Skip to content

সূরা আশ-শুরা - Page: 4

Ash-Shuraa

(aš-Šūrā)

৩১

وَمَآ اَنْتُمْ بِمُعْجِزِيْنَ فِى الْاَرْضِۚ وَمَا لَكُمْ مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ مِنْ وَّلِيٍّ وَّلَا نَصِيْرٍ ٣١

wamā
وَمَآ
এবং নও
antum
أَنتُم
তোমরা
bimuʿ'jizīna
بِمُعْجِزِينَ
অক্ষমকারী (আল্লাহকে)
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِۖ
পৃথিবীর
wamā
وَمَا
আর নেই (আছে)
lakum
لَكُم
তোমাদের জন্যে
min
مِّن
থেকে
dūni
دُونِ
ছাড়া
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ
min
مِن
কোনো
waliyyin
وَلِىٍّ
অভিভাবক
walā
وَلَا
আর নেই
naṣīrin
نَصِيرٍ
কোন সাহায্যকারী
তোমরা যমীনে (আল্লাহর কর্ম ও পরিকল্পনাকে) ভন্ডুল (অক্ষম) করতে পারবে না। আল্লাহ ছাড়া তোমাদের না আছে কোন অভিভাবক, আর না আছে সাহায্যকারী। ([৪২] আশ-শুরা: ৩১)
ব্যাখ্যা
৩২

وَمِنْ اٰيٰتِهِ الْجَوَارِ فِى الْبَحْرِ كَالْاَعْلَامِ ۗ ٣٢

wamin
وَمِنْ
এবং মধ্যে রয়েছে
āyātihi
ءَايَٰتِهِ
তাঁর নিদর্শনাবলী
l-jawāri
ٱلْجَوَارِ
নৌযানসমূহ
فِى
মধ্যে
l-baḥri
ٱلْبَحْرِ
সাগরের
kal-aʿlāmi
كَٱلْأَعْلَٰمِ
পাহাড়ের মতো
তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে হল সমুদ্রে নির্বিঘ্নে চলমান জাহাজ- পাহাড়ের মত। ([৪২] আশ-শুরা: ৩২)
ব্যাখ্যা
৩৩

اِنْ يَّشَأْ يُسْكِنِ الرِّيْحَ فَيَظْلَلْنَ رَوَاكِدَ عَلٰى ظَهْرِهٖۗ اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّكُلِّ صَبَّارٍ شَكُوْرٍۙ ٣٣

in
إِن
যদি
yasha
يَشَأْ
ইচ্ছে করেন তিনি
yus'kini
يُسْكِنِ
(থামিয়ে দিবেন) ধরে রাখবেন
l-rīḥa
ٱلرِّيحَ
বাতাসকে
fayaẓlalna
فَيَظْلَلْنَ
ফলে তা হয়ে যাবে
rawākida
رَوَاكِدَ
নিশ্চল
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
ẓahrihi
ظَهْرِهِۦٓۚ
তার উপরিভাগের
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
فِى
মধ্যে রয়েছে
dhālika
ذَٰلِكَ
এর
laāyātin
لَءَايَٰتٍ
অবশ্যই নিদর্শনাবলী
likulli
لِّكُلِّ
জন্যে প্রত্যেক
ṣabbārin
صَبَّارٍ
পূর্ণ ধৈর্য্যশীলের
shakūrin
شَكُورٍ
কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারীর
তিনি যদি ইচ্ছে করেন বাতাসকে থামিয়ে দিতে পারেন, তখন জাহাজগুলো সমুদ্র পৃষ্ঠে গতিহীন হয়ে পড়বে। এতে প্রত্যেক অতি ধৈর্যশীল শুকর আদায়কারীর জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। ([৪২] আশ-শুরা: ৩৩)
ব্যাখ্যা
৩৪

