Skip to content

সূরা লোকমান - Page: 3

Luqman

(Luq̈mān)

২১

وَاِذَا قِيْلَ لَهُمُ اتَّبِعُوْا مَآ اَنْزَلَ اللّٰهُ قَالُوْا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ اٰبَاۤءَنَاۗ اَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطٰنُ يَدْعُوْهُمْ اِلٰى عَذَابِ السَّعِيْرِ ٢١

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
qīla
قِيلَ
বলা হয়
lahumu
لَهُمُ
তাদেরকে
ittabiʿū
ٱتَّبِعُوا۟
"তোমরা অনুসরণ করো
مَآ
যা
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করেছেন"
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ"
qālū
قَالُوا۟
তারা বলে
bal
بَلْ
"বরং
nattabiʿu
نَتَّبِعُ
আমরা অনুসরণ করবো
مَا
যা
wajadnā
وَجَدْنَا
আমরা পেয়েছি
ʿalayhi
عَلَيْهِ
উপর তার
ābāanā
ءَابَآءَنَآۚ
আমার পিতৃ-পুরুষদেরকে"
awalaw
أَوَلَوْ
কি যদিও
kāna
كَانَ
হলো
l-shayṭānu
ٱلشَّيْطَٰنُ
শয়তান (এমন যে)
yadʿūhum
يَدْعُوهُمْ
ডেকে আসছে তাদেরকে
ilā
إِلَىٰ
দিকে
ʿadhābi
عَذَابِ
শাস্তির
l-saʿīri
ٱلسَّعِيرِ
জ্বলন্ত আগুনের (তবুও অনুসরণ করবেই)
তাদেরকে যখন বলা হয়- আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা অনুসরণ কর, তখন তারা বলে- বরং আমরা তারই অনুসরণ করব আমাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে যে পথ অনুসরণ করতে দেখেছি। শয়ত্বান যদি তাদেরকে জ্বলন্ত আগুনের শাস্তির দিকে ডাকে, তবুও কি (তারা তারই অনুসরণ করবে)? ([৩১] লোকমান: ২১)
ব্যাখ্যা
২২

۞ وَمَنْ يُّسْلِمْ وَجْهَهٗٓ اِلَى اللّٰهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقٰىۗ وَاِلَى اللّٰهِ عَاقِبَةُ الْاُمُوْرِ ٢٢

waman
وَمَن
এবং যে
yus'lim
يُسْلِمْ
সমর্পণ করে
wajhahu
وَجْهَهُۥٓ
চেহারাকে (নিজেকে) তার
ilā
إِلَى
কাছে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
wahuwa
وَهُوَ
এমতাবস্হায় যে সে
muḥ'sinun
مُحْسِنٌ
সৎকর্মপরায়ণ
faqadi
فَقَدِ
তবে নিশ্চয়ই
is'tamsaka
ٱسْتَمْسَكَ
সে শক্ত করে ধরেছে
bil-ʿur'wati
بِٱلْعُرْوَةِ
নিয়ে হাতলকে (অর্থাৎ আশ্রয়কে)
l-wuth'qā
ٱلْوُثْقَىٰۗ
সুদৃঢ়
wa-ilā
وَإِلَى
এবং দিকে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ্‌রই
ʿāqibatu
عَٰقِبَةُ
পরিণাম
l-umūri
ٱلْأُمُورِ
সব ব্যাপারের
যে কেউ আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ করে আর সে সৎকর্মশীল, সে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে এক মজবুত হাতল। যাবতীয় কর্ম পরিণাম ফলের জন্য আল্লাহর দিকে ফিরে যায়। ([৩১] লোকমান: ২২)
ব্যাখ্যা
২৩

وَمَنْ كَفَرَ فَلَا يَحْزُنْكَ كُفْرُهٗۗ اِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ فَنُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوْاۗ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ ٢٣

waman
وَمَن
এবং যে
kafara
كَفَرَ
অবিশ্বাস করলো
falā
فَلَا
অতঃপর না (যেন)
yaḥzunka
يَحْزُنكَ
চিন্তিত করে তোমাকে
kuf'ruhu
كُفْرُهُۥٓۚ
অবিশ্বাস তার
ilaynā
إِلَيْنَا
দিকে আমাদেরই
marjiʿuhum
مَرْجِعُهُمْ
প্রত্যাবর্তন তাদের ( হবে )
fanunabbi-uhum
فَنُنَبِّئُهُم
তখন আমরা জানিয়ে দিবো তাদের
bimā
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
ʿamilū
عَمِلُوٓا۟ۚ
তারা করেছে
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
ʿalīmun
عَلِيمٌۢ
খুব অবহিত
bidhāti
بِذَاتِ
সম্পর্কে অবস্থা
l-ṣudūri
ٱلصُّدُورِ
অন্তরসমূহের
কেউ কুফরী করলে তার কুফরী তোমাকে যেন মনোকষ্ট না দেয়, তাদের প্রত্যাবর্তন আমার কাছেই; অতঃপর আমি তাদেরকে জানিয়ে দেব তারা কী করত। (মানুষের) অন্তরসমূহে কী আছে সে সম্পর্কে আল্লাহই সবচেয়ে বেশি জানেন। ([৩১] লোকমান: ২৩)
ব্যাখ্যা
২৪

