সূরা আল-ফুরকান - Page: 2

بَلْ كَذَّبُوْا بِالسَّاعَةِۙ وَاَعْتَدْنَا لِمَنْ كَذَّبَ بِالسَّاعَةِ سَعِيْرًا ١١

আসলে তারা কিয়ামাতকে অস্বীকার করে, আর যারা কিয়ামাতকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুন। ([২৫] আল-ফুরকান: ১১)

اِذَا رَاَتْهُمْ مِّنْ مَّكَانٍۢ بَعِيْدٍ سَمِعُوْا لَهَا تَغَيُّظًا وَّزَفِيْرًا ١٢

আগুন যখন তাদেরকে বহু দূরবর্তী স্থান থেকে দেখবে, তখন তারা শুনতে পারে তার ক্রুদ্ধ গর্জন ও হুঙ্কার। ([২৫] আল-ফুরকান: ১২)

وَاِذَآ اُلْقُوْا مِنْهَا مَكَانًا ضَيِّقًا مُّقَرَّنِيْنَ دَعَوْا هُنَالِكَ ثُبُوْرًا ۗ ١٣

যখন তাদেরকে এক সঙ্গে বেঁধে জাহান্নামের কোন সংকীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে, তখন সেখানে তারা মৃত্যুকে ডাকবে। ([২৫] আল-ফুরকান: ১৩)

لَا تَدْعُوا الْيَوْمَ ثُبُوْرًا وَّاحِدًا وَّادْعُوْا ثُبُوْرًا كَثِيْرًا ١٤

(বলা হবে) ‘তোমরা আজ এক মৃত্যুকে ডেক না, অনেক মৃত্যুকে ডাক।’ ([২৫] আল-ফুরকান: ১৪)

قُلْ اَذٰلِكَ خَيْرٌ اَمْ جَنَّةُ الْخُلْدِ الَّتِيْ وُعِدَ الْمُتَّقُوْنَۗ كَانَتْ لَهُمْ جَزَاۤءً وَّمَصِيْرًا ١٥

তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- এটাই উত্তম না চিরস্থায়ী জান্নাত, মুত্তাকীদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছে? তাদের জন্য এটা হবে প্রতিদান ও শেষ আবাসস্থল। ([২৫] আল-ফুরকান: ১৫)

لَهُمْ فِيْهَا مَا يَشَاۤءُوْنَ خٰلِدِيْنَۗ كَانَ عَلٰى رَبِّكَ وَعْدًا مَّسْـُٔوْلًا ١٦

সেখানে তাদের জন্য তা-ই থাকবে যা তারা ইচ্ছে করবে। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এটা একটা ওয়াদা যা পূরণ করা তোমার প্রতিপালকের দায়িত্ব। ([২৫] আল-ফুরকান: ১৬)

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ وَمَا يَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَيَقُوْلُ ءَاَنْتُمْ اَضْلَلْتُمْ عِبَادِيْ هٰٓؤُلَاۤءِ اَمْ هُمْ ضَلُّوا السَّبِيْلَ ۗ ١٧

যেদিন তিনি তাদেরকে আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা যেগুলোর ‘ইবাদাত করত সেগুলোকে একত্র করবেন, সেদিন তিনি জিজ্ঞেস করবেন- ‘তোমরাই কি আমার এ সব বান্দাহদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলে? না তারা নিজেরাই পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছিল?’ ([২৫] আল-ফুরকান: ১৭)

قَالُوْا سُبْحٰنَكَ مَا كَانَ يَنْۢبَغِيْ لَنَآ اَنْ نَّتَّخِذَ مِنْ دُوْنِكَ مِنْ اَوْلِيَاۤءَ وَلٰكِنْ مَّتَّعْتَهُمْ وَاٰبَاۤءَهُمْ حَتّٰى نَسُوا الذِّكْرَۚ وَكَانُوْا قَوْمًاۢ بُوْرًا ١٨

তারা বলবে ; ‘পবিত্র ও মহান তুমি। আমাদের জন্য শোভনীয় ছিল না যে তোমাকে বাদ দিয়ে অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করব, বরং তুমি ওদেরকে আর ওদের পিতৃপুরুষদেরকে দিয়েছিলে পার্থিব ভোগ সম্ভার, পরিণামে তারা ভুলে গিয়েছিল (তোমার প্রেরিত) বাণী, যার ফলে তারা পরিণত হল এক ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিতে। ([২৫] আল-ফুরকান: ১৮)

فَقَدْ كَذَّبُوْكُمْ بِمَا تَقُوْلُوْنَۙ فَمَا تَسْتَطِيْعُوْنَ صَرْفًا وَّلَا نَصْرًاۚ وَمَنْ يَّظْلِمْ مِّنْكُمْ نُذِقْهُ عَذَابًا كَبِيْرًا ١٩

(আল্লাহ মুশরিকদেরকে বলবেন) ‘তোমরা যা বলতে সে ব্যাপারে তারা তোমাদেরকে মিথ্যে প্রমাণিত করেছে। কাজেই তোমরা না পারবে (তোমাদের শাস্তি) প্রতিরোধ করতে আর না পাবে সাহায্য। তোমাদের মধ্যে যে অন্যায়কারী আমি তাকে গুরুতর শাস্তি আস্বাদন করাব। ([২৫] আল-ফুরকান: ১৯)

وَمَآ اَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِنَ الْمُرْسَلِيْنَ اِلَّآ اِنَّهُمْ لَيَأْكُلُوْنَ الطَّعَامَ وَيَمْشُوْنَ فِى الْاَسْوَاقِۗ وَجَعَلْنَا بَعْضَكُمْ لِبَعْضٍ فِتْنَةً ۗ اَتَصْبِرُوْنَۚ وَكَانَ رَبُّكَ بَصِيْرًا ࣖ ۔ ٢٠

আমি তোমার পূর্বে যে সব রসূল পাঠিয়েছিলাম তারা সবাই খাদ্য গ্রহণ করত, আর হাট-বাজারে চলাফেরা করত। আমি তোমাদের এককে অপরের জন্য করেছি পরীক্ষাস্বরূপ (কাউকে করেছি ধনী, কাউকে গরীব, কাউকে সবল, কাউকে দুর্বল, কাউকে রুগ্ন, কাউকে সুস্থ), দেখি, তোমরা (নিজ নিজ অবস্থার উপর) ধৈর্য ধারণ কর কিনা। তোমার প্রতিপালক সব কিছু দেখেন। ([২৫] আল-ফুরকান: ২০)