Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল-আনফাল আয়াত ৭৩

Qur'an Surah Al-Anfal Verse 73

আল-আনফাল [৮]: ৭৩ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا بَعْضُهُمْ اَوْلِيَاۤءُ بَعْضٍۗ اِلَّا تَفْعَلُوْهُ تَكُنْ فِتْنَةٌ فِى الْاَرْضِ وَفَسَادٌ كَبِيْرٌۗ (الأنفال : ٨)

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
And those who
এবং যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
disbelieve
অবিশ্বাস করেছে
baʿḍuhum
بَعْضُهُمْ
some of them
একে তারা
awliyāu
أَوْلِيَآءُ
(are) allies
বন্ধু
baʿḍin
بَعْضٍۚ
(to) another
অপরের
illā
إِلَّا
If not
যদি না
tafʿalūhu
تَفْعَلُوهُ
you do it
তোমরা করো তা
takun
تَكُن
(there) will be
(তবে) হবে
fit'natun
فِتْنَةٌ
oppression
ফিতনা
فِى
in
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
the earth
পৃথিবীর
wafasādun
وَفَسَادٌ
and corruption
ও বিপর্যয়
kabīrun
كَبِيرٌ
great
বড়

Transliteration:

Wallazeena kafaroo ba'duhum awliyaaa'u ba'd; illaa taf'aloohu takun fitnatun fil ardi wa fasaadun kabeer (QS. al-ʾAnfāl:73)

English Sahih International:

And those who disbelieved are allies of one another. If you do not do so [i.e., ally yourselves with other believers], there will be fitnah [i.e., disbelief and oppression] on earth and great corruption. (QS. Al-Anfal, Ayah ৭৩)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর যারা কুফরী করে তারা একে অপরের বন্ধু। যদি তোমরা তা না কর (অর্থাৎ তোমরা পরস্পর পরস্পরের সাহায্যে এগিয়ে না আস) তাহলে দুনিয়াতে ফিতনা ও মহাবিপর্যয় দেখা দিবে। (আল-আনফাল, আয়াত ৭৩)

Tafsir Ahsanul Bayaan

যারা অবিশ্বাস করেছে, তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। যদি তোমরা তা না কর, তাহলে দেশে ফিতনা ও মহাবিপর্যয় দেখা দেবে। [১]

[১] অর্থাৎ, যেমন কাফেররা এক অপরের বন্ধু এবং পৃষ্ঠপোষক, ঠিক তেমনি যদি তোমরাও ঈমানের ভিত্তিতে একে অপরের পৃষ্ঠপোষক এবং কাফেরদল থেকে নিঃসম্পর্ক না হও, তাহলে বড় ধরনের ফিতনা ও অশান্তি সৃষ্টি হবে। আর তা হল এই যে, মু'মিন ও কাফেরদের মাঝে মিশ্র সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের ফলে দ্বীনের ব্যাপারে সন্দেহ ও তোষামোদ সৃষ্টি হবে। কেউ কেউ بَعْضُهُمْ أَوْلِيآءُ بَعْض এর অর্থ উত্তরাধিকারী বলেছেন। অর্থাৎ, কাফেররা একে অপরের উত্তরাধিকারী। উদ্দেশ্য এই যে, একজন মুসলিম কোন কাফেরের এবং একজন কাফের কোন মুসলিমের উত্তরাধিকারী হতে পারে না। যেমন হাদীসমূহে এ কথার স্পষ্ট বর্ণনা এসেছে। মোট কথা, যদি তোমরা উত্তরাধিকারের ব্যাপারে কুফর ও ঈমানকে দৃষ্টিচ্যুত করে কেবল আত্মীয়তাকে বুনিয়াদ বানাও, তাহলে তাতে বড় ফিতনা, ফাসাদ ও অশান্তি সৃষ্টি হবে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

আর যারা কুফরী করেছে তারা পরস্পর পরস্পরের অভিভাবক [১], যদি তোমরা তা না কর তবে যমীনে ফিতনা ও মহাবিপর্যয় দেখা দেবে [২]।

[১] হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দুই মিল্লাতের লোকেরা পরস্পর ওয়ারিস হবে না। কোন মুসলিম কোন কাফেরকে ওয়ারিস করবে না। অনুরূপভাবে কোন কাফেরও মুসলিমকে ওয়ারিস করবে না। তারপর তিনি আলোচ্য এ আয়াত পাঠ করলেন। [মুস্তাদরাকে হাকিম; ২/২৪০; অনুরূপ; মুসনাদে আহমাদ; ৫/৩৫২; মুসলিম; ১৭৩১; বুখারী; ৬৭৬৪] সুতরাং কাফেররা পরস্পর ওয়ারিস হবে। কারণ, তারা পরস্পর একে অপরের বন্ধু। এখানেও আল্লাহ্ তাআলা (وَلِـىُّ) শব্দ ব্যবহার করেছেন। এটি একটি সাধারণ ও ব্যাপকার্থক শব্দ। এতে যেমন ওয়ারাসাত বা উত্তরাধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত, তেমনি অন্তর্ভুক্ত বৈষয়িক সম্পর্ক ও পৃষ্ঠপোষকতার বিষয়ও।

[২] অর্থাৎ তোমরা যদি এমনটি না কর, তাহলে গোটা পৃথিবীতে ফেৎনা-ফাসাদ ও দাঙ্গা হাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়বে। এ বাক্যটি সে সমস্ত হুকুম-আহকামের সাথে সম্পর্কযুক্ত যা ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন মুহাজিরীন ও আনসারগণকে একে অপরের অভিভাবক হতে হবে- যাতে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা এবং ওরাসাত তথা উত্তরাধিকারের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। আর কাফেরদের সাথে শক্রতা পোষণ করতে হবে। এটা না করে যদি কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব এবং মুমিনদের সাথে শক্রতা কর তবে দুনিয়াতে গোলযোগ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছড়িয়ে পড়বে। [সা'দী]

Tafsir Bayaan Foundation

আর যারা কুফরী করে, তারা একে অপরের বন্ধু। যদি তোমরা তা না কর, তাহলে যমীনে ফিতনা ও বড় ফাসাদ হবে।

Muhiuddin Khan

আর যারা কাফের তারা পারস্পরিক সহযোগী, বন্ধু। তোমরা যদি এমন ব্যবস্থা না কর, তবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বিস্তার লাভ করবে এবং দেশময় বড়ই অকল্যাণ হবে।

Zohurul Hoque

আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে -- তাদের কেউ কেউ অপরদের বন্ধু। যদি তোমরা এ না করো তবে দেশে অনাচার ও বিরাট- বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।