وَاِذْ اَوْحَيْتُ اِلَى الْحَوَارِيّٖنَ اَنْ اٰمِنُوْا بِيْ وَبِرَسُوْلِيْ ۚ قَالُوْٓا اٰمَنَّا وَاشْهَدْ بِاَنَّنَا مُسْلِمُوْنَ ١١١
- wa-idh
- وَإِذْ
- এবং যখন
- awḥaytu
- أَوْحَيْتُ
- প্রেরণা দিয়েছিলাম
- ilā
- إِلَى
- প্রতি
- l-ḥawāriyīna
- ٱلْحَوَارِيِّۦنَ
- হাওয়ারীদের
- an
- أَنْ
- যে
- āminū
- ءَامِنُوا۟
- ঈমান আনো
- bī
- بِى
- প্রতি আমার
- wabirasūlī
- وَبِرَسُولِى
- ও প্রতি আমার রাসূলের
- qālū
- قَالُوٓا۟
- তারা বলেছিলো
- āmannā
- ءَامَنَّا
- "ঈমান আনলাম আমরা
- wa-ish'had
- وَٱشْهَدْ
- ও সাক্ষী থাকো
- bi-annanā
- بِأَنَّنَا
- যে আমরা
- mus'limūna
- مُسْلِمُونَ
- মুসলমান (হলাম)
স্মরণ কর যখন আমি হাওয়ারীদেরকে হুকুম করেছিলাম যে, আমার প্রতি আর আমার রসূলের প্রতি ঈমান আন; তারা বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম আর তুমি সাক্ষী থেক যে, আমরা মুসলিম। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১১)ব্যাখ্যা
اِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّوْنَ يٰعِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيْعُ رَبُّكَ اَنْ يُّنَزِّلَ عَلَيْنَا مَاۤىِٕدَةً مِّنَ السَّمَاۤءِ ۗقَالَ اتَّقُوا اللّٰهَ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ ١١٢
- idh
- إِذْ
- (স্মরণ করো) যখন
- qāla
- قَالَ
- বলেছিলো
- l-ḥawāriyūna
- ٱلْحَوَارِيُّونَ
- হাওয়ারীরা
- yāʿīsā
- يَٰعِيسَى
- "হে ঈসা
- ib'na
- ٱبْنَ
- পুত্র
- maryama
- مَرْيَمَ
- মারইয়ামের
- hal
- هَلْ
- কি
- yastaṭīʿu
- يَسْتَطِيعُ
- পারেন
- rabbuka
- رَبُّكَ
- তোমার রব
- an
- أَن
- যে
- yunazzila
- يُنَزِّلَ
- অবতীর্ণ করবেন
- ʿalaynā
- عَلَيْنَا
- উপর আমাদের
- māidatan
- مَآئِدَةً
- খাদ্য পূর্ণ পাত্র
- mina
- مِّنَ
- থেকে
- l-samāi
- ٱلسَّمَآءِۖ
- আকাশ"
- qāla
- قَالَ
- সে বলেছিলো
- ittaqū
- ٱتَّقُوا۟
- "তোমরা ভয় করো
- l-laha
- ٱللَّهَ
- আল্লাহকে
- in
- إِن
- যদি
- kuntum
- كُنتُم
- হও তোমরা
- mu'minīna
- مُّؤْمِنِينَ
- মু’মিন"
(স্মরণ কর) যখন হাওয়ারীরা বলেছিল, হে ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম! আপনার প্রতিপালক কি আমাদের নিকট আসমান থেকে খাঞ্চা ভর্তি খাদ্য পাঠাতে পারবেন? সে বলেছিল, তোমরা যদি মু’মিন হয়ে থাক তাহলে আল্লাহকে ভয় কর। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১২)ব্যাখ্যা
قَالُوْا نُرِيْدُ اَنْ نَّأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَىِٕنَّ قُلُوْبُنَا وَنَعْلَمَ اَنْ قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُوْنَ عَلَيْهَا مِنَ الشّٰهِدِيْنَ ١١٣
- qālū
- قَالُوا۟
- তারা বলেছিলো
- nurīdu
- نُرِيدُ
- "চাই আমরা
- an
- أَن
- যে
- nakula
- نَّأْكُلَ
- খাবো আমরা
- min'hā
- مِنْهَا
- থেকে তা (খাদ্য)
- wataṭma-inna
- وَتَطْمَئِنَّ
- ও প্রশান্তি লাভ করবে
- qulūbunā
- قُلُوبُنَا
- অন্তরগুলো আমাদের
