اَلَّذِيْنَ اِنْ مَّكَّنّٰهُمْ فِى الْاَرْضِ اَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتَوُا الزَّكٰوةَ وَاَمَرُوْا بِالْمَعْرُوْفِ وَنَهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِۗ وَلِلّٰهِ عَاقِبَةُ الْاُمُوْرِ ٤١
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যারা (সেই লোক)
- in
- إِن
- যদি
- makkannāhum
- مَّكَّنَّٰهُمْ
- তাদেরকে আমরা ক্ষমতা দিই
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-arḍi
- ٱلْأَرْضِ
- পৃথিবীর
- aqāmū
- أَقَامُوا۟
- তারা প্রতিষ্ঠা করে
- l-ṣalata
- ٱلصَّلَوٰةَ
- সালাত
- waātawū
- وَءَاتَوُا۟
- ও তারা দেয়
- l-zakata
- ٱلزَّكَوٰةَ
- জাকাত
- wa-amarū
- وَأَمَرُوا۟
- আর তারা নির্দেশ দেয়
- bil-maʿrūfi
- بِٱلْمَعْرُوفِ
- ব্যাপারে সৎকাজের
- wanahaw
- وَنَهَوْا۟
- ও তারা নিষেধ করে
- ʿani
- عَنِ
- হ'তে
- l-munkari
- ٱلْمُنكَرِۗ
- অসৎ কাজ
- walillahi
- وَلِلَّهِ
- আর আল্লাহরই হাতে
- ʿāqibatu
- عَٰقِبَةُ
- পরিণতি (চূড়ান্ত)
- l-umūri
- ٱلْأُمُورِ
- সব ব্যাপারের
(এরা হল) যাদেরকে আমি যমীনে প্রতিষ্ঠিত করলে তারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত প্রদান করে, সৎ কাজের আদেশ দেয় ও মন্দ কাজে নিষেধ করে, সকল কাজের শেষ পরিণাম (ও সিদ্ধান্ত) আল্লাহর হাতে নিবদ্ধ। ([২২] হাজ্জ্ব: ৪১)ব্যাখ্যা
وَاِنْ يُّكَذِّبُوْكَ فَقَدْ كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوْحٍ وَّعَادٌ وَّثَمُوْدُ ۙ ٤٢
- wa-in
- وَإِن
- আর (হে নাবী) যদি
- yukadhibūka
- يُكَذِّبُوكَ
- তোমাকে মিথ্যারোপ করে
- faqad
- فَقَدْ
- (তবে আশ্চর্য কি) নিশ্চয়ই
- kadhabat
- كَذَّبَتْ
- মিথ্যারোপ করেছিলো
- qablahum
- قَبْلَهُمْ
- তাদের পূর্বেও
- qawmu
- قَوْمُ
- জাতি
- nūḥin
- نُوحٍ
- নূহের
- waʿādun
- وَعَادٌ
- ও আদ
- wathamūdu
- وَثَمُودُ
- ও সামূদ
লোকেরা যদি তোমাকে অস্বীকার করে তাহলে (জেনে রেখ এটা কোন নতুন ব্যাপার নয়) তাদের পূর্বে নূহ, ‘আদ ও সামূদ সম্প্রদায়ও (তাদের রসূলদের) অস্বীকার করেছিল। ([২২] হাজ্জ্ব: ৪২)ব্যাখ্যা
وَقَوْمُ اِبْرٰهِيْمَ وَقَوْمُ لُوْطٍ ۙ ٤٣
- waqawmu
- وَقَوْمُ
- এবং জাতি
- ib'rāhīma
- إِبْرَٰهِيمَ
- ইব্রাহীমের
- waqawmu
- وَقَوْمُ
- ও জাতি
- lūṭin
- لُوطٍ
- লূতের
আর ইবরাহীমের সম্প্রদায় ও লূতের সম্প্রদায়ও (অস্বীকার করেছিল)। ([২২] হাজ্জ্ব: ৪৩)ব্যাখ্যা
وَّاَصْحٰبُ مَدْيَنَۚ وَكُذِّبَ مُوْسٰى فَاَمْلَيْتُ لِلْكٰفِرِيْنَ ثُمَّ اَخَذْتُهُمْۚ فَكَيْفَ كَانَ نَكِيْرِ ٤٤
- wa-aṣḥābu
- وَأَصْحَٰبُ
- এবং অধিবাসীরা
- madyana
- مَدْيَنَۖ
- মাদইয়ানের
- wakudhiba
- وَكُذِّبَ
- এবং মিথ্যারোপ করা হয়েছিলো
- mūsā
- مُوسَىٰ
- মূসাকেও
- fa-amlaytu
- فَأَمْلَيْتُ
- অতঃএব আমি অবকাশ দিয়েছিলাম
- lil'kāfirīna
- لِلْكَٰفِرِينَ
- জন্যে কাফিরদের
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- akhadhtuhum
- أَخَذْتُهُمْۖ
- তাদেরকে আমি পাকড়াও করেছিলাম
- fakayfa
- فَكَيْفَ
