Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা ইয়াসীন আয়াত ৬০

Qur'an Surah Ya-Sin Verse 60

ইয়াসীন [৩৬]: ৬০ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اَلَمْ اَعْهَدْ اِلَيْكُمْ يٰبَنِيْٓ اٰدَمَ اَنْ لَّا تَعْبُدُوا الشَّيْطٰنَۚ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِيْنٌ (يس : ٣٦)

alam
أَلَمْ
Did not
দিই নি কি
aʿhad
أَعْهَدْ
I enjoin
আমি নির্দেশ
ilaykum
إِلَيْكُمْ
upon you
তোমাদের প্রতি
yābanī
يَٰبَنِىٓ
O Children of Adam!
হে সন্তান
ādama
ءَادَمَ
O Children of Adam!
আদমের
an
أَن
That
যে
لَّا
(do) not
না
taʿbudū
تَعْبُدُوا۟
worship
তোমরা দাসত্ব করো
l-shayṭāna
ٱلشَّيْطَٰنَۖ
the Shaitaan
শয়তানের
innahu
إِنَّهُۥ
indeed, he
সে নিশ্চয়ই
lakum
لَكُمْ
(is) for you
তোমাদের জন্যে
ʿaduwwun
عَدُوٌّ
an enemy
শত্রু
mubīnun
مُّبِينٌ
clear
প্রকাশ্য

Transliteration:

Alam a'had ilaikum yaa Baneee Aadama al-laa ta'budush Shaitaana innahoo lakum 'aduwwum mubeen (QS. Yāʾ Sīn:60)

English Sahih International:

Did I not enjoin upon you, O children of Adam, that you not worship Satan – [for] indeed, he is to you a clear enemy – (QS. Ya-Sin, Ayah ৬০)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

‘হে আদাম সন্তান! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ দেইনি যে, তোমরা শয়ত্বানের ‘ইবাদাত করো না, কারণ সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন? (ইয়াসীন, আয়াত ৬০)

Tafsir Ahsanul Bayaan

হে আদম সন্তান-সন্ততিগণ! আমি কি তোমাদের কাছে অঙ্গীকার নিইনি যে, তোমরা শয়তানের দাসত্ব করো না,[১] কারণ সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু,[২]

[১] এখানে উদ্দেশ্য হল ঐ অঙ্গীকার যা আদম (আঃ)-এর পিঠ থেকে বের করার পর তাঁর সন্তানদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল। (সূরা আ'রাফ ৭;১৭২ আয়াত দ্রঃ) অথবা ঐ অসিয়ত যা পয়গম্বরদের মুখে মানুষকে করা হয়েছে। অনেকের নিকট সেই সকল জ্ঞান ও বিবেকভিত্তিক প্রমাণপুঞ্জ যা আকাশ ও পৃথিবীতে মহান আল্লাহ ছড়িয়ে রেখেছেন। (ফাতহুল ক্বাদীর)

[২] অর্থাৎ, তোমাদেরকে শয়তানের ইবাদত এবং তার কুমন্ত্রণা গ্রহণ করা থেকে এই জন্য নিষেধ করা হয়েছে যে, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু এবং সে তোমাদেরকে সব রকমভাবে পথভ্রষ্ট করার শপথ করে রেখেছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

হে বনী আদম! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ দেইনি যে, তোমরা শয়তানের ইবাদত করো না [১], কারণ সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?

[১] অর্থাৎ সমস্ত মানুষ এমনকি, জিনদেরকেও কেয়ামতের দিন বলা হবে, আমি কি তোমাদেরকে দুনিয়াতে শয়তানের ইবাদত না করার আদেশ দেইনি? এখানে প্রশ্ন হয়। যে, কাফেররা সাধারণত শয়তানের এবাদত করত না, বরং দেবদেবী অথবা অন্যকোন বস্তুর পূজা করত। কাজেই তাদেরকে শয়তানের ইবাদত করার অভিযোগে কেমন করে অভিযুক্ত করা যায়? এর জওয়াব হচ্ছে, এখানে আল্লাহ “ইবাদত” কে আনুগত্য অর্থে ব্যবহার করেছেন। প্রত্যেক কাজে ও প্রত্যেক অবস্থায় কারও আনুগত্য করার নামই ইবাদত। শয়তানকে নিছক সিজদা করাই নিষিদ্ধ নয় বরং তার আনুগত্য করা এবং তার হুকুম মেনে চলাও নিষিদ্ধ। কাজেই আনুগত্য হচ্ছে ইবাদাত। শয়তানের ইবাদাত করার বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। কখনো এমন হয়, মানুষ একটি কাজ করে এবং তার অংগ-প্রত্যংগের সাথে সাথে তার কণ্ঠও তার সহযোগী হয় এবং মনও তার সাথে অংশ গ্ৰহণ করে। আবার কখনো এমনও হয়, অংগ-প্রত্যংগের সাহায্যে মানুষ একটি কাজ করে কিন্তু অন্তর ও কণ্ঠ সে কাজে তার সহযোগী হয় না। এ হচ্ছে নিছক বাইরের অংগ-প্রত্যংগের সাহায্যে শয়তানের ইবাদাত। আবার এমন কিছু লোকও আছে যারা ঠাণ্ডা মাথায় অপরাধ করে এবং মুখেও নিজেদের এ কাজে আনন্দ ও সন্তোষ প্ৰকাশ করে। এরা ভিতরে বাইরে উভয় পর্যায়ে শয়তানের ইবাদতকারী। তারা চিরকাল শয়তানী শিক্ষার অনুসরণ করেছিল বিধায় তাদেরকে শয়তানের ইবাদতকারী বলা হয়েছে। সে অনুসারেই যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি কিংবা অসন্তুষ্টির তোয়াক্কা না করে অর্থের মহব্বতে এমনসব কাজ করে, যাদ্দারা অর্থ বৃদ্ধি পায় এবং স্ত্রীর মহব্বতে এমনসব কাজ করে যাদ্দারা স্ত্রী সন্তুষ্ট হয়, হাদীসে তাদেরকে অর্থের দাস ও স্ত্রীর দাস বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। [দেখুন; বুখারী; ২৮৮৬, তিরমিয়ী; ২৩৭৫]

Tafsir Bayaan Foundation

হে বনী আদম, আমি কি তোমাদেরকে এ মর্মে নির্দেশ দেইনি যে, ‘তোমরা শয়তানের উপাসনা করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’?

Muhiuddin Khan

হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?

Zohurul Hoque

''হে আদম-সন্তানগণ! আমি কি তোমাদের নির্দেশ দিই নি যে তোমরা শয়তানের আরাধনা করবে না, নিঃসন্দেহ সে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু, --