কুরআন মজীদ সূরা ত্বোয়া-হা আয়াত ১০৯
Qur'an Surah Taha Verse 109
ত্বোয়া-হা [২০]: ১০৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
يَوْمَىِٕذٍ لَّا تَنْفَعُ الشَّفَاعَةُ اِلَّا مَنْ اَذِنَ لَهُ الرَّحْمٰنُ وَرَضِيَ لَهٗ قَوْلًا (طه : ٢٠)
- yawma-idhin
- يَوْمَئِذٍ
- (On) that Day
- সে দিন
- lā
- لَّا
- not
- না
- tanfaʿu
- تَنفَعُ
- will benefit
- উপকার দিবে
- l-shafāʿatu
- ٱلشَّفَٰعَةُ
- the intercession
- সুপারিশ
- illā
- إِلَّا
- except
- কিন্তু
- man
- مَنْ
- (to) whom
- যাকে
- adhina
- أَذِنَ
- has given permission
- অনুমতি দিবেন
- lahu
- لَهُ
- [to him]
- তার জন্য
- l-raḥmānu
- ٱلرَّحْمَٰنُ
- the Most Gracious
- দয়াময় (আল্লাহ)
- waraḍiya
- وَرَضِىَ
- and He has accepted
- এবং পছন্দ করবেন
- lahu
- لَهُۥ
- for him
- তার জন্য
- qawlan
- قَوْلًا
- a word
- কথাকে
Transliteration:
Yawma 'izil laa tanfa'ush shafaa'atu illaa man azina lahur Rahmaanu wa radiya lahoo qawlaa(QS. Ṭāʾ Hāʾ:109)
English Sahih International:
That Day, no intercession will benefit except [that of] one to whom the Most Merciful has given permission and has accepted his word. (QS. Taha, Ayah ১০৯)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
সেদিন কারো সুপারিশ কোন কাজে আসবে না, দয়াময় যাকে অনুমতি দেবেন আর যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন তার (সুপারিশ) ব্যতীত। (ত্বোয়া-হা, আয়াত ১০৯)
Tafsir Ahsanul Bayaan
পরম দয়াময় যাকে অনুমতি দেবেন ও যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন, সে ব্যতীত কারো সুপারিশ সে দিন কোন কাজে আসবে না।[১]
[১] আল্লাহ যাঁদেরকে সুপারিশের অনুমতি দেবেন, তাঁদের ছাড়া সেদিন কারো সুপারিশ কারো জন্য কোন কাজে লাগবে না। আর যারা অনুমতিপ্রাপ্ত হবেন তাঁরাও যে কোন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করতে পারবেন না। বরং সুপারিশ তাদেরই জন্য করা হবে যাদের ব্যাপারে আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকবেন। এরা কারা হবে? এরা হবে শুধুমাত্র তাওহীদপন্থী; যাদের ব্যাপারে আল্লাহ সুপারিশ করার অনুমতি দেবেন। এ বিষয়টি কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় আলোচিত হয়েছে। যেমন সূরা নাজম ৫৩;২৬, সূরা আম্বিয়া ২১;২৮, সূরা সাবা ৩৪;২৩, সূরা নাবা ৭৮;৩৮ এবং আয়াতুল কুরসীতে ২;২৫৫।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
দয়াময় যাকে অনুমতি দেবেন ও যার কথায় তিনি সন্তুষ্ট হবেন, সে ছাড়া কারো সুপারিশ সেদিন কোন কাজে আসবে না। [১]
[১] এ আয়াতের অর্থ “সেদিন সুপারিশ কার্যকর হবে না। তবে যদি করুণাময় কাউকে অনুমতি দেন এবং তারকথা শুনতে পছন্দ করেন”। প্রকৃত ব্যাপার এই যে, কিয়ামতের দিন কারো সুপারিশ করার জন্য স্বতপ্রণোদিত হয়ে মুখ খোলা তো দূরের কথা, টুঁ শব্দটি করারও কারো সাহস হবে না। এ দু'টি কথা কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় সুস্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে। একদিকে বলা হয়েছেঃ “কে আছে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর সামনে সুপারিশ করতে পারে?” [সূরা আল বাকারাহঃ ২৫৫] আরো বলা হয়েছেঃ “সেদিন যখন রূহ ও ফেরেশতারা সবাই কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়াবে, একটুও কথা বলবে না, শুধুমাত্র সে - ই বলতে পারবে যাকে করুণাময় অনুমতি দেবেন এবং যে ন্যায়সংগত কথা বলবে। ” [সূরা আন-নাবাঃ ৩৮] অন্য আয়াতে বলা হয়েছেঃ “আর তারা কারোর জন্য সুপারিশ করে না সেই ব্যক্তির ছাড়া যার পক্ষে সুপারিশ শোনার জন্য (রহমান) রাজী হবেন এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত হয়ে থাকে। ” [সূরা আল-আম্বিয়াঃ ২৮] আরো বলা হয়েছেঃ “কত ফেরেশতা আকাশে আছে, তাদের সুপারিশ কোনই কাজে লাগবে না, তবে একমাত্র তখন যখন আল্লাহর কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার পর সুপারিশ করা হবে এবং এমন ব্যক্তির পক্ষে করা হবে যার জন্য তিনি সুপারিশ শুনতে চান এবং পছন্দ করেন। ” [সূরা আন-নাজমঃ ২৬]
Tafsir Bayaan Foundation
সেদিন পরম করুণাময় যাকে অনুমতি দিবেন আর যার কথায় তিনি সন্তুষ্ট হবেন তার সুপারিশ ছাড়া কারো সুপারিশ কোন কাজে আসবে না।
Muhiuddin Khan
দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না।
Zohurul Hoque
সেইদিন কোনো সুপারিশে কাজ হবে না তাঁর ব্যতীত যাঁকে পরম করুণাময় অনুমতি দিয়েছেন, আর যার কথায় তিনি সন্তষ্ট হবেন।