Skip to content

সূরা আল আনআম - Page: 11

Al-An'am

(al-ʾAnʿām)

১০১

بَدِيْعُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ اَنّٰى يَكُوْنُ لَهٗ وَلَدٌ وَّلَمْ تَكُنْ لَّهٗ صَاحِبَةٌ ۗوَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ ١٠١

badīʿu
بَدِيعُ
তিনি স্রষ্টা
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۖ
ও পৃথিবীর
annā
أَنَّىٰ
কিরূপে
yakūnu
يَكُونُ
হবে
lahu
لَهُۥ
জন্যে তাঁর
waladun
وَلَدٌ
কোনো সন্তান
walam
وَلَمْ
অথচ নি
takun
تَكُن
হয়
lahu
لَّهُۥ
জন্যে তাঁর
ṣāḥibatun
صَٰحِبَةٌۖ
কোনো সঙ্গিনী
wakhalaqa
وَخَلَقَ
এবং তিনি সৃষ্টি করেছেন
kulla
كُلَّ
সব
shayin
شَىْءٍۖ
কিছুই
wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনি
bikulli
بِكُلِّ
সম্পর্কে সব
shayin
شَىْءٍ
কিছু
ʿalīmun
عَلِيمٌ
সবিশেষ অবহিত
তিনি আকাশমন্ডলী ও যমীনের উদ্ভাবক, কীভাবে তাঁর সন্তান হতে পারে যেহেতু তাঁর কোন সঙ্গীণীই নেই, সব কিছু তো তিনিই সৃষ্টি করেছেন, আর প্রতিটি জিনিস সম্পর্কে তিনি পূর্ণ জ্ঞান রাখেন। ([৬] আল আনআম: ১০১)
ব্যাখ্যা
১০২

ذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمْۚ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوْهُ ۚوَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ وَّكِيْلٌ ١٠٢

dhālikumu
ذَٰلِكُمُ
এই (হচ্ছেন)
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ্‌
rabbukum
رَبُّكُمْۖ
তোমাদের রব
لَآ
নেই
ilāha
إِلَٰهَ
কোনো ইলাহ
illā
إِلَّا
ছাড়া
huwa
هُوَۖ
তিনি
khāliqu
خَٰلِقُ
তিনি স্রষ্টা
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুরই
fa-uʿ'budūhu
فَٱعْبُدُوهُۚ
সুতরাং তোমরা ইবাদাত করো তাঁরই
wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনিই
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুর
wakīlun
وَكِيلٌ
তত্ত্বাবধায়ক
এই হলেন তোমাদের প্রতিপালক, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, সব কিছুর স্রষ্টা; কাজেই তোমরা তাঁরই ‘ইবাদাত কর, তিনি সমস্ত বিষয়ের র্কমবিধায়ক। ([৬] আল আনআম: ১০২)
ব্যাখ্যা
১০৩

لَا تُدْرِكُهُ الْاَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْاَبْصَارَۚ وَهُوَ اللَّطِيْفُ الْخَبِيْرُ ١٠٣

لَّا
না
tud'rikuhu
تُدْرِكُهُ
পেতে পারে তাঁকে
l-abṣāru
ٱلْأَبْصَٰرُ
দৃষ্টিশক্তিসমূহ
wahuwa
وَهُوَ
বরং তিনি
yud'riku
يُدْرِكُ
অধিকার করে আছেন
l-abṣāra
ٱلْأَبْصَٰرَۖ
দৃষ্টিশক্তিসমূহকে
wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনি
l-laṭīfu
ٱللَّطِيفُ
সূক্ষ্মদর্শী
l-khabīru
ٱلْخَبِيرُ
সম্যক অবহিত
দৃষ্টি তার নাগাল পায় না বরং তিনিই সকল দৃষ্টি নাগালে রাখেন, তিনি অতিশয় সূক্ষ্ণদর্শী, সব বিষয়ে ওয়াকিফহাল। ([৬] আল আনআম: ১০৩)
ব্যাখ্যা
১০৪