- (ভেবে দেখো) তখন কেমন
- kāna
- كَانَ
- ছিলো
- nakīri
- نَكِيرِ
- আমার শাস্তি
আর মাদইয়ানবাসীরাও [অস্বীকার করেছিল যারা ছিল শু‘আয়ব (আঃ)-এর সম্প্রদায়], আর মূসাকেও অস্বীকার করা হয়েছিল। আমি অস্বীকারকারীদেরকে সময়- সুযোগ দিয়েছিলাম, অতঃপর তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। কত ভীষণ ছিল আমাকে অস্বীকার করার পরিণতি! ([২২] হাজ্জ্ব: ৪৪)ব্যাখ্যা
فَكَاَيِّنْ مِّنْ قَرْيَةٍ اَهْلَكْنٰهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ فَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلٰى عُرُوْشِهَاۖ وَبِئْرٍ مُّعَطَّلَةٍ وَّقَصْرٍ مَّشِيْدٍ ٤٥
- faka-ayyin
- فَكَأَيِّن
- অতঃপর কতই না
- min
- مِّن
- থেকে
- qaryatin
- قَرْيَةٍ
- জনপদ
- ahlaknāhā
- أَهْلَكْنَٰهَا
- তা আমরা ধ্বংস করেছি
- wahiya
- وَهِىَ
- যখন তা (ছিলো)
- ẓālimatun
- ظَالِمَةٌ
- অপরাধী
- fahiya
- فَهِىَ
- ফলে তা
- khāwiyatun
- خَاوِيَةٌ
- ধ্বংসপ্রাপ্ত
- ʿalā
- عَلَىٰ
- উপর
- ʿurūshihā
- عُرُوشِهَا
- তার ছাদসমূহের
- wabi'rin
- وَبِئْرٍ
- এবং কূপ
- muʿaṭṭalatin
- مُّعَطَّلَةٍ
- পরিত্যক্ত (হয়েছে)
- waqaṣrin
- وَقَصْرٍ
- ও প্রাসাদ
- mashīdin
- مَّشِيدٍ
- সুদৃঢ় (বিধ্বস্ত হয়েছে)
আমি কত জনবসতিকে ধ্বংস করেছি যেগুলোর অধিবাসীরা ছিল যালিম, সেগুলো ছাদের ভরে পতিত হয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল, বিরাণ হয়েছিল কত কূপ আর সুউচ্চ সুদৃঢ় প্রাসাদরাজি। ([২২] হাজ্জ্ব: ৪৫)ব্যাখ্যা
اَفَلَمْ يَسِيْرُوْا فِى الْاَرْضِ فَتَكُوْنَ لَهُمْ قُلُوْبٌ يَّعْقِلُوْنَ بِهَآ اَوْ اٰذَانٌ يَّسْمَعُوْنَ بِهَاۚ فَاِنَّهَا لَا تَعْمَى الْاَبْصَارُ وَلٰكِنْ تَعْمَى الْقُلُوْبُ الَّتِيْ فِى الصُّدُوْرِ ٤٦
- afalam
- أَفَلَمْ
- কি তবে নি
- yasīrū
- يَسِيرُوا۟
- তারা ভ্রমণ করে
- fī
- فِى
- মধ্যে
- l-arḍi
- ٱلْأَرْضِ
- জমীনে
- fatakūna
- فَتَكُونَ
- তাহ'লে হতো
- lahum
- لَهُمْ
- জন্যে তাদের
- qulūbun
- قُلُوبٌ
- অন্তরসমূহ (এমন যে)
- yaʿqilūna
- يَعْقِلُونَ
- বুঝতো
- bihā
- بِهَآ
- দিয়ে তা
- aw
- أَوْ
- অথবা
- ādhānun
- ءَاذَانٌ
- কানগুলো
- yasmaʿūna
- يَسْمَعُونَ
- শুনতো
- bihā
- بِهَاۖ
- দিয়ে তা
- fa-innahā
- فَإِنَّهَا
- বস্তুতঃ তা অবশ্যই (এমন যে)
- lā
- لَا
- না
- taʿmā
- تَعْمَى
- অন্ধ হয়
- l-abṣāru
- ٱلْأَبْصَٰرُ
- চোখগুলো
- walākin
- وَلَٰكِن
- কিন্তু
- taʿmā
- تَعْمَى
- অন্ধ হয়
- l-qulūbu
- ٱلْقُلُوبُ
- অন্তরগুলো
- allatī
- ٱلَّتِى
- যা
- fī
- فِى
- মধ্যে (আছে)
- l-ṣudūri
- ٱلصُّدُورِ
- বুকসমূহের
তারা কি যমীনে ভ্রমণ করে না? তাহলে তারা হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারত, আর তাদের কান শুনতে পারত। প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ নয়, বরং বুকের ভিতর যে হৃদয় আছে তা-ই অন্ধ। ([২২] হাজ্জ্ব: ৪৬)ব্যাখ্যা
وَيَسْتَعْجِلُوْنَكَ بِالْعَذَابِ وَلَنْ يُّخْلِفَ اللّٰهُ وَعْدَهٗۗ وَاِنَّ يَوْمًا عِنْدَ رَبِّكَ كَاَلْفِ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّوْنَ ٤٧
