Skip to content

সূরা ইউসূফ - Page: 4

Yusuf

(Yūsuf)

৩১

فَلَمَّا سَمِعَتْ بِمَكْرِهِنَّ اَرْسَلَتْ اِلَيْهِنَّ وَاَعْتَدَتْ لَهُنَّ مُتَّكَاً وَّاٰتَتْ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِّنْهُنَّ سِكِّيْنًا وَّقَالَتِ اخْرُجْ عَلَيْهِنَّ ۚ فَلَمَّا رَاَيْنَهٗٓ اَكْبَرْنَهٗ وَقَطَّعْنَ اَيْدِيَهُنَّۖ وَقُلْنَ حَاشَ لِلّٰهِ مَا هٰذَا بَشَرًاۗ اِنْ هٰذَآ اِلَّا مَلَكٌ كَرِيْمٌ ٣١

falammā
فَلَمَّا
অতঃপর যখন
samiʿat
سَمِعَتْ
(মহিলা) শুনলো
bimakrihinna
بِمَكْرِهِنَّ
সম্বন্ধে তাদের ষড়যন্ত্রেরর কথা
arsalat
أَرْسَلَتْ
মহিলা (লোক) প্রেরণ করলো
ilayhinna
إِلَيْهِنَّ
তাদের কাছে
wa-aʿtadat
وَأَعْتَدَتْ
ও প্রস্তুত করলো
lahunna
لَهُنَّ
তাদের জন্যে
muttaka-an
مُتَّكَـًٔا
(হেলান দিয়ে) বসার আসন
waātat
وَءَاتَتْ
ও দিলো
kulla
كُلَّ
ব্যক্তিকে
wāḥidatin
وَٰحِدَةٍ
প্রত্যেক
min'hunna
مِّنْهُنَّ
তাদের মধ্যকার
sikkīnan
سِكِّينًا
একটি করে ছুরি (ফল কেটে খেতে)
waqālati
وَقَالَتِ
এবং বললো (ইউসুফকে)
ukh'ruj
ٱخْرُجْ
"বের হও
ʿalayhinna
عَلَيْهِنَّۖ
সামনে তাদের"
falammā
فَلَمَّا
অতঃপর যখন
ra-aynahu
رَأَيْنَهُۥٓ
তাকে তারা দেখলো
akbarnahu
أَكْبَرْنَهُۥ
তারা অভিভূত হলো
waqaṭṭaʿna
وَقَطَّعْنَ
ও তারা কেটে ফেললো
aydiyahunna
أَيْدِيَهُنَّ
(ফলের পরিবর্তে) তাদের হাত
waqul'na
وَقُلْنَ
ও তারা বললো
ḥāsha
حَٰشَ
"মহিমা
lillahi
لِلَّهِ
জন্যে আল্লাহর
مَا
নয়
hādhā
هَٰذَا
এতো
basharan
بَشَرًا
মানুষ
in
إِنْ
নয়
hādhā
هَٰذَآ
এতো
illā
إِلَّا
এ ছাড়া
malakun
مَلَكٌ
ফেরেশতা
karīmun
كَرِيمٌ
সম্মানিত"
মহিলাটি যখন তাদের চক্রান্তের কথা জানতে পারল, তখন তাদেরকে ডেকে পাঠাল আর তাদের জন্য হেলান দিয়ে বসার ব্যবস্থা করল, আর তাদের প্রত্যেককে একটা করে ছুরি দিল। অতঃপর ইউসুফকে বলল, ‘ওদের সামনে বেরিয়ে এসো।’ যখন তারা তাকে দেখল, বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল আর নিজেদের হাত কেটে ফেলল, আর বলল, ‘আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন, এ তো মানুষ নয়, এতো এক সম্মানিত ফেরেশতা।’ ([১২] ইউসূফ: ৩১)
ব্যাখ্যা
৩২

قَالَتْ فَذٰلِكُنَّ الَّذِيْ لُمْتُنَّنِيْ فِيْهِ ۗوَلَقَدْ رَاوَدْتُّهٗ عَنْ نَّفْسِهٖ فَاسْتَعْصَمَ ۗوَلَىِٕنْ لَّمْ يَفْعَلْ مَآ اٰمُرُهٗ لَيُسْجَنَنَّ وَلَيَكُوْنًا مِّنَ الصّٰغِرِيْنَ ٣٢

