Skip to content

সূরা হা-মীম সেজদাহ - Page: 2

Fussilat

(Fuṣṣilat)

১১

ثُمَّ اسْتَوٰىٓ اِلَى السَّمَاۤءِ وَهِيَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْاَرْضِ ائْتِيَا طَوْعًا اَوْ كَرْهًاۗ قَالَتَآ اَتَيْنَا طَاۤىِٕعِيْنَ ١١

thumma
ثُمَّ
এরপর
is'tawā
ٱسْتَوَىٰٓ
মনোযোগ দিলেন
ilā
إِلَى
দিকে
l-samāi
ٱلسَّمَآءِ
আকাশের
wahiya
وَهِىَ
তখন তা (ছিলো)
dukhānun
دُخَانٌ
ধোঁয়া
faqāla
فَقَالَ
অতঃপর (আল্লাহ) বললেন
lahā
لَهَا
তাকে
walil'arḍi
وَلِلْأَرْضِ
ও পৃথিবীকে
i'tiyā
ٱئْتِيَا
"উভয়ে আসো
ṭawʿan
طَوْعًا
ইচ্ছায়
aw
أَوْ
বা
karhan
كَرْهًا
অনিচ্ছায়"
qālatā
قَالَتَآ
উভয়ে বললো
ataynā
أَتَيْنَا
"আমরা আসলাম
ṭāiʿīna
طَآئِعِينَ
স্বেচ্ছায়"
তারপর নজর দিয়েছেন আকাশের দিকে যখন তা ছিল ধোঁয়া (’র মত)। তখন তিনি আকাশ আর পৃথিবীকে বললেন- আমার অনুগত হও, ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। উভয়ে বলল- আমরা স্বেচ্ছায় অনুগত হলাম। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

فَقَضٰىهُنَّ سَبْعَ سَمٰوٰتٍ فِيْ يَوْمَيْنِ وَاَوْحٰى فِيْ كُلِّ سَمَاۤءٍ اَمْرَهَا ۗوَزَيَّنَّا السَّمَاۤءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيْحَۖ وَحِفْظًا ۗذٰلِكَ تَقْدِيْرُ الْعَزِيْزِ الْعَلِيْمِ ١٢

faqaḍāhunna
فَقَضَىٰهُنَّ
অতঃপর তাদেরকে পরিণত করলেন
sabʿa
سَبْعَ
সাত
samāwātin
سَمَٰوَاتٍ
আকাশে
فِى
মধ্যে
yawmayni
يَوْمَيْنِ
দু'দিনের
wa-awḥā
وَأَوْحَىٰ
এবং ওহী করলেন
فِى
মধ্যে
kulli
كُلِّ
প্রত্যেক
samāin
سَمَآءٍ
আকাশের
amrahā
أَمْرَهَاۚ
তাঁর বিধিবিধান
wazayyannā
وَزَيَّنَّا
এবং আমরা সাজালাম
l-samāa
ٱلسَّمَآءَ
আকাশকে
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
নীচের
bimaṣābīḥa
بِمَصَٰبِيحَ
প্রদীপমালা দ্বারা
waḥif'ẓan
وَحِفْظًاۚ
এবং সংরক্ষণ (করলাম)
dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
taqdīru
تَقْدِيرُ
ব্যবস্থাপনা
l-ʿazīzi
ٱلْعَزِيزِ
পরাক্রমশালীর
l-ʿalīmi
ٱلْعَلِيمِ
(যিনি) সবকিছু জানেন
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে সাত আকাশে বিন্যস্ত করলেন দু’দিনে আর প্রত্যেক আকাশকে তার বিধি-ব্যবস্থা ওয়াহীর মাধ্যমে প্রদান করলেন। আমি আলোকমালার সাহায্যে দুনিয়ার আকাশের শোভাবর্ধন করলাম আর সুরক্ষার (ও ব্যবস্থা করলাম)। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর সুনির্ধারিত (ব্যবস্থাপনা)। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

