Skip to content

সূরা আল মায়িদাহ - Page: 12

Al-Ma'idah

(al-Māʾidah)

১১১

وَاِذْ اَوْحَيْتُ اِلَى الْحَوَارِيّٖنَ اَنْ اٰمِنُوْا بِيْ وَبِرَسُوْلِيْ ۚ قَالُوْٓا اٰمَنَّا وَاشْهَدْ بِاَنَّنَا مُسْلِمُوْنَ ١١١

wa-idh
وَإِذْ
এবং যখন
awḥaytu
أَوْحَيْتُ
প্রেরণা দিয়েছিলাম
ilā
إِلَى
প্রতি
l-ḥawāriyīna
ٱلْحَوَارِيِّۦنَ
হাওয়ারীদের
an
أَنْ
যে
āminū
ءَامِنُوا۟
ঈমান আনো
بِى
প্রতি আমার
wabirasūlī
وَبِرَسُولِى
ও প্রতি আমার রাসূলের
qālū
قَالُوٓا۟
তারা বলেছিলো
āmannā
ءَامَنَّا
"ঈমান আনলাম আমরা
wa-ish'had
وَٱشْهَدْ
ও সাক্ষী থাকো
bi-annanā
بِأَنَّنَا
যে আমরা
mus'limūna
مُسْلِمُونَ
মুসলমান (হলাম)
স্মরণ কর যখন আমি হাওয়ারীদেরকে হুকুম করেছিলাম যে, আমার প্রতি আর আমার রসূলের প্রতি ঈমান আন; তারা বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম আর তুমি সাক্ষী থেক যে, আমরা মুসলিম। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১১)
ব্যাখ্যা
১১২

اِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّوْنَ يٰعِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيْعُ رَبُّكَ اَنْ يُّنَزِّلَ عَلَيْنَا مَاۤىِٕدَةً مِّنَ السَّمَاۤءِ ۗقَالَ اتَّقُوا اللّٰهَ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ ١١٢

idh
إِذْ
(স্মরণ করো) যখন
qāla
قَالَ
বলেছিলো
l-ḥawāriyūna
ٱلْحَوَارِيُّونَ
হাওয়ারীরা
yāʿīsā
يَٰعِيسَى
"হে ঈসা
ib'na
ٱبْنَ
পুত্র
maryama
مَرْيَمَ
মারইয়ামের
hal
هَلْ
কি
yastaṭīʿu
يَسْتَطِيعُ
পারেন
rabbuka
رَبُّكَ
তোমার রব
an
أَن
যে
yunazzila
يُنَزِّلَ
অবতীর্ণ করবেন
ʿalaynā
عَلَيْنَا
উপর আমাদের
māidatan
مَآئِدَةً
খাদ্য পূর্ণ পাত্র
mina
مِّنَ
থেকে
l-samāi
ٱلسَّمَآءِۖ
আকাশ"
qāla
قَالَ
সে বলেছিলো
ittaqū
ٱتَّقُوا۟
"তোমরা ভয় করো
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহকে
in
إِن
যদি
kuntum
كُنتُم
হও তোমরা
mu'minīna
مُّؤْمِنِينَ
মু’মিন"
(স্মরণ কর) যখন হাওয়ারীরা বলেছিল, হে ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম! আপনার প্রতিপালক কি আমাদের নিকট আসমান থেকে খাঞ্চা ভর্তি খাদ্য পাঠাতে পারবেন? সে বলেছিল, তোমরা যদি মু’মিন হয়ে থাক তাহলে আল্লাহকে ভয় কর। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১২)
ব্যাখ্যা
১১৩

