جَنّٰتِ عَدْنِ ِۨالَّتِيْ وَعَدَ الرَّحْمٰنُ عِبَادَهٗ بِالْغَيْبِۗ اِنَّهٗ كَانَ وَعْدُهٗ مَأْتِيًّا ٦١
- jannāti
- جَنَّٰتِ
- জান্নাত
- ʿadnin
- عَدْنٍ
- স্থায়ী
- allatī
- ٱلَّتِى
- যার
- waʿada
- وَعَدَ
- প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
- l-raḥmānu
- ٱلرَّحْمَٰنُ
- দয়াময়
- ʿibādahu
- عِبَادَهُۥ
- তাঁর দাসদেরকে
- bil-ghaybi
- بِٱلْغَيْبِۚ
- গোপনভাবে
- innahu
- إِنَّهُۥ
- তিনি নিশ্চয়ই (এমন যে)
- kāna
- كَانَ
- হলো
- waʿduhu
- وَعْدُهُۥ
- তাঁর প্রতিশ্রুতি
- matiyyan
- مَأْتِيًّا
- অবশ্যম্ভাবী
স্থায়ী জান্নাত, দয়াময় তাঁর বান্দাহ্কে যে অদৃশ্য বিষয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পূর্ণ হবে। ([১৯] মারইয়াম: ৬১)ব্যাখ্যা
لَا يَسْمَعُوْنَ فِيْهَا لَغْوًا اِلَّا سَلٰمًاۗ وَلَهُمْ رِزْقُهُمْ فِيْهَا بُكْرَةً وَّعَشِيًّا ٦٢
- lā
- لَّا
- না
- yasmaʿūna
- يَسْمَعُونَ
- তারা শুনবে
- fīhā
- فِيهَا
- তার মধ্যে
- laghwan
- لَغْوًا
- নিরর্থক কথা
- illā
- إِلَّا
- এ ছাড়া
- salāman
- سَلَٰمًاۖ
- শান্তি
- walahum
- وَلَهُمْ
- এবং তাদের জন্য থাকবে
- riz'quhum
- رِزْقُهُمْ
- তাদের জীবিকা
- fīhā
- فِيهَا
- তার মধ্যে
- buk'ratan
- بُكْرَةً
- সকালে
- waʿashiyyan
- وَعَشِيًّا
- ও সন্ধ্যায়
সেখানে তারা শান্তির সম্ভাষণ ছাড়া কোন অপবাক্য শুনবে না। আর সকাল-সন্ধ্যা সেখানে তাদের জন্য থাকবে জীবন ধারণের উপকরণ। ([১৯] মারইয়াম: ৬২)ব্যাখ্যা
تِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِيْ نُوْرِثُ مِنْ عِبَادِنَا مَنْ كَانَ تَقِيًّا ٦٣
- til'ka
- تِلْكَ
- এই
- l-janatu
- ٱلْجَنَّةُ
- জান্নাত
- allatī
- ٱلَّتِى
- যার
- nūrithu
- نُورِثُ
- আমরা করবো উত্তরাধিকারী
- min
- مِنْ
- মধ্য হ'তে
- ʿibādinā
- عِبَادِنَا
- আমাদের দাসদের
- man
- مَن
- যে
- kāna
- كَانَ
- হবে
- taqiyyan
- تَقِيًّا
- মুত্তাকী
এই হল সেই জান্নাত আমি যার উত্তরাধিকারী করব আমার বান্দাহদের মধ্যে মুত্তাকীদেরকে। ([১৯] মারইয়াম: ৬৩)ব্যাখ্যা
وَمَا نَتَنَزَّلُ اِلَّا بِاَمْرِ رَبِّكَۚ لَهٗ مَا بَيْنَ اَيْدِيْنَا وَمَا خَلْفَنَا وَمَا بَيْنَ ذٰلِكَ وَمَا كَانَ رَبُّكَ نَسِيًّا ۚ ٦٤
- wamā
- وَمَا
- এবং (হে নাবী) না
- natanazzalu
- نَتَنَزَّلُ
- আমরা অবতরণ করি
- illā
- إِلَّا
- এ ছাড়া
- bi-amri
- بِأَمْرِ
- নির্দেশক্রমে
- rabbika
- رَبِّكَۖ
- আপনার রবের
- lahu
- لَهُۥ
- তাঁরই জন্য (মালিকানায়)
- mā
- مَا
- যা কিছু (আছে)
- bayna
- بَيْنَ
- সামনে
- aydīnā
- أَيْدِينَا
- আমাদের হাতের
- wamā
- وَمَا
- ও যা কিছু (আছে)
- khalfanā
- خَلْفَنَا
- আমাদের পিছনে
- wamā
- وَمَا
- এবং যা কিছু (আছে)
- bayna
- بَيْنَ
- মাঝে
- dhālika
- ذَٰلِكَۚ
- এর
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- kāna
- كَانَ
- হলেন
- rabbuka
- رَبُّكَ
- আপনার রব (এমন যে)
- nasiyyan
- نَسِيًّا
- ভুলে যান
(ফেরেশতাগণ বলে) ‘আমরা আপনার প্রতিপালকের হুকুম ছাড়া অবতরণ করি না, যা আমাদের সামনে আছে, আর যা আমাদের পেছনে আছে আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তা তাঁরই, আপনার প্রতিপালক কক্ষনো ভুলে যান না। ([১৯] মারইয়াম: ৬৪)ব্যাখ্যা
رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا فَاعْبُدْهُ وَاصْطَبِرْ لِعِبَادَتِهٖۗ هَلْ تَعْلَمُ لَهٗ سَمِيًّا ࣖ ٦٥
- rabbu
- رَّبُّ
- রব
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশের
- wal-arḍi
- وَٱلْأَرْضِ
- ও পৃথিবীর
- wamā
- وَمَا
- এবং যা কিছু (আছে)
- baynahumā
- بَيْنَهُمَا
- উভয়ের মাঝে
- fa-uʿ'bud'hu
- فَٱعْبُدْهُ
- তাঁরই সুতরাং ইবাদাত করুন
- wa-iṣ'ṭabir
- وَٱصْطَبِرْ
- এবং ধৈর্য্য ধরুন
- liʿibādatihi
- لِعِبَٰدَتِهِۦۚ
- তাঁর ইবাদাতের উপর
- hal
- هَلْ
- কি
- taʿlamu
- تَعْلَمُ
- জানেন আপনি (কাউকে)
- lahu
- لَهُۥ
- তাঁর জন্য
- samiyyan
- سَمِيًّا
- সমমান (গুণসম্পন্ন)
তিনি আকাশ, যমীন আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তার প্রতিপালক, কাজেই তুমি তাঁর ‘ইবাদাত কর, আর তাঁর ‘ইবাদাতে নিয়মিত ও দৃঢ় থাক। তুমি কি তাঁর নামের গুণসম্পন্ন অন্য আর কেউ আছে বলে জান? ([১৯] মারইয়াম: ৬৫)ব্যাখ্যা
وَيَقُوْلُ الْاِنْسَانُ ءَاِذَا مَا مِتُّ لَسَوْفَ اُخْرَجُ حَيًّا ٦٦
- wayaqūlu
- وَيَقُولُ
- এবং বলে
- l-insānu
- ٱلْإِنسَٰنُ
- মানুষ
- a-idhā
- أَءِذَا
- "যখন কি
- mā
- مَا
- "
- mittu
- مِتُّ
- আমি মরে যাব
- lasawfa
- لَسَوْفَ
- অচিরেই অবশ্যই
- ukh'raju
- أُخْرَجُ
- আমাকে বের করা হবে
- ḥayyan
- حَيًّا
- জীবিত অবস্থায়"
মানুষ বলে, ‘কী! আমি যখন মরে যাব, আমাকে তখন কি জীবিত করে উঠানো হবে?’ ([১৯] মারইয়াম: ৬৬)ব্যাখ্যা
اَوَلَا يَذْكُرُ الْاِنْسَانُ اَنَّا خَلَقْنٰهُ مِنْ قَبْلُ وَلَمْ يَكُ شَيْـًٔا ٦٧
- awalā
- أَوَلَا
- কি না
- yadhkuru
- يَذْكُرُ
- স্মরণ করে
- l-insānu
