وَكَذٰلِكَ اَعْثَرْنَا عَلَيْهِمْ لِيَعْلَمُوْٓا اَنَّ وَعْدَ اللّٰهِ حَقٌّ وَّاَنَّ السَّاعَةَ لَا رَيْبَ فِيْهَاۚ اِذْ يَتَنَازَعُوْنَ بَيْنَهُمْ اَمْرَهُمْ فَقَالُوا ابْنُوْا عَلَيْهِمْ بُنْيَانًاۗ رَبُّهُمْ اَعْلَمُ بِهِمْۗ قَالَ الَّذِيْنَ غَلَبُوْا عَلٰٓى اَمْرِهِمْ لَنَتَّخِذَنَّ عَلَيْهِمْ مَّسْجِدًا ٢١
- wakadhālika
- وَكَذَٰلِكَ
- এবং এভাবে
- aʿtharnā
- أَعْثَرْنَا
- আমরা জানিয়ে দিলাম
- ʿalayhim
- عَلَيْهِمْ
- সম্পর্কে তাদের
- liyaʿlamū
- لِيَعْلَمُوٓا۟
- যেন তারা জানে
- anna
- أَنَّ
- যে
- waʿda
- وَعْدَ
- প্রতিশ্রুতি
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- আল্লাহ্র
- ḥaqqun
- حَقٌّ
- সত্য
- wa-anna
- وَأَنَّ
- এবং (এও) যে
- l-sāʿata
- ٱلسَّاعَةَ
- ক্বিয়ামাত আসবেই
- lā
- لَا
- নেই
- rayba
- رَيْبَ
- কোনো সন্দেহ
- fīhā
- فِيهَآ
- মধ্যে তার
- idh
- إِذْ
- যখন
- yatanāzaʿūna
- يَتَنَٰزَعُونَ
- তারা পরস্পরে বিতর্ক করছিলো
- baynahum
- بَيْنَهُمْ
- মাঝে তাদের
- amrahum
- أَمْرَهُمْۖ
- কাজে তাদের
- faqālū
- فَقَالُوا۟
- তখন তারা বলেছিলো
- ib'nū
- ٱبْنُوا۟
- "তোমরা নির্মাণ করো
- ʿalayhim
- عَلَيْهِم
- উপর তাদের
- bun'yānan
- بُنْيَٰنًاۖ
- সৌধ
- rabbuhum
- رَّبُّهُمْ
- রব তাদের
- aʿlamu
- أَعْلَمُ
- ভালো জানেন
- bihim
- بِهِمْۚ
- সম্বন্ধে তাদের"
- qāla
- قَالَ
- বললো
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যারা
- ghalabū
- غَلَبُوا۟
- প্রবল হয়েছিলো
- ʿalā
- عَلَىٰٓ
- উপর
- amrihim
- أَمْرِهِمْ
- তাদের মতের
- lanattakhidhanna
- لَنَتَّخِذَنَّ
- "অবশ্যই আমরা নির্মাণ করবো
- ʿalayhim
- عَلَيْهِم
- উপর তাদের
- masjidan
- مَّسْجِدًا
- মাসজিদ"
আমি এভাবে তাদের ব্যাপারটা লোকেদেরকে ওয়াকিফহাল করে দিলাম যাতে তারা জানতে পারে যে, আল্লাহর ওয়া‘দা সত্য, আর ক্বিয়ামাতের দিন সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। যখন তারা (অর্থাৎ নগরবাসীরা) নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদ করছিল, (কতক) বলল, ‘তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।’ তাদের প্রতিপালক তাদের সম্পর্কে ভাল জানেন। তাদের কর্তব্যকর্ম সম্পর্কে যাদের মতামত প্রাধান্য লাভ করল তারা বলল, ‘আমরা তাদের উপর অবশ্য অবশ্যই মাসজিদ নির্মাণ করব।’ ([১৮] কাহফ: ২১)ব্যাখ্যা
