেকে
- māin
- مَّآءٍ
- পানির
- mahīnin
- مَّهِينٍ
- তুচ্ছ
অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেন তুচ্ছ তরল পদার্থের নির্যাস থেকে। ([৩২] সেজদাহ: ৮)ব্যাখ্যা
ثُمَّ سَوّٰىهُ وَنَفَخَ فِيْهِ مِنْ رُّوْحِهٖ وَجَعَلَ لَكُمُ السَّمْعَ وَالْاَبْصَارَ وَالْاَفْـِٕدَةَۗ قَلِيْلًا مَّا تَشْكُرُوْنَ ٩
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- sawwāhu
- سَوَّىٰهُ
- সুঠাম করেছেন তাকে
- wanafakha
- وَنَفَخَ
- ও ফুঁকে দিয়েছেন
- fīhi
- فِيهِ
- মধ্যে তার
- min
- مِن
- থেকে
- rūḥihi
- رُّوحِهِۦۖ
- রূহ তার
- wajaʿala
- وَجَعَلَ
- এবং দিয়েছেন
- lakumu
- لَكُمُ
- জন্যে তোমাদের
- l-samʿa
- ٱلسَّمْعَ
- শ্রবণশক্তিসমূহ
- wal-abṣāra
- وَٱلْأَبْصَٰرَ
- ও দর্শনশক্তিসমূহ
- wal-afidata
- وَٱلْأَفْـِٔدَةَۚ
- ও অন্তরসমূহ
- qalīlan
- قَلِيلًا
- কমই
- mā
- مَّا
- যা
- tashkurūna
- تَشْكُرُونَ
- তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো
অতঃপর তিনি তাকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন আর তার ভিতরে স্বীয় রূহ হতে ফুঁক দিয়েছেন, আর তোমাদেরকে দিয়েছেন শ্রবণেন্দ্রীয়, দর্শনেন্দ্রিয় ও অন্তঃকরণ; কৃতজ্ঞতা তোমরা সামান্যই প্রকাশ কর। ([৩২] সেজদাহ: ৯)ব্যাখ্যা
وَقَالُوْٓا ءَاِذَا ضَلَلْنَا فِى الْاَرْضِ ءَاِنَّا لَفِيْ خَلْقٍ جَدِيْدٍ ەۗ بَلْ هُمْ بِلِقَاۤءِ رَبِّهِمْ كٰفِرُوْنَ ١٠
- waqālū
- وَقَالُوٓا۟
- এবং তারা বলে
- a-idhā
- أَءِذَا
- "কি যখন
- ḍalalnā
- ضَلَلْنَا
- আমরা মিশে যাবো
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-arḍi
- ٱلْأَرْضِ
- মাটির
- a-innā
- أَءِنَّا
- কি নিশ্চয়ই আমরা (হবো)
- lafī
- لَفِى
- অবশ্যই মধ্যে
- khalqin
- خَلْقٍ
- সৃষ্টি
- jadīdin
- جَدِيدٍۭۚ
- নতুন"
- bal
- بَلْ
- বরং
- hum
- هُم
- তারা
- biliqāi
- بِلِقَآءِ
- সম্পর্কে সাক্ষাত
- rabbihim
- رَبِّهِمْ
- রবের তাদের
- kāfirūna
- كَٰفِرُونَ
- অস্বীকারকারী
তারা বলে, কী! আমরা মাটিতে মিশিয়ে গেলেও কি আমাদেরকে আবার নতুন ক’রে সৃষ্টি করা হবে? বরং তারা তাদের প্রতিপালকের সাক্ষাৎকে অস্বীকার করে। ([৩২] সেজদাহ: ১০)ব্যাখ্যা