اَمْوَاتٌ غَيْرُ اَحْيَاۤءٍ ۗوَمَا يَشْعُرُوْنَۙ اَيَّانَ يُبْعَثُوْنَ ࣖ ٢١
- amwātun
- أَمْوَٰتٌ
- (তারা) মৃত
- ghayru
- غَيْرُ
- নয়
- aḥyāin
- أَحْيَآءٍۖ
- জীবিত
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- yashʿurūna
- يَشْعُرُونَ
- চেতনা রাখে
- ayyāna
- أَيَّانَ
- কবে
- yub'ʿathūna
- يُبْعَثُونَ
- উঠানো হবে তাদের
তারা প্রাণহীন, জীবিত নয়, তাদের কোনই চেতনা নেই কবে তাদেরকে (পুনর্জীবিত করে) উঠানো হবে। ([১৬] নাহল: ২১)ব্যাখ্যা
اِلٰهُكُمْ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ ۚفَالَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ قُلُوْبُهُمْ مُّنْكِرَةٌ وَّهُمْ مُّسْتَكْبِرُوْنَ ٢٢
- ilāhukum
- إِلَٰهُكُمْ
- তোমাদের ইলাহ
- ilāhun
- إِلَٰهٌ
- ইলাহ
- wāḥidun
- وَٰحِدٌۚ
- একই
- fa-alladhīna
- فَٱلَّذِينَ
- সুতরাং যারা
- lā
- لَا
- না
- yu'minūna
- يُؤْمِنُونَ
- বিশ্বাস করে
- bil-ākhirati
- بِٱلْءَاخِرَةِ
- প্রতি আখেরাতের
- qulūbuhum
- قُلُوبُهُم
- তাদের অন্তরসমূহ
- munkiratun
- مُّنكِرَةٌ
- সত্যবিমুখ
- wahum
- وَهُم
- এবং তারা
- mus'takbirūna
- مُّسْتَكْبِرُونَ
- অহংকারী
তোমাদের ইলাহ হলেন এক ইলাহ। কাজেই যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর সত্য-অস্বীকারকারী আর তারা অহংকারী। ([১৬] নাহল: ২২)ব্যাখ্যা
لَا جَرَمَ اَنَّ اللّٰهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّوْنَ وَمَا يُعْلِنُوْنَ ۗاِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الْمُسْتَكْبِرِيْنَ ٢٣
- lā
- لَا
- নেই
- jarama
- جَرَمَ
- সন্দেহ
- anna
- أَنَّ
- যে
- l-laha
- ٱللَّهَ
- আল্লাহ্
- yaʿlamu
- يَعْلَمُ
- জানেন
- mā
- مَا
- যা
- yusirrūna
- يُسِرُّونَ
- তারা গোপন রাখে
- wamā
- وَمَا
- এবং যা
- yuʿ'linūna
- يُعْلِنُونَۚ
- তারা প্রকাশ করে
- innahu
- إِنَّهُۥ
- নিশ্চয়ই তিনি
- lā
- لَا
- না
- yuḥibbu
- يُحِبُّ
- ভালোবাসেন
- l-mus'takbirīna
- ٱلْمُسْتَكْبِرِينَ
- অহংকারীদেরকে
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ জানেন যা তারা গোপন করে আর যা প্রকাশ করে, তিনি অহঙ্কারীদেরকে ভালবাসেন না। ([১৬] নাহল: ২৩)ব্যাখ্যা
وَاِذَا قِيْلَ لَهُمْ مَّاذَآ اَنْزَلَ رَبُّكُمْ ۙقَالُوْٓا اَسَاطِيْرُ الْاَوَّلِيْنَ ٢٤
- wa-idhā
- وَإِذَا
- এবং যখন
- qīla
- قِيلَ
- বলা হয়
- lahum
- لَهُم
- তাদেরকে
- mādhā
- مَّاذَآ
- "কি
- anzala
- أَنزَلَ
- অবতীর্ণ করেছেন
- rabbukum
- رَبُّكُمْۙ
- তোমাদের রব
- qālū
- قَالُوٓا۟
- তারা বলে
- asāṭīru
- أَسَٰطِيرُ
- "উপকথাসমূহ
- l-awalīna
- ٱلْأَوَّلِينَ