سَيَقُوْلُوْنَ ثَلٰثَةٌ رَّابِعُهُمْ كَلْبُهُمْۚ وَيَقُوْلُوْنَ خَمْسَةٌ سَادِسُهُمْ كَلْبُهُمْ رَجْمًاۢ بِالْغَيْبِۚ وَيَقُوْلُوْنَ سَبْعَةٌ وَّثَامِنُهُمْ كَلْبُهُمْ ۗقُلْ رَّبِّيْٓ اَعْلَمُ بِعِدَّتِهِمْ مَّا يَعْلَمُهُمْ اِلَّا قَلِيْلٌ ەۗ فَلَا تُمَارِ فِيْهِمْ اِلَّا مِرَاۤءً ظَاهِرًا ۖوَّلَا تَسْتَفْتِ فِيْهِمْ مِّنْهُمْ اَحَدًا ࣖ ٢٢
- sayaqūlūna
- سَيَقُولُونَ
- তারা শীঘ্রই বলবে
- thalāthatun
- ثَلَٰثَةٌ
- তিন (তাদের সংখ্যা)
- rābiʿuhum
- رَّابِعُهُمْ
- চতুর্থটি (ছিলো) তাদের
- kalbuhum
- كَلْبُهُمْ
- কুকুর তাদের
- wayaqūlūna
- وَيَقُولُونَ
- এবং (কিছু লোক) বলবে
- khamsatun
- خَمْسَةٌ
- পাঁচ (জন)
- sādisuhum
- سَادِسُهُمْ
- ষষ্ঠটি তাদের
- kalbuhum
- كَلْبُهُمْ
- কুকুর তাদের
- rajman
- رَجْمًۢا
- আনুমানিক (কথা)
- bil-ghaybi
- بِٱلْغَيْبِۖ
- বিষয়ে অজানা
- wayaqūlūna
- وَيَقُولُونَ
- এবং (কিছু লোক) বলবে
- sabʿatun
- سَبْعَةٌ
- সাত (তাদের সংখ্যা)
- wathāminuhum
- وَثَامِنُهُمْ
- এবং অষ্টমটি তাদের
- kalbuhum
- كَلْبُهُمْۚ
- কুকুর তাদের
- qul
- قُل
- বলো
- rabbī
- رَّبِّىٓ
- "আমার রব
- aʿlamu
- أَعْلَمُ
- ভালো জানেন
- biʿiddatihim
- بِعِدَّتِهِم
- সম্পর্কে তাদের সংখ্যা
- mā
- مَّا
- না
- yaʿlamuhum
- يَعْلَمُهُمْ
- জানে তাদের
- illā
- إِلَّا
- ছাড়া
- qalīlun
- قَلِيلٌۗ
- অল্প (লোক)
- falā
- فَلَا
- অতএব
- tumāri
- تُمَارِ
- বিতর্ক করো না
- fīhim
- فِيهِمْ
- বিষয়ে তাদের
- illā
- إِلَّا
- ছাড়া
- mirāan
- مِرَآءً
- আলোচনা
- ẓāhiran
- ظَٰهِرًا
- মামুলি
- walā
- وَلَا
- এবং না
- tastafti
- تَسْتَفْتِ
- জিজ্ঞেস করবে তুমি
- fīhim
- فِيهِم
- বিষয়ে তাদের
- min'hum
- مِّنْهُمْ
- মধ্য থেকে তাদের
- aḥadan
- أَحَدًا
- কাউকে"
কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল তিনজন, তাদের চতুর্থটি ছিল তাদের কুকুর।’ আর কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল পাঁচ জন, তাদের ষষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর’, (এ কথা তারা বলবে) অজানা বিষয়ে সন্দেহপূর্ণ অনুমানের ভিত্তিতে। আবার তাদের কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল সাতজন, আর তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর।’ বল, ‘তাদের সংখ্যা সম্পর্কে আমার প্রতিপালকই বেশি জানেন।’ অল্প কয়জন ছাড়া তাদের সংখ্যা সম্পর্কে কেউ জানে না। কাজেই সাধারণ কথাবার্তা ছাড়া তাদের ব্যাপার নিয়ে বিতর্ক করো না, আর তাদের সম্পর্কে কারো কাছে কিছু জিজ্ঞেসও করো না। ([১৮] কাহফ: ২২)ব্যাখ্যা