- wanaʿlama
- وَنَعْلَمَ
- এবং আমরা জানবো
- an
- أَن
- যে
- qad
- قَدْ
- নিশ্চয়ই
- ṣadaqtanā
- صَدَقْتَنَا
- তুমি সত্য বলেছো আমাদেরকে
- wanakūna
- وَنَكُونَ
- এবং হবো আমরা
- ʿalayhā
- عَلَيْهَا
- উপর তার
- mina
- مِنَ
- অন্তর্ভূক্ত
- l-shāhidīna
- ٱلشَّٰهِدِينَ
- সাক্ষীদাতাদের
তারা বলেছিল, আমরা চাই যে আমরা তাত্থেকে কিছু খাব, তাতে আমাদের অন্তর পরিতৃপ্তি লাভ করবে, আর আমরা জানতে পারব যে, আপনি আমাদেরকে সত্য বলেছেন, আর সে ব্যাপারে আমরা সাক্ষী হয়ে থাকব। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৩)ব্যাখ্যা
قَالَ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللهم رَبَّنَآ اَنْزِلْ عَلَيْنَا مَاۤىِٕدَةً مِّنَ السَّمَاۤءِ تَكُوْنُ لَنَا عِيْدًا لِّاَوَّلِنَا وَاٰخِرِنَا وَاٰيَةً مِّنْكَ وَارْزُقْنَا وَاَنْتَ خَيْرُ الرّٰزِقِيْنَ ١١٤
- qāla
- قَالَ
- (তখন) বলেছিলো
- ʿīsā
- عِيسَى
- ঈসা
- ub'nu
- ٱبْنُ
- পুত্র্র
- maryama
- مَرْيَمَ
- মারইয়ামের
- l-lahuma
- ٱللَّهُمَّ
- "হে আল্লাহ
- rabbanā
- رَبَّنَآ
- হে আমাদের রব
- anzil
- أَنزِلْ
- পাঠান
- ʿalaynā
- عَلَيْنَا
- জন্যে আমাদের
- māidatan
- مَآئِدَةً
- খাদ্যপূর্ণ পাত্র
- mina
- مِّنَ
- থেকে
- l-samāi
- ٱلسَّمَآءِ
- আকাশ
- takūnu
- تَكُونُ
- যা হবে
- lanā
- لَنَا
- জন্যে আমাদের
- ʿīdan
- عِيدًا
- খুশির উপলক্ষ
- li-awwalinā
- لِّأَوَّلِنَا
- জন্যে পূর্ববর্তীদের আমাদের
- waākhirinā
- وَءَاخِرِنَا
- ও পরবর্তীদের আমাদের
- waāyatan
- وَءَايَةً
- ও নিদর্শন (হবে)
- minka
- مِّنكَۖ
- থেকে আপনার
- wa-ur'zuq'nā
- وَٱرْزُقْنَا
- এবং জীবিকা দিন আমাদেরকে
- wa-anta
- وَأَنتَ
- এবং আপনি
- khayru
- خَيْرُ
- উত্তম
- l-rāziqīna
- ٱلرَّٰزِقِينَ
- জীবিকাদাতা
‘ঈসা ইবনু মারইয়াম বলেছিল, হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক আমাদের নিকট আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা প্রেরণ কর যা আমাদের প্রথম থেকে শেষ সকল ব্যক্তির জন্য আনন্দের ব্যাপার হবে আর হবে তোমার থেকে একটা নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তুমিই সর্বোত্তম রিযকদাতা। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৪)ব্যাখ্যা
قَالَ اللّٰهُ اِنِّيْ مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ ۚ فَمَنْ يَّكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَاِنِّيْٓ اُعَذِّبُهٗ عَذَابًا لَّآ اُعَذِّبُهٗٓ اَحَدًا مِّنَ الْعٰلَمِيْنَ ࣖ ١١٥
- qāla
- قَالَ
- বললেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- innī
- إِنِّى
- "নিশ্চয়ই আমি
- munazziluhā
- مُنَزِّلُهَا
- অবতীর্ণকারী তা
- ʿalaykum
- عَلَيْكُمْۖ
- উপর তোমাদের
- faman
- فَمَن
- তবে যে
- yakfur
- يَكْفُرْ
- অস্বীকার করবে
- baʿdu
- بَعْدُ
- এরপরেও
- minkum
- مِنكُمْ
- মধ্য হতে তোমাদের
- fa-innī
- فَإِنِّىٓ
- তখন নিশ্চয়ই আমি