قَالُوْا نُرِيْدُ اَنْ نَّأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَىِٕنَّ قُلُوْبُنَا وَنَعْلَمَ اَنْ قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُوْنَ عَلَيْهَا مِنَ الشّٰهِدِيْنَ ١١٣

qālū
قَالُوا۟
তারা বলেছিলো
nurīdu
نُرِيدُ
"চাই আমরা
an
أَن
যে
nakula
نَّأْكُلَ
খাবো আমরা
min'hā
مِنْهَا
থেকে তা (খাদ্য)
wataṭma-inna
وَتَطْمَئِنَّ
ও প্রশান্তি লাভ করবে
qulūbunā
قُلُوبُنَا
অন্তরগুলো আমাদের
wanaʿlama
وَنَعْلَمَ
এবং আমরা জানবো
an
أَن
যে
qad
قَدْ
নিশ্চয়ই
ṣadaqtanā
صَدَقْتَنَا
তুমি সত্য বলেছো আমাদেরকে
wanakūna
وَنَكُونَ
এবং হবো আমরা
ʿalayhā
عَلَيْهَا
উপর তার
mina
مِنَ
অন্তর্ভূক্ত
l-shāhidīna
ٱلشَّٰهِدِينَ
সাক্ষীদাতাদের
তারা বলেছিল, আমরা চাই যে আমরা তাত্থেকে কিছু খাব, তাতে আমাদের অন্তর পরিতৃপ্তি লাভ করবে, আর আমরা জানতে পারব যে, আপনি আমাদেরকে সত্য বলেছেন, আর সে ব্যাপারে আমরা সাক্ষী হয়ে থাকব। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৩)
ব্যাখ্যা
১১৪

قَالَ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللهم رَبَّنَآ اَنْزِلْ عَلَيْنَا مَاۤىِٕدَةً مِّنَ السَّمَاۤءِ تَكُوْنُ لَنَا عِيْدًا لِّاَوَّلِنَا وَاٰخِرِنَا وَاٰيَةً مِّنْكَ وَارْزُقْنَا وَاَنْتَ خَيْرُ الرّٰزِقِيْنَ ١١٤

qāla
قَالَ
(তখন) বলেছিলো
ʿīsā
عِيسَى
ঈসা
ub'nu
ٱبْنُ
পুত্র্র
maryama
مَرْيَمَ
মারইয়ামের
l-lahuma
ٱللَّهُمَّ
"হে আল্লাহ
rabbanā
رَبَّنَآ
হে আমাদের রব
anzil
أَنزِلْ
পাঠান
ʿalaynā
عَلَيْنَا
জন্যে আমাদের
māidatan
مَآئِدَةً
খাদ্যপূর্ণ পাত্র
mina
مِّنَ
থেকে
l-samāi
ٱلسَّمَآءِ
আকাশ
takūnu
تَكُونُ
যা হবে
lanā
لَنَا
জন্যে আমাদের
ʿīdan
عِيدًا
খুশির উপলক্ষ
li-awwalinā
لِّأَوَّلِنَا
জন্যে পূর্ববর্তীদের আমাদের
waākhirinā
وَءَاخِرِنَا
ও পরবর্তীদের আমাদের
waāyatan
وَءَايَةً
ও নিদর্শন (হবে)
minka
مِّنكَۖ
থেকে আপনার
wa-ur'zuq'nā
وَٱرْزُقْنَا
এবং জীবিকা দিন আমাদেরকে
wa-anta
وَأَنتَ
এবং আপনি
khayru
خَيْرُ
উত্তম
l-rāziqīna
ٱلرَّٰزِقِينَ
জীবিকাদাতা
‘ঈসা ইবনু মারইয়াম বলেছিল, হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক আমাদের নিকট আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা প্রেরণ কর যা আমাদের প্রথম থেকে শেষ সকল ব্যক্তির জন্য আনন্দের ব্যাপার হবে আর হবে তোমার থেকে একটা নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তুমিই সর্বোত্তম রিযকদাতা। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৪)
ব্যাখ্যা
১১৫

