Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আম্বিয়া আয়াত ৪৮

Qur'an Surah Al-Anbya Verse 48

আম্বিয়া [২১]: ৪৮ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسٰى وَهٰرُوْنَ الْفُرْقَانَ وَضِيَاۤءً وَّذِكْرًا لِّلْمُتَّقِيْنَ ۙ (الأنبياء : ٢١)

walaqad
وَلَقَدْ
And verily
এবং অবশ্যই
ātaynā
ءَاتَيْنَا
We gave
আমরা দিয়েছি
mūsā
مُوسَىٰ
Musa
মূসাকে
wahārūna
وَهَٰرُونَ
and Harun
ও হারূনকে
l-fur'qāna
ٱلْفُرْقَانَ
the Criterion
ফুরকান
waḍiyāan
وَضِيَآءً
and a light
এবং আলো
wadhik'ran
وَذِكْرًا
and a Reminder
ও উপদেশ
lil'muttaqīna
لِّلْمُتَّقِينَ
for the righteous
জন্যে মুত্তাক্বীদের

Transliteration:

Wa laqad aatainaa Moosa wa haaroonal Furqaana wa diyaa'anw wa zikral lilmuttaqeen (QS. al-ʾAnbiyāʾ:48)

English Sahih International:

And We had already given Moses and Aaron the criterion and a light and a reminder for the righteous (QS. Al-Anbya, Ayah ৪৮)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি মূসা ও হারূনকে (সত্য-মিথ্যার) মানদন্ড, আলো ও বাণী দিয়েছিলাম মুত্তাকীদের জন্য। (আম্বিয়া, আয়াত ৪৮)

Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি মূসা ও হারূনকে দিয়েছিলাম সত্যাসত্যের মাঝে পার্থক্যকারী (গ্রন্থ তাওরাত) এবং সংযমীদের জন্য জ্যোতি ও উপদেশ। [১]

[১] এখানে তাওরাতের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে; যা মূসা (আঃ)-কে দেওয়া হয়েছিল। এতেও পরহেযগারদের জন্য উপদেশ ছিল; যেমন কুরআনকে 'পরহেযগারদের জন্য হিদায়াত' (আল্লাহভীরুদের জন্য পথপ্রদর্শক) বলা হয়েছে। কারণ যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় নেই তারা আল্লাহর কিতাবের দিকে ধ্যানই দেয় না। সুতরাং আসমানী কিতাব তাদের জন্য কিভাবে উপদেশ ও পথ নির্দেশের কারণ হতে পারে। উপদেশ ও পথ নির্দেশ পাওয়ার জন্য অত্যাবশ্যক হচ্ছে আসমানী কিতাবের দিকে ধ্যান দেওয়া এবং তা নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

আর অবশ্যই আমরা দিয়েছিলাম [১] মূসা ও হারুনকে ‘ফুরকান’ জ্যোতি ও উপদেশ মুত্তাকিদের জন্য [২]---

[১] এখান থেকে নবীদের আলোচনা শুরু হয়েছে। একের পর এক বেশ কয়েকজন নবীর জীবনের সংক্ষিপ্ত বা বিস্তারিত ঘটনাবলীর প্রতি ইংগিত করা হয়েছে। প্রথমে মূসা তারপর ইবরাহীম, লুত, ইসহাক, ইয়াকুব, দাউদ, সুলাইমান, আইয়ুব, ইসমাঈল, ইদরীস, যুল কিফল, যুদ্মন বা ইউনুস, যাকারিয়্যা, ইয়াহইয়া। সবশেষে একজন সিন্দীকাহ মারইয়ামের আলোচনার মাধ্যমে তা শেষ করা হয়েছে।

[২] প্রথমেই মূসা আলাইহিস সালামের আলোচনা করা হয়েছে। কুরআনে সাধারণত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আলোচনার সাথে সাথে মূসা আলাইহিস সালামের আলোচনা করা হয়। অনুরূপভাবে কুরআনের আলোচনার সাথে তাওরাতের আলোচনা করা হয়। এখানেই সেই একই পদ্ধতিতে আলোচনা করা হয়েছে। [ইবন কাসীর] প্রথমেই বলা হয়েছে যে, “অবশ্যই আমরা দিয়েছিলাম মূসা ও হারূনকে ‘ফুরকান’, জ্যোতি ও উপদেশ মুত্তাকীদের জন্য। ---”। এখানে তাওরাতের তিনটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ তাওরাত ছিল হক ও বাতিল, হারাম ও হালালের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী, মানুষকে ভীতি ও আশার মাধ্যমে সত্য-সরল পথ দেখাবার আলোক বর্তিকা বা অন্তরের আলো এবং মানব জাতিকে তার বিস্মৃতি পাঠ স্মরণ করিয়ে দেবার উপদেশ। কেউ কেউ বলেনঃ এখানে ‘ফুরকান’ বলে আল্লাহ তা'আলার সাহায্য বোঝানো হয়েছে, যা সর্বত্ৰ মূসা আলাইহিস সালামের সাথে ছিল। [কুরতুবী; ইবন কাসীর] অর্থাৎ ফিরআউনের মত শক্রর গৃহে তিনি লালিত পালিত হয়েছেন, মোকাবেলার সময় আল্লাহ তা'আলা ফির’আউনকে লাঞ্ছিত করেছেন, এরপর ফিরআউনী সৈন্যবাহিনীর পশ্চাদ্ধাবনের সময় সমুদ্রে রাস্তা সৃষ্টি হয়ে তিনি রক্ষা পান এবং ফিরআউনের সৈন্যবাহিনীর সলিলসমাধি হয়। এমনিভাবে পরবর্তীতে সকল ক্ষেত্রে আল্লাহ তা'আলার এই সাহায্য প্রত্যক্ষ করা হয়েছে। তবে আয়াতে মুত্তাকীনদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করার কারণ সম্ভবতঃ এই যে, যদিও তা পাঠানো হয়েছিল সমগ্র মানব জাতির জন্য কিন্তু তা থেকে কার্যত লাভবান তারাই হতে পারতো যারা ছিল এসব গুণে গুণান্বিত। [ফাতহুল কাদীর]

Tafsir Bayaan Foundation

আর আমি তো মূসা ও হারূনকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী দিয়েছিলাম এবং মুত্তাকীদের জন্য দিয়েছিলাম জ্যোতি ও উপদেশ।

Muhiuddin Khan

আমি মূসা ও হারুণকে দান করেছিলাম মীমাংসাকারী গ্রন্থ, আলো ও উপদেশ, আল্লাহ ভীরুদের জন্যে

Zohurul Hoque

আর আমরা অবশ্যই মূসা ও হারূনকে দিয়েছিলাম ফুরকান, আর আলো, আর স্মরণীয় গ্রন্থ -- ধর্মনিষ্ঠদের জন্য, --