فَاِنْ اَعْرَضُوْا فَقُلْ اَنْذَرْتُكُمْ صٰعِقَةً مِّثْلَ صٰعِقَةِ عَادٍ وَّثَمُوْدَ ۗ ١٣

fa-in
فَإِنْ
এখন যদি
aʿraḍū
أَعْرَضُوا۟
তারা মুখ ফিরায়
faqul
فَقُلْ
তবে বলো
andhartukum
أَنذَرْتُكُمْ
"তোমাদেরকে আমি সতর্ক করছি
ṣāʿiqatan
صَٰعِقَةً
বেহুশকারী শাস্তির
mith'la
مِّثْلَ
মতো
ṣāʿiqati
صَٰعِقَةِ
বেহুশকারী শাস্তি (এসেছিলো)
ʿādin
عَادٍ
আ'দের
wathamūda
وَثَمُودَ
ও সামূদের (উপর)"
এরপরও তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে বল- আমি তোমাদেরকে অকস্মাৎ শাস্তির ভয় দেখাচ্ছি- ‘আদ ও সামূদের (উপর নেমে আসা) অকস্মাৎ-শাস্তির মত। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

اِذْ جَاۤءَتْهُمُ الرُّسُلُ مِنْۢ بَيْنِ اَيْدِيْهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ اَلَّا تَعْبُدُوْٓا اِلَّا اللّٰهَ ۗقَالُوْا لَوْ شَاۤءَ رَبُّنَا لَاَنْزَلَ مَلٰۤىِٕكَةً فَاِنَّا بِمَآ اُرْسِلْتُمْ بِهٖ كٰفِرُوْنَ ١٤

idh
إِذْ
যখন
jāathumu
جَآءَتْهُمُ
তাদের কাছে এসেছিলো
l-rusulu
ٱلرُّسُلُ
রাসূলগণ
min
مِنۢ
মধ্য হতে
bayni
بَيْنِ
থেকে
aydīhim
أَيْدِيهِمْ
সামনে তাদের
wamin
وَمِنْ
ও থেকে
khalfihim
خَلْفِهِمْ
তাদের পিছন
allā
أَلَّا
(এই বলে) যে না
taʿbudū
تَعْبُدُوٓا۟
তোমরা ইবাদত করো
illā
إِلَّا
ছাড়া
l-laha
ٱللَّهَۖ
আল্লাহকে"
qālū
قَالُوا۟
তারা বলেছিলো
law
لَوْ
"যদি
shāa
شَآءَ
ইচ্ছে করতেন
rabbunā
رَبُّنَا
আমাদের রব
la-anzala
لَأَنزَلَ
অবশ্যই পাঠাতেন
malāikatan
مَلَٰٓئِكَةً
ফেরেশতাদেরকে
fa-innā
فَإِنَّا
সুতরাং নিশ্চয়ই আমরা
bimā
بِمَآ
দিয়ে ঐ বিষয় যা
ur'sil'tum
أُرْسِلْتُم
তোমাদেরকে পাঠানো হয়েছে
bihi
بِهِۦ
প্রতি তার
kāfirūna
كَٰفِرُونَ
তোমরা অস্বীকারকারী"
তাদের কাছে যখন তাদের অগ্রে ও পশ্চাতে (একের পর এক) রসূলগণ এসেছিল (আর বলেছিল)- তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ‘ইবাদাত করো না। (জবাবে) তারা বলেছিল- আমাদের প্রতিপালক ইচ্ছে করলে তো অবশ্যই ফেরেশতা নাযিল করতেন। কাজেই তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তা অমান্য করছি। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

فَاَمَّا عَادٌ فَاسْتَكْبَرُوْا فِى الْاَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَقَالُوْا مَنْ اَشَدُّ مِنَّا قُوَّةً ۗ اَوَلَمْ يَرَوْا اَنَّ اللّٰهَ الَّذِيْ خَلَقَهُمْ هُوَ اَشَدُّ مِنْهُمْ قُوَّةً ۗ وَكَانُوْا بِاٰيٰتِنَا يَجْحَدُوْنَ ١٥

