Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল ইমরান আয়াত ১৭৪

Qur'an Surah Ali 'Imran Verse 174

আল ইমরান [৩]: ১৭৪ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

فَانْقَلَبُوْا بِنِعْمَةٍ مِّنَ اللّٰهِ وَفَضْلٍ لَّمْ يَمْسَسْهُمْ سُوْۤءٌۙ وَّاتَّبَعُوْا رِضْوَانَ اللّٰهِ ۗ وَاللّٰهُ ذُوْ فَضْلٍ عَظِيْمٍ (آل عمران : ٣)

fa-inqalabū
فَٱنقَلَبُوا۟
So they returned
তারা ফলে ফিরে এল
biniʿ'matin
بِنِعْمَةٍ
with (the) Favor
অবদানে
mina
مِّنَ
of
(থেকে)
l-lahi
ٱللَّهِ
Allah
আল্লাহর
wafaḍlin
وَفَضْلٍ
and Bounty
ও (তাঁর) অনুগ্রহে
lam
لَّمْ
not
নাই
yamsashum
يَمْسَسْهُمْ
touched them
তাদের স্পর্শ করে
sūon
سُوٓءٌ
any harm
কোন অকল্যাণ
wa-ittabaʿū
وَٱتَّبَعُوا۟
And they followed
এবং তারা অনুসরণ করেছিল
riḍ'wāna
رِضْوَٰنَ
(the) pleasure
সন্তুষ্টির
l-lahi
ٱللَّهِۗ
(of) Allah
আল্লাহর
wal-lahu
وَٱللَّهُ
and Allah
এবং আল্লাহ
dhū
ذُو
(is) Possessor
(একটি)
faḍlin
فَضْلٍ
(of) Bounty
অনুগ্রহশীল
ʿaẓīmin
عَظِيمٍ
great
মহান

Transliteration:

Fanqalaboo bini'matim minal laahi wa fadlil lam yamsashum sooo'unw wattaba'oo ridwaanal laah; wallaahu zoo fadlin 'azeem (QS. ʾĀl ʿImrān:174)

English Sahih International:

So they returned with favor from Allah and bounty, no harm having touched them. And they pursued the pleasure of Allah, and Allah is the possessor of great bounty. (QS. Ali 'Imran, Ayah ১৭৪)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

অতঃপর তারা আল্লাহর নি‘মাত ও অনুগ্রহসহ ফিরে আসল, কোনও প্রকার অনিষ্ট তাদেরকে স্পর্শ করেনি, তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুসরণ করেছিল এবং আল্লাহ মহাকল্যাণময়। (আল ইমরান, আয়াত ১৭৪)

Tafsir Ahsanul Bayaan

তারপর তারা আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহসহ ফিরে এসেছিল, [১] কোন অনিষ্ট তাদেরকে স্পর্শ করেনি এবং আল্লাহ যাতে সন্তুষ্ট হন, তারা তারই অনুসরণ করেছিল। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।

[১] نِعْمَةٌ (নিয়ামত)এর অর্থ নিরাপত্তা ও শান্তি। আর فَضْلٌ (অনুগ্রহ)এর অর্থ সেই মুনাফা যা 'বদর সুগরা'য় ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল। নবী করীম (সাঃ) 'বদর সুগরা' হয়ে গমনকারী এক বাণিজ্য-কাফেলার নিকট থেকে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে বিক্রি করেছিলেন, যা থেকে মুনাফা হয়েছিল এবং তা তিনি মুসলিমদের মাঝে বণ্টন করে দিয়েছিলেন। (ইবনে কাসীর)

Tafsir Abu Bakr Zakaria

তারপর তারা আল্লাহ্‌র নেয়ামত ও অনুগ্রহসহ ফিরে এসেছিল, কোন অনিষ্ট তাদেরকে স্পর্শ করেনি এবং আল্লাহ যাতে সন্তুষ্ট তারা তারই অনুসরণ করেছিল এবং আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল [১]।

[১] এ আয়াতে সে সমস্ত সাহাবায়ে কেরামের জেহাদের জন্য রওয়ানা হওয়া এবং ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল’ বলার উপকারিতা, ফলশ্রুতি ও বরকত বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে- “এরা আল্লাহ্‌র দান ও অনুগ্রহ নিয়ে ফিরে এল। তাতে তাদের কোন রকম অনিষ্ট হলো না আর তারা হল আল্লাহ্‌র ইচ্ছার অনুগত”। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে তিনটি নেয়ামত প্রদান করলেন। প্রথম নেয়ামত হলো এই যে, কাফেরদের মনে ভীতি সঞ্চার করে দিলেন, এতে তারা পালিয়ে গেল। ফলে তারা যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে নিরাপদ রইলেন। এ নেয়ামতকে আল্লাহ তা’আলা ‘নেয়ামত’ শব্দেই উল্লেখ করলেন। দ্বিতীয় নেয়ামত এই যে, হামরাউল আসাদের বাজারে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যের যে সুযোগ হয়েছিল এবং তাতে তারা যে লাভবান হয়েছিলেন এবং কাফেরদের ফেলে যাওয়া গণীমতের মাল থেকে তারা যে লাভবান হয়েছিলেন তাকেই বলা হয়েছে ‘ফযল’। তৃতীয় নেয়ামতটি হলো ‘আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভ’ যা সমস্ত নেয়ামতের উর্ধ্বে এবং যা এই জেহাদে তাদেরকে বিশেষ ভঙ্গিতে দেয়া হয়েছে।

Tafsir Bayaan Foundation

অতঃপর তারা ফিরে এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিআমত ও অনুগ্রহসহ। কোন মন্দ তাদেরকে স্পর্শ করেনি এবং তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির অনুসরণ করেছিল। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।

Muhiuddin Khan

অতঃপর ফিরে এল মুসলমানরা আল্লাহর অনুগ্রহ নিয়ে, তদের কিছুই অনিষ্ট হলো না। তারপর তারা আল্লাহর ইচ্ছার অনুগত হল। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অতি বিরাট।

Zohurul Hoque

সুতরাং তারা ফিরে এল আল্লাহ্‌র কাছ থেকে নিয়ামত ও করুণাভান্ডার নিয়ে, কোনো অনিষ্ট তাদের স্পর্শ করে নি, বস্তুতঃ তারা আল্লাহ্‌র প্রসন্নতার অনুগমন করেছিল। আর আল্লাহ্ অফুরন্ত করুণাভান্ডারের মালিক।