Skip to content

সূরা আন-নূর - শব্দ দ্বারা শব্দ

An-Nur

(an-Nūr)

bismillaahirrahmaanirrahiim

سُوْرَةٌ اَنْزَلْنٰهَا وَفَرَضْنٰهَا وَاَنْزَلْنَا فِيْهَآ اٰيٰتٍۢ بَيِّنٰتٍ لَّعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ ١

sūratun
سُورَةٌ
(এটা) একটি সূরা
anzalnāhā
أَنزَلْنَٰهَا
তা আমরা অবতীর্ণ করেছি
wafaraḍnāhā
وَفَرَضْنَٰهَا
ও এর (বিধানকে) আমরা ফরজ করেছি
wa-anzalnā
وَأَنزَلْنَا
এবং আমরা অবতীর্ণ করেছি
fīhā
فِيهَآ
তার মধ্যে
āyātin
ءَايَٰتٍۭ
আয়াতসমূহ
bayyinātin
بَيِّنَٰتٍ
সুস্পষ্ট
laʿallakum
لَّعَلَّكُمْ
সম্ভবতঃ তোমরা
tadhakkarūna
تَذَكَّرُونَ
উপদেশ গ্রহণ করবে
একটি সূরাহ যা আমি নাযিল করেছি আর তা ফরয করে দিয়েছি, আর তার ভেতরে আমি সুস্পষ্ট আয়াত নাযিল করেছি, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। ([২৪] আন-নূর: ১)
ব্যাখ্যা

اَلزَّانِيَةُ وَالزَّانِيْ فَاجْلِدُوْا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ ۖوَّلَا تَأْخُذْكُمْ بِهِمَا رَأْفَةٌ فِيْ دِيْنِ اللّٰهِ اِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِۚ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَاۤىِٕفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِيْنَ ٢

al-zāniyatu
ٱلزَّانِيَةُ
ব্যভিচারিণী
wal-zānī
وَٱلزَّانِى
ও ব্যভিচারী
fa-ij'lidū
فَٱجْلِدُوا۟
অতঃপর তোমরা দোররা মারবে
kulla
كُلَّ
প্রত্যেক
wāḥidin
وَٰحِدٍ
একজনকে
min'humā
مِّنْهُمَا
তাদের দুজনার মধ্য হ'তে
mi-ata
مِا۟ئَةَ
একশত
jaldatin
جَلْدَةٍۖ
দোররা
walā
وَلَا
আর না (যেন)
takhudh'kum
تَأْخُذْكُم
তোমাদেরকে প্রভাবিত করে
bihimā
بِهِمَا
প্রতি তাদের দু'জনের
rafatun
رَأْفَةٌ
দয়া অনুকম্পা
فِى
ব্যাপারে
dīni
دِينِ
দ্বীনের
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
in
إِن
যদি
kuntum
كُنتُمْ
তোমরা থাকো
tu'minūna
تُؤْمِنُونَ
তোমরা ঈমান আনো
bil-lahi
بِٱللَّهِ
প্রতি আল্লাহর
wal-yawmi
وَٱلْيَوْمِ
ও দিনের
l-ākhiri
ٱلْءَاخِرِۖ
শেষ (প্রতি)
walyashhad
وَلْيَشْهَدْ
আর যেন প্রত্যক্ষ করে
ʿadhābahumā
عَذَابَهُمَا
দু'জনের শাস্তি তাদের
ṭāifatun
طَآئِفَةٌ
একদল
mina
مِّنَ
মধ্য হ'তে
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَ
মু'মিনদের
ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশত করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর আইন কার্যকর করার ব্যাপারে তাদের প্রতি দয়ামায়া তোমাদেরকে যেন প্রভাবিত না করে, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাত দিনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে থাক। একদল মু’মিন যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। ([২৪] আন-নূর: ২)
ব্যাখ্যা

اَلزَّانِيْ لَا يَنْكِحُ اِلَّا زَانِيَةً اَوْ مُشْرِكَةً ۖوَّالزَّانِيَةُ لَا يَنْكِحُهَآ اِلَّا زَانٍ اَوْ مُشْرِكٌۚ وَحُرِّمَ ذٰلِكَ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ ٣

al-zānī
ٱلزَّانِى
ব্যভিচারী
لَا
না
yankiḥu
يَنكِحُ
বিয়ে করবে (অন্য কাউকে)
illā
إِلَّا
ছাড়া
zāniyatan
زَانِيَةً
ব্যভিচারিণীকে
aw
أَوْ
অথবা
mush'rikatan
مُشْرِكَةً
মুশরিক নারীকে
wal-zāniyatu
وَٱلزَّانِيَةُ
আর ব্যভিচারিণী
لَا
না
yankiḥuhā
يَنكِحُهَآ
তাকে বিয়ে করবে (অন্য কেউ)
illā
إِلَّا
ছাড়া
zānin
زَانٍ
ব্যভিচারী
aw
أَوْ
অথবা
mush'rikun
مُشْرِكٌۚ
মুশরিক
waḥurrima
وَحُرِّمَ
এবং নিষিদ্ধ করা হলো
dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
ʿalā
عَلَى
জন্যে
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَ
মু'মিনদের
ব্যভিচারী বিয়ে করে না ব্যভিচারিণী বা মুশরিকা নারী ছাড়া। আর ব্যভিচারিণী- তাকে বিয়ে করে না ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষ ছাড়া, মু’মিনদের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ([২৪] আন-নূর: ৩)
ব্যাখ্যা

وَالَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ الْمُحْصَنٰتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوْا بِاَرْبَعَةِ شُهَدَاۤءَ فَاجْلِدُوْهُمْ ثَمٰنِيْنَ جَلْدَةً وَّلَا تَقْبَلُوْا لَهُمْ شَهَادَةً اَبَدًاۚ وَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ ۙ ٤

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
yarmūna
يَرْمُونَ
অপবাদ দেয়
l-muḥ'ṣanāti
ٱلْمُحْصَنَٰتِ
পবিত্র রমণীদেরকে
thumma
ثُمَّ
এরপর
lam
لَمْ
না
yatū
يَأْتُوا۟
তারা আসে
bi-arbaʿati
بِأَرْبَعَةِ
নিয়ে চারজন
shuhadāa
شُهَدَآءَ
সাক্ষী
fa-ij'lidūhum
فَٱجْلِدُوهُمْ
তখন দোররা লাগাও তাদেরকে
thamānīna
ثَمَٰنِينَ
আশি
jaldatan
جَلْدَةً
দোররা
walā
وَلَا
আর না
taqbalū
تَقْبَلُوا۟
তোমরা গ্রহণ করবে
lahum
لَهُمْ
জন্যে তাদের (হ'তে)
shahādatan
شَهَٰدَةً
সাক্ষ্য
abadan
أَبَدًاۚ
কখনও
wa-ulāika
وَأُو۟لَٰٓئِكَ
এবং ঐসবলোক
humu
هُمُ
তারাই
l-fāsiqūna
ٱلْفَٰسِقُونَ
সত্যত্যাগী (ফাসেক)
যারা সতী সাধ্বী নারীর উপর অপবাদ দেয়, অতঃপর চারজন সাক্ষী উপস্থিত না করে, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত কর, আর তাদের সাক্ষ্য কক্ষনো গ্রহণ কর না, এরাই না-ফরমান। ([২৪] আন-নূর: ৪)
ব্যাখ্যা

اِلَّا الَّذِيْنَ تَابُوْا مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِكَ وَاَصْلَحُوْاۚ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ ٥

illā
إِلَّا
ছাড়া
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তারা) যারা
tābū
تَابُوا۟
তওবা করেছে
min
مِنۢ
থেকে
baʿdi
بَعْدِ
পর
dhālika
ذَٰلِكَ
এর
wa-aṣlaḥū
وَأَصْلَحُوا۟
ও সংশোধন করেছে
fa-inna
فَإِنَّ
তাহ'লে নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
ghafūrun
غَفُورٌ
ক্ষমাশীল
raḥīmun
رَّحِيمٌ
পরম দয়ালু
অবশ্য এরপর যদি তারা তাওবাহ করে ও সংশোধিত হয়, কেননা আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। ([২৪] আন-নূর: ৫)
ব্যাখ্যা

وَالَّذِيْنَ يَرْمُوْنَ اَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهُمْ شُهَدَاۤءُ اِلَّآ اَنْفُسُهُمْ فَشَهَادَةُ اَحَدِهِمْ اَرْبَعُ شَهٰدٰتٍۢ بِاللّٰهِ ۙاِنَّهٗ لَمِنَ الصّٰدِقِيْنَ ٦

wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
আর যারা
yarmūna
يَرْمُونَ
অপবাদ দেয়
azwājahum
أَزْوَٰجَهُمْ
তাদের স্ত্রীদেরকে
walam
وَلَمْ
আর না
yakun
يَكُن
থাকে
lahum
لَّهُمْ
তাদের কাছে
shuhadāu
شُهَدَآءُ
কোন সাক্ষী
illā
إِلَّآ
ছাড়া
anfusuhum
أَنفُسُهُمْ
তাদের নিজেদের
fashahādatu
فَشَهَٰدَةُ
তখন সাক্ষ্য
aḥadihim
أَحَدِهِمْ
তাদের একজনের
arbaʿu
أَرْبَعُ
চারবার
shahādātin
شَهَٰدَٰتٍۭ
(কসম খেয়ে) সাক্ষ্য দিবে
bil-lahi
بِٱللَّهِۙ
যে আল্লাহর (নামে)
innahu
إِنَّهُۥ
নিশ্চয়ই সে
lamina
لَمِنَ
অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত
l-ṣādiqīna
ٱلصَّٰدِقِينَ
সত্যবাদীদের
আর যারা নিজেদের স্ত্রীদের উপর অপবাদ দেয়, কিন্তু নিজেদের ছাড়া তাদের অন্য কোন সাক্ষী না থাকে, এ রকম প্রত্যেক লোকের সাক্ষ্য এভাবে হবে যে, সে চারবার আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী। ([২৪] আন-নূর: ৬)
ব্যাখ্যা