قَالَ اللّٰهُ اِنِّيْ مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ ۚ فَمَنْ يَّكْفُرْ بَعْدُ مِنْكُمْ فَاِنِّيْٓ اُعَذِّبُهٗ عَذَابًا لَّآ اُعَذِّبُهٗٓ اَحَدًا مِّنَ الْعٰلَمِيْنَ ࣖ ١١٥

qāla
قَالَ
বললেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
innī
إِنِّى
"নিশ্চয়ই আমি
munazziluhā
مُنَزِّلُهَا
অবতীর্ণকারী তা
ʿalaykum
عَلَيْكُمْۖ
উপর তোমাদের
faman
فَمَن
তবে যে
yakfur
يَكْفُرْ
অস্বীকার করবে
baʿdu
بَعْدُ
এরপরেও
minkum
مِنكُمْ
মধ্য হতে তোমাদের
fa-innī
فَإِنِّىٓ
তখন নিশ্চয়ই আমি
uʿadhibuhu
أُعَذِّبُهُۥ
শাস্তি দিবো আমি তাকে
ʿadhāban
عَذَابًا
(এমন) শাস্তি
لَّآ
(যা) না
uʿadhibuhu
أُعَذِّبُهُۥٓ
আমি শাস্তি দিয়েছি তা
aḥadan
أَحَدًا
কাউকে
mina
مِّنَ
মধ্যে
l-ʿālamīna
ٱلْعَٰلَمِينَ
বিশ্বজগতের"
আল্লাহ বললেন, আমি তোমাদের কাছে তা নাযিল করব, অতঃপর তোমাদের কেউ কুফরী করলে আমি তাকে এমনভাবে শাস্তি প্রদান করব, যে শাস্তি আমি বিশ্বজগতের কাউকে দেইনি। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৫)
ব্যাখ্যা
১১৬

وَاِذْ قَالَ اللّٰهُ يٰعِيْسَى ابْنَ مَرْيَمَ ءَاَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُوْنِيْ وَاُمِّيَ اِلٰهَيْنِ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۗقَالَ سُبْحٰنَكَ مَا يَكُوْنُ لِيْٓ اَنْ اَقُوْلَ مَا لَيْسَ لِيْ بِحَقٍّ ۗاِنْ كُنْتُ قُلْتُهٗ فَقَدْ عَلِمْتَهٗ ۗتَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِيْ وَلَآ اَعْلَمُ مَا فِيْ نَفْسِكَ ۗاِنَّكَ اَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ ١١٦

wa-idh
وَإِذْ
এবং যখন
qāla
قَالَ
বলবেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
yāʿīsā
يَٰعِيسَى
"হে ঈসা
ib'na
ٱبْنَ
পুত্র
maryama
مَرْيَمَ
মারইয়ামের
a-anta
ءَأَنتَ
কি তুমি
qul'ta
قُلْتَ
বলেছিলে
lilnnāsi
لِلنَّاسِ
উদ্দেশ্যে লোকদের
ittakhidhūnī
ٱتَّخِذُونِى
"তোমরা গ্রহণ করো আমাকে
wa-ummiya
وَأُمِّىَ
ও আমার মাকে
ilāhayni
إِلَٰهَيْنِ
দুই ইলাহরূপে
min
مِن
দিয়ে
dūni
دُونِ
বাদ
l-lahi
ٱللَّهِۖ
আল্লাহকে"
qāla
قَالَ
সে বলবে
sub'ḥānaka
سُبْحَٰنَكَ
"মহিমাময় আপনি
مَا
না
yakūnu
يَكُونُ
সঙ্গত
لِىٓ
জন্যে আমার
an
أَنْ
যে
aqūla
أَقُولَ
বলবো আমি
مَا
যা
laysa
لَيْسَ
নয়
لِى
আমার
biḥaqqin
بِحَقٍّۚ
অধিকার
in
إِن
যদি
kuntu
كُنتُ
আমি বলে থাকি
qul'tuhu
قُلْتُهُۥ
আমি তা
faqad
فَقَدْ
তবে নিশ্চয়ই
ʿalim'tahu
عَلِمْتَهُۥۚ
আপনি জানেন তা
taʿlamu
تَعْلَمُ
জানেন আপনি
مَا
যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
nafsī
نَفْسِى
আমার অন্তরের
walā
وَلَآ
এবং না
aʿlamu
أَعْلَمُ
জানি আমি
مَا
যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
nafsika
نَفْسِكَۚ
আপনার মনের
innaka
إِنَّكَ
নিশ্চয়ই আপনি
anta
أَنتَ
আপনিই
ʿallāmu
عَلَّٰمُ
সর্বাধিক পরিজ্ঞাত
l-ghuyūbi
ٱلْغُيُوبِ
অদৃশ্য সম্বন্ধে
স্মরণ কর, যখন আল্লাহ ঈসা ইবনু মারইয়ামকে বললেন, তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে আর আমার মাতাকে ইলাহ বানিয়ে নাও।’ (উত্তরে) সে বলেছিল, ‘পবিত্র মহান তুমি, এমন কথা বলা আমার শোভা পায় না যে কথা বলার কোন অধিকার আমার নেই, আমি যদি তা বলতাম, সেটা তো তুমি জানতেই; আমার অন্তরে কী আছে তা তুমি জান কিন্তু তোমার অন্তরে কী আছে তা আমি জানি না, তুমি অবশ্যই যাবতীয় গোপনীয় তত্ত্ব সম্পর্কে পূর্ণরূপে ওয়াকেফহাল। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৬)
ব্যাখ্যা
১১৭

