Skip to content

সূরা আন নিসা - Page: 9

An-Nisa

(an-Nisāʾ)

৮১

وَيَقُوْلُوْنَ طَاعَةٌ ۖ فَاِذَا بَرَزُوْا مِنْ عِنْدِكَ بَيَّتَ طَاۤىِٕفَةٌ مِّنْهُمْ غَيْرَ الَّذِيْ تَقُوْلُ ۗ وَاللّٰهُ يَكْتُبُ مَا يُبَيِّتُوْنَ ۚ فَاَعْرِضْ عَنْهُمْ وَتَوَكَّلْ عَلَى اللّٰهِ ۗ وَكَفٰى بِاللّٰهِ وَكِيْلًا ٨١

wayaqūlūna
وَيَقُولُونَ
এবং তারা বলে
ṭāʿatun
طَاعَةٌ
''আনুগত্য (করি আমরা)''
fa-idhā
فَإِذَا
অতঃপর যখন
barazū
بَرَزُوا۟
তারা বের হয়
min
مِنْ
হতে
ʿindika
عِندِكَ
তোমার নিকট
bayyata
بَيَّتَ
রাত্রে পরামর্শ করে
ṭāifatun
طَآئِفَةٌ
এক দল
min'hum
مِّنْهُمْ
তাদের মধ্য হতে
ghayra
غَيْرَ
(তার) বিপরীত
alladhī
ٱلَّذِى
যা
taqūlu
تَقُولُۖ
তুমি বল
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
yaktubu
يَكْتُبُ
লিখছেন
مَا
যা
yubayyitūna
يُبَيِّتُونَۖ
শলা পরামর্শ করে তারা
fa-aʿriḍ
فَأَعْرِضْ
অতএব উপেক্ষা কর
ʿanhum
عَنْهُمْ
তাদেরকে
watawakkal
وَتَوَكَّلْ
ও ভরসা কর তুমি
ʿalā
عَلَى
উপর
l-lahi
ٱللَّهِۚ
আল্লাহর
wakafā
وَكَفَىٰ
এবং যথেষ্ট
bil-lahi
بِٱللَّهِ
আল্লাহই
wakīlan
وَكِيلًا
ভরসার স্থল হিসেবে
তারা মুখেই আনুগত্য করে, কিন্তু যখন তোমার নিকট থেকে চলে যায়, তখন তাদের মধ্যে একটা দল রাত্রিবেলা একত্রিত হয়ে তোমার কথার বিরুদ্ধে সলা পরামর্শ করে, আল্লাহ তাদের রাত্রিকালীন মন্ত্রণাগুলো লিখে রাখছেন, কাজেই তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করো না, আল্লাহর উপর ভরসা কর এবং আল্লাহ্ই কর্মবিধায়ক হিসেবে যথেষ্ট। ([৪] আন নিসা: ৮১)
ব্যাখ্যা
৮২

اَفَلَا يَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْاٰنَ ۗ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللّٰهِ لَوَجَدُوْا فِيْهِ اخْتِلَافًا كَثِيْرًا ٨٢

afalā
أَفَلَا
অতঃপর কি না
yatadabbarūna
يَتَدَبَّرُونَ
তারা চিন্তা-ভাবনা করে
l-qur'āna
ٱلْقُرْءَانَۚ
কুরআন (সম্পর্কে)
walaw
وَلَوْ
এবং যদি
kāna
كَانَ
হতো
min
مِنْ
থেকে
ʿindi
عِندِ
নিকট (অন্য কারো)
ghayri
غَيْرِ
ব্যতীত
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ
lawajadū
لَوَجَدُوا۟
তারা পেত অবশ্যই
fīhi
فِيهِ
তার মধ্যে
ikh'tilāfan
ٱخْتِلَٰفًا
অসঙ্গতি
kathīran
كَثِيرًا
বহু
তারা কি কুরআনের মর্ম বিষয়ে চিন্তে-ভাবনা করে না? যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট হতে আসত, তবে তাতে তারা অবশ্যই বহু অসঙ্গতি পেত। ([৪] আন নিসা: ৮২)
ব্যাখ্যা
৮৩

وَاِذَا جَاۤءَهُمْ اَمْرٌ مِّنَ الْاَمْنِ اَوِ الْخَوْفِ اَذَاعُوْا بِهٖ ۗ وَلَوْ رَدُّوْهُ اِلَى الرَّسُوْلِ وَاِلٰٓى اُولِى الْاَمْرِ مِنْهُمْ لَعَلِمَهُ الَّذِيْنَ يَسْتَنْۢبِطُوْنَهٗ مِنْهُمْ ۗ وَلَوْلَا فَضْلُ اللّٰهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهٗ لَاتَّبَعْتُمُ الشَّيْطٰنَ اِلَّا قَلِيْلًا ٨٣

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
jāahum
جَآءَهُمْ
কাছে আসে তাদের
amrun
أَمْرٌ
কোন বিষয় (সংবাদ)
mina
مِّنَ
(থেকে)
l-amni
ٱلْأَمْنِ
শান্তির
awi
أَوِ
বা
l-khawfi
ٱلْخَوْفِ
ভয়ের
adhāʿū
أَذَاعُوا۟
তারা প্রচার করে
bihi
بِهِۦۖ
তা সম্পর্কে
walaw
وَلَوْ
কিন্তু যদি
raddūhu
رَدُّوهُ
তা পৌঁছে দিত
ilā
إِلَى
কাছে
l-rasūli
ٱلرَّسُولِ
রাসূলের
wa-ilā
وَإِلَىٰٓ
ও কাছে
ulī
أُو۟لِى
(প্রথম)
l-amri
ٱلْأَمْرِ
দায়িত্বশীলদের
min'hum
مِنْهُمْ
তাদের মধ্যকার
laʿalimahu
لَعَلِمَهُ
তা অবশ্যই জেনে নিত
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
yastanbiṭūnahu
يَسْتَنۢبِطُونَهُۥ
তার তথ্যানুসন্ধান করে
min'hum
مِنْهُمْۗ
তাদের মধ্য হতে
walawlā
وَلَوْلَا
এবং যদি না (থাকত)
faḍlu
فَضْلُ
অনুগ্রহ
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
waraḥmatuhu
وَرَحْمَتُهُۥ
ও তাঁর রহমত (তবে এ সব কারণে)
la-ittabaʿtumu
لَٱتَّبَعْتُمُ
তোমরা অনুসরণ করতেই
l-shayṭāna
ٱلشَّيْطَٰنَ
শয়তানের
illā
إِلَّا
এ ব্যতীত
qalīlan
قَلِيلًا
অল্প সংখ্যক
যখন তাদের নিকট নিরাপত্তার কিংবা ভয়ের কোন সংবাদ আসে তখন তারা তা রটিয়ে দেয়। যদি তারা তা রসূলের কিংবা তাদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অধিকারী তাদের গোচরে আনত, তবে তাদের মধ্য হতে তথ্যানুসন্ধানীগণ প্রকৃত তথ্য জেনে নিত। যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর দয়া ও করুণা না থাকত তবে তোমাদের অল্প সংখ্যক ছাড়া সকলেই শায়ত্বনের অনুসরণ করত। ([৪] আন নিসা: ৮৩)
ব্যাখ্যা
৮৪

فَقَاتِلْ فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۚ لَا تُكَلَّفُ اِلَّا نَفْسَكَ وَحَرِّضِ الْمُؤْمِنِيْنَ ۚ عَسَى اللّٰهُ اَنْ يَّكُفَّ بَأْسَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ۗوَاللّٰهُ اَشَدُّ بَأْسًا وَّاَشَدُّ تَنْكِيْلًا ٨٤

faqātil
فَقَٰتِلْ
লড়াই কর অতএব
فِى
(মধ্যে)
sabīli
سَبِيلِ
পথে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
لَا
না
tukallafu
تُكَلَّفُ
দায়ী করা হবে
illā
إِلَّا
এছাড়া
nafsaka
نَفْسَكَۚ
তোমার নিজেকে
waḥarriḍi
وَحَرِّضِ
ও উদ্বুদ্ধ কর (যুদ্ধে)
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَۖ
মু’মিনদেরকে
ʿasā
عَسَى
হয়ত
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
an
أَن
(যে)
yakuffa
يَكُفَّ
খর্ব করবেন
basa
بَأْسَ
শক্তি (ঐসব লোকদের)
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
kafarū
كَفَرُوا۟ۚ
কুফুরী করেছে
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
ashaddu
أَشَدُّ
প্রবলতর
basan
بَأْسًا
শক্তিতে
wa-ashaddu
وَأَشَدُّ
ও কঠোরতর
tankīlan
تَنكِيلًا
শাস্তি দানে
কাজেই আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর, তোমাকে শুধু তোমার নিজের জন্য দায়ী করা হবে, মু’মিনদের উদ্বুদ্ধ কর, হতে পারে যে আল্লাহ কাফিরদের শক্তি সংযত করবেন এবং আল্লাহ শক্তিতে অতি প্রবল, শাস্তিদানে অতি কঠোর। ([৪] আন নিসা: ৮৪)
ব্যাখ্যা
৮৫

مَنْ يَّشْفَعْ شَفَاعَةً حَسَنَةً يَّكُنْ لَّهٗ نَصِيْبٌ مِّنْهَا ۚ وَمَنْ يَّشْفَعْ شَفَاعَةً سَيِّئَةً يَّكُنْ لَّهٗ كِفْلٌ مِّنْهَا ۗ وَكَانَ اللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ مُّقِيْتًا ٨٥

man
مَّن
যে
yashfaʿ
يَشْفَعْ
সুপারিশ করবে
shafāʿatan
شَفَٰعَةً
কোন সুপারিশ
ḥasanatan
حَسَنَةً
উত্তম (কাজের)
yakun
يَكُن
থাকবে
lahu
لَّهُۥ
তার জন্য
naṣībun
نَصِيبٌ
একটি অংশ
min'hā
مِّنْهَاۖ
তা থেকে
waman
وَمَن
ও যে
yashfaʿ
يَشْفَعْ
সুপারিশ করবে
shafāʿatan
شَفَٰعَةً
কোন সুপারিশ
sayyi-atan
سَيِّئَةً
মন্দ (কাজের)
yakun
يَكُن
থাকবে
lahu
لَّهُۥ
তার জন্য
kif'lun
كِفْلٌ
একটি অংশ
min'hā
مِّنْهَاۗ
তা থেকে
wakāna
وَكَانَ
এবং আছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুরই
muqītan
مُّقِيتًا
দৃষ্টিমান
যে ব্যক্তি ভাল কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে (সাওয়াবের) অংশ আছে এবং যে মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে অংশ আছে, আল্লাহ সকল বিষয়ে খোঁজ রাখেন। ([৪] আন নিসা: ৮৫)
ব্যাখ্যা
৮৬

وَاِذَا حُيِّيْتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوْا بِاَحْسَنَ مِنْهَآ اَوْ رُدُّوْهَا ۗ اِنَّ اللّٰهَ كَانَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ حَسِيْبًا ٨٦

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
ḥuyyītum
حُيِّيتُم
তোমাদেরকে সালাম করা হয়
bitaḥiyyatin
بِتَحِيَّةٍ
সম্মান সহকারে
faḥayyū
فَحَيُّوا۟
তোমরাও তখন সালাম দাও
bi-aḥsana
بِأَحْسَنَ
উত্তমভাবে
min'hā
مِنْهَآ
তার চেয়েও
aw
أَوْ
বা
ruddūhā
رُدُّوهَآۗ
তার জওয়াব দাও (অনুরূপ ভাবে)
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
kāna
كَانَ
আছেন
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুর
ḥasīban
حَسِيبًا
হিসাবগ্রহণকারী
যখন তোমাদেরকে সসম্মানে সালাম প্রদান করা হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তমরূপে জওয়াবী সালাম দাও কিংবা (কমপক্ষে) অনুরূপভাবে দাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ (ক্ষুদ্র-বৃহৎ) সকল বিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী। ([৪] আন নিসা: ৮৬)
ব্যাখ্যা
৮৭

اَللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۗ لَيَجْمَعَنَّكُمْ اِلٰى يَوْمِ الْقِيٰمَةِ لَا رَيْبَ فِيْهِ ۗ وَمَنْ اَصْدَقُ مِنَ اللّٰهِ حَدِيْثًا ࣖ ٨٧

al-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ (এমন সত্তা যে)
لَآ
নাই
ilāha
إِلَٰهَ
কোন ইলাহ
illā
إِلَّا
ছাড়া
huwa
هُوَۚ
তিনি
layajmaʿannakum
لَيَجْمَعَنَّكُمْ
তোমাদের একত্রিত করবেনই
ilā
إِلَىٰ
(থেকে)
yawmi
يَوْمِ
দিনে
l-qiyāmati
ٱلْقِيَٰمَةِ
কিয়ামাতের
لَا
নাই
rayba
رَيْبَ
কোন সন্দেহ (বিন্দুমাত্র)
fīhi
فِيهِۗ
তারে মধ্যে
waman
وَمَنْ
এবং কে
aṣdaqu
أَصْدَقُ
অধিক সত্য
mina
مِنَ
চেয়ে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ḥadīthan
حَدِيثًا
কথায়
আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তিনি ক্বিয়ামাত দিবসে সকলকে একত্র করবেনই, এতে কোনই সন্দেহ নেই, আল্লাহ অপেক্ষা আর কার কথা অধিক সত্য হতে পারে? ([৪] আন নিসা: ৮৭)
ব্যাখ্যা
৮৮

۞ فَمَا لَكُمْ فِى الْمُنٰفِقِيْنَ فِئَتَيْنِ وَاللّٰهُ اَرْكَسَهُمْ بِمَا كَسَبُوْا ۗ اَتُرِيْدُوْنَ اَنْ تَهْدُوْا مَنْ اَضَلَّ اللّٰهُ ۗوَمَنْ يُّضْلِلِ اللّٰهُ فَلَنْ تَجِدَ لَهٗ سَبِيْلًا ٨٨

famā
فَمَا
অতঃপর কি হয়েছে
lakum
لَكُمْ
তোমাদের
فِى
(মধ্যে)
l-munāfiqīna
ٱلْمُنَٰفِقِينَ
মুনাফিকদের
fi-atayni
فِئَتَيْنِ
(তোমরা) দুই মতের অধিকারী
wal-lahu
وَٱللَّهُ
অথচ আল্লাহই
arkasahum
أَرْكَسَهُم
তাদের ঘুরিয়ে দিয়েছেন
bimā
بِمَا
এ কারণে যা
kasabū
كَسَبُوٓا۟ۚ
তারা অর্জন করেছে
aturīdūna
أَتُرِيدُونَ
কি তোমরা চাও
an
أَن
যে
tahdū
تَهْدُوا۟
তোমরা হিদায়াত দিবে
man
مَنْ
যাকে
aḍalla
أَضَلَّ
পথভ্রষ্ট করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُۖ
আল্লাহ
waman
وَمَن
অথচ যাকে
yuḍ'lili
يُضْلِلِ
পথভ্রষ্ট করেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
falan
فَلَن
কক্ষনো না তখন
tajida
تَجِدَ
পাবে তুমি
lahu
لَهُۥ
তার জন্য
sabīlan
سَبِيلًا
কোন পথ
তোমাদের কী হল যে, মুনাফিকদের ব্যাপারে (কী নীতি অবলম্বন করা হবে সে বিষয়ে) তোমরা দু’ দলে বিভক্ত হয়ে গেলে? বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের এ কার্যকলাপের কারণে তাদেরকে উল্টা মুখে ফিরিয়ে দিয়েছেন (ইসলাম থেকে আবার কুফরের দিকে)। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তোমরা কি তাকে সুপথ দেখাতে চাও? বস্তুতঃ আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য কক্ষনো পথ খুঁজে পাবে না। ([৪] আন নিসা: ৮৮)
ব্যাখ্যা
৮৯

وَدُّوْا لَوْ تَكْفُرُوْنَ كَمَا كَفَرُوْا فَتَكُوْنُوْنَ سَوَاۤءً فَلَا تَتَّخِذُوْا مِنْهُمْ اَوْلِيَاۤءَ حَتّٰى يُهَاجِرُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۗ فَاِنْ تَوَلَّوْا فَخُذُوْهُمْ وَاقْتُلُوْهُمْ حَيْثُ وَجَدْتُّمُوْهُمْ ۖ وَلَا تَتَّخِذُوْا مِنْهُمْ وَلِيًّا وَّلَا نَصِيْرًاۙ ٨٩

waddū
وَدُّوا۟
তারা কামনা করে
law
لَوْ
যদি
takfurūna
تَكْفُرُونَ
তোমরা কাফির হয়ে যাও
kamā
كَمَا
যেমন
kafarū
كَفَرُوا۟
তারা কাফির হয়েছে
fatakūnūna
فَتَكُونُونَ
তবে তোমরা হয়ে যাবে
sawāan
سَوَآءًۖ
(তাদের সাথে) সমান
falā
فَلَا
না সুতরাং
tattakhidhū
تَتَّخِذُوا۟
তোমরা গ্রহণ করো
min'hum
مِنْهُمْ
তাদেরকে
awliyāa
أَوْلِيَآءَ
বন্ধুরূপে
ḥattā
حَتَّىٰ
যতক্ষণ না
yuhājirū
يُهَاجِرُوا۟
তারা হিজরত করে
فِى
(মধ্যে)
sabīli
سَبِيلِ
পথে
l-lahi
ٱللَّهِۚ
আল্লাহর
fa-in
فَإِن
অতঃপর যদি
tawallaw
تَوَلَّوْا۟
তারা মুখ ফিরায়
fakhudhūhum
فَخُذُوهُمْ
তবে তাদের তোমরা ধর
wa-uq'tulūhum
وَٱقْتُلُوهُمْ
ও তাদেরকে হত্যা কর
ḥaythu
حَيْثُ
যেখানে
wajadttumūhum
وَجَدتُّمُوهُمْۖ
তাদের তোমরা পাও
walā
وَلَا
এবং না
tattakhidhū
تَتَّخِذُوا۟
তোমরা গ্রহণ করো (কাউকে)
min'hum
مِنْهُمْ
তাদের মধ্য হতে
waliyyan
وَلِيًّا
বন্ধুরূপে
walā
وَلَا
আর না
naṣīran
نَصِيرًا
সাহায্যকারীরূপে
তারা আকাঙ্ক্ষা করে যে, তারা নিজেরা যেমন কুফরী করেছে, তোমরাও তেমনি কুফরী কর, যাতে তোমরা তাদের সমান হয়ে যাও। কাজেই তাদের মধ্য হতে কাউকেও বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত তারা আল্লাহর পথে হিজরত না করে। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তাদেরকে গ্রেফতার কর এবং যেখানেই তাদেরকে পাও, হত্যা কর। তাদের মধ্য হতে কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী গ্রহণ করো না। ([৪] আন নিসা: ৮৯)
ব্যাখ্যা
৯০

اِلَّا الَّذِيْنَ يَصِلُوْنَ اِلٰى قَوْمٍۢ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُمْ مِّيْثَاقٌ اَوْ جَاۤءُوْكُمْ حَصِرَتْ صُدُوْرُهُمْ اَنْ يُّقَاتِلُوْكُمْ اَوْ يُقَاتِلُوْا قَوْمَهُمْ ۗ وَلَوْ شَاۤءَ اللّٰهُ لَسَلَّطَهُمْ عَلَيْكُمْ فَلَقَاتَلُوْكُمْ ۚ فَاِنِ اعْتَزَلُوْكُمْ فَلَمْ يُقَاتِلُوْكُمْ وَاَلْقَوْا اِلَيْكُمُ السَّلَمَ ۙ فَمَا جَعَلَ اللّٰهُ لَكُمْ عَلَيْهِمْ سَبِيْلًا ٩٠

illā
إِلَّا
তবে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
yaṣilūna
يَصِلُونَ
মিলিত হয়
ilā
إِلَىٰ
সাথে
qawmin
قَوْمٍۭ
(এমন কোন) জাতির
baynakum
بَيْنَكُمْ
তোমাদের মাঝে
wabaynahum
وَبَيْنَهُم
ও তাদের মাঝে
mīthāqun
مِّيثَٰقٌ
চুক্তি (রয়েছে)
aw
أَوْ
অথবা
jāūkum
جَآءُوكُمْ
তোমাদের কাছে আসে (এমন ভাবে যে)
ḥaṣirat
حَصِرَتْ
অনিচ্ছুক
ṣudūruhum
صُدُورُهُمْ
তাদের অন্তর
an
أَن
(যে)
yuqātilūkum
يُقَٰتِلُوكُمْ
তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে
aw
أَوْ
অথবা
yuqātilū
يُقَٰتِلُوا۟
যুদ্ধ করতে
qawmahum
قَوْمَهُمْۚ
তাদের জাতির বিরুদ্ধে (তবে ভিন্ন কথা)
walaw
وَلَوْ
এবং যদি
shāa
شَآءَ
চাইতেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
lasallaṭahum
لَسَلَّطَهُمْ
তাদের চাপিয়ে দিতেনই
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
falaqātalūkum
فَلَقَٰتَلُوكُمْۚ
তোমাদের সাথে তখন যুদ্ধ করতই
fa-ini
فَإِنِ
সুতরাং যদি
iʿ'tazalūkum
ٱعْتَزَلُوكُمْ
তোমাদের থেকে সরে দাড়ায়
falam
فَلَمْ
অতঃপর না
yuqātilūkum
يُقَٰتِلُوكُمْ
তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে
wa-alqaw
وَأَلْقَوْا۟
ও তারা প্রস্তাব করে
ilaykumu
إِلَيْكُمُ
তোমাদের কাছে
l-salama
ٱلسَّلَمَ
শান্তির
famā
فَمَا
তবে না
jaʿala
جَعَلَ
রেখেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
lakum
لَكُمْ
তোমাদের জন্য
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
তাদের বিরুদ্ধে
sabīlan
سَبِيلًا
(ব্যবস্থা গ্রহণের) কোন পথ
কিন্তু (সে সব মুনাফিক এ কথার মধ্যে শামিল নয়) যারা তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন জাতির সঙ্গে গিয়ে মিলিত হয়। তেমনি (তারাও এর মধ্যে শামিল নয়) যারা তোমার কাছে আসে আর তারা ঝগড়া-বিবাদে উৎসাহী নয়, তারা না তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়, না নিজের জাতির বিরুদ্ধে। আল্লাহ যদি ইচ্ছে করতেন, তবে তাদেরকে তোমাদের উপর প্রবল করে দিতেন, সে অবস্থায় তারা নিশ্চয় তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। কাজেই তারা যদি তোমাদের হতে সরে থাকে, তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে ও তোমাদের নিকট শান্তি প্রস্তাব করে, তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা অবলম্বনের পথ রাখেননি। ([৪] আন নিসা: ৯০)
ব্যাখ্যা