قَدْ جَاۤءَكُمْ بَصَاۤىِٕرُ مِنْ رَّبِّكُمْۚ فَمَنْ اَبْصَرَ فَلِنَفْسِهٖۚ وَمَنْ عَمِيَ فَعَلَيْهَاۗ وَمَآ اَنَا۠ عَلَيْكُمْ بِحَفِيْظٍ ١٠٤

qad
قَدْ
নিশ্চয়ই
jāakum
جَآءَكُم
কাছে এসেছে তোমাদের
baṣāiru
بَصَآئِرُ
প্রত্যক্ষ প্রমাণ (অন্তর্দৃষ্টির আলো)
min
مِن
পক্ষ হতে
rabbikum
رَّبِّكُمْۖ
তোমাদের রবের
faman
فَمَنْ
অতএব যে
abṣara
أَبْصَرَ
দেখবে
falinafsihi
فَلِنَفْسِهِۦۖ
(তা) তবে জন্যে নিজের তার
waman
وَمَنْ
এবং যে
ʿamiya
عَمِىَ
অন্ধ হবে
faʿalayhā
فَعَلَيْهَاۚ
(তার ক্ষতি) তবে তার বিরুদ্ধে যাবে
wamā
وَمَآ
এবং নই
anā
أَنَا۠
আমি
ʿalaykum
عَلَيْكُم
উপর তোমাদের
biḥafīẓin
بِحَفِيظٍ
কোন রক্ষক
তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে (অন্তরের) আলো এসে পৌঁছেছে, যে লোক (এই আলো দিয়ে) দেখবে তাতে তার নিজেরই কল্যাণ হবে, আর যে অন্ধ থাকবে, তার অকল্যাণ তার ঘাড়েই পড়বে। (বাণী পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে আমাকে পাঠানো হয়েছে) আমি তোমাদেরকে পাহারা দেয়ার জন্য দায়িত্বপাপ্ত হইনি। ([৬] আল আনআম: ১০৪)
ব্যাখ্যা
১০৫

وَكَذٰلِكَ نُصَرِّفُ الْاٰيٰتِ وَلِيَقُوْلُوْا دَرَسْتَ وَلِنُبَيِّنَهٗ لِقَوْمٍ يَّعْلَمُوْنَ ١٠٥

wakadhālika
وَكَذَٰلِكَ
এবং এভাবে
nuṣarrifu
نُصَرِّفُ
বারবার বর্ণনা করি আমরা
l-āyāti
ٱلْءَايَٰتِ
নিদর্শনাবলী
waliyaqūlū
وَلِيَقُولُوا۟
এবং তারা যেন (না) বলে
darasta
دَرَسْتَ
"তুমি পড়েছো (কারো কাছে)"
walinubayyinahu
وَلِنُبَيِّنَهُۥ
এবং যেন আমরা স্পষ্ট বর্ণনা করি তা
liqawmin
لِقَوْمٍ
(সেসব) জন্যে সম্প্রদায়ের
yaʿlamūna
يَعْلَمُونَ
(যারা) জ্ঞান রাখে
এভাবেই আমি নিদর্শনগুলোকে বার বার নানাভাবে বর্ননা করি। যার ফলে তারা (অর্থাৎ অবিশ্বাসীরা) বলে, তুমি (এসব কথা অন্যের কাছ থেকে) শিখে নিয়েছ, বস্তুত আমি জ্ঞানী লোকদের জন্য তা সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করি। ([৬] আল আনআম: ১০৫)
ব্যাখ্যা
১০৬

اِتَّبِعْ مَآ اُوْحِيَ اِلَيْكَ مِنْ رَّبِّكَۚ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ وَاَعْرِضْ عَنِ الْمُشْرِكِيْنَ ١٠٦

ittabiʿ
ٱتَّبِعْ
তুমি অনুসরণ করো
مَآ
যা
ūḥiya
أُوحِىَ
ওহী করা হয়েছে
ilayka
إِلَيْكَ
প্রতি তোমার
min
مِن
পক্ষ হতে
rabbika
رَّبِّكَۖ
তোমার রবের
لَآ
নেই
ilāha
إِلَٰهَ
কোনো ইলাহ
illā
إِلَّا
ছাড়া
huwa
هُوَۖ
তিনি
wa-aʿriḍ
وَأَعْرِضْ
এবং উপেক্ষা করো (মুখ ফিরাও)
ʿani
عَنِ
হতে
l-mush'rikīna
ٱلْمُشْرِكِينَ
মুশরিকদের
তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে যে ওয়াহী পাও তার অনুসরণ কর, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তুমি মুশরিকদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও। ([৬] আল আনআম: ১০৬)
ব্যাখ্যা
১০৭