- পূর্ববর্তীদের"
তাদেরকে যখন বলা হয়, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী নাযিল করেছেন’ তখন তারা বলে- ‘পূর্ববর্তীদের কল্প-কাহিনী’। ([১৬] নাহল: ২৪)ব্যাখ্যা
لِيَحْمِلُوْٓا اَوْزَارَهُمْ كَامِلَةً يَّوْمَ الْقِيٰمَةِ ۙوَمِنْ اَوْزَارِ الَّذِيْنَ يُضِلُّوْنَهُمْ بِغَيْرِ عِلْمٍ ۗ اَلَا سَاۤءَ مَا يَزِرُوْنَ ࣖ ٢٥
- liyaḥmilū
- لِيَحْمِلُوٓا۟
- যেন তারা বহন করে
- awzārahum
- أَوْزَارَهُمْ
- তাদের বোঝাসমূহ (পাপের)
- kāmilatan
- كَامِلَةً
- সম্পূর্ণ
- yawma
- يَوْمَ
- দিনে
- l-qiyāmati
- ٱلْقِيَٰمَةِۙ
- ক্বিয়ামাতের
- wamin
- وَمِنْ
- এবং থেকে
- awzāri
- أَوْزَارِ
- বোঝাসমূহ
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- (তাদের) যাদের
- yuḍillūnahum
- يُضِلُّونَهُم
- তারা বিভ্রান্ত করেছে তাদেরকে
- bighayri
- بِغَيْرِ
- ছাড়া
- ʿil'min
- عِلْمٍۗ
- কোনো জ্ঞান
- alā
- أَلَا
- জেনে রাখো
- sāa
- سَآءَ
- অতি নিকৃষ্ট
- mā
- مَا
- যা
- yazirūna
- يَزِرُونَ
- তারা বহন করবে
যার ফলে ক্বিয়ামাত দিবসে তারা বহন করবে নিজেদের পাপের বোঝা পূর্ণ মাত্রায়, আর (আংশিক) তাদেরও পাপের বোঝা যাদেরকে তারা গুমরাহ করেছে নিজেদের অজ্ঞতার কারণে। হায়, তারা যা বহন করবে তা কতই না নিকৃষ্ট! ([১৬] নাহল: ২৫)ব্যাখ্যা
قَدْ مَكَرَ الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَاَتَى اللّٰهُ بُنْيَانَهُمْ مِّنَ الْقَوَاعِدِ فَخَرَّ عَلَيْهِمُ السَّقْفُ مِنْ فَوْقِهِمْ وَاَتٰىهُمُ الْعَذَابُ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُوْنَ ٢٦
- qad
- قَدْ
- নিশ্চয়ই
- makara
- مَكَرَ
- চক্রান্ত করেছিলো
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যারা (ছিলো)
- min
- مِن
- থেকেই
- qablihim
- قَبْلِهِمْ
- তাদের পূর্ব
- fa-atā
- فَأَتَى
- অতঃপর আসলেন (আঘাত করলেন)
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ্
- bun'yānahum
- بُنْيَٰنَهُم
- তাদের কাঠামোতে
- mina
- مِّنَ
- থেকে
- l-qawāʿidi
- ٱلْقَوَاعِدِ
- ভিত্তিমূলের
- fakharra
- فَخَرَّ
- অতঃপর ধসে পড়লো
- ʿalayhimu
- عَلَيْهِمُ
- উপর তাদের
- l-saqfu
- ٱلسَّقْفُ
- ছাদ
- min
- مِن
- হ'তে
- fawqihim
- فَوْقِهِمْ
- উপর তাদের
- wa-atāhumu
- وَأَتَىٰهُمُ
- এবং তাদের উপর আসলো
- l-ʿadhābu
- ٱلْعَذَابُ
- শাস্তি
- min
- مِنْ
- থেকে
- ḥaythu
- حَيْثُ
- যেখান
- lā
- لَا
- না
- yashʿurūna
- يَشْعُرُونَ
- তারা ধারণ করে
তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও চক্রান্ত করেছিল। ফলে আল্লাহ তাদের ইমারাতকে মূল থেকে উৎপাটিত করেছিলেন আর উপর থেকে ছাদ তাদের উপর ভেঙ্গে পড়ল, আর তাদের প্রতি শাস্তি পতিত হল এমন দিক হতে যা তারা এতটুকু টের পায়নি। ([১৬] নাহল: ২৬)ব্যাখ্যা