qālat
قَالَتْ
সে বললো
fadhālikunna
فَذَٰلِكُنَّ
"অতঃপর এ-ই সে
alladhī
ٱلَّذِى
যার (যুবক)
lum'tunnanī
لُمْتُنَّنِى
আমাকে তোমরা নিন্দা করেছো
fīhi
فِيهِۖ
ব্যাপারে
walaqad
وَلَقَدْ
এবং নিশ্চয়ই
rāwadttuhu
رَٰوَدتُّهُۥ
তাকে আমি ফুসলিয়েছি
ʿan
عَن
হ'তে
nafsihi
نَّفْسِهِۦ
তার নিজের (আত্মসংবরণ)
fa-is'taʿṣama
فَٱسْتَعْصَمَۖ
তবুও সে নিজেকে পবিত্র রেখেছে
wala-in
وَلَئِن
এবং অবশ্যই যদি
lam
لَّمْ
না
yafʿal
يَفْعَلْ
সে করে
مَآ
তা যা
āmuruhu
ءَامُرُهُۥ
তাকে নির্দেশ দিই আমি
layus'jananna
لَيُسْجَنَنَّ
অবশ্যই সে কারারুদ্ধ হবে
walayakūnan
وَلَيَكُونًا
এবং অবশ্যই সে হবে
mina
مِّنَ
অন্তর্ভুক্ত
l-ṣāghirīna
ٱلصَّٰغِرِينَ
লাঞ্ছিতদের
মহিলাটি বলল, ‘এ হল সেই যার ব্যাপারে তোমরা আমাকে ভৎর্সনা করছ, আমিই তো তাকে ভুলাতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু সে নিজেকে নিষ্পাপ রেখেছে, আমি তাকে যে আদেশ করি তা যদি সে না করে, তাহলে তাকে অবশ্যই কয়েদ করা হবে, আর সে হীন লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ ([১২] ইউসূফ: ৩২)
ব্যাখ্যা
৩৩

قَالَ رَبِّ السِّجْنُ اَحَبُّ اِلَيَّ مِمَّا يَدْعُوْنَنِيْٓ اِلَيْهِ ۚوَاِلَّا تَصْرِفْ عَنِّيْ كَيْدَهُنَّ اَصْبُ اِلَيْهِنَّ وَاَكُنْ مِّنَ الْجٰهِلِيْنَ ٣٣

qāla
قَالَ
(ইউসুফ) বললো
rabbi
رَبِّ
"হে আমার রব
l-sij'nu
ٱلسِّجْنُ
কারাগারই
aḥabbu
أَحَبُّ
অধিক প্রিয়
ilayya
إِلَىَّ
আমার কাছে
mimmā
مِمَّا
তা হ'তে
yadʿūnanī
يَدْعُونَنِىٓ
আমাকে তারা ডাকছে
ilayhi
إِلَيْهِۖ
যার দিকে
wa-illā
وَإِلَّا
এবং যদি না (হে রব)
taṣrif
تَصْرِفْ
তুমি ফিরাও
ʿannī
عَنِّى
আমার থেকে
kaydahunna
كَيْدَهُنَّ
তাদের ছলনা (তাহ'লে হয়তো)
aṣbu
أَصْبُ
আকৃষ্ট হয়ে পড়বো আমি
ilayhinna
إِلَيْهِنَّ
তাদের দিকে
wa-akun
وَأَكُن
এবং আমি হবো
mina
مِّنَ
অন্তর্ভুক্ত
l-jāhilīna
ٱلْجَٰهِلِينَ
অজ্ঞদের"
সে (ইউসুফ) বলল, ‘হে আমার রব্ব! তারা আমাকে যে দিকে ডাকছে তার চেয়ে জেলখানা আমার কাছে অধিক প্রিয়। তুমি যদি আমা হতে তাদের অপকৌশল সরিয়ে না দাও তা হলে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব, আর অজ্ঞদের দলে শামিল হয়ে যাব।’ ([১২] ইউসূফ: ৩৩)
ব্যাখ্যা
৩৪

فَاسْتَجَابَ لَهٗ رَبُّهٗ فَصَرَفَ عَنْهُ كَيْدَهُنَّ ۗاِنَّهٗ هُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ ٣٤

fa-is'tajāba
فَٱسْتَجَابَ
অতঃপর সাড়া দিলেন
lahu
لَهُۥ
তার জন্যে
rabbuhu
رَبُّهُۥ
তার রব
faṣarafa
فَصَرَفَ
অতঃপর ফিরালেন
ʿanhu
عَنْهُ
তার থেকে
kaydahunna
كَيْدَهُنَّۚ
তাদের ছলনা
innahu
إِنَّهُۥ
নিশ্চয়ই তিনি
huwa
هُوَ
তিনিই
l-samīʿu
ٱلسَّمِيعُ
সব কিছু শুনেন
l-ʿalīmu
ٱلْعَلِيمُ
সব কিছু জানেন
তখন তার প্রতিপালক তার ডাকে সাড়া দিলেন আর তার থেকে তাদের কূট কৌশল অপসারিত করলেন, তিনি সব কিছু শুনেন, সব কিছু জানেন। ([১২] ইউসূফ: ৩৪)
ব্যাখ্যা
৩৫

