Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা হিজর আয়াত ৪২

Qur'an Surah Al-Hijr Verse 42

হিজর [১৫]: ৪২ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اِنَّ عِبَادِيْ لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطٰنٌ اِلَّا مَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْغٰوِيْنَ (الحجر : ١٥)

inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই (যারা)
ʿibādī
عِبَادِى
My slaves
আমার দাসরা
laysa
لَيْسَ
not
নেই
laka
لَكَ
you have
তোমার জন্যে
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
over them
তাদের উপর
sul'ṭānun
سُلْطَٰنٌ
any authority
কোন প্রভাব
illā
إِلَّا
except
এ ছাড়া
mani
مَنِ
those who
যে
ittabaʿaka
ٱتَّبَعَكَ
follow you
তোমার অনুসরণ করবে
mina
مِنَ
of
থেকে
l-ghāwīna
ٱلْغَاوِينَ
the ones who go astray"
পথভ্রষ্ট"

Transliteration:

Inna 'ibaadee laisa laka 'alaihim sultaanun illaa manittaba'aka minal ghaaween (QS. al-Ḥijr:42)

English Sahih International:

Indeed, My servants – no authority will you have over them, except those who follow you of the deviators. (QS. Al-Hijr, Ayah ৪২)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমার প্রকৃত বান্দাহ্দের উপর তোমার কোন আধিপত্য চলবে না, তোমাকে যারা অনুসরণ করে সেই বিভ্রান্তরা ছাড়া। (হিজর, আয়াত ৪২)

Tafsir Ahsanul Bayaan

বিভ্রান্তদের মধ্য হতে যারা তোমার অনুসরণ করবে, তারা ছাড়া আমার (একনিষ্ঠ) বান্দাদের উপর তোমার কোন আধিপত্য থাকবে না।[১]

[১] অর্থাৎ, আমার নেক বান্দাদের উপর তোমার কোন কর্তৃত্ব চলবে না। এর অর্থ এই নয় যে, তাদের দ্বারা কোন পাপ হবে না। বরং এর উদ্দেশ্য হল, তারা এমন কোন পাপ করবে না, যার পর তারা লজ্জিত হবে না বা তওবা করবে না। কারণ সেই পাপই মানুষের ধ্বংসের কারণ হয়, যার পর মানুষ অনুতপ্ত হয় না এবং তওবার সাথে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে না। আর এরূপ পাপের পরই মানুষ একের পর এক পাপ করতে থাকে। আর শেষ পর্যন্ত ধ্বংসই তার ভাগ্যে পরিণত হয়। পক্ষান্তরে মু'মিনদের গুণ হল তারা পাপের পর পাপ করতে থাকে না, বরং তারা সত্ত্বর তওবা করে এবং ভবিষ্যতে আর দ্বিতীয়বার তা না করতে দৃঢ়সংকল্প হয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

বিভ্রান্তদের মধ্যে যে তোমার অনুসরণ করবে সে ছাড়া আমার বান্দাদের উপর তোমার কোনই ক্ষমতা থাকবে না [১];

[১] এ আয়াত থেকে জানা যায় যে, আল্লাহ তা'আলার মনোনীত বান্দাদের উপর শয়তানী কারসাজির প্রভাব পড়ে না। কিন্তু বর্ণিত আদমের কাহিনীতে একথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, আদম ও হাওয়ার উপর শয়তানের চক্রান্ত সফল হয়েছে। এমনিভাবে সাহাবায়ে কেরাম সম্পর্কে কুরআন বলেঃ

(اِنَّمَا اسْتَزَلَّھُمُ الشَّـيْطٰنُ بِبَعْضِ مَا كَسَبُوْا)

[সূরা আলে-ইমরানঃ ১৫৫] এ থেকে জানা যায়া যে, সাহাবায়ে কেরামের উপরও শয়তানের ধোকা এক্ষেত্রে কার্যকর হয়েছে। তাই আলোচ্য আয়াতে আল্লাহর বিশেষ বান্দাদের উপর শয়তানের আধিপত্য বিস্তৃত না হওয়ার অর্থ এই যে, তাদের মন-মস্তিস্ক ও জ্ঞান-বুদ্ধির উপর শয়তানের এমন আধিপত্য বিস্তৃত হয় না যে, তারা তাদের নিজ ভ্রান্তি কোন সময় বুঝতেই পারেন না; ফলে তওবা করার শক্তি হয় না কিংবা কোন ক্ষমার অযোগ্য গোনাহ করে ফেলেন। উল্লেখিত ঘটনাবলী এ তথ্যের পরিপন্থী নয়। কারণ, আদম ও হাওয়া তওবা করেছিলেন এবং তা মাফ করা হয়েছিল। [দেখুন, ফাতহুল কাদীর]

Tafsir Bayaan Foundation

‘নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই, তবে পথভ্রষ্টরা ছাড়া যারা তোমাকে অনুসরণ করেছে’।

Muhiuddin Khan

যারা আমার বান্দা, তাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই; কিন্তু পথভ্রান্তদের মধ্য থেকে যারা তোমার পথে চলে।

Zohurul Hoque

''নিঃসন্দেহ আমার দাসদের সন্বন্ধে -- তাদের উপরে তোমার কোনো আধিপত্য নেই, বিপথগামীদের মধ্যে যারা তোমার অনুসরণ করে তাদের ব্যতীত।