Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল ইমরান আয়াত ৬৩

Qur'an Surah Ali 'Imran Verse 63

আল ইমরান [৩]: ৬৩ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

فَاِنْ تَوَلَّوْا فَاِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌ ۢبِالْمُفْسِدِيْنَ ࣖ (آل عمران : ٣)

fa-in
فَإِن
And if
যদি অতঃপর
tawallaw
تَوَلَّوْا۟
they turn back
তারা ফিরে যায়
fa-inna
فَإِنَّ
then indeed
তবে নিশ্চয়
l-laha
ٱللَّهَ
Allah
আল্লাহ
ʿalīmun
عَلِيمٌۢ
(is) All-Knowing
খুব অবহিত
bil-muf'sidīna
بِٱلْمُفْسِدِينَ
of the corrupters
ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের সম্পর্কে

Transliteration:

Fa in tawallaw fa innal laaha'aleemun bil mufsideen (QS. ʾĀl ʿImrān:63)

English Sahih International:

But if they turn away, then indeed – Allah is Knowing of the corrupters. (QS. Ali 'Imran, Ayah ৬৩)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তা’ সত্ত্বেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ কলহ সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে বিশেষভাবে অবহিত। (আল ইমরান, আয়াত ৬৩)

Tafsir Ahsanul Bayaan

অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় (অর্থাৎ, ঈসা সম্বন্ধে সত্য ইতিহাসকে অস্বীকার করে), তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সম্বন্ধে সম্যক অবহিত।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ ফাসাদকারীদের সম্পর্কে সম্যক অবগত [১]।

[১] এ ‘মুবাহালা'র পটভূমি সম্পর্কে হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নাজরানের নাসারাদের মধ্য হতে ‘আকেব ও আস-সাইয়্যেদ নামীয় দুই নেতা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে [তাদের ধর্ম ও ইসলামের মধ্যে কোন্‌টি সঠিক তা নিধারণের ব্যাপারে] মুলা’আনাহ করার ব্যাপারে তাদের ইচ্ছা ব্যক্ত করল। তারপর তাদের একজন অপরজনকে বলল, এটা করতে যেয়ো না; কারণ, আল্লাহ্‌র শপথ, যদি তিনি নবী-ই হয়ে থাকেন এবং আমাদেরকে বদ-দো'আ করেন, তাহলে আমরা ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কখনো সফলকাম হতে পারবো না। তারপর তারা দু'জন [পূর্ববর্তী মুবাহালা করার মত থেকে সরে এসে] এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন তা-ই আমরা দিব, তবে আপনি আমাদের কাছে একজন আমানতদার ব্যক্তিকে পাঠান। আমানতদার ব্যক্তি ব্যতীত কাউকে পাঠাবেন না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি তোমাদের সাথে বাস্তবিকই একজন আমানতদার ব্যক্তিকেই পাঠাব। এ কথা বলার পর সাহাবায়ে কিরামের অনেকেই সেই আমানতদার ব্যক্তিটি হবার ব্যাপারে উৎসাহী হলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘হে আবু উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ! তুমি উঠ। ” যখন তিনি দাঁড়ালেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “এই হচ্ছে এ উম্মতের আমানতদার ব্যক্তি। " [বুখারী ৪৩৮০, মুসলিম; ২৪২০]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইবন আব্বাস বলেন, “যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে মুবাহালাহ করতে চেয়েছিল তারা যদি তা করত তবে তারা ফিরে গিয়ে কোন সম্পদ-পরিবার খুজে পেত না। ” [তিরমিয়ী; ৩৩৪৫, মুসনাদে আহমাদ ১/২৪৮]

ইবন কাসীর বলেন, এ ঘটনা হিজরী ৯ম সনে সংঘটিত হয়েছিল। তার পূর্বেই জিযিয়া করের বিধান সম্বলিত সূরা আত-তাওবাহ্ এর আয়াত নাযিল হয়েছিল। [তাফসীরে ইবনে কাসীর]

Tafsir Bayaan Foundation

তবুও যদি তারা উপেক্ষা করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের সম্পর্কে অবগত।

Muhiuddin Khan

তারপর যদি তারা গ্রহণ না করে, তাহলে প্রমাদ সৃষ্টিকারীদেরকে আল্লাহ জানেন।

Zohurul Hoque

কিন্তু তারা যদি ফিরে যায়, তাহলে আল্লাহ্ ফসাদকারীদের সম্যক জ্ঞাতা।