ثُمَّ بَدَا لَهُمْ مِّنْۢ بَعْدِ مَا رَاَوُا الْاٰيٰتِ لَيَسْجُنُنَّهٗ حَتّٰى حِيْنٍ ࣖ ٣٥

thumma
ثُمَّ
এরপর
badā
بَدَا
প্রকাশ পেলো
lahum
لَهُم
তাদের কাছে
min
مِّنۢ
থেকে
baʿdi
بَعْدِ
এরপর
مَا
যা কিছু
ra-awū
رَأَوُا۟
তারা দেখেছিলো
l-āyāti
ٱلْءَايَٰتِ
নিদর্শনগুলো (তবুও ভাবলো)
layasjununnahu
لَيَسْجُنُنَّهُۥ
অবশ্যই তাকে কারারুদ্ধ করা হবে
ḥattā
حَتَّىٰ
পর্যন্ত
ḥīnin
حِينٍ
কিছু সময়
নিদর্শনবলী দেখার পর তাদের মনে হল যে, কিছু দিনের জন্য তাকে অবশ্য অবশ্যই কারারুদ্ধ করতে হবে। ([১২] ইউসূফ: ৩৫)
ব্যাখ্যা
৩৬

وَدَخَلَ مَعَهُ السِّجْنَ فَتَيٰنِ ۗقَالَ اَحَدُهُمَآ اِنِّيْٓ اَرٰىنِيْٓ اَعْصِرُ خَمْرًا ۚوَقَالَ الْاٰخَرُ اِنِّيْٓ اَرٰىنِيْٓ اَحْمِلُ فَوْقَ رَأْسِيْ خُبْزًا تَأْكُلُ الطَّيْرُ مِنْهُ ۗنَبِّئْنَا بِتَأْوِيْلِهٖ ۚاِنَّا نَرٰىكَ مِنَ الْمُحْسِنِيْنَ ٣٦

wadakhala
وَدَخَلَ
এবং (কারাবাসকালে) (একবার) প্রবেশ করলো
maʿahu
مَعَهُ
সঙ্গে তার
l-sij'na
ٱلسِّجْنَ
কারাগারে
fatayāni
فَتَيَانِۖ
দু'জন যুবক
qāla
قَالَ
(ইউসুফকে) বললো
aḥaduhumā
أَحَدُهُمَآ
তাদের দু'জনার একজন
innī
إِنِّىٓ
"নিশ্চয়ই আমি
arānī
أَرَىٰنِىٓ
স্বপ্নে দেখেছি
aʿṣiru
أَعْصِرُ
নিংড়ে বের করছি আমি
khamran
خَمْرًاۖ
মদ"
waqāla
وَقَالَ
এবং বললো
l-ākharu
ٱلْءَاخَرُ
অপরজন
innī
إِنِّىٓ
"নিশ্চয়ই আমি
arānī
أَرَىٰنِىٓ
স্বপ্নে দেখেছি
aḥmilu
أَحْمِلُ
বহন করছি
fawqa
فَوْقَ
উপর
rasī
رَأْسِى
আমার মাথার
khub'zan
خُبْزًا
রুটি
takulu
تَأْكُلُ
খাচ্ছে
l-ṭayru
ٱلطَّيْرُ
পাখি
min'hu
مِنْهُۖ
তা থেকে
nabbi'nā
نَبِّئْنَا
বলে দিন আমাদেরকে
bitawīlihi
بِتَأْوِيلِهِۦٓۖ
সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা
innā
إِنَّا
নিশ্চয়ই আমরা
narāka
نَرَىٰكَ
আপনাকে দেখছি আমরা
mina
مِنَ
অন্তর্ভুক্ত
l-muḥ'sinīna
ٱلْمُحْسِنِينَ
সৎকর্মশীলদের"
তার সঙ্গে দু’যুবকও কারাগারে প্রবেশ করেছিল। তাদের একজন বলল, ‘আমি স্বপ্নে দেখলাম যে আমি মদ তৈরি করছি।’ অন্যজন বলল, ‘আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি মাথায় রুটি বহন করছি আর পাখী তাত্থেকে খাচ্ছে। আমাদেরকে এর ব্যাখ্যা বলে দাও, আমরা দেখছি তুমি একজন সৎকর্মশীল লোক।’ ([১২] ইউসূফ: ৩৬)
ব্যাখ্যা
৩৭