مَا قُلْتُ لَهُمْ اِلَّا مَآ اَمَرْتَنِيْ بِهٖٓ اَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ رَبِّيْ وَرَبَّكُمْ ۚوَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيْدًا مَّا دُمْتُ فِيْهِمْ ۚ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِيْ كُنْتَ اَنْتَ الرَّقِيْبَ عَلَيْهِمْ ۗوَاَنْتَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيْدٌ ١١٧

مَا
না
qul'tu
قُلْتُ
আমি বলেছি
lahum
لَهُمْ
উদ্দেশ্যে তাদের
illā
إِلَّا
এ ছাড়া
مَآ
যা
amartanī
أَمَرْتَنِى
আপনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন
bihi
بِهِۦٓ
সম্পর্কে সে
ani
أَنِ
যে
uʿ'budū
ٱعْبُدُوا۟
"তোমরা ইবাদত করো
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহর (যিনি)
rabbī
رَبِّى
আমার রব
warabbakum
وَرَبَّكُمْۚ
ও রব তোমাদের"
wakuntu
وَكُنتُ
এবং আমি ছিলাম
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
উপর তাদের
shahīdan
شَهِيدًا
সাক্ষী
مَّا
যতক্ষণ
dum'tu
دُمْتُ
আমি ছিলাম
fīhim
فِيهِمْۖ
মধ্যে তাদের (উপস্থিত)
falammā
فَلَمَّا
অতঃপর যখন
tawaffaytanī
تَوَفَّيْتَنِى
আমাকে উঠিয়ে নিলেন আপনি
kunta
كُنتَ
আপনি ছিলেন
anta
أَنتَ
আপনি
l-raqība
ٱلرَّقِيبَ
তত্ত্বাবধায়ক
ʿalayhim
عَلَيْهِمْۚ
উপর তাদের
wa-anta
وَأَنتَ
এবং আপনি
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুরই
shahīdun
شَهِيدٌ
সাক্ষী
তুমি আমাকে যে ব্যাপারে নির্দেশ করেছ তা ছাড়া আমি তাদেরকে অন্য কিছুই বলিনি, (তা এই) যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর যিনি আমার ও তোমাদের প্রতিপালক, আর তাদের কাজ কর্মের ব্যাপারে সাক্ষী ছিলাম যদ্দিন আমি তাদের মাঝে ছিলাম, অতঃপর যখন তুমি আমাকে উঠিয়ে নিলে, তখন তুমিই ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক, আর তুমি হলে প্রত্যেক ব্যাপারে সাক্ষী। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৭)
ব্যাখ্যা
১১৮

اِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَاِنَّهُمْ عِبَادُكَ ۚوَاِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَاِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ ١١٨

in
إِن
(এখন) যদি
tuʿadhib'hum
تُعَذِّبْهُمْ
শাস্তি দেন আপনি তাদের
fa-innahum
فَإِنَّهُمْ
তবুও নিশ্চয়ই তারা
ʿibāduka
عِبَادُكَۖ
দাস আপনার
wa-in
وَإِن
আর যদি
taghfir
تَغْفِرْ
ক্ষমা করেন আপনি
lahum
لَهُمْ
প্রতি তাদের
fa-innaka
فَإِنَّكَ
তবুও নিশ্চয়ই আপনি
anta
أَنتَ
আপনিই
l-ʿazīzu
ٱلْعَزِيزُ
পরাক্রমশালী
l-ḥakīmu
ٱلْحَكِيمُ
প্রজ্ঞাময়"
তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তোমারই বান্দাহ আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর তুমি তো মহাপরাক্রান্ত মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী।’ ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৮)
ব্যাখ্যা
১১৯

قَالَ اللّٰهُ هٰذَا يَوْمُ يَنْفَعُ الصّٰدِقِيْنَ صِدْقُهُمْ ۗ لَهُمْ جَنّٰتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْهَآ اَبَدًا ۗرَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمْ وَرَضُوْا عَنْهُ ۗذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ ١١٩

qāla
قَالَ
(তখন) বলবেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
hādhā
هَٰذَا
"এই
yawmu
يَوْمُ
দিনে
yanfaʿu
يَنفَعُ
উপকার দিবে
l-ṣādiqīna
ٱلصَّٰدِقِينَ
সত্যবাদীদেরকে
ṣid'quhum
صِدْقُهُمْۚ
সত্যতা তাদের"
lahum
لَهُمْ
জন্যে তাদের (রয়েছে)
jannātun
جَنَّٰتٌ
জান্নাত
tajrī
تَجْرِى
প্রবাহিত হয়
min
مِن
দিয়ে
taḥtihā
تَحْتِهَا
নিচ তার
l-anhāru
ٱلْأَنْهَٰرُ
ঝর্ণাধারাসমূহ
khālidīna
خَٰلِدِينَ
তারা স্হায়ীভাবে বসবাস করবে
fīhā
فِيهَآ
মধ্যে তার
abadan
أَبَدًاۚ
সর্বদাই"
raḍiya
رَّضِىَ
সন্তুষ্ট হয়েছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
ʿanhum
عَنْهُمْ
প্রতি তাদের
waraḍū
وَرَضُوا۟
ও তারা সন্তুষ্ট হয়েছে
ʿanhu
عَنْهُۚ
প্রতি তাঁর
dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
l-fawzu
ٱلْفَوْزُ
সাফল্য
l-ʿaẓīmu
ٱلْعَظِيمُ
মহা
আল্লাহ বলবেন, আজকের দিনে সত্যপন্থীদের সত্যপন্থা উপকার দিবে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে তারা স্থায়ী হয়ে চিরকাল থাকবে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। এটাই হল মহা সাফল্য। ([৫] আল মায়িদাহ: ১১৯)
ব্যাখ্যা
১২০

لِلّٰهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَمَا فِيْهِنَّ ۗوَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ࣖ ١٢٠

lillahi
لِلَّهِ
জন্যে আল্লাহর(রয়েছে)
mul'ku
مُلْكُ
সার্বভৌমত্ব
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِ
ও পৃথিবীর
wamā
وَمَا
এবং যা কিছু
fīhinna
فِيهِنَّۚ
মধ্যে তাদের (আছে)
wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনি
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুরই
qadīrun
قَدِيرٌۢ
সর্বশক্তিমান
আসমানসমূহের আর যমীনের আর এদের মাঝে যা কিছু আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই, আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। ([৫] আল মায়িদাহ: ১২০)
ব্যাখ্যা