وَلَا تَقُوْلَنَّ لِشَا۟يْءٍ اِنِّيْ فَاعِلٌ ذٰلِكَ غَدًاۙ ٢٣
- walā
- وَلَا
- এবং না
- taqūlanna
- تَقُولَنَّ
- বলবে কখনও
- lishāy'in
- لِشَا۟ىْءٍ
- কোনো কিছুকে
- innī
- إِنِّى
- "নিশ্চয়ই আমি
- fāʿilun
- فَاعِلٌ
- সম্পাদনকারী
- dhālika
- ذَٰلِكَ
- এটা
- ghadan
- غَدًا
- আগামীকাল"
কোন বিষয় সম্পর্কে কক্ষনো বল না যে, ‘ওটা আমি আগামীকাল করব।’ ([১৮] কাহফ: ২৩)ব্যাখ্যা
اِلَّآ اَنْ يَّشَاۤءَ اللّٰهُ ۖوَاذْكُرْ رَّبَّكَ اِذَا نَسِيْتَ وَقُلْ عَسٰٓى اَنْ يَّهْدِيَنِ رَبِّيْ لِاَقْرَبَ مِنْ هٰذَا رَشَدًا ٢٤
- illā
- إِلَّآ
- ছাড়া
- an
- أَن
- "যে
- yashāa
- يَشَآءَ
- ইচ্ছে করেন"
- l-lahu
- ٱللَّهُۚ
- আল্লাহ্"
- wa-udh'kur
- وَٱذْكُر
- এবং স্মরণ করো
- rabbaka
- رَّبَّكَ
- তোমার রবকে
- idhā
- إِذَا
- যদি
- nasīta
- نَسِيتَ
- তুমি ভুলে যাও
- waqul
- وَقُلْ
- এবং বলো
- ʿasā
- عَسَىٰٓ
- "সম্ভবতঃ
- an
- أَن
- যে
- yahdiyani
- يَهْدِيَنِ
- আমাকে পথ দেখাবেন
- rabbī
- رَبِّى
- আমার রব
- li-aqraba
- لِأَقْرَبَ
- নিকটবর্তী (কথা)
- min
- مِنْ
- চেয়ে
- hādhā
- هَٰذَا
- এটার
- rashadan
- رَشَدًا
- সত্যের"
‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে’ বলা ছাড়া। যদি ভুলে যাও (তবে মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে) তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর আর বল, ‘আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে এর চেয়েও সত্যের নিকটবর্তী পথে পরিচালিত করবেন। (কেননা এক ব্যক্তি যেভাবেই সঠিক পথে চলুক না কেন, তার চেয়েও উত্তমভাবে পথ চলা যেতে পারে)। ([১৮] কাহফ: ২৪)ব্যাখ্যা
وَلَبِثُوْا فِيْ كَهْفِهِمْ ثَلٰثَ مِائَةٍ سِنِيْنَ وَازْدَادُوْا تِسْعًا ٢٥
- walabithū
- وَلَبِثُوا۟
- এবং তারা অবস্থান করেছিলো
- fī
- فِى
- মধ্যে
- kahfihim
- كَهْفِهِمْ
- গুহার তাদের
- thalātha
- ثَلَٰثَ
- তিন
- mi-atin
- مِا۟ئَةٍ
- শত
- sinīna
- سِنِينَ
- বছর
- wa-iz'dādū
- وَٱزْدَادُوا۟
- এবং তারা বৃদ্ধি করেছিলো
- tis'ʿan
- تِسْعًا
- (আরও) নয়
আর (কারো মতে) তারা তাদের গুহায় ছিল তিনশ’ বছর আর কিছু লোক নয় বছর বাড়িয়ে নিয়েছে। ([১৮] কাহফ: ২৫)ব্যাখ্যা
قُلِ اللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا لَبِثُوْا ۚ لَهٗ غَيْبُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ اَبْصِرْ بِهٖ وَاَسْمِعْۗ مَا لَهُمْ مِّنْ دُوْنِهٖ مِنْ وَّلِيٍّۗ وَلَا يُشْرِكُ فِيْ حُكْمِهٖٓ اَحَدًا ٢٦