- ٱلْإِنسَٰنُ
- মানুষ
- annā
- أَنَّا
- যে আমরা
- khalaqnāhu
- خَلَقْنَٰهُ
- তাকে আমরা সৃষ্টি করেছি
- min
- مِن
- থেকে
- qablu
- قَبْلُ
- ইতিপূর্ব
- walam
- وَلَمْ
- যখন না
- yaku
- يَكُ
- সে ছিলো
- shayan
- شَيْـًٔا
- কোন কিছুই
মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি পূর্বে তাকে সৃষ্টি করেছি আর সে তখন কিছুই ছিল না। ([১৯] মারইয়াম: ৬৭)ব্যাখ্যা
فَوَرَبِّكَ لَنَحْشُرَنَّهُمْ وَالشَّيٰطِيْنَ ثُمَّ لَنُحْضِرَنَّهُمْ حَوْلَ جَهَنَّمَ جِثِيًّا ٦٨
- fawarabbika
- فَوَرَبِّكَ
- সুতরাং শপথ তোমার রবের
- lanaḥshurannahum
- لَنَحْشُرَنَّهُمْ
- অবশ্যই তাদের জড়ো করবো আমরা
- wal-shayāṭīna
- وَٱلشَّيَٰطِينَ
- এবং শয়তানদেরকেও
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- lanuḥ'ḍirannahum
- لَنُحْضِرَنَّهُمْ
- অবশ্যই তাদের উপস্থিত করবো আমরা
- ḥawla
- حَوْلَ
- চারদিকে
- jahannama
- جَهَنَّمَ
- জাহান্নামের
- jithiyyan
- جِثِيًّا
- নতজানু অবস্থায়
কাজেই তোমার রব্বের কসম! আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই একত্রিত করব আর শয়তানদেরকেও। অতঃপর তাদেরকে জাহান্নামের চতুষ্পার্শ্বে নতজানু অবস্থায় অবশ্য অবশ্যই হাজির করব। ([১৯] মারইয়াম: ৬৮)ব্যাখ্যা
ثُمَّ لَنَنْزِعَنَّ مِنْ كُلِّ شِيْعَةٍ اَيُّهُمْ اَشَدُّ عَلَى الرَّحْمٰنِ عِتِيًّا ۚ ٦٩
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- lananziʿanna
- لَنَنزِعَنَّ
- অবশ্যই আমরা টেনে বের করবো
- min
- مِن
- মধ্য হতে
- kulli
- كُلِّ
- প্রত্যেক বিষয়ে
- shīʿatin
- شِيعَةٍ
- দলের
- ayyuhum
- أَيُّهُمْ
- তাদের কোন (ব্যক্তি)
- ashaddu
- أَشَدُّ
- সর্বাধিক
- ʿalā
- عَلَى
- প্রতি
- l-raḥmāni
- ٱلرَّحْمَٰنِ
- দয়াময়ের
- ʿitiyyan
- عِتِيًّا
- অবাধ্য
অতঃপর প্রত্যেক দল হতে দয়াময়ের প্রতি সবচেয়ে অবাধ্যকে অবশ্য অবশ্যই টেনে বের করব। ([১৯] মারইয়াম: ৬৯)ব্যাখ্যা
ثُمَّ لَنَحْنُ اَعْلَمُ بِالَّذِيْنَ هُمْ اَوْ لٰى بِهَا صِلِيًّا ٧٠
- thumma
- ثُمَّ
- এরপর
- lanaḥnu
- لَنَحْنُ
- অবশ্যই আমরা
- aʿlamu
- أَعْلَمُ
- খুব জানি
- bi-alladhīna
- بِٱلَّذِينَ
- তাদের
- hum
- هُمْ
- যারা
- awlā
- أَوْلَىٰ
- অধিকতর যোগ্য
- bihā
- بِهَا
- তাঁতে
- ṣiliyyan
- صِلِيًّا
- প্রবেশের (জন্যে)
আর আমি অবশ্য অবশ্যই খুব ভাল করে জানি তাদের মধ্যে কারা জাহান্নামে দগ্ধ হওয়ার সর্বাধিক উপযুক্ত। ([১৯] মারইয়াম: ৭০)ব্যাখ্যা