- uʿadhibuhu
- أُعَذِّبُهُۥ
- শাস্তি দিবো আমি তাকে
- ʿadhāban
- عَذَابًا
- (এমন) শাস্তি
- lā
- لَّآ
- (যা) না
- uʿadhibuhu
- أُعَذِّبُهُۥٓ
- আমি শাস্তি দিয়েছি তা
- aḥadan
- أَحَدًا
- কাউকে
- mina
- مِّنَ
- মধ্যে
- l-ʿālamīna
- ٱلْعَٰلَمِينَ
- বিশ্বজগতের"
আল্লাহ বললেন, আমি তোমাদের কাছে তা নাযিল করব, অতঃপর তোমাদের কেউ কুফরী করলে আমি তাকে এমনভাবে শাস্তি প্রদান করব, যে শাস্তি আমি বিশ্বজগতের কাউকে দেইনি। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৫)ব্যাখ্যা
وَاِذْ قَالَ اللّٰهُ يٰعِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ ءَاَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُوْنِيْ وَاُمِّيَ اِلٰهَيْنِ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۗقَالَ سُبْحٰنَكَ مَا يَكُوْنُ لِيْٓ اَنْ اَقُوْلَ مَا لَيْسَ لِيْ بِحَقٍّ ۗاِنْ كُنْتُ قُلْتُهٗ فَقَدْ عَلِمْتَهٗ ۗتَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِيْ وَلَآ اَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِكَ ۗاِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ ١١٦
- wa-idh
- وَإِذْ
- এবং যখন
- qāla
- قَالَ
- বলবেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- yāʿīsā
- يَٰعِيسَى
- "হে ঈসা
- ib'na
- ٱبْنَ
- পুত্র
- maryama
- مَرْيَمَ
- মারইয়ামের
- a-anta
- ءَأَنتَ
- কি তুমি
- qul'ta
- قُلْتَ
- বলেছিলে
- lilnnāsi
- لِلنَّاسِ
- উদ্দেশ্যে লোকদের
- ittakhidhūnī
- ٱتَّخِذُونِى
- "তোমরা গ্রহণ করো আমাকে
- wa-ummiya
- وَأُمِّىَ
- ও আমার মাকে
- ilāhayni
- إِلَٰهَيْنِ
- দুই ইলাহরূপে
- min
- مِن
- দিয়ে
- dūni
- دُونِ
- বাদ
- l-lahi
- ٱللَّهِۖ
- আল্লাহকে"
- qāla
- قَالَ
- সে বলবে
- sub'ḥānaka
- سُبْحَٰنَكَ
- "মহিমাময় আপনি
- mā
- مَا
- না
- yakūnu
- يَكُونُ
- সঙ্গত
- lī
- لِىٓ
- জন্যে আমার
- an
- أَنْ
- যে
- aqūla
- أَقُولَ
- বলবো আমি
- mā
- مَا
- যা
- laysa
- لَيْسَ
- নয়
- lī
- لِى
- আমার
- biḥaqqin
- بِحَقٍّۚ
- অধিকার
- in
- إِن
- যদি
- kuntu
- كُنتُ
- আমি বলে থাকি
- qul'tuhu
- قُلْتُهُۥ
- আমি তা
- faqad
- فَقَدْ
- তবে নিশ্চয়ই
- ʿalim'tahu
- عَلِمْتَهُۥۚ
- আপনি জানেন তা
- taʿlamu
- تَعْلَمُ
- জানেন আপনি
- mā
- مَا
- যা কিছু
- fī
- فِى
- মধ্যে (আছে)
- nafsī
- نَفْسِى
- আমার অন্তরের
- walā
- وَلَآ
- এবং না
- aʿlamu
- أَعْلَمُ
- জানি আমি
- mā
- مَا
- যা কিছু
- fī
- فِى
- মধ্যে (আছে)
- nafsika
- نَفْسِكَۚ
- আপনার মনের
- innaka
- إِنَّكَ
- নিশ্চয়ই আপনি
- anta
- أَنتَ
- আপনিই
- ʿallāmu
- عَلَّٰمُ
- সর্বাধিক পরিজ্ঞাত
- l-ghuyūbi
- ٱلْغُيُوبِ
- অদৃশ্য সম্বন্ধে