قَالَ لَا يَأْتِيْكُمَا طَعَامٌ تُرْزَقٰنِهٖٓ اِلَّا نَبَّأْتُكُمَا بِتَأْوِيْلِهٖ قَبْلَ اَنْ يَّأْتِيَكُمَا ۗذٰلِكُمَا مِمَّا عَلَّمَنِيْ رَبِّيْۗ اِنِّيْ تَرَكْتُ مِلَّةَ قَوْمٍ لَّا يُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَهُمْ بِالْاٰخِرَةِ هُمْ كٰفِرُوْنَۙ ٣٧

qāla
قَالَ
সে বললো
لَا
"না
yatīkumā
يَأْتِيكُمَا
তোমাদের দু'জনের কাছে আসবে
ṭaʿāmun
طَعَامٌ
খাবার
tur'zaqānihi
تُرْزَقَانِهِۦٓ
যা দু'জনকে খাদ্য দেয়া হয়
illā
إِلَّا
এছাড়া যে
nabbatukumā
نَبَّأْتُكُمَا
তোমাদের দু'জনকে আমি বলে দিবো
bitawīlihi
بِتَأْوِيلِهِۦ
সম্পর্কে তার ব্যখ্যা
qabla
قَبْلَ
পূর্বেই
an
أَن
যে
yatiyakumā
يَأْتِيَكُمَاۚ
তোমাদের দু'জনের কাছে আসবে
dhālikumā
ذَٰلِكُمَا
এটা তোমাদের (বলবো)
mimmā
مِمَّا
তা হ'তে যা
ʿallamanī
عَلَّمَنِى
আমাকে শিখিয়েছেন
rabbī
رَبِّىٓۚ
আমার রব
innī
إِنِّى
নিশ্চয়ই আমি
taraktu
تَرَكْتُ
আমি বর্জন করেছি
millata
مِلَّةَ
ধর্মসমাজ
qawmin
قَوْمٍ
ঐ জাতির
لَّا
না
yu'minūna
يُؤْمِنُونَ
(যারা) ঈমান আনে
bil-lahi
بِٱللَّهِ
উপর আল্লাহর
wahum
وَهُم
এবং তারা
bil-ākhirati
بِٱلْءَاخِرَةِ
উপর আখিরাতের
hum
هُمْ
তারাই
kāfirūna
كَٰفِرُونَ
অস্বীকারকারী
সে (ইউসুফ) বলল, ‘তোমাদেরকে যে খাবার দেয়া হয় তা আসার আগেই আমি তোমাদেরকে তার ব্যাখ্যা জানিয়ে দেব। আমার প্রতিপালক আমাকে যে জ্ঞান দান করেছেন এটা সেই জ্ঞানেরই অংশ। যে সম্প্রদায় আল্লাহতে বিশ্বাস করে না আর আখেরাতে অবিশ্বাসী, আমি তাদের নিয়ম নীতি পরিত্যাগ করেছি। ([১২] ইউসূফ: ৩৭)
ব্যাখ্যা
৩৮

وَاتَّبَعْتُ مِلَّةَ اٰبَاۤءِيْٓ اِبْرٰهِيْمَ وَاِسْحٰقَ وَيَعْقُوْبَۗ مَا كَانَ لَنَآ اَنْ نُّشْرِكَ بِاللّٰهِ مِنْ شَيْءٍۗ ذٰلِكَ مِنْ فَضْلِ اللّٰهِ عَلَيْنَا وَعَلَى النَّاسِ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُوْنَ ٣٨