- quli
- قُلِ
- বলো
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- "আল্লাহ্ই
- aʿlamu
- أَعْلَمُ
- ভালো জানেন
- bimā
- بِمَا
- সম্পর্কে যা
- labithū
- لَبِثُوا۟ۖ
- তারা অবস্থান করেছিলো
- lahu
- لَهُۥ
- আছে তাঁরই
- ghaybu
- غَيْبُ
- অদৃশ্যের জ্ঞান
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশসমূহের
- wal-arḍi
- وَٱلْأَرْضِۖ
- এবং পৃথিবীর
- abṣir
- أَبْصِرْ
- কত সুন্দরভাবে দেখেন
- bihi
- بِهِۦ
- সম্পর্কে তা
- wa-asmiʿ
- وَأَسْمِعْۚ
- এবং কত সুন্দর শুনেন
- mā
- مَا
- নেই
- lahum
- لَهُم
- জন্যে তাদের
- min
- مِّن
- ছাড়া
- dūnihi
- دُونِهِۦ
- তিনি
- min
- مِن
- কোনো
- waliyyin
- وَلِىٍّ
- (অন্য) অভিভাবক
- walā
- وَلَا
- এবং না
- yush'riku
- يُشْرِكُ
- তিনি শরিক করেন
- fī
- فِى
- ব্যাপারে
- ḥuk'mihi
- حُكْمِهِۦٓ
- তাঁর কর্তৃত্বের
- aḥadan
- أَحَدًا
- (অন্য) কাউকে"
বল, ‘আল্লাহই ভাল জানেন তারা কতকাল (গুহায়) ছিল।’ আসমানসমূহ যমীনের অদৃশ্যের জ্ঞান তাঁরই আছে, কত স্পষ্টই না তিনি দেখেন, কত স্পষ্টই না তিনি শোনেন। তিনি ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক নেই, তিনি তাঁর কর্তৃত্বে কাউকে অংশীদার করেন না। ([১৮] কাহফ: ২৬)ব্যাখ্যা
وَاتْلُ مَآ اُوْحِيَ اِلَيْكَ مِنْ كِتَابِ رَبِّكَۗ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمٰتِهٖۗ وَلَنْ تَجِدَ مِنْ دُوْنِهٖ مُلْتَحَدًا ٢٧
- wa-ut'lu
- وَٱتْلُ
- এবং আবৃত্তি করো
- mā
- مَآ
- যা
- ūḥiya
- أُوحِىَ
- ওহী করা হয়েছে
- ilayka
- إِلَيْكَ
- প্রতি তোমার
- min
- مِن
- থেকে
- kitābi
- كِتَابِ
- কিতাব
- rabbika
- رَبِّكَۖ
- তোমার রবের
- lā
- لَا
- নেই
- mubaddila
- مُبَدِّلَ
- পরিবর্তনকারী
- likalimātihi
- لِكَلِمَٰتِهِۦ
- তাঁর কথাগুলোর
- walan
- وَلَن
- এবং কখনও না
- tajida
- تَجِدَ
- তুমি পাবে
- min
- مِن
- ছাড়া
- dūnihi
- دُونِهِۦ
- তিনি
- mul'taḥadan
- مُلْتَحَدًا
- আশ্রয়স্থান
আর তুমি তোমার কাছে ওয়াহীকৃত তোমার প্রতিপালকের কিতাব থেকে পাঠ করে শুনাও, তাঁর কথা পরিবর্তন করে দেবে এমন কেউ নেই, আর তাঁকে ছাড়া তুমি কক্ষনো অন্য কাউকে আশ্রয়স্থল হিসেবে পাবে না। ([১৮] কাহফ: ২৭)ব্যাখ্যা
وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدٰوةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيْدُوْنَ وَجْهَهٗ وَلَا تَعْدُ عَيْنٰكَ عَنْهُمْۚ تُرِيْدُ زِيْنَةَ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَاۚ وَلَا تُطِعْ مَنْ اَغْفَلْنَا قَلْبَهٗ عَنْ ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوٰىهُ وَكَانَ اَمْرُهٗ فُرُطًا ٢٨