স্মরণ কর, যখন আল্লাহ ঈসা ইবনু মারইয়ামকে বললেন, তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে আর আমার মাতাকে ইলাহ বানিয়ে নাও।’ (উত্তরে) সে বলেছিল, ‘পবিত্র মহান তুমি, এমন কথা বলা আমার শোভা পায় না যে কথা বলার কোন অধিকার আমার নেই, আমি যদি তা বলতাম, সেটা তো তুমি জানতেই; আমার অন্তরে কী আছে তা তুমি জান কিন্তু তোমার অন্তরে কী আছে তা আমি জানি না, তুমি অবশ্যই যাবতীয় গোপনীয় তত্ত্ব সম্পর্কে পূর্ণরূপে ওয়াকেফহাল। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৬)ব্যাখ্যা
مَا قُلْتُ لَهُمْ اِلَّا مَآ اَمَرْتَنِيْ بِهٖٓ اَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ رَبِّيْ وَرَبَّكُمْ ۚوَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيْدًا مَّا دُمْتُ فِيْهِمْ ۚ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِيْ كُنْتَ اَنْتَ الرَّقِيْبَ عَلَيْهِمْ ۗوَاَنْتَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيْدٌ ١١٧
- mā
- مَا
- না
- qul'tu
- قُلْتُ
- আমি বলেছি
- lahum
- لَهُمْ
- উদ্দেশ্যে তাদের
- illā
- إِلَّا
- এ ছাড়া
- mā
- مَآ
- যা
- amartanī
- أَمَرْتَنِى
- আপনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন
- bihi
- بِهِۦٓ
- সম্পর্কে সে
- ani
- أَنِ
- যে
- uʿ'budū
- ٱعْبُدُوا۟
- "তোমরা ইবাদত করো
- l-laha
- ٱللَّهَ
- আল্লাহর (যিনি)
- rabbī
- رَبِّى
- আমার রব
- warabbakum
- وَرَبَّكُمْۚ
- ও রব তোমাদের"
- wakuntu
- وَكُنتُ
- এবং আমি ছিলাম
- ʿalayhim
- عَلَيْهِمْ
- উপর তাদের
- shahīdan
- شَهِيدًا
- সাক্ষী
- mā
- مَّا
- যতক্ষণ
- dum'tu
- دُمْتُ
- আমি ছিলাম
- fīhim
- فِيهِمْۖ
- মধ্যে তাদের (উপস্থিত)
- falammā
- فَلَمَّا
- অতঃপর যখন
- tawaffaytanī
- تَوَفَّيْتَنِى
- আমাকে উঠিয়ে নিলেন আপনি
- kunta
- كُنتَ
- আপনি ছিলেন
- anta
- أَنتَ
- আপনি
- l-raqība
- ٱلرَّقِيبَ
- তত্ত্বাবধায়ক
- ʿalayhim
- عَلَيْهِمْۚ
- উপর তাদের
- wa-anta
- وَأَنتَ
- এবং আপনি
- ʿalā
- عَلَىٰ
- উপর
- kulli
- كُلِّ
- সব
- shayin
- شَىْءٍ
- কিছুরই
- shahīdun
- شَهِيدٌ
- সাক্ষী
তুমি আমাকে যে ব্যাপারে নির্দেশ করেছ তা ছাড়া আমি তাদেরকে অন্য কিছুই বলিনি, (তা এই) যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর যিনি আমার ও তোমাদের প্রতিপালক, আর তাদের কাজ কর্মের ব্যাপারে সাক্ষী ছিলাম যদ্দিন আমি তাদের মাঝে ছিলাম, অতঃপর যখন তুমি আমাকে উঠিয়ে নিলে, তখন তুমিই ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক, আর তুমি হলে প্রত্যেক ব্যাপারে সাক্ষী। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৭)ব্যাখ্যা
اِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَاِنَّهُمْ عِبَادُكَ ۚوَاِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَاِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ ١١٨
- in
- إِن
- (এখন) যদি
- tuʿadhib'hum
- تُعَذِّبْهُمْ
- শাস্তি দেন আপনি তাদের
- fa-innahum
- فَإِنَّهُمْ
- তবুও নিশ্চয়ই তারা
- ʿibāduka
- عِبَادُكَۖ
- দাস আপনার
- wa-in
- وَإِن
- আর যদি
- taghfir
- تَغْفِرْ
- ক্ষমা করেন আপনি
- lahum
- لَهُمْ
- প্রতি তাদের