وَلَوْ شَاۤءَ اللّٰهُ مَآ اَشْرَكُوْاۗ وَمَا جَعَلْنٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيْظًاۚ وَمَآ اَنْتَ عَلَيْهِمْ بِوَكِيْلٍ ١٠٧

walaw
وَلَوْ
এবং যদি
shāa
شَآءَ
ইচ্ছে করতেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ্‌
مَآ
না
ashrakū
أَشْرَكُوا۟ۗ
তাঁর শিরক করতো
wamā
وَمَا
এবং না
jaʿalnāka
جَعَلْنَٰكَ
আমরা নিযুক্ত করেছি তোমাকে
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
উপর তাদের
ḥafīẓan
حَفِيظًاۖ
কোনো সংরক্ষক
wamā
وَمَآ
আর নও
anta
أَنتَ
তুমি
ʿalayhim
عَلَيْهِم
উপর তাদের
biwakīlin
بِوَكِيلٍ
কোনো অভিভাবক
আল্লাহ ইচ্ছে করলে তারা আল্লাহর অংশী স্থির করত না, (আসল শিক্ষা তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এখন তারা মানুক বা না মানুক) আমি তোমাকে তাদের উপর পাহারাদার পাঠায়নি (জোর করে আল্লাহর ‘ইবাদাত করিয়ে নেয়ার জন্য), আর তুমি তাদের পক্ষ থেকে কর্মসম্পাদনকারীও নও। ([৬] আল আনআম: ১০৭)
ব্যাখ্যা
১০৮

وَلَا تَسُبُّوا الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَيَسُبُّوا اللّٰهَ عَدْوًاۢ بِغَيْرِ عِلْمٍۗ كَذٰلِكَ زَيَّنَّا لِكُلِّ اُمَّةٍ عَمَلَهُمْۖ ثُمَّ اِلٰى رَبِّهِمْ مَّرْجِعُهُمْ فَيُنَبِّئُهُمْ بِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ ١٠٨

walā
وَلَا
এবং না
tasubbū
تَسُبُّوا۟
তোমরা গালি দিও
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যাদেরকে
yadʿūna
يَدْعُونَ
তারা ডাকে
min
مِن
দিয়ে
dūni
دُونِ
বাদ
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ্‌কে
fayasubbū
فَيَسُبُّوا۟
তবে তারা গালি দিবে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ্‌কে
ʿadwan
عَدْوًۢا
সীমালঙ্ঘন করে
bighayri
بِغَيْرِ
ছাড়া
ʿil'min
عِلْمٍۗ
কোনো জ্ঞান (মূর্খতাবশতঃ)
kadhālika
كَذَٰلِكَ
এভাবে
zayyannā
زَيَّنَّا
সুশোভিত করেছি আমরা
likulli
لِكُلِّ
জন্যে প্রত্যেক
ummatin
أُمَّةٍ
সম্প্রদায়ের
ʿamalahum
عَمَلَهُمْ
কাজকে তাদের
thumma
ثُمَّ
এরপর
ilā
إِلَىٰ
দিকে
rabbihim
رَبِّهِم
রবের তাদের
marjiʿuhum
مَّرْجِعُهُمْ
প্রত্যাবর্তন তাদের (হবে)
fayunabbi-uhum
فَيُنَبِّئُهُم
অতঃপর তাদের জানিয়ে দিবেন
bimā
بِمَا
সে সম্বন্ধে যা
kānū
كَانُوا۟
তারা ছিলো
yaʿmalūna
يَعْمَلُونَ
তারা কাজ করতে
(ওহে মুমিনগণ!) আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে তারা ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিও না, কেননা তারা তাদের অজ্ঞতাপ্রসূত শত্রুতার বশবর্তী হয়ে আল্লাহকে গালি দেবে। আর এভাবেই আমি প্রত্যেক জাতির জন্য তাদের কার্যকলাপকে তাদের দৃষ্টিতে চাকচিক্যময় করে দিয়েছি, অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন (ঘটবে) তাদের প্রতিপালকের নিকট, তখন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দিবেন যা কিছু তারা করতো। ([৬] আল আনআম: ১০৮)
ব্যাখ্যা
১০৯

