Skip to content

সূরা আশ-শুরা - Page: 5

Ash-Shuraa

(aš-Šūrā)

৪১

وَلَمَنِ انْتَصَرَ بَعْدَ ظُلْمِهٖ فَاُولٰۤىِٕكَ مَا عَلَيْهِمْ مِّنْ سَبِيْلٍۗ ٤١

walamani
وَلَمَنِ
এবং অবশ্য যে
intaṣara
ٱنتَصَرَ
প্রতিশোধ নেয়
baʿda
بَعْدَ
পরে
ẓul'mihi
ظُلْمِهِۦ
তার নির্যাতনের
fa-ulāika
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
তাদের তবে
مَا
নেই
ʿalayhim
عَلَيْهِم
তাদের বিরুদ্ধে
min
مِّن
কোনো
sabīlin
سَبِيلٍ
ব্যবস্থা
কেউ অত্যাচারিত হয়ে নিজের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নিলে, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। ([৪২] আশ-শুরা: ৪১)
ব্যাখ্যা
৪২

اِنَّمَا السَّبِيْلُ عَلَى الَّذِيْنَ يَظْلِمُوْنَ النَّاسَ وَيَبْغُوْنَ فِى الْاَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّۗ اُولٰۤىِٕكَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِيْمٌ ٤٢

innamā
إِنَّمَا
কেবল
l-sabīlu
ٱلسَّبِيلُ
ব্যবস্থা গ্রহণ
ʿalā
عَلَى
বিরুদ্ধে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
yaẓlimūna
يَظْلِمُونَ
অত্যাচার করে
l-nāsa
ٱلنَّاسَ
মানুষের (উপর)
wayabghūna
وَيَبْغُونَ
এবং বিদ্রোহ করে
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
bighayri
بِغَيْرِ
ছাড়া
l-ḥaqi
ٱلْحَقِّۚ
অহেতুক
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
lahum
لَهُمْ
তাদের জন্যে (রয়েছে)
ʿadhābun
عَذَابٌ
শাস্তি
alīmun
أَلِيمٌ
যন্ত্রণাদায়ক
অভিযোগ তো তাদের বিরুদ্ধে যারা মানুষের প্রতি অত্যাচার করে, আর অন্যায়ভাবে যমীনে বিদ্রোহ সৃষ্টি করে; তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। ([৪২] আশ-শুরা: ৪২)
ব্যাখ্যা
৪৩

وَلَمَنْ صَبَرَ وَغَفَرَ اِنَّ ذٰلِكَ لَمِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ ࣖ ٤٣

walaman
وَلَمَن
এবং যে অবশ্য
ṣabara
صَبَرَ
ধৈর্য্য ধরে
waghafara
وَغَفَرَ
ও মাফ করে
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
lamin
لَمِنْ
অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত
ʿazmi
عَزْمِ
দৃঢ়সংকল্পের (উচ্চমানের)
l-umūri
ٱلْأُمُورِ
কাজসমুহের
আর যে ব্যক্তি (অত্যাচারিত হওয়ার পরও) ধৈর্য ধারণ করে, আর (অত্যাচারীকে) ক্ষমা করে দেয়, তাহলে তা অবশ্যই দৃঢ় চিত্ততার কাজ। ([৪২] আশ-শুরা: ৪৩)
ব্যাখ্যা
৪৪

وَمَنْ يُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ وَّلِيٍّ مِّنْۢ بَعْدِهٖ ۗوَتَرَى الظّٰلِمِيْنَ لَمَّا رَاَوُا الْعَذَابَ يَقُوْلُوْنَ هَلْ اِلٰى مَرَدٍّ مِّنْ سَبِيْلٍۚ ٤٤