- wa-iṣ'bir
- وَٱصْبِرْ
- এবং স্থিতিশীল রাখবে
- nafsaka
- نَفْسَكَ
- তোমার নিজেকে
- maʿa
- مَعَ
- সাথে
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- (তাদের) যারা
- yadʿūna
- يَدْعُونَ
- ডাকে
- rabbahum
- رَبَّهُم
- রবকে তাদের
- bil-ghadati
- بِٱلْغَدَوٰةِ
- বেলায় সকাল
- wal-ʿashiyi
- وَٱلْعَشِىِّ
- ও সন্ধ্যায়
- yurīdūna
- يُرِيدُونَ
- তারা চায়
- wajhahu
- وَجْهَهُۥۖ
- তাঁর সন্তুষ্টি
- walā
- وَلَا
- এবং না
- taʿdu
- تَعْدُ
- ফিরিয়ে নিও
- ʿaynāka
- عَيْنَاكَ
- তোমার দু'চোখ
- ʿanhum
- عَنْهُمْ
- থেকে তাদের
- turīdu
- تُرِيدُ
- তুমি চাও
- zīnata
- زِينَةَ
- শোভা
- l-ḥayati
- ٱلْحَيَوٰةِ
- জীবনের
- l-dun'yā
- ٱلدُّنْيَاۖ
- পার্থিব
- walā
- وَلَا
- এবং না
- tuṭiʿ
- تُطِعْ
- আনুগত্য করো
- man
- مَنْ
- (তার) যার
- aghfalnā
- أَغْفَلْنَا
- আমরা অমনোযোগী করে দিয়েছি
- qalbahu
- قَلْبَهُۥ
- অন্তরকে তার
- ʿan
- عَن
- থেকে
- dhik'rinā
- ذِكْرِنَا
- আমাদের স্মরণ
- wa-ittabaʿa
- وَٱتَّبَعَ
- এবং অনুসরণ করে
- hawāhu
- هَوَىٰهُ
- তাদের খেয়াল-খুশির
- wakāna
- وَكَانَ
- এবং হয়েছে
- amruhu
- أَمْرُهُۥ
- তার কাজ
- furuṭan
- فُرُطًا
- সীমালঙ্ঘনমূলক
তুমি দৃঢ় চিত্ত হয়ে তাদের সাথে অবস্থান কর যারা সকাল-সন্ধ্যা তাদের প্রতিপালককে আহবান করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের সন্ধানে। পার্থিব জীবনের শোভা ও চাকচিক্য কামনায় তুমি তাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও না। তুমি তার আনুগত্য কর না যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ হতে উদাসীন করে দিয়েছি, যে নিজের প্রবৃত্তির আনুগত্য করে আর যার কার্যকলাপ হচ্ছে সীমালঙ্ঘনমূলক। ([১৮] কাহফ: ২৮)ব্যাখ্যা
وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّكُمْۗ فَمَنْ شَاۤءَ فَلْيُؤْمِنْ وَّمَنْ شَاۤءَ فَلْيَكْفُرْۚ اِنَّآ اَعْتَدْنَا لِلظّٰلِمِيْنَ نَارًاۙ اَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَاۗ وَاِنْ يَّسْتَغِيْثُوْا يُغَاثُوْا بِمَاۤءٍ كَالْمُهْلِ يَشْوِى الْوُجُوْهَۗ بِئْسَ الشَّرَابُۗ وَسَاۤءَتْ مُرْتَفَقًا ٢٩
- waquli
- وَقُلِ
- এবং বলো
- l-ḥaqu
- ٱلْحَقُّ
- "(এসেছে) সত্য
- min
- مِن