fa-ammā
فَأَمَّا
আর অবস্থা (ছিলো)
ʿādun
عَادٌ
আ'দের (এমন যে)
fa-is'takbarū
فَٱسْتَكْبَرُوا۟
পরে তারা অহংকার করলো
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
bighayri
بِغَيْرِ
ব্যতীত
l-ḥaqi
ٱلْحَقِّ
কোন অধিকার
waqālū
وَقَالُوا۟
এবং তারা বললো
man
مَنْ
"(আর) কে
ashaddu
أَشَدُّ
অধিক শক্তিশালী
minnā
مِنَّا
আমাদের চেয়ে
quwwatan
قُوَّةًۖ
শক্তিতে"
awalam
أَوَلَمْ
দেখে নি কি
yaraw
يَرَوْا۟
তারা (ভেবে)
anna
أَنَّ
যে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
alladhī
ٱلَّذِى
যিনি
khalaqahum
خَلَقَهُمْ
তাদের সৃষ্টি করেছেন
huwa
هُوَ
তিনিই
ashaddu
أَشَدُّ
অধিক শক্তিশালী
min'hum
مِنْهُمْ
তাদের চেয়ে
quwwatan
قُوَّةًۖ
শক্তিতে
wakānū
وَكَانُوا۟
এবং তারা ছিলো
biāyātinā
بِـَٔايَٰتِنَا
আমাদের নিদর্শনগুলোকে
yajḥadūna
يَجْحَدُونَ
অস্বীকার করতো
আর ‘আদ-এর অবস্থা ছিল এই যে, দুনিয়াতে তারা না-হক অহংকার করেছিল, আর বলেছিল- আমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী আর কে আছে? তারা কি চিন্তা করে দেখেনি যে, আল্লাহ- যিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন- শক্তিতে তাদের চেয়ে প্রবল? কিন্তু তারা আমার আয়াতগুলো অস্বীকার করতেই থাকল। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

فَاَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيْحًا صَرْصَرًا فِيْٓ اَيَّامٍ نَّحِسَاتٍ لِّنُذِيْقَهُمْ عَذَابَ الْخِزْيِ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ۗوَلَعَذَابُ الْاٰخِرَةِ اَخْزٰى وَهُمْ لَا يُنْصَرُوْنَ ١٦

fa-arsalnā
فَأَرْسَلْنَا
আমরা তাই পাঠালাম
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
তাদের বিরুদ্ধে
rīḥan
رِيحًا
বাতাস
ṣarṣaran
صَرْصَرًا
ঝড়ো
فِىٓ
মধ্যে
ayyāmin
أَيَّامٍ
(কয়েক) দিনের
naḥisātin
نَّحِسَاتٍ
দুর্ভোগের
linudhīqahum
لِّنُذِيقَهُمْ
তাদেরকে আমরা ভোগ করাই যেন
ʿadhāba
عَذَابَ
শাস্তি
l-khiz'yi
ٱلْخِزْىِ
লাঞ্ছনার
فِى
মধ্যে
l-ḥayati
ٱلْحَيَوٰةِ
জীবনে
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَاۖ
পার্থিব
walaʿadhābu
وَلَعَذَابُ
এবং অবশ্যই শাস্তি
l-ākhirati
ٱلْءَاخِرَةِ
পরকালের
akhzā
أَخْزَىٰۖ
অধিক অপমানকর
wahum
وَهُمْ
এবং তাদের
لَا
না
yunṣarūna
يُنصَرُونَ
সাহায্য করা হবে
অতঃপর আমি অশুভ দিনগুলোতে তাদের বিরুদ্ধে ঝাঞ্ঝা বায়ু পাঠালাম যাতে তারা দুনিয়ার জীবনে অপমানজনক শাস্তি আস্বাদন করে। আখিরাতের শাস্তি অবশ্যই অধিক লাঞ্ছনাদায়ক আর তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