نُمَتِّعُهُمْ قَلِيْلًا ثُمَّ نَضْطَرُّهُمْ اِلٰى عَذَابٍ غَلِيْظٍ ٢٤

numattiʿuhum
نُمَتِّعُهُمْ
আমরা ভোগ করতে দিবো তাদেরকে
qalīlan
قَلِيلًا
অল্প (কাল)
thumma
ثُمَّ
এরপর
naḍṭarruhum
نَضْطَرُّهُمْ
আমরা বাধ্য করবো তাদেরকে
ilā
إِلَىٰ
দিকে
ʿadhābin
عَذَابٍ
শাস্তির
ghalīẓin
غَلِيظٍ
কঠিন
অল্প সময়ের জন্য তাদেরকে ভোগ করতে দেব, অবশেষে তাদেরকে গুরুতর শাস্তিতে (প্রবেশ করতে) বাধ্য করব। ([৩১] লোকমান: ২৪)
ব্যাখ্যা
২৫

وَلَىِٕنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ لَيَقُوْلُنَّ اللّٰهُ ۗقُلِ الْحَمْدُ لِلّٰهِ ۗبَلْ اَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُوْنَ ٢٥

wala-in
وَلَئِن
এবং অবশ্যই যদি
sa-altahum
سَأَلْتَهُم
তুমি প্রশ্ন করো তাদের
man
مَّنْ
"কে
khalaqa
خَلَقَ
সৃষ্টি করেছেন
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশ মন্ডলী
wal-arḍa
وَٱلْأَرْضَ
ও পৃথিবী"
layaqūlunna
لَيَقُولُنَّ
অবশ্যই তারা বলবে
l-lahu
ٱللَّهُۚ
"আল্লাহ্‌"
quli
قُلِ
বলো
l-ḥamdu
ٱلْحَمْدُ
"সব প্রশংসা
lillahi
لِلَّهِۚ
জন্যে আল্লাহ্‌রই"
bal
بَلْ
কিন্তু
aktharuhum
أَكْثَرُهُمْ
অধিকাংশ (লোক) তাদের
لَا
না
yaʿlamūna
يَعْلَمُونَ
তারা জানে
যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- আকাশমন্ডলী ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে, তারা অবশ্য অবশ্যই বলবে- আল্লাহ। বল, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না। ([৩১] লোকমান: ২৫)
ব্যাখ্যা
২৬

لِلّٰهِ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِۗ اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيْدُ ٢٦

lillahi
لِلَّهِ
জন্যে আল্লাহ্‌রই
مَا
যা কিছু
فِى
মধ্যে (আছে)
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশমন্ডলীর
wal-arḍi
وَٱلْأَرْضِۚ
ও পৃথিবীর
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
huwa
هُوَ
তিনিই
l-ghaniyu
ٱلْغَنِىُّ
অভাবমুক্ত
l-ḥamīdu
ٱلْحَمِيدُ
প্রশংসিত
আকাশমন্ডলী আর যমীনে যা আছে সব আল্লাহরই, নিশ্চয়ই আল্লাহ, তিনি সকল অভাব-মুক্ত, সকল প্রশংসার অধিকারী। ([৩১] লোকমান: ২৬)
ব্যাখ্যা
২৭

وَلَوْ اَنَّ مَا فِى الْاَرْضِ مِنْ شَجَرَةٍ اَقْلَامٌ وَّالْبَحْرُ يَمُدُّهٗ مِنْۢ بَعْدِهٖ سَبْعَةُ اَبْحُرٍ مَّا نَفِدَتْ كَلِمٰتُ اللّٰهِ ۗاِنَّ اللّٰهَ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ ٢٧

walaw
وَلَوْ
এবং যদি (হয়)
annamā
أَنَّمَا
নিশ্চয়ই যা কিছু
فِى
মধ্যে
l-arḍi
ٱلْأَرْضِ
পৃথিবীর
min
مِن
দিয়ে
shajaratin
شَجَرَةٍ
গাছ
aqlāmun
أَقْلَٰمٌ
কলমসমূহ
wal-baḥru
وَٱلْبَحْرُ
এবং সমুদ্র(কালি হয়)
yamudduhu
يَمُدُّهُۥ
বৃদ্ধি করে তাকে
min
مِنۢ
থেকেও
baʿdihi
بَعْدِهِۦ
পর তার
sabʿatu
سَبْعَةُ
সাত
abḥurin
أَبْحُرٍ
সমুদ্র ( এবং রবের কথা লেখা হয় )
مَّا
(তবুও) না (এবং রবের কথা লেখা হয়)
nafidat
نَفِدَتْ
শেষ হবে
kalimātu
كَلِمَٰتُ
কথাগুলো (লেখা)
l-lahi
ٱللَّهِۗ
আল্লাহর
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
ʿazīzun
عَزِيزٌ
মহাপরাক্রমশালী
ḥakīmun
حَكِيمٌ
প্রজ্ঞাময়
দুনিয়ার সব গাছ যদি কলম হয় আর সমুদ্র (কালি হয়) আর তার সাথে আরো সাত সমুদ্র যুক্ত হয়, তবুও আল্লাহর (প্রশংসার) কথা (লেখা) শেষ হবে না। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী। ([৩১] লোকমান: ২৭)
ব্যাখ্যা
২৮