اَوْ يُوْبِقْهُنَّ بِمَا كَسَبُوْا وَيَعْفُ عَنْ كَثِيْرٍۙ ٣٤

aw
أَوْ
বা
yūbiq'hunna
يُوبِقْهُنَّ
সেগুলো (ডুবিয়ে দিতে) ধ্বংস করতে পারেন
bimā
بِمَا
এ কারণে যা
kasabū
كَسَبُوا۟
তারা কামাই করেছে
wayaʿfu
وَيَعْفُ
এ অবস্থায় যখন মাফ করেও দেন
ʿan
عَن
থেকে
kathīrin
كَثِيرٍ
অনেক কিছু
কিংবা তিনি ওগুলোকে ধ্বংস করে দিতে পারেন তাদের উপার্জিত পাপের কারণে, আর প্রকৃতপক্ষে তিনি তো (তাদের) অনেক দোষ-ত্রুটিই ক্ষমা করে দেন। ([৪২] আশ-শুরা: ৩৪)
ব্যাখ্যা
৩৫

وَّيَعْلَمَ الَّذِيْنَ يُجَادِلُوْنَ فِيْٓ اٰيٰتِنَاۗ مَا لَهُمْ مِّنْ مَّحِيْصٍ ٣٥

wayaʿlama
وَيَعْلَمَ
এবং (তখন) জানতে পারবে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
yujādilūna
يُجَٰدِلُونَ
বিতর্ক করে
فِىٓ
সম্পর্কে
āyātinā
ءَايَٰتِنَا
আমাদের নিদর্শনাবলী
مَا
নেই
lahum
لَهُم
তাদের জন্যে
min
مِّن
কোনো
maḥīṣin
مَّحِيصٍ
আশ্রয়স্থল
(আর ওগুলোকে ধ্বংস করা হয়) এজন্যও যে, আমার আয়াত নিয়ে যারা বিতর্ক করে তারা যেন জেনে নেয় যে, তাদের (আল্লাহর কাছ থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার জন্য) কোন আশ্রয়স্থল নেই। ([৪২] আশ-শুরা: ৩৫)
ব্যাখ্যা
৩৬

فَمَآ اُوْتِيْتُمْ مِّنْ شَيْءٍ فَمَتَاعُ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ۚوَمَا عِنْدَ اللّٰهِ خَيْرٌ وَّاَبْقٰى لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَلٰى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَۚ ٣٦

famā
فَمَآ
বস্তুতঃ যা
ūtītum
أُوتِيتُم
তোমাদের দেওয়া হয়েছে
min
مِّن
কোনো
shayin
شَىْءٍ
কিছু
famatāʿu
فَمَتَٰعُ
তা ভোগসামগ্রী
l-ḥayati
ٱلْحَيَوٰةِ
জীবনের
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَاۖ
পার্থিব
wamā
وَمَا
এবং যা কিছূ
ʿinda
عِندَ
কাছে আছে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
khayrun
خَيْرٌ
(তাই) উত্তম
wa-abqā
وَأَبْقَىٰ
এবং অধিক স্থায়ী
lilladhīna
لِلَّذِينَ
(তাদের) জন্যে যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
waʿalā
وَعَلَىٰ
এবং উপর
rabbihim
رَبِّهِمْ
তাদের রবের
yatawakkalūna
يَتَوَكَّلُونَ
তারা নির্ভর করে
(এখানে) তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তা অস্থায়ী দুনিয়ার জীবনের (সামান্য) ভোগ্যবস্তু মাত্র। আল্লাহর নিকট যা আছে তা উৎকৃষ্ট এবং স্থায়ী (আর তা হল) তাদের জন্য যারা ঈমান আনে এবং তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে। ([৪২] আশ-শুরা: ৩৬)
ব্যাখ্যা
৩৭

وَالَّذِيْنَ يَجْتَنِبُوْنَ كَبٰۤىِٕرَ الْاِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ وَاِذَا مَا غَضِبُوْا هُمْ يَغْفِرُوْنَ ۚ ٣٧

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
yajtanibūna
يَجْتَنِبُونَ
বেঁচে থাকে
kabāira
كَبَٰٓئِرَ
গুরুতর
l-ith'mi
ٱلْإِثْمِ
পাপ
wal-fawāḥisha
وَٱلْفَوَٰحِشَ
ও অশ্লীল কার্য সমূহ (হ'তে)
wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
مَا
যা
ghaḍibū
غَضِبُوا۟
তারা রাগান্বিত হয়
hum
هُمْ
তারা
yaghfirūna
يَغْفِرُونَ
মাফ করে দেয়
যারা বড় বড় পাপ এবং অশ্লীল কার্যকলাপ হতে বেঁচে চলে এবং রাগান্বিত হয়েও ক্ষমা করে। ([৪২] আশ-শুরা: ৩৭)
ব্যাখ্যা
৩৮

وَالَّذِيْنَ اسْتَجَابُوْا لِرَبِّهِمْ وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَۖ وَاَمْرُهُمْ شُوْرٰى بَيْنَهُمْۖ وَمِمَّا رَزَقْنٰهُمْ يُنْفِقُوْنَ ۚ ٣٨

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
is'tajābū
ٱسْتَجَابُوا۟
সাড়া দেয় ডাকে
lirabbihim
لِرَبِّهِمْ
তাদের রবের
wa-aqāmū
وَأَقَامُوا۟
প্রতিষ্ঠা করে
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَ
সালাত
wa-amruhum
وَأَمْرُهُمْ
এবং তাদের কাজ (সম্পন্ন করে)
shūrā
شُورَىٰ
পরামর্শেরর মাধ্যমে
baynahum
بَيْنَهُمْ
তাদের মাঝে
wamimmā
وَمِمَّا
এবং তা হতে যা
razaqnāhum
رَزَقْنَٰهُمْ
তাদের আমরা জীবিকা দিয়েছি
yunfiqūna
يُنفِقُونَ
তারা ব্যয় করে
যারা তাদের প্রতিপালকের (নির্দেশ পালনের মাধ্যমে তাঁর) প্রতি সাড়া দেয়, নিয়মিত নামায প্রতিষ্ঠা করে, পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে নিজেদের কার্যাদি পরিচালনা করে। আর আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তাত্থেকে ব্যয় করে। ([৪২] আশ-শুরা: ৩৮)
ব্যাখ্যা
৩৯

وَالَّذِيْنَ اِذَآ اَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنْتَصِرُوْنَ ٣٩

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা (এমন যে)
idhā
إِذَآ
যখন
aṣābahumu
أَصَابَهُمُ
তাদের পৌঁছে
l-baghyu
ٱلْبَغْىُ
নির্যাতন (বাড়াবাড়ি)
hum
هُمْ
তারা
yantaṣirūna
يَنتَصِرُونَ
প্রতিশোধ গ্রহণ করে (মোকাবেলা করে)
আর তাদের উপর অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা হলে নিজেদের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে। ([৪২] আশ-শুরা: ৩৯)
ব্যাখ্যা
৪০

وَجَزٰۤؤُا سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِّثْلُهَا ۚفَمَنْ عَفَا وَاَصْلَحَ فَاَجْرُهٗ عَلَى اللّٰهِ ۗاِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الظّٰلِمِيْنَ ٤٠

wajazāu
وَجَزَٰٓؤُا۟
এবং প্রতিফল
sayyi-atin
سَيِّئَةٍ
মন্দের
sayyi-atun
سَيِّئَةٌ
মন্দ
mith'luhā
مِّثْلُهَاۖ
তার সমান
faman
فَمَنْ
তবে যে
ʿafā
عَفَا
ক্ষমা করবে
wa-aṣlaḥa
وَأَصْلَحَ
ও আপোষ নিষ্পত্তি করবে
fa-ajruhu
فَأَجْرُهُۥ
তবে তার পুরষ্কার (রয়েছে)
ʿalā
عَلَى
কাছে
l-lahi
ٱللَّهِۚ
আল্লাহর
innahu
إِنَّهُۥ
তিনি নিশ্চয়ই
لَا
না
yuḥibbu
يُحِبُّ
ভালোবাসেন
l-ẓālimīna
ٱلظَّٰلِمِينَ
সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে
অন্যায়ের প্রতিবিধান হল অনুরূপ অন্যায়। অতঃপর যে ক্ষমা করে এবং সমঝোতা করে, তার প্রতিদান দেয়া আল্লাহর যিম্মায়। সীমাঙ্ঘনকারীদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। ([৪২] আশ-শুরা: ৪০)
ব্যাখ্যা