wa-ittabaʿtu
وَٱتَّبَعْتُ
এবং আমি অনুসরণ করেছি
millata
مِلَّةَ
আদর্শ
ābāī
ءَابَآءِىٓ
আমার পিতৃ-পুরুষদের
ib'rāhīma
إِبْرَٰهِيمَ
(যেমন) ইবরাহীম
wa-is'ḥāqa
وَإِسْحَٰقَ
ও ইসহাক
wayaʿqūba
وَيَعْقُوبَۚ
ও ইয়াকুবের
مَا
নয়
kāna
كَانَ
সমীচীন
lanā
لَنَآ
জন্যে আমাদের
an
أَن
যে
nush'rika
نُّشْرِكَ
আমরা শরীক করবো
bil-lahi
بِٱللَّهِ
সাথে আল্লাহর
min
مِن
কোন
shayin
شَىْءٍۚ
কিছুরই
dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
min
مِن
অন্যতম
faḍli
فَضْلِ
অনুগ্রহ
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ্‌র
ʿalaynā
عَلَيْنَا
আমাদের উপর
waʿalā
وَعَلَى
এবং উপর
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
মানুষের
walākinna
وَلَٰكِنَّ
কিন্তু
akthara
أَكْثَرَ
অধিকাংশ
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
মানুষ
لَا
না
yashkurūna
يَشْكُرُونَ
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে
আমি আমার পূর্বপুরুষ ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়া‘কূবের আদর্শের অনুসরণ করি। আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা আমাদের কাজ নয়। এটা আমাদের প্রতি ও মানুষের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ, কিন্তু অধিকাংশ লোকই শোকর করে না। ([১২] ইউসূফ: ৩৮)
ব্যাখ্যা
৩৯

يٰصَاحِبَيِ السِّجْنِ ءَاَرْبَابٌ مُتَفَرِّقُوْنَ خَيْرٌ اَمِ اللّٰهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُۗ ٣٩

yāṣāḥibayi
يَٰصَىٰحِبَىِ
হে সঙ্গী দু'জন
l-sij'ni
ٱلسِّجْنِ
কারাগারের
a-arbābun
ءَأَرْبَابٌ
কি বহু রব
mutafarriqūna
مُّتَفَرِّقُونَ
পৃথক পৃথক
khayrun
خَيْرٌ
উত্তম
ami
أَمِ
না কি
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
l-wāḥidu
ٱلْوَٰحِدُ
এক (উত্তম রব)
l-qahāru
ٱلْقَهَّارُ
(যিনি) মহাপরাক্রমশালী
হে আমার জেলের সঙ্গীদ্বয়! ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপালক ভালো, না মহাপরাক্রমশালী এক আল্লাহ? ([১২] ইউসূফ: ৩৯)
ব্যাখ্যা
৪০

مَا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖٓ اِلَّآ اَسْمَاۤءً سَمَّيْتُمُوْهَآ اَنْتُمْ وَاٰبَاۤؤُكُمْ مَّآ اَنْزَلَ اللّٰهُ بِهَا مِنْ سُلْطٰنٍۗ اِنِ الْحُكْمُ اِلَّا لِلّٰهِ ۗاَمَرَ اَلَّا تَعْبُدُوْٓا اِلَّآ اِيَّاهُ ۗذٰلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ وَلٰكِنَّ اَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ ٤٠

مَا
না
taʿbudūna
تَعْبُدُونَ
তোমরা উপাসনা করছো
min
مِن
ছেড়ে
dūnihi
دُونِهِۦٓ
তাকে
illā
إِلَّآ
এ ছাড়া
asmāan
أَسْمَآءً
(কিছু) নামের
sammaytumūhā
سَمَّيْتُمُوهَآ
যার তোমরা নামকরণ করেছো
antum
أَنتُمْ
তোমরা
waābāukum
وَءَابَآؤُكُم
ও তোমাদের পিতৃ-পুরুষেরা
مَّآ
না
anzala
أَنزَلَ
পাঠিয়েছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
bihā
بِهَا
সে সম্বন্ধে
min
مِن
কোন
sul'ṭānin
سُلْطَٰنٍۚ
প্রমাণ
ini
إِنِ
নেই (কারও)
l-ḥuk'mu
ٱلْحُكْمُ
বিধান দেয়ার অধিকার
illā
إِلَّا
ছাড়া
lillahi
لِلَّهِۚ
আল্লাহ
amara
أَمَرَ
তিনি আদেশ দিয়েছেন
allā
أَلَّا
যে না
taʿbudū
تَعْبُدُوٓا۟
তোমরা ইবাদত করো
illā
إِلَّآ
ছাড়া
iyyāhu
إِيَّاهُۚ
শুধু (তাঁরই)
dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
l-dīnu
ٱلدِّينُ
ধর্ম
l-qayimu
ٱلْقَيِّمُ
সঠিক
walākinna
وَلَٰكِنَّ
কিন্তু
akthara
أَكْثَرَ
অধিকাংশ
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
মানুষ
لَا
না
yaʿlamūna
يَعْلَمُونَ
জানে
তাঁকে বাদ দিয়ে তোমরা যার ‘ইবাদাত করছ তা কতকগুলো নাম ছাