Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল-যুমার আয়াত ৪৯

Qur'an Surah Az-Zumar Verse 49

আল-যুমার [৩৯]: ৪৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

فَاِذَا مَسَّ الْاِنْسَانَ ضُرٌّ دَعَانَاۖ ثُمَّ اِذَا خَوَّلْنٰهُ نِعْمَةً مِّنَّاۙ قَالَ اِنَّمَآ اُوْتِيْتُهٗ عَلٰى عِلْمٍ ۗبَلْ هِيَ فِتْنَةٌ وَّلٰكِنَّ اَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ (الزمر : ٣٩)

fa-idhā
فَإِذَا
So when
অতঃপর যখন
massa
مَسَّ
touches
স্পর্শ করে
l-insāna
ٱلْإِنسَٰنَ
[the] man
মানুষকে
ḍurrun
ضُرٌّ
adversity
কোনো দুঃখদৈন্য
daʿānā
دَعَانَا
he calls upon Us;
আমাদেরকে ডাকে
thumma
ثُمَّ
then
এরপর
idhā
إِذَا
when
যখন
khawwalnāhu
خَوَّلْنَٰهُ
We bestow (on) him
তাকে আমরা দিয়েছি
niʿ'matan
نِعْمَةً
a favor
অনুগ্রহ
minnā
مِّنَّا
from Us
আমাদের পক্ষ হ'তে
qāla
قَالَ
he says
সে বলে
innamā
إِنَّمَآ
"Only
"মূলতঃ
ūtītuhu
أُوتِيتُهُۥ
I have been given it
তা দেওয়া হয়েছিলো আমাকে
ʿalā
عَلَىٰ
for
কারণে
ʿil'min
عِلْمٍۭۚ
knowledge"
জ্ঞানের"
bal
بَلْ
Nay
বরং
hiya
هِىَ
it
এটা
fit'natun
فِتْنَةٌ
(is) a trial
একটি পরীক্ষা
walākinna
وَلَٰكِنَّ
but
কিন্তু
aktharahum
أَكْثَرَهُمْ
most of them
তারা অধিকাংশই
لَا
(do) not
না
yaʿlamūna
يَعْلَمُونَ
know
জানে

Transliteration:

Fa izaa massal insaana durrun da'aanaa summa izaa khawwalnaahu ni'matam minna qaala innamaaa ootee tuhoo 'alaa 'ilm; bal hiya fitna tunw wa laakinna aksarahum laa ya'lamoon (QS. az-Zumar:49)

English Sahih International:

And when adversity touches man, he calls upon Us; then when We bestow on him a favor from Us, he says, "I have only been given it because of [my] knowledge." Rather, it is a trial, but most of them do not know. (QS. Az-Zumar, Ayah ৪৯)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

মানুষকে বিপদাপদ স্পর্শ করলে আমাকে ডাকে। অতঃপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নি‘মাত দিয়ে ধন্য করি তখন সে বলে- আমার জ্ঞান গরিমার বদৌলতেই আমাকে তা দেয়া হয়েছে। না, তা নয়। এটা একটা পরীক্ষা (অনুগ্রহ লাভ করে কে আল্লাহর কৃতজ্ঞ হয় আর কে নিজের বড়াই প্রকাশ করে তা দেখার জন্য)। কিন্তু (এর গুঢ়তত্ত্ব) তাদের অধিকাংশই বুঝে না। (আল-যুমার, আয়াত ৪৯)

Tafsir Ahsanul Bayaan

মানুষকে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করলে সে আমাকে আহবান করে;[১] অতঃপর যখন আমি তাকে অনুগ্রহ প্রদান করি, তখন সে বলে, ‘আমি তো এ আমার জ্ঞানের মাধ্যমে লাভ করেছি।’[২] বস্তুতঃ এ এক পরীক্ষা,[৩] কিন্তু ওদের অধিকাংশই জানে না। [৪]

[১] এখানে মানুষের উল্লেখ 'জাতি' হিসাবে করা হয়েছে। অর্থাৎ, অধিকাংশ মানুষেরই এই অবস্থা যে, যখন তারা রোগ, অভাব-অনটন অথবা অন্য কোন সমস্যার শিকার হয়, তখন তা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে এবং তার সামনে কাকুতি-মিনতি করে।

[২] অর্থাৎ, নিয়ামত লাভ করার সাথে সাথেই অবাধ্যতা ও ধৃষ্টতার পথ অবলম্বন করে নেয় এবং বলে যে, এতে আল্লাহর আবার অনুগ্রহ কি? এ তো আমার পারদর্শিতার ফল। অথবা যে জ্ঞান ও দক্ষতা আমার রয়েছে, তারই মাধ্যমে এসব নিয়ামত অর্জিত হয়েছে। কিংবা আমি জানতাম যে, দুনিয়াতে এই সমস্ত জিনিস আমি পাব। কেননা, আল্লাহর নিকট আমার সম্মান অনেক।

[৩] অর্থাৎ, ব্যাপার তা নয়, যা তুমি মনে করছ অথবা বর্ণনা করছ। বরং এই নিয়ামতগুলো তোমার জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। এই দেখার জন্য যে, তুমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছ, না অকৃতজ্ঞ হচ্ছ।

[৪] এই কথা যে, এটা আল্লাহর পক্ষ হতে অবকাশ ও পরীক্ষা।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

অতঃপর যখন কোন বিপদ-আপদ মানুষকে স্পর্শ করে, তখন সে আমাদেরকে ডাকে; তারপর যখন তাকে আমরা আমাদের কোন নিয়ামতের অধিকারী করি তখন সে বলে, 'আমাকে এটা দেয়া হয়েছে কেবল আমার জ্ঞানের কারণে।' বরং এটা এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের বেশীর ভাগই তা জানে না।

Tafsir Bayaan Foundation

অতঃপর কোন বিপদাপদ মানুষকে স্পর্শ করলে সে আমাকে ডাকে। তারপর যখন আমি আমার পক্ষ থেকে নি‘আমত দিয়ে তাকে অনুগ্রহ করি তখন সে বলে, ‘জ্ঞানের কারণেই কেবল আমাকে তা দেয়া হয়েছে’। বরং এটা এক পরীক্ষা। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানে না।

Muhiuddin Khan

মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে আমাকে ডাকতে শুরু করে, এরপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নেয়ামত দান করি, তখন সে বলে, এটা তো আমি পূর্বের জানা মতেই প্রাপ্ত হয়েছি। অথচ এটা এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না।

Zohurul Hoque

কিন্তু যখন কোনো দুঃখকষ্ট মানুষকে স্পর্শ করে তখন সে আমাদের ডাকে, তারপর যখন আমরা তাকে আমাদের থেকে অনুগ্রহ প্রদান করি, সে বলে -- ''আমাকে তো এ দেওয়া হয়েছে জ্ঞানের দরুন।’’ বস্তুতঃ এ এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।