- fa-innaka
- فَإِنَّكَ
- তবুও নিশ্চয়ই আপনি
- anta
- أَنتَ
- আপনিই
- l-ʿazīzu
- ٱلْعَزِيزُ
- পরাক্রমশালী
- l-ḥakīmu
- ٱلْحَكِيمُ
- প্রজ্ঞাময়"
তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তোমারই বান্দাহ আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর তুমি তো মহাপরাক্রান্ত মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী।’ ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৮)ব্যাখ্যা
قَالَ اللّٰهُ هٰذَا يَوْمُ يَنْفَعُ الصّٰدِقِيْنَ صِدْقُهُمْ ۗ لَهُمْ جَنّٰتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَآ اَبَدًا ۗرَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ ۗذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ ١١٩
- qāla
- قَالَ
- (তখন) বলবেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- hādhā
- هَٰذَا
- "এই
- yawmu
- يَوْمُ
- দিনে
- yanfaʿu
- يَنفَعُ
- উপকার দিবে
- l-ṣādiqīna
- ٱلصَّٰدِقِينَ
- সত্যবাদীদেরকে
- ṣid'quhum
- صِدْقُهُمْۚ
- সত্যতা তাদের"
- lahum
- لَهُمْ
- জন্যে তাদের (রয়েছে)
- jannātun
- جَنَّٰتٌ
- জান্নাত
- tajrī
- تَجْرِى
- প্রবাহিত হয়
- min
- مِن
- দিয়ে
- taḥtihā
- تَحْتِهَا
- নিচ তার
- l-anhāru
- ٱلْأَنْهَٰرُ
- ঝর্ণাধারাসমূহ
- khālidīna
- خَٰلِدِينَ
- তারা স্হায়ীভাবে বসবাস করবে
- fīhā
- فِيهَآ
- মধ্যে তার
- abadan
- أَبَدًاۚ
- সর্বদাই"
- raḍiya
- رَّضِىَ
- সন্তুষ্ট হয়েছেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- ʿanhum
- عَنْهُمْ
- প্রতি তাদের
- waraḍū
- وَرَضُوا۟
- ও তারা সন্তুষ্ট হয়েছে
- ʿanhu
- عَنْهُۚ
- প্রতি তাঁর
- dhālika
- ذَٰلِكَ
- এটা
- l-fawzu
- ٱلْفَوْزُ
- সাফল্য
- l-ʿaẓīmu
- ٱلْعَظِيمُ
- মহা
আল্লাহ বলবেন, আজকের দিনে সত্যপন্থীদের সত্যপন্থা উপকার দিবে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে তারা স্থায়ী হয়ে চিরকাল থাকবে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। এটাই হল মহা সাফল্য। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৯)ব্যাখ্যা
لِلّٰهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَمَا فِيْهِنَّ ۗوَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ࣖ ١٢٠
- lillahi
- لِلَّهِ
- জন্যে আল্লাহর(রয়েছে)
- mul'ku
- مُلْكُ
- সার্বভৌমত্ব
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- আকাশসমূহের
- wal-arḍi
- وَٱلْأَرْضِ
- ও পৃথিবীর
- wamā
- وَمَا
- এবং যা কিছু
- fīhinna
- فِيهِنَّۚ
- মধ্যে তাদের (আছে)
- wahuwa
- وَهُوَ
- এবং তিনি
- ʿalā
- عَلَىٰ
- উপর
- kulli
- كُلِّ
- সব
- shayin
- شَىْءٍ
- কিছুরই
- qadīrun
- قَدِيرٌۢ
- সর্বশক্তিমান
আসমানসমূহের আর যমীনের আর এদের মাঝে যা কিছু আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই, আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। ([৫] আল মায়িদাহ: ১২০)ব্যাখ্যা