সূরা আম্বিয়া - Page: 5

وَلَقَدِ اسْتُهْزِئَ بِرُسُلٍ مِّنْ قَبْلِكَ فَحَاقَ بِالَّذِيْنَ سَخِرُوْا مِنْهُمْ مَّا كَانُوْا بِهٖ يَسْتَهْزِءُوْنَ ࣖ ٤١

তোমার পূর্বেও রসূলদেরকে ঠাট্টা করা হয়েছে, অতঃপর যা দিয়ে তারা ঠাট্টা করত তা উল্টো ঠাট্টা-বিদ্রুপই তাদেরকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছিল। ([২১] আম্বিয়া: ৪১)

قُلْ مَنْ يَّكْلَؤُكُمْ بِالَّيْلِ وَالنَّهَارِ مِنَ الرَّحْمٰنِۗ بَلْ هُمْ عَنْ ذِكْرِ رَبِّهِمْ مُّعْرِضُوْنَ ٤٢

বল, ‘কে তোমাদেরকে রাতে আর দিনে রহমান (এর গযব) থেকে নিরাপদ রাখতে পারে? তবুও তারা তাদের প্রতিপালকের স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। ([২১] আম্বিয়া: ৪২)

اَمْ لَهُمْ اٰلِهَةٌ تَمْنَعُهُمْ مِّنْ دُوْنِنَاۗ لَا يَسْتَطِيْعُوْنَ نَصْرَ اَنْفُسِهِمْ وَلَا هُمْ مِّنَّا يُصْحَبُوْنَ ٤٣

তবে কি তাদের এমন দেবদেবী আছে যা তাদেরকে রক্ষা করবে আমার (প্রতিরক্ষা) ছাড়াই? তারা তো নিজেদেরকেই সাহায্য করতে পারে না, আর তারা আমার বিরুদ্ধে কোন প্রতিরক্ষাও পাবে না। ([২১] আম্বিয়া: ৪৩)

بَلْ مَتَّعْنَا هٰٓؤُلَاۤءِ وَاٰبَاۤءَهُمْ حَتّٰى طَالَ عَلَيْهِمُ الْعُمُرُۗ اَفَلَا يَرَوْنَ اَنَّا نَأْتِى الْاَرْضَ نَنْقُصُهَا مِنْ اَطْرَافِهَاۗ اَفَهُمُ الْغٰلِبُوْنَ ٤٤

বরং আমিই তাদেরকে আর তাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে পার্থিব ভোগ্যবস্তু দিয়েছিলাম আর তাদেরকে আয়ুও দেয়া হয়েছিল দীর্ঘ; তারা কি দেখছে না যে, আমি তাদের দেশকে চারপাশের (তাদের নিয়ন্ত্রিত) সীমান্ত হতে সংকুচিত করে আনছি? এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে?’ ([২১] আম্বিয়া: ৪৪)

قُلْ اِنَّمَآ اُنْذِرُكُمْ بِالْوَحْيِۖ وَلَا يَسْمَعُ الصُّمُّ الدُّعَاۤءَ اِذَا مَا يُنْذَرُوْنَ ٤٥

বল, আমি তোমাদেরকে একমাত্র (আল্লাহর) ওয়াহী দ্বারাই সতর্ক করি, কিন্তু বধিররা ডাক শুনবে না যখন তাদেরকে সতর্ক করা হয়। ([২১] আম্বিয়া: ৪৫)

وَلَىِٕنْ مَّسَّتْهُمْ نَفْحَةٌ مِّنْ عَذَابِ رَبِّكَ لَيَقُوْلُنَّ يٰوَيْلَنَآ اِنَّا كُنَّا ظٰلِمِيْنَ ٤٦

তোমার প্রতিপালকের গযবের একটা নিঃশ্বাস যদি তাদের উপর পতিত হয় তবে তারা অবশ্য অবশ্যই বলে উঠবে, ‘হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! আমরাই তো ছিলাম অপরাধী।’ ([২১] আম্বিয়া: ৪৬)

وَنَضَعُ الْمَوَازِيْنَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيٰمَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْـًٔاۗ وَاِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ اَتَيْنَا بِهَاۗ وَكَفٰى بِنَا حَاسِبِيْنَ ٤٧

আর কিয়ামাত দিবসে আমি সুবিচারের মানদন্ড স্থাপন করব, অতঃপর কারো প্রতি এতটুকুও অন্যায় করা হবে না। (কর্ম) সরিষার দানা পরিমাণ হলেও তা আমি হাযির করব, হিসাব গ্রহণে আমিই যথেষ্ট। ([২১] আম্বিয়া: ৪৭)

وَلَقَدْ اٰتَيْنَا مُوْسٰى وَهٰرُوْنَ الْفُرْقَانَ وَضِيَاۤءً وَّذِكْرًا لِّلْمُتَّقِيْنَ ۙ ٤٨

আমি মূসা ও হারূনকে (সত্য-মিথ্যার) মানদন্ড, আলো ও বাণী দিয়েছিলাম মুত্তাকীদের জন্য। ([২১] আম্বিয়া: ৪৮)

الَّذِيْنَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ وَهُمْ مِّنَ السَّاعَةِ مُشْفِقُوْنَ ٤٩

যারা না দেখেই তাদের প্রতিপালককে ভয় করে আর তারা কিয়ামাত সম্পর্কে ভীত-শংকিত। ([২১] আম্বিয়া: ৪৯)

وَهٰذَا ذِكْرٌ مُّبٰرَكٌ اَنْزَلْنٰهُۗ اَفَاَنْتُمْ لَهٗ مُنْكِرُوْنَ ࣖ ٥٠

এ হচ্ছে কল্যাণময় উপদেশ বাণী, আমি তা নাযিল করেছি; তবুও কি তা তোমরা প্রত্যাখ্যান করবে? ([২১] আম্বিয়া: ৫০)