- wayastaʿjilūnaka
- وَيَسْتَعْجِلُونَكَ
- আর তোমাকে তাড়াতাড়ি করতে বলে
- bil-ʿadhābi
- بِٱلْعَذَابِ
- ব্যাপারে শাস্তির
- walan
- وَلَن
- অথচ কখনও না
- yukh'lifa
- يُخْلِفَ
- ভঙ্গ করবেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- waʿdahu
- وَعْدَهُۥۚ
- তাঁর প্রতিজ্ঞা
- wa-inna
- وَإِنَّ
- আর নিশ্চয়ই
- yawman
- يَوْمًا
- সেদিন (হবে)
- ʿinda
- عِندَ
- নিকট
- rabbika
- رَبِّكَ
- তোমার রবের
- ka-alfi
- كَأَلْفِ
- মতো এক হাজার
- sanatin
- سَنَةٍ
- বছর
- mimmā
- مِّمَّا
- তা হ'তে যা
- taʿuddūna
- تَعُدُّونَ
- তোমরা গণনা করো
তারা তোমাকে তাড়াতাড়ি শাস্তি নিয়ে আসতে বলে (কিন্তু শাস্তি তো আসবে আল্লাহর ও‘য়াদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে), কেননা আল্লাহ কক্ষনো তাঁর ওয়া‘দা খেলাফ করেন না, তোমার প্রতিপালকের একদিন হল তোমাদের গণনায় এক হাজার বছরের সমান। ([২২] হাজ্জ্ব: ৪৭)ব্যাখ্যা
وَكَاَيِّنْ مِّنْ قَرْيَةٍ اَمْلَيْتُ لَهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ ثُمَّ اَخَذْتُهَاۚ وَاِلَيَّ الْمَصِيْرُ ࣖ ٤٨
- waka-ayyin
- وَكَأَيِّن
- আর কত
- min
- مِّن
- থেকে
- qaryatin
- قَرْيَةٍ
- জনবসতির (এমন ছিলো)
- amlaytu
- أَمْلَيْتُ
- আমি অবকাশ দিয়েছি
- lahā
- لَهَا
- জন্যে তাদের
- wahiya
- وَهِىَ
- যখন তা
- ẓālimatun
- ظَالِمَةٌ
- সীমালঙ্ঘনকারী (ছিলো)
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- akhadhtuhā
- أَخَذْتُهَا
- তাদেরকে আমি পাকড়াও করেছি
- wa-ilayya
- وَإِلَىَّ
- আর নিকট আমারই
- l-maṣīru
- ٱلْمَصِيرُ
- প্রত্যাবর্তন (সকলেরই)
আমি কত জনপদকে সময়-সুযোগ দিয়েছি যখন তারা ছিল অন্যায় কাজে লিপ্ত। অতঃপর সেগুলোকে পাকড়াও করেছিলাম, (পালিয়ে কেউ তো কোথাও যেতে পারবে না) কেননা (সকলের) প্রত্যাবর্তন আমারই কাছে। ([২২] হাজ্জ্ব: ৪৮)ব্যাখ্যা
قُلْ يٰٓاَيُّهَا النَّاسُ اِنَّمَآ اَنَا۠ لَكُمْ نَذِيْرٌ مُّبِيْنٌ ۚ ٤٩
- qul
- قُلْ
- (হে নাবী) বলো
- yāayyuhā
- يَٰٓأَيُّهَا
- "হে
- l-nāsu
- ٱلنَّاسُ
- "মানবজাতি
- innamā
- إِنَّمَآ
- মূলতঃ
- anā
- أَنَا۠
- আমি
- lakum
- لَكُمْ
- জন্যে তোমাদের
- nadhīrun
- نَذِيرٌ
- একজন সতর্ককারী
- mubīnun
- مُّبِينٌ
- সুস্পষ্ট"
বল, ‘হে মানুষ! আমি (প্রেরিত হয়েছি) তোমাদের জন্য এক সুস্পষ্ট সতর্ককারীরূপে।’ ([২২] হাজ্জ্ব: ৪৯)ব্যাখ্যা
فَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّرِزْقٌ كَرِيْمٌ ٥٠
- fa-alladhīna
- فَٱلَّذِينَ
- অতঃপর যারা
- āmanū
- ءَامَنُوا۟
- ঈমান আনে
- waʿamilū
- وَعَمِلُوا۟
- ও কাজ করে
- l-ṣāliḥāti
- ٱلصَّٰلِحَٰتِ
- সৎকাজসমূহের
- lahum
- لَهُم
- জন্যে তাদের (রয়েছে)
- maghfiratun
- مَّغْفِرَةٌ
- ক্ষমা
- wariz'qun
- وَرِزْقٌ
- ও জীবিকা
- karīmun
- كَرِيمٌ
- সম্মানজনক
কাজেই যারা ঈমান আনবে আর সৎ কাজ করবে তাদের জন্য কেবল আছে ক্ষমা আর সম্মানজনক জীবিকা। ([২২] হাজ্জ্ব: ৫০)ব্যাখ্যা