ثُمَّ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ يُخْزِيْهِمْ وَيَقُوْلُ اَيْنَ شُرَكَاۤءِيَ الَّذِيْنَ كُنْتُمْ تُشَاۤقُّوْنَ فِيْهِمْ ۗقَالَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْعِلْمَ اِنَّ الْخِزْيَ الْيَوْمَ وَالسُّوْۤءَ عَلَى الْكٰفِرِيْنَۙ ٢٧
- thumma
- ثُمَّ
- অতঃপর
- yawma
- يَوْمَ
- দিনে
- l-qiyāmati
- ٱلْقِيَٰمَةِ
- ক্বিয়ামাতের
- yukh'zīhim
- يُخْزِيهِمْ
- তিনি লাঞ্ছিত করবেন তাদের
- wayaqūlu
- وَيَقُولُ
- এবং বলবেন
- ayna
- أَيْنَ
- "কোথায়
- shurakāiya
- شُرَكَآءِىَ
- আমার শরীকরা
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যাদের (ব্যাপারে)
- kuntum
- كُنتُمْ
- তোমরা ছিলে
- tushāqqūna
- تُشَٰٓقُّونَ
- তর্কাতর্কি করতে
- fīhim
- فِيهِمْۚ
- তাদের ব্যাপারে"
- qāla
- قَالَ
- বলবে
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যাদেরকে
- ūtū
- أُوتُوا۟
- দেওয়া হয়েছিলো
- l-ʿil'ma
- ٱلْعِلْمَ
- জ্ঞান
- inna
- إِنَّ
- "নিশ্চয়ই
- l-khiz'ya
- ٱلْخِزْىَ
- লাঞ্ছনা রয়েছে
- l-yawma
- ٱلْيَوْمَ
- আজকের দিনে
- wal-sūa
- وَٱلسُّوٓءَ
- ও অমঙ্গল (রয়েছে)
- ʿalā
- عَلَى
- উপর
- l-kāfirīna
- ٱلْكَٰفِرِينَ
- কাফেরদের"
অতঃপর ক্বিয়ামাত দিনে তিনি তাদেরকে অপমানিত করবেন আর বলবেন, ‘আমার অংশীদাররা কোথায় যাদের সম্পর্কে তোমরা (ঈমানদারদের সঙ্গে) বাক-বিতন্ডা করতে?’ যাদেরকে (দুনিয়ায়) জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বলবে, ‘আজ অপমান আর দুর্ভাগ্য তো কাফিরদের জন্য ([১৬] নাহল: ২৭)ব্যাখ্যা
الَّذِيْنَ تَتَوَفّٰىهُمُ الْمَلٰۤىِٕكَةُ ظَالِمِيْٓ اَنْفُسِهِمْ ۖفَاَلْقَوُا السَّلَمَ مَا كُنَّا نَعْمَلُ مِنْ سُوْۤءٍ ۗبَلٰىٓ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌۢ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ ٢٨
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যাদের (অবস্থান হলো এই)
- tatawaffāhumu
- تَتَوَفَّىٰهُمُ
- তাদের মৃত্যু ঘটায়
- l-malāikatu
- ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ
- ফেরেশতারা
- ẓālimī
- ظَالِمِىٓ
- অত্যাচারী অবস্থায়
- anfusihim
- أَنفُسِهِمْۖ
- নিজেদের উপর তাদের
- fa-alqawū
- فَأَلْقَوُا۟
- তারা যখন আত্নসমর্পন করবে (এবং বলবে)
- l-salama
- ٱلسَّلَمَ
- শান্তি
- mā
- مَا
- "না
- kunnā
- كُنَّا
- আমরা ছিলাম
- naʿmalu
- نَعْمَلُ
- আমরা কাজ করতে
- min
- مِن
- কোনো
- sūin
- سُوٓءٍۭۚ
- মন্দ"
- balā
- بَلَىٰٓ
