Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা ইউসূফ আয়াত ১২

Qur'an Surah Yusuf Verse 12

ইউসূফ [১২]: ১২ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اَرْسِلْهُ مَعَنَا غَدًا يَّرْتَعْ وَيَلْعَبْ وَاِنَّا لَهٗ لَحٰفِظُوْنَ (يوسف : ١٢)

arsil'hu
أَرْسِلْهُ
Send him
তাকে পাঠান
maʿanā
مَعَنَا
with us
আমাদের সাথে
ghadan
غَدًا
tomorrow
আগামীকাল
yartaʿ
يَرْتَعْ
(to) enjoy
সে ফল খাবে
wayalʿab
وَيَلْعَبْ
and play
ও খেলবে
wa-innā
وَإِنَّا
And indeed, we
এবং নিশ্চয়ই আমরা
lahu
لَهُۥ
for him"
তার জন্যে"
laḥāfiẓūna
لَحَٰفِظُونَ
(will) surely (be) guardians"
অবশ্যই (সবাই) সংরক্ষক"

Transliteration:

Arilhu ma'anaa ghadany yarta'wa yal'ab wa innaa lahoo lahaafizoon (QS. Yūsuf:12)

English Sahih International:

Send him with us tomorrow that he may eat well and play. And indeed, we will be his guardians." (QS. Yusuf, Ayah ১২)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তাকে আগামীকাল আমাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দিন, সে আমোদ করবে আর খেলবে, আমরা তার পুরোপুরি দেখাশুনা করব।’ (ইউসূফ, আয়াত ১২)

Tafsir Ahsanul Bayaan

আপনি আগামীকাল তাকে আমাদের সাথে প্রেরণ করুন, সে ফল-মূল খাবে ও খেলাধূলা করবে,[১] আমরা অবশ্যই তার রক্ষণাবেক্ষণ করব।’

[১] খেলাধূলা ও ভ্রমণের প্রতি আকর্ষণ মানুষের (বিশেষ করে শিশুদের) প্রকৃতিগত স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। এই জন্য আল্লাহ তাআলা কোন যুগেই বৈধ খেলা ও ভ্রমণের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা জারী করেননি। ইসলামেও শর্ত-সাপেক্ষে তার বৈধতা আছে। অর্থাৎ, এমন খেলাধূলা ও ভ্রমণ বৈধ, যাতে শরয়ী কোন আপত্তি না থাকে অথবা তা কোন হারাম পর্যন্ত পৌঁছে না দেয়। সুতরাং ইয়াকূব (আঃ)ও খেলাধূলার ব্যাপারে কোন আপত্তি করেননি। অবশ্য এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন যে, তোমরা খেলাধূলায় বিভোর হয়ে যাবে, আর তাকে হয়তো নেকড়ে বাঘে খেয়ে ফেলবে। কারণ সেই এলাকার উন্মুক্ত ময়দানে ও মরুভূমিতে সাধারণতঃ নেকড়ে বাঘ থাকত।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

‘আপনি আগামী কাল তাকে আমাদের সাথে পাঠান, সে সানন্দে ঘোরাফেরা করবে ও খেলাধুলা করবে [১]। আর আমরা অবশ্যই তার রক্ষণাবেক্ষণকারী হব।’

[১] এ আয়াতে ইয়াকুব ‘আলাইহিস্ সালাম-এর কাছে আনন্দ-ভ্রমণ এবং স্বাধীনভাবে পানাহার ও খেলাধুলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ইয়াকুব ‘আলাইহিস্ সালাম তাদেরকে এ ব্যাপারে নিষেধ করেননি। তিনি শুধু ইউসুফকে তাদের সাথে দিতে ইতস্ততঃ করেছেন, যা পরবতী আয়াতে বর্ণিত হবে। এতে বোঝা গেল যে, তাদের আনন্দ-ভ্রমণ ও খেলাধুলা শরীআতের সীমার মধ্যে ছিল। [কুরতুবী] আর খেলা-ধুলা বিধিবদ্ধ সীমার ভেতরে নিষিদ্ধ নয়, বরং সহীহ হাদীস থেকেও এর বৈধতা জানা যায়। তবে শর্ত এই যে, খেলাধুলায় শরীআতের সীমা লঙ্ঘন বাঞ্ছনীয় নয় এবং তাতে শরীআতের বিধান লঙ্ঘিত হতে পারে এমন কোন কিছুর মিশ্রণও উচিত নয়।

Tafsir Bayaan Foundation

‘আপনি আগামী কাল তাকে আমাদের সাথে প্রেরণ করুন, সে সানন্দে ঘোরাফেরা করবে ও খেলবে। আর অবশ্যই আমরা তার হেফাযতকারী’।

Muhiuddin Khan

আগামীকাল তাকে আমাদের সাথে প্রেরণ করুন-তৃপ্তিসহ খাবে এবং খেলাধুলা করবে এবং আমরা অবশ্যই তার রক্ষণাবেক্ষন করব।

Zohurul Hoque

''তাকে আমাদের সঙ্গে কালকে পাঠিয়ে দাও, সে আমোদ করুক ও খেলাধুলা করুক, আর আমরা তো নিশ্চয়ই তার হেফাজতকারী।’’