waman
وَمَن
এবং যাকে
yuḍ'lili
يُضْلِلِ
পথভ্রষ্ট করেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
famā
فَمَا
তখন নেই
lahu
لَهُۥ
তার জন্যে
min
مِن
কোনো
waliyyin
وَلِىٍّ
অভিভাবক
min
مِّنۢ
থেকে
baʿdihi
بَعْدِهِۦۗ
পরে তাঁর
watarā
وَتَرَى
এবং তুমি দেখবে
l-ẓālimīna
ٱلظَّٰلِمِينَ
সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে
lammā
لَمَّا
যখন
ra-awū
رَأَوُا۟
তারা দেখবে
l-ʿadhāba
ٱلْعَذَابَ
শাস্তি
yaqūlūna
يَقُولُونَ
তারা বলবে
hal
هَلْ
"কি (আছে)
ilā
إِلَىٰ
দিকে
maraddin
مَرَدٍّ
ফেরার
min
مِّن
কোনো
sabīlin
سَبِيلٍ
উপায়"
আল্লাহই যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য তিনি ছাড়া কোন অভিভাবক নেই। তুমি দেখবে, যখন যালিমরা ‘আযাব প্রত্যক্ষ করবে তখন বলবে- ফিরে যাওয়ার কোন পথ আছে কি? ([৪২] আশ-শুরা: ৪৪)
ব্যাখ্যা
৪৫

وَتَرٰىهُمْ يُعْرَضُوْنَ عَلَيْهَا خٰشِعِيْنَ مِنَ الذُّلِّ يَنْظُرُوْنَ مِنْ طَرْفٍ خَفِيٍّۗ وَقَالَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْٓا اِنَّ الْخٰسِرِيْنَ الَّذِيْنَ خَسِرُوْٓا اَنْفُسَهُمْ وَاَهْلِيْهِمْ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۗ اَلَآ اِنَّ الظّٰلِمِيْنَ فِيْ عَذَابٍ مُّقِيْمٍ ٤٥

watarāhum
وَتَرَىٰهُمْ
এবং তাদের দেখবে তুমি
yuʿ'raḍūna
يُعْرَضُونَ
উপস্থিত করা হচ্ছে
ʿalayhā
عَلَيْهَا
তার (অর্থাৎ জাহান্নামের) কাছে
khāshiʿīna
خَٰشِعِينَ
অবনত হয়ে থাকবে
mina
مِنَ
কারণে
l-dhuli
ٱلذُّلِّ
অপমানের
yanẓurūna
يَنظُرُونَ
তারা দেখবে
min
مِن
দিয়ে
ṭarfin
طَرْفٍ
দৃষ্টি
khafiyyin
خَفِىٍّۗ
গোপন
waqāla
وَقَالَ
এবং বলবে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوٓا۟
ঈমান এনেছে
inna
إِنَّ
"নিশ্চয়ই
l-khāsirīna
ٱلْخَٰسِرِينَ
ক্ষতিগ্রস্ত (তারাই)
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
khasirū
خَسِرُوٓا۟
ক্ষতি সাধন করেছে
anfusahum
أَنفُسَهُمْ
তাদের নিজেদেরকে
wa-ahlīhim
وَأَهْلِيهِمْ
এবং তাদের পরিবারকে (সঙ্গী-সাথীদেরকে)
yawma
يَوْمَ
দিনে
l-qiyāmati
ٱلْقِيَٰمَةِۗ
ক্বিয়ামাতের
alā
أَلَآ
জেনে রাখো
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-ẓālimīna
ٱلظَّٰلِمِينَ
সীমালঙ্ঘনকারীরা
فِى
মধ্যে (থাকবে)
ʿadhābin
عَذَابٍ
শাস্তির
muqīmin
مُّقِيمٍ
স্থায়ী
তুমি (আরো) দেখবে, তাদেরকে জাহান্নামের সম্মুখে উপস্থিত করা হবে, তারা থাকবে অপমানে অবনত, তারা লুকিয়ে তাকাবে। আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলবে, সত্যিকার ক্ষতিগ্রস্ত তো তারাই যারা ক্বিয়ামতের দিনে নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সাবধান! যালিমরা থাকবে স্থায়ী ‘আযাবে। ([৪২] আশ-শুরা: ৪৫)
ব্যাখ্যা
৪৬

وَمَا كَانَ لَهُمْ مِّنْ اَوْلِيَاۤءَ يَنْصُرُوْنَهُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ ۗوَمَنْ يُّضْلِلِ اللّٰهُ فَمَا لَهٗ مِنْ سَبِيْلٍ ۗ ٤٦

wamā
وَمَا
এবং না
kāna
كَانَ
হবে
lahum
لَهُم
তাদের জন্যে
min
مِّنْ
কোনো
awliyāa
أَوْلِيَآءَ
অভিভাবক
yanṣurūnahum
يَنصُرُونَهُم
তাদেরকে সাহায্য করতে
min
مِّن
থেকে
dūni
دُونِ
ছাড়া
l-lahi
ٱللَّهِۗ
আল্লাহ
waman
وَمَن
এবং যাকে
yuḍ'lili
يُضْلِلِ
পথভ্রষ্ট করেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
famā
فَمَا
তখন নেই
lahu
لَهُۥ
তার জন্যে
min
مِن
কোনো
sabīlin
سَبِيلٍ
পথ
তাদের কোন অভিভাবক থাকবে না আল্লাহ্ ব্যতীত যারা তাদেরকে সাহায্য করতে পারে। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার (শাস্তি থেকে বাঁচার) কোন রাস্তা নেই। ([৪২] আশ-শুরা: ৪৬)
ব্যাখ্যা
৪৭

اِسْتَجِيْبُوْا لِرَبِّكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ يَّأْتِيَ يَوْمٌ لَّا مَرَدَّ لَهٗ مِنَ اللّٰهِ ۗمَا لَكُمْ مِّنْ مَّلْجَاٍ يَّوْمَىِٕذٍ وَّمَا لَكُمْ مِّنْ نَّكِيْرٍ ٤٧

is'tajībū
ٱسْتَجِيبُوا۟
তোমরা ডাকে সাড়া দাও (মেনে নাও)
lirabbikum
لِرَبِّكُم
তোমাদের রবের (কথা)
min
مِّن
থেকে
qabli
قَبْلِ
(এর) পূর্বেই
an
أَن
যে
yatiya
يَأْتِىَ
আসবে
yawmun
يَوْمٌ
(এমন) দিন
لَّا
নেই
maradda
مَرَدَّ
প্রতিরোধ
lahu
لَهُۥ
তার জন্যে
mina
مِنَ
থেকে
l-lahi
ٱللَّهِۚ
আল্লাহর
مَا
নেই
lakum
لَكُم
তোমাদের জন্যে
min
مِّن
কোনো
malja-in
مَّلْجَإٍ
আশ্রয়স্থল
yawma-idhin
يَوْمَئِذٍ
সেদিন
wamā
وَمَا
আর নেই
lakum
لَكُم
তোমাদের জন্যে
min
مِّن
কোনো
nakīrin
نَّكِيرٍ
প্রতিরোধকারী
তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কথায় সাড়া দাও সেই দিন আসার পূর্বে আল্লাহ (’র হুকুমে যা সংঘটিত হওয়া) থেকে ফিরিয়ে রাখার কেউ নেই। সেদিন তোমাদের জন্য আশ্রয়স্থল থাকবে না, থাকবে না তোমাদের জন্য কোন প্রতিরোধকারী। ([৪২] আশ-শুরা: ৪৭)
ব্যাখ্যা
৪৮

فَاِنْ اَعْرَضُوْا فَمَآ اَرْسَلْنٰكَ عَلَيْهِمْ حَفِيْظًا ۗاِنْ عَلَيْكَ اِلَّا الْبَلٰغُ ۗوَاِنَّآ اِذَآ اَذَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنَّا رَحْمَةً فَرِحَ بِهَا ۚوَاِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ ۢبِمَا قَدَّمَتْ اَيْدِيْهِمْ فَاِنَّ الْاِنْسَانَ كَفُوْرٌ ٤٨

fa-in
فَإِنْ
অতএব যদি
aʿraḍū
أَعْرَضُوا۟
তারা মুখ ফেরায়
famā
فَمَآ
তবে না
arsalnāka
أَرْسَلْنَٰكَ
তোমাকে আমরা পাঠিয়েছি
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
তাদের উপর
ḥafīẓan
حَفِيظًاۖ
রক্ষক করে
in
إِنْ
নেই
ʿalayka
عَلَيْكَ
তোমার উপর (দায়িত্ব)
illā
إِلَّا
এ ব্যতীত
l-balāghu
ٱلْبَلَٰغُۗ
পৌঁছানো
wa-innā
وَإِنَّآ
এবং নিশ্চয়ই আমরা
idhā
إِذَآ
যখন
adhaqnā
أَذَقْنَا
আস্বাদন করাই
l-insāna
ٱلْإِنسَٰنَ
মানুষকে
minnā
مِنَّا
আমাদের থেকে
raḥmatan
رَحْمَةً
অনুগ্রহ
fariḥa
فَرِحَ
উৎফুল্ল হয়
bihā
بِهَاۖ
তা দ্বারা
wa-in
وَإِن
এবং যদি
tuṣib'hum
تُصِبْهُمْ
তাদের পৌঁছে
sayyi-atun
سَيِّئَةٌۢ
অনিষ্ট
bimā
بِمَا
এ কারণে যা
qaddamat
قَدَّمَتْ
আগে করেছে
aydīhim
أَيْدِيهِمْ
তাদের হাতগুলো
fa-inna
فَإِنَّ
নিশ্চয়ই তখন
l-insāna
ٱلْإِنسَٰنَ
মানুষ
kafūrun
كَفُورٌ
অকৃতজ্ঞ হয়
এতদসত্ত্বেও তারা যদি মুখ ফিরিয়েই নেয় (তাহলে ফিরিয়ে নিক, কারণ) আমি তোমাকে তাদের হিফাযাতকারী বানিয়ে পাঠাইনি। কথা পৌঁছে দেয়াই তোমার দায়িত্ব। আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই, তখন সে উৎফুল্ল হয়। আর যখন তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের কোন অনিষ্ট হয়, তখন মানুষ অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়। ([৪২] আশ-শুরা: ৪৮)
ব্যাখ্যা
৪৯

لِلّٰهِ مُلْكُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ يَخْلُقُ مَا يَشَاۤءُ ۗيَهَبُ لِمَنْ يَّشَاۤءُ اِنَاثًا وَّيَهَبُ لِمَنْ يَّشَاۤءُ الذُّكُوْرَ ۙ ٤٩

lillahi
لِّلَّهِ
আল্লাহরই জন্যে
mul'ku
مُلْكُ
সার্বভৌমত্ব
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশের
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۚ
ও পৃথিবীর
yakhluqu
يَخْلُقُ
তিনি সৃষ্টি করেন
مَا
যা
yashāu
يَشَآءُۚ
ইচ্ছে করেন
yahabu
يَهَبُ
তিনি দেন
liman
لِمَن
যাকে
yashāu
يَشَآءُ
ইচ্ছে করেন
ināthan
إِنَٰثًا
কন্যাসমূহ
wayahabu
وَيَهَبُ
এবং তিনি দেন
liman
لِمَن
যাকে
yashāu
يَشَآءُ
ইচ্ছে করেন
l-dhukūra
ٱلذُّكُورَ
পুত্রসমূহ
আসমান ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই, যা চান তিনি সৃষ্টি করেন। যাকে চান কন্যা-সন্তান দেন, যাকে চান পুত্র সন্তান দেন। ([৪২] আশ-শুরা: ৪৯)
ব্যাখ্যা
৫০

اَوْ يُزَوِّجُهُمْ ذُكْرَانًا وَّاِنَاثًا ۚوَيَجْعَلُ مَنْ يَّشَاۤءُ عَقِيْمًا ۗاِنَّهٗ عَلِيْمٌ قَدِيْرٌ ٥٠

aw
أَوْ
অথবা
yuzawwijuhum
يُزَوِّجُهُمْ
তাদেরকে মিলিয়ে দেন
dhuk'rānan
ذُكْرَانًا
পুত্রসমূহ
wa-ināthan
وَإِنَٰثًاۖ
ও কন্যাসমূহ
wayajʿalu
وَيَجْعَلُ
এবং করে দেন
man
مَن
যাকে
yashāu
يَشَآءُ
ইচ্ছে করেন
ʿaqīman
عَقِيمًاۚ
বন্ধ্যা
innahu
إِنَّهُۥ
তিনি নিশ্চয়ই
ʿalīmun
عَلِيمٌ
সর্বজ্ঞ (সবকিছু জানেন)
qadīrun
قَدِيرٌ
সর্বশক্তিমান
অথবা তাদেরকে দেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই। আর যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক অবহিত ও ক্ষমতাবান। ([৪২] আশ-শুরা: ৫০)
ব্যাখ্যা