- হ্যাঁ
- inna
- إِنَّ
- নিশ্চয়ই
- l-laha
- ٱللَّهَ
- আল্লাহ্
- ʿalīmun
- عَلِيمٌۢ
- খুব জানেন
- bimā
- بِمَا
- ঐ সম্পর্কে যা
- kuntum
- كُنتُمْ
- তোমরা ছিলে
- taʿmalūna
- تَعْمَلُونَ
- তোমরা কাজ করতে
ফেরেশতারা যাদের মৃত্যু ঘটায় নিজেদের প্রতি যুলম করা অবস্থায়।’ অতঃপর তারা আত্মসমর্পণ ক’রে বলবে, ‘আমরা তো কোন খারাপ কাজ করতাম না।’ (ফেরেশতারা জবাব দিবে) ‘বরং, তোমরা যা করছিলে আল্লাহ সে বিষয়ে খুব ভালভাবেই অবগত। ([১৬] নাহল: ২৮)ব্যাখ্যা
فَادْخُلُوْٓا اَبْوَابَ جَهَنَّمَ خٰلِدِيْنَ فِيْهَا ۗفَلَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِيْنَ ٢٩
- fa-ud'khulū
- فَٱدْخُلُوٓا۟
- সুতরাং তোমরা প্রবেশ করো
- abwāba
- أَبْوَٰبَ
- দরজাসমূহে
- jahannama
- جَهَنَّمَ
- জাহান্নামের
- khālidīna
- خَٰلِدِينَ
- স্থায়ী বসবাসকারী হবে
- fīhā
- فِيهَاۖ
- তার মধ্যে
- falabi'sa
- فَلَبِئْسَ
- অতএব অবশ্যই নিকৃষ্ট
- mathwā
- مَثْوَى
- আবাসস্থল
- l-mutakabirīna
- ٱلْمُتَكَبِّرِينَ
- অহংকারীদের
কাজেই জাহান্নামের দরজায় প্রবেশ কর, সেখানে তোমাদেরকে চিরকাল থাকতে হবে, দাম্ভিকদের অবাসস্থল কতই না মন্দ!’ ([১৬] নাহল: ২৯)ব্যাখ্যা
۞ وَقِيْلَ لِلَّذِيْنَ اتَّقَوْا مَاذَآ اَنْزَلَ رَبُّكُمْ ۗقَالُوْا خَيْرًا ۚلِلَّذِيْنَ اَحْسَنُوْا فِيْ هٰذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةٌ ۗوَلَدَارُ الْاٰخِرَةِ خَيْرٌ ۗوَلَنِعْمَ دَارُ الْمُتَّقِيْنَۙ ٣٠
- waqīla
- وَقِيلَ
- এবং বলা হবে
- lilladhīna
- لِلَّذِينَ
- যারা (তাদেরকে)
- ittaqaw
- ٱتَّقَوْا۟
- তাকওয়া অবলম্বন করতো
- mādhā
- مَاذَآ
- "কি
- anzala
- أَنزَلَ
- অবতীর্ণ করেছিলেন"
- rabbukum
- رَبُّكُمْۚ
- তোমাদের রব"
- qālū
- قَالُوا۟
- তারা বলবে
- khayran
- خَيْرًاۗ
- "মহাকল্যাণ"
- lilladhīna
- لِّلَّذِينَ
- তাদের (জন্যে) যারা
- aḥsanū
- أَحْسَنُوا۟
- সৎকাজ করে
- fī
- فِى
- মধ্যে আছে
- hādhihi
- هَٰذِهِ
- এই
- l-dun'yā
- ٱلدُّنْيَا
- দুনিয়ায়
- ḥasanatun
- حَسَنَةٌۚ
- কল্যাণ
- waladāru
- وَلَدَارُ
- এবং অবশ্যই ঘর
- l-ākhirati
- ٱلْءَاخِرَةِ
- আখেরাতের
- khayrun
- خَيْرٌۚ
- উত্তম
- walaniʿ'ma
- وَلَنِعْمَ
- এবং অবশ্যই চমৎকার
- dāru
- دَارُ
- ঘর
- l-mutaqīna
- ٱلْمُتَّقِينَ
- মুত্তাকীদের
মুত্তাকীদের যখন বলা হয়, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী অবতীর্ণ করেছেন?’ তারা বলে, ‘যা কিছু উৎকৃষ্ট (তা-ই অবতীর্ণ করেছেন)।’ যারা সৎকর্ম করে তাদের জন্য এ দুনিয়াতে আছে কল্যাণ, আর তাদের পরকালের ঘর তো নিশ্চিতই কল্যাণকর। মুত্তাকীদের আবাসস্থল কতই না উত্তম! ([১৬] নাহল: ৩০)ব্যাখ্যা