وَاَمَّا ثَمُوْدُ فَهَدَيْنٰهُمْ فَاسْتَحَبُّوا الْعَمٰى عَلَى الْهُدٰى فَاَخَذَتْهُمْ صٰعِقَةُ الْعَذَابِ الْهُوْنِ بِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ ۚ ١٧

wa-ammā
وَأَمَّا
আর অবস্থা (ছিলো)
thamūdu
ثَمُودُ
সামূদের (এমন যে)
fahadaynāhum
فَهَدَيْنَٰهُمْ
তাদেরকে আমরা অতঃপর পথ নির্দেশ করেছিলাম
fa-is'taḥabbū
فَٱسْتَحَبُّوا۟
তারা কিন্তু পছন্দ করেছিলো
l-ʿamā
ٱلْعَمَىٰ
অন্ধতা
ʿalā
عَلَى
পরিবর্তে
l-hudā
ٱلْهُدَىٰ
সৎপথের
fa-akhadhathum
فَأَخَذَتْهُمْ
তখন তাদেরকে পাকড়াও করলো
ṣāʿiqatu
صَٰعِقَةُ
বেহুশকারী
l-ʿadhābi
ٱلْعَذَابِ
শাস্তি
l-hūni
ٱلْهُونِ
অপমানকর
bimā
بِمَا
এ কারণে যা
kānū
كَانُوا۟
তারা
yaksibūna
يَكْسِبُونَ
কামাই করেছিলো
আর সামূদের অবস্থা এই যে, আমি তাদেরকে সঠিক পথে চলার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সঠিক পথে চলার পরিবর্তে অন্ধ হয়ে থাকাকেই পছন্দ করে ছিল। তখন তাদের কৃতকর্মের কারণে অপমানজনক শাস্তির বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

وَنَجَّيْنَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَكَانُوْا يَتَّقُوْنَ ࣖ ١٨

wanajjaynā
وَنَجَّيْنَا
এবং আমরা উদ্ধার করেছিলাম
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদেরকে) যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছিলো
wakānū
وَكَانُوا۟
yattaqūna
يَتَّقُونَ
(গুমরাহী হ'তে) ভয় করেছিলো
আর আমি তাদেরকে বাঁচিয়ে দিলাম যারা ঈমান এনেছিল আর (আল্লাহকে) ভয় করে চলত। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

وَيَوْمَ يُحْشَرُ اَعْدَاۤءُ اللّٰهِ اِلَى النَّارِ فَهُمْ يُوْزَعُوْنَ ١٩

wayawma
وَيَوْمَ
এবং (স্মরণ করো) যেদিন
yuḥ'sharu
يُحْشَرُ
সমবেত করা হবে
aʿdāu
أَعْدَآءُ
শত্রুদের
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ilā
إِلَى
দিকে
l-nāri
ٱلنَّارِ
জাহান্নামের
fahum
فَهُمْ
অতঃপর তাদেরকে
yūzaʿūna
يُوزَعُونَ
নানা দলে ভাগ করা হবে
যে দিন আল্লাহর দুশমনদেরকে জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে, তাদেরকে বিভিন্ন দলে বিন্যস্ত করা হবে। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

حَتّٰىٓ اِذَا مَا جَاۤءُوْهَا شَهِدَ عَلَيْهِمْ سَمْعُهُمْ وَاَبْصَارُهُمْ وَجُلُوْدُهُمْ بِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ ٢٠

ḥattā
حَتَّىٰٓ
অবশেষে
idhā
إِذَا
যখন
مَا
যা
jāūhā
جَآءُوهَا
সেখানে তারা আসবে (সবাই)
shahida
شَهِدَ
সাক্ষ্য দিবে
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
তাদের বিরুদ্ধে
samʿuhum
سَمْعُهُمْ
তাদের কান
wa-abṣāruhum
وَأَبْصَٰرُهُمْ
ও তাদের চক্ষু
wajulūduhum
وَجُلُودُهُم
ও তাদের ত্বক
bimā
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
kānū
كَانُوا۟
তারা
yaʿmalūna
يَعْمَلُونَ
কাজ করেছিলো
শেষ পর্যন্ত যখন তারা জাহান্নামের নিকটে পৌঁছবে, তখন তারা যা করত সে সম্পর্কে তাদের কান, তাদের চোখ আর তাদের চামড়া তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। ([৪১] হা-মীম সেজদাহ: ২০)
ব্যাখ্যা