وَاَقْسَمُوْا بِاللّٰهِ جَهْدَ اَيْمَانِهِمْ لَىِٕنْ جَاۤءَتْهُمْ اٰيَةٌ لَّيُؤْمِنُنَّ بِهَاۗ قُلْ اِنَّمَا الْاٰيٰتُ عِنْدَ اللّٰهِ وَمَا يُشْعِرُكُمْ اَنَّهَآ اِذَا جَاۤءَتْ لَا يُؤْمِنُوْنَ ١٠٩

wa-aqsamū
وَأَقْسَمُوا۟
এবং তারা শপথ করে বলে
bil-lahi
بِٱللَّهِ
নামে আল্লাহ্‌র
jahda
جَهْدَ
কঠিন
aymānihim
أَيْمَٰنِهِمْ
শপথগুলো তাদের
la-in
لَئِن
অবশ্যই যদি
jāathum
جَآءَتْهُمْ
কাছে আসে তাদের
āyatun
ءَايَةٌ
কোনো নিদর্শন
layu'minunna
لَّيُؤْمِنُنَّ
অবশ্যই তারা ঈমান আনবে
bihā
بِهَاۚ
উপর তার
qul
قُلْ
বলো
innamā
إِنَّمَا
"মূলতঃ
l-āyātu
ٱلْءَايَٰتُ
নিদর্শনাবলী
ʿinda
عِندَ
কাছে
l-lahi
ٱللَّهِۖ
আল্লাহ্‌রই"
wamā
وَمَا
এবং কিসে
yush'ʿirukum
يُشْعِرُكُمْ
বোধগম্য করাবে তোমাদের
annahā
أَنَّهَآ
যে তা
idhā
إِذَا
যখন
jāat
جَآءَتْ
আসবে
لَا
না
yu'minūna
يُؤْمِنُونَ
তারা ঈমান আনবে
তারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করে বলে- তাদের নিকট যদি কোন নিদর্শন আসত তবে তারা অবশ্যই তাঁর প্রতি ঈমান আনত। বল, নিদর্শন (আনার ব্যাপারটি) হল আল্লাহর ইখতিয়ারভুক্ত। নিদর্শন আসলেও তারা যে ঈমান আনবে না, এ কথা কীভাবে তোমাদেরকে বুঝানো যাবে? ([৬] আল আনআম: ১০৯)
ব্যাখ্যা
১১০

وَنُقَلِّبُ اَفْـِٕدَتَهُمْ وَاَبْصَارَهُمْ كَمَا لَمْ يُؤْمِنُوْا بِهٖٓ اَوَّلَ مَرَّةٍ وَّنَذَرُهُمْ فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ ࣖ ۔ ١١٠

wanuqallibu
وَنُقَلِّبُ
এবং ফিরিয়ে দিবো আমরা
afidatahum
أَفْـِٔدَتَهُمْ
অন্তরগুলোকে তাদের
wa-abṣārahum
وَأَبْصَٰرَهُمْ
ও দৃষ্টিগুলোকে তাদের
kamā
كَمَا
যেমন
lam
لَمْ
নি
yu'minū
يُؤْمِنُوا۟
তারা ঈমান আনে
bihi
بِهِۦٓ
উপর তার
awwala
أَوَّلَ
প্রথম
marratin
مَرَّةٍ
বার
wanadharuhum
وَنَذَرُهُمْ
ও ছেড়ে দিবো আমরা তাদের
فِى
মধ্যে
ṭugh'yānihim
طُغْيَٰنِهِمْ
অবাধ্যতার তাদের
yaʿmahūna
يَعْمَهُونَ
তারা উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে
আর আমিও এদের অন্তর ও দৃষ্টিসমূহকে (অন্য দিকে) ফিরিয়ে দেব, আর তাদেরকে তাদের অবাধ্যতার ঘূর্ণিপাকে অন্ধের মত ঘুরে মরার সুযোগ দেব। ([৬] আল আনআম: ১১০)
ব্যাখ্যা