৪১
وَاصْطَنَعْتُكَ لِنَفْسِيْۚ ٤١
- wa-iṣ'ṭanaʿtuka
- وَٱصْطَنَعْتُكَ
- এবং তোমাকে আমি প্রস্তুত করেছি
- linafsī
- لِنَفْسِى
- আমার নিজের (কাজের) জন্যে
আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য তৈরি করেছি। ([২০] ত্বোয়া-হা: ৪১)ব্যাখ্যা
৪২
اِذْهَبْ اَنْتَ وَاَخُوْكَ بِاٰيٰتِيْ وَلَا تَنِيَا فِيْ ذِكْرِيْۚ ٤٢
- idh'hab
- ٱذْهَبْ
- যাও
- anta
- أَنتَ
- তুমি
- wa-akhūka
- وَأَخُوكَ
- ও তোমার ভাই
- biāyātī
- بِـَٔايَٰتِى
- নিয়ে আমার নির্দেশনাবলী
- walā
- وَلَا
- এবং না
- taniyā
- تَنِيَا
- তোমরা দু'জনে আসল্য করো
- fī
- فِى
- ক্ষেত্রে
- dhik'rī
- ذِكْرِى
- আমার স্মরণের
তুমি আর তোমার ভাই আমার নিদর্শন নিয়ে যাও আর তোমরা আমাকে স্মরণ করার বিষয়ে শৈথিল্য করো না। ([২০] ত্বোয়া-হা: ৪২)ব্যাখ্যা
৪৩
اِذْهَبَآ اِلٰى فِرْعَوْنَ اِنَّهٗ طَغٰىۚ ٤٣
- idh'habā
- ٱذْهَبَآ
- দু'জনে যাও
- ilā
- إِلَىٰ
- নিকট
- fir'ʿawna
- فِرْعَوْنَ
- ফিরআউনের
- innahu
- إِنَّهُۥ
- সে নিশ্চয়ই
- ṭaghā
- طَغَىٰ
- সীমালঙ্ঘন করেছে
তোমরা দু’জন ফেরাউনের নিকট যাও, বস্তুতঃ সে সীমালঙ্ঘন করেছে। ([২০] ত্বোয়া-হা: ৪৩)ব্যাখ্যা
৪৪
فَقُوْلَا لَهٗ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهٗ يَتَذَكَّرُ اَوْ يَخْشٰى ٤٤
- faqūlā
- فَقُولَا
- অতঃপর দু'জনে বলবে
- lahu
- لَهُۥ
- তার সাথে
- qawlan
- قَوْلًا
- কথা
- layyinan
- لَّيِّنًا
- নম্রভাবে
- laʿallahu
- لَّعَلَّهُۥ
- সে সম্ভবতঃ
- yatadhakkaru
- يَتَذَكَّرُ
- উপদেশ গ্রহণ করবে
- aw
- أَوْ
- অথবা
- yakhshā
- يَخْشَىٰ
- ভয় করবে"
তার সঙ্গে তোমরা নম্রভাবে কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে কিংবা (আল্লাহর) ভয় করবে।’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ৪৪)ব্যাখ্যা
৪৫
قَالَا رَبَّنَآ اِنَّنَا نَخَافُ اَنْ يَّفْرُطَ عَلَيْنَآ اَوْ اَنْ يَّطْغٰى ٤٥
- qālā
- قَالَا
- তারা (দু'জনে) বললো
- rabbanā
- رَبَّنَآ
- "হে আমাদের রব
- innanā
- إِنَّنَا
- নিশ্চয়ই আমরা
- nakhāfu
- نَخَافُ
- আশংকা করি আমরা
- an
- أَن
- যে
- yafruṭa
- يَفْرُطَ
- ফিরআউন দুর্ব্যবহার করবে
- ʿalaynā
- عَلَيْنَآ
- আমাদের সাথে
- aw
- أَوْ
- অথবা
- an
- أَن
- যে
- yaṭghā
- يَطْغَىٰ
- সে সীমালংঘন করবে"
তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ভয় হচ্ছে সে আমাদের প্রতি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠবে কিংবা আমাদের প্রতি আচরণে বাড়াবাড়ি করবে।’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ৪৫)ব্যাখ্যা
৪৬
قَالَ لَا تَخَافَآ اِنَّنِيْ مَعَكُمَآ اَسْمَعُ وَاَرٰى ٤٦
- qāla
- قَالَ
- তিনি বললেন
- lā
- لَا
- "না
- takhāfā
- تَخَافَآۖ
- তোমরা দু'জনে ভয় করো
- innanī
- إِنَّنِى
- আমি নিশ্চয়ই
- maʿakumā
- مَعَكُمَآ
- তোমাদের দু'জনের সাথে (আছি)
- asmaʿu
- أَسْمَعُ
- আমি শুনি (সবকিছু)
- wa-arā
- وَأَرَىٰ
- ও আমি দেখি (সবকিছু)
তিনি বললেন, ‘তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সাথেই আছি, আমি (সব কিছু) শুনি আর দেখি। ([২০] ত্বোয়া-হা: ৪৬)ব্যাখ্যা
৪৭
فَأْتِيٰهُ فَقُوْلَآ اِنَّا رَسُوْلَا رَبِّكَ فَاَرْسِلْ مَعَنَا بَنِيْٓ اِسْرَاۤءِيْلَ ەۙ وَلَا تُعَذِّبْهُمْۗ قَدْ جِئْنٰكَ بِاٰيَةٍ مِّنْ رَّبِّكَ ۗوَالسَّلٰمُ عَلٰى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدٰى ٤٧
- fatiyāhu
- فَأْتِيَاهُ
- সুতরাং তার কাছে দু'জনে যাও
- faqūlā
- فَقُولَآ
- অতঃপর দু'জনে বলো
- innā
- إِنَّا
- "নিশ্চয়ই আমরা
- rasūlā
- رَسُولَا
- দুই রাসূল
- rabbika
- رَبِّكَ
- তোমার রবের
- fa-arsil
- فَأَرْسِلْ
- সুতরাং পাঠাও
- maʿanā
- مَعَنَا
- আমাদের সাথে
- banī
- بَنِىٓ
- বনী
- is'rāīla
- إِسْرَٰٓءِيلَ
- ইসরাঈলকে
- walā
- وَلَا
- এবং না
- tuʿadhib'hum
- تُعَذِّبْهُمْۖ
- তাদেরকে শাস্তি দিও
- qad
- قَدْ
- নিশ্চয়ই
- ji'nāka
- جِئْنَٰكَ
- তোমার কাছে আমরা এসেছি
- biāyatin
- بِـَٔايَةٍ
- নিয়ে নিদর্শন
- min
- مِّن
- পক্ষ হ'তে
- rabbika
- رَّبِّكَۖ
- তোমার রবের
- wal-salāmu
- وَٱلسَّلَٰمُ
- এবং শান্তি
- ʿalā
- عَلَىٰ
- উপর
- mani
- مَنِ
- (তার) যে
- ittabaʿa
- ٱتَّبَعَ
- অনুসরণ করে
- l-hudā
- ٱلْهُدَىٰٓ
- সঠিক পথের
কাজেই তোমরা দু’জন তার কাছে এসো আর বল- আমরা তোমার প্রতিপালকের রসূল, কাজেই বানী ইসরাঈলকে আমাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দাও, তাদের প্রতি উৎপীড়ন করো না। তোমার প্রতিপালকের নিদর্শনসহই আমরা তোমার কাছে এসেছি, আর শান্তি বর্ষিত হোক তাদের প্রতি যারা সৎ পথ অনুসরণ করে। ([২০] ত্বোয়া-হা: ৪৭)ব্যাখ্যা
৪৮
اِنَّا قَدْ اُوْحِيَ اِلَيْنَآ اَنَّ الْعَذَابَ عَلٰى مَنْ كَذَّبَ وَتَوَلّٰى ٤٨
- innā
- إِنَّا
- আমরা নিশ্চয়ই (এমন যে)
- qad
- قَدْ
- নিশ্চয়ই
- ūḥiya
- أُوحِىَ
- ওহী করা হয়েছে
- ilaynā
- إِلَيْنَآ
- প্রতি আমাদের
- anna
- أَنَّ
- যে
- l-ʿadhāba
- ٱلْعَذَابَ
- শাস্তি
- ʿalā
- عَلَىٰ
- উপর
- man
- مَن
- (তার) যে
- kadhaba
- كَذَّبَ
- মিথ্যারোপ করবে
- watawallā
- وَتَوَلَّىٰ
- ও মুখ ফিরাবে (অমান্য করবে)"
আমাদের কাছে ওয়াহী করা হয়েছে যে শাস্তি (অপেক্ষা করছে) তার জন্য যে (সত্য) প্রত্যাখ্যান করে আর মুখ ফিরিয়ে নেয়।’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ৪৮)ব্যাখ্যা
৪৯
قَالَ فَمَنْ رَّبُّكُمَا يٰمُوْسٰى ٤٩
- qāla
- قَالَ
- (ফিরআউন) বললো
- faman
- فَمَن
- "তাহ'লে কে
- rabbukumā
- رَّبُّكُمَا
- তোমাদের দু'জনের রব
- yāmūsā
- يَٰمُوسَىٰ
- হে মূসা"
ফেরাউন বলল, ‘হে মূসা! কে তোমাদের প্রতিপালক?’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ৪৯)ব্যাখ্যা
৫০
قَالَ رَبُّنَا الَّذِيْٓ اَعْطٰى كُلَّ شَيْءٍ خَلْقَهٗ ثُمَّ هَدٰى ٥٠
- qāla
- قَالَ
- মূসা বললো
- rabbunā
- رَبُّنَا
- "আমাদের রব
- alladhī
- ٱلَّذِىٓ
- (তিনি) যিনি
- aʿṭā
- أَعْطَىٰ
- দিয়েছেন
- kulla
- كُلَّ
- প্রত্যেক
- shayin
- شَىْءٍ
- বস্তুকে
- khalqahu
- خَلْقَهُۥ
- তার সৃষ্টি কাঠামো
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- hadā
- هَدَىٰ
- পথ দেখিয়েছেন"
মূসা বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক তিনি যিনি সকল (সৃষ্ট) বস্তুকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথ প্রদর্শন করেছেন।’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ৫০)ব্যাখ্যা