مَا خَلْقُكُمْ وَلَا بَعْثُكُمْ اِلَّا كَنَفْسٍ وَّاحِدَةٍ ۗاِنَّ اللّٰهَ سَمِيْعٌۢ بَصِيْرٌ ٢٨

مَّا
নয়
khalqukum
خَلْقُكُمْ
সৃষ্টি তোমাদের
walā
وَلَا
আর না
baʿthukum
بَعْثُكُمْ
উত্থান তোমাদের
illā
إِلَّا
এ ছাড়া
kanafsin
كَنَفْسٍ
মতো(সৃষ্টি ও উত্থান)প্রাণীর
wāḥidatin
وَٰحِدَةٍۗ
একটিমাত্র
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
samīʿun
سَمِيعٌۢ
সব শুনেন
baṣīrun
بَصِيرٌ
সব দেখেন
তোমাদের সকলের সৃষ্টি ও পুনরুত্থান একজন মানুষের (সৃষ্টি ও পুনরুত্থানের) মতই। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। ([৩১] লোকমান: ২৮)
ব্যাখ্যা
২৯

اَلَمْ تَرَ اَنَّ اللّٰهَ يُوْلِجُ الَّيْلَ فِى النَّهَارِ وَيُوْلِجُ النَّهَارَ فِى الَّيْلِ وَسَخَّرَ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَۖ كُلٌّ يَّجْرِيْٓ اِلٰٓى اَجَلٍ مُّسَمًّى وَّاَنَّ اللّٰهَ بِمَا تَعْمَلُوْنَ خَبِيْرٌ ٢٩

alam
أَلَمْ
কি না
tara
تَرَ
তুমি দেখো
anna
أَنَّ
যে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
yūliju
يُولِجُ
প্রবেশ করান
al-layla
ٱلَّيْلَ
রাতকে
فِى
মধ্যে
l-nahāri
ٱلنَّهَارِ
দিনের
wayūliju
وَيُولِجُ
ও প্রবেশ করান
l-nahāra
ٱلنَّهَارَ
দিনকে
فِى
মধ্যে
al-layli
ٱلَّيْلِ
রাতের
wasakhara
وَسَخَّرَ
এবং নিয়মাধীন করেছেন
l-shamsa
ٱلشَّمْسَ
সূর্যকে
wal-qamara
وَٱلْقَمَرَ
ও চাঁদকে
kullun
كُلٌّ
প্রত্যেকে
yajrī
يَجْرِىٓ
চলছে
ilā
إِلَىٰٓ
পর্যন্ত
ajalin
أَجَلٍ
কাল
musamman
مُّسَمًّى
নির্দিষ্ট
wa-anna
وَأَنَّ
এবং নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
bimā
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
taʿmalūna
تَعْمَلُونَ
তোমরা করছো
khabīrun
خَبِيرٌ
খুব অবহিত
তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিনে এবং দিনকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়ন্ত্রণ করেন, প্রত্যেকেই বিচরণ করছে নির্দিষ্টকৃত সময় অনুযায়ী, তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত। ([৩১] লোকমান: ২৯)
ব্যাখ্যা
৩০

ذٰلِكَ بِاَنَّ اللّٰهَ هُوَ الْحَقُّ وَاَنَّ مَا يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهِ الْبَاطِلُۙ وَاَنَّ اللّٰهَ هُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيْرُ ࣖ ٣٠

dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
bi-anna
بِأَنَّ
একারণে যে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
huwa
هُوَ
তিনিই
l-ḥaqu
ٱلْحَقُّ
সত্য
wa-anna
وَأَنَّ
এবং (এও) যে
مَا
যাকে
yadʿūna
يَدْعُونَ
তারা ডাকছে
min
مِن
ছাড়া
dūnihi
دُونِهِ
তাঁকে
l-bāṭilu
ٱلْبَٰطِلُ
( তা সবই )অসত্য
wa-anna
وَأَنَّ
এবং (এও সত্য) যে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
huwa
هُوَ
তিনিই
l-ʿaliyu
ٱلْعَلِىُّ
সমুন্নত
l-kabīru
ٱلْكَبِيرُ
সুমহান
এসব প্রমাণ করে যে, আল্লাহ্ই সত্য এবং তাঁর পরিবর্তে তারা যাকে ডাকে তা মিথ্যে। আল্লাহ, তিনি তো হলেন সর্বোচ্চ, সুমহান। ([৩১] লোকমান: ৩০)
ব্যাখ্যা