وَالْخَامِسَةُ اَنَّ لَعْنَتَ اللّٰهِ عَلَيْهِ اِنْ كَانَ مِنَ الْكٰذِبِيْنَ ٧

wal-khāmisatu
وَٱلْخَٰمِسَةُ
আর পঞ্চমবার (বলবে)
anna
أَنَّ
যে
laʿnata
لَعْنَتَ
অভিশাপ
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ʿalayhi
عَلَيْهِ
তার উপর (পড়ুক)
in
إِن
যদি
kāna
كَانَ
সে হয়
mina
مِنَ
অন্তর্ভুক্ত
l-kādhibīna
ٱلْكَٰذِبِينَ
মিথ্যাবাদীদের
আর পঞ্চমবারে বলবে যে, সে যদি মিথ্যেবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লা’নত পতিত হবে। ([২৪] আন-নূর: ৭)
ব্যাখ্যা

وَيَدْرَؤُا عَنْهَا الْعَذَابَ اَنْ تَشْهَدَ اَرْبَعَ شَهٰدٰتٍۢ بِاللّٰهِ اِنَّهٗ لَمِنَ الْكٰذِبِيْنَ ۙ ٨

wayadra-u
وَيَدْرَؤُا۟
আর রহিত হবে
ʿanhā
عَنْهَا
তার (অর্থাৎ স্ত্রীলোকটি) হ'তে
l-ʿadhāba
ٱلْعَذَابَ
শাস্তি
an
أَن
(এভাবে) যে
tashhada
تَشْهَدَ
সে শপথ করে সাক্ষ্য দিবে
arbaʿa
أَرْبَعَ
চারবার
shahādātin
شَهَٰدَٰتٍۭ
সাক্ষ্য
bil-lahi
بِٱللَّهِۙ
নামে আল্লাহর
innahu
إِنَّهُۥ
সে (অর্থাৎ পুরুষটি) নিশ্চয়ই
lamina
لَمِنَ
অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত
l-kādhibīna
ٱلْكَٰذِبِينَ
মিথ্যাবাদীদের
আর স্ত্রীর শাস্তি রহিত হবে যদি সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ ক’রে বলে যে, সে (তার স্বামী) অবশ্যই মিথ্যেবাদী। ([২৪] আন-নূর: ৮)
ব্যাখ্যা

وَالْخَامِسَةَ اَنَّ غَضَبَ اللّٰهِ عَلَيْهَآ اِنْ كَانَ مِنَ الصّٰدِقِيْنَ ٩

wal-khāmisata
وَٱلْخَٰمِسَةَ
এবং পঞ্চমবার (বলবে)
anna
أَنَّ
যে
ghaḍaba
غَضَبَ
রাগ (পড়ুক)
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ʿalayhā
عَلَيْهَآ
তার (অর্থাৎ স্ত্রীলোকটির) উপর
in
إِن
যদি
kāna
كَانَ
(পুরুষটি) হয়
mina
مِنَ
অন্তর্ভুক্ত
l-ṣādiqīna
ٱلصَّٰدِقِينَ
সত্যবাদীদের
এবং পঞ্চমবারে বলে যে, তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর আল্লাহর গযব পতিত হবে। ([২৪] আন-নূর: ৯)
ব্যাখ্যা
১০

وَلَوْلَا فَضْلُ اللّٰهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهٗ وَاَنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ حَكِيْمٌ ࣖ ١٠

walawlā
وَلَوْلَا
আর যদি না (হতো)
faḍlu
فَضْلُ
অনুগ্রহ
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ʿalaykum
عَلَيْكُمْ
তোমাদের উপর
waraḥmatuhu
وَرَحْمَتُهُۥ
ও তাঁর দয়া (তবে তোমরা জটিলতায় পড়তে)
wa-anna
وَأَنَّ
আর নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
tawwābun
تَوَّابٌ
তওবা গ্রহণকারী
ḥakīmun
حَكِيمٌ
প্রজ্ঞাময়
তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে (তোমরা ধ্বংস হয়ে যেতে), আল্লাহ তাওবাহ গ্রহণকারী, বড়ই হিকমতওয়ালা। ([২৪] আন-নূর: ১০)
ব্যাখ্যা