- পক্ষ হ'তে
- rabbikum
- رَّبِّكُمْۖ
- রবের তোমার
- faman
- فَمَن
- অতএব যে
- shāa
- شَآءَ
- ইচ্ছে করে
- falyu'min
- فَلْيُؤْمِن
- অতঃপর ঈমান আনুক
- waman
- وَمَن
- এবং যে
- shāa
- شَآءَ
- ইচ্ছে করে
- falyakfur
- فَلْيَكْفُرْۚ
- অতঃপর অস্বীকার করুক"
- innā
- إِنَّآ
- নিশ্চয়ই আমরা
- aʿtadnā
- أَعْتَدْنَا
- আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি
- lilẓẓālimīna
- لِلظَّٰلِمِينَ
- জন্যে সীমালঙ্ঘনকারীদের
- nāran
- نَارًا
- জাহান্নামের আগুন
- aḥāṭa
- أَحَاطَ
- পরিবেষ্টন করেছে
- bihim
- بِهِمْ
- সহ তাদেরকে
- surādiquhā
- سُرَادِقُهَاۚ
- তার শিখা
- wa-in
- وَإِن
- এবং যদি
- yastaghīthū
- يَسْتَغِيثُوا۟
- তারা পান করতে চায়
- yughāthū
- يُغَاثُوا۟
- তাদের পানি দেয়া হবে
- bimāin
- بِمَآءٍ
- এমন পানি
- kal-muh'li
- كَٱلْمُهْلِ
- মতো তেলের গাদের
- yashwī
- يَشْوِى
- ঝলসে দিবে
- l-wujūha
- ٱلْوُجُوهَۚ
- মুখসমূহকে
- bi'sa
- بِئْسَ
- কত নিকৃষ্ট
- l-sharābu
- ٱلشَّرَابُ
- পানীয়
- wasāat
- وَسَآءَتْ
- এবং অতিশয় খারাপ
- mur'tafaqan
- مُرْتَفَقًا
- আশ্রয়স্থল
আর বলে দাও, ‘সত্য এসেছে তোমাদের রব্বের নিকট হতে, কাজেই যার ইচ্ছে ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছে সত্যকে অস্বীকার করুক।’ আমি (অস্বীকারকারী) যালিমদের জন্য আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি যার লেলিহান শিখা তাদেরকে ঘিরে ফেলেছে। তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে গলিত শিশার ন্যায় পানি দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে, কতই না নিকৃষ্ট পানীয়! আর কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়স্থল! ([১৮] কাহফ: ২৯)ব্যাখ্যা
اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ اِنَّا لَا نُضِيْعُ اَجْرَ مَنْ اَحْسَنَ عَمَلًاۚ ٣٠
- inna
- إِنَّ
- নিশ্চয়ই
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যারা
- āmanū
- ءَامَنُوا۟
- ঈমান এনেছে
- waʿamilū
- وَعَمِلُوا۟
- এবং কাজ করেছে
- l-ṣāliḥāti
- ٱلصَّٰلِحَٰتِ
- সৎ
- innā
- إِنَّا
- নিশ্চয়ই আমরা
- lā
- لَا
- না
- nuḍīʿu
- نُضِيعُ
- আমরা বিনষ্ট করি
- ajra
- أَجْرَ
- পুরস্কার
- man
- مَنْ
- যে
- aḥsana
- أَحْسَنَ
- ভালো করে
- ʿamalan
- عَمَلًا
- কাজ
যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে- যে উত্তমভাবে কাজ করে আমি তার কর্মফল বিনষ্ট করি না। ([১৮] কাহফ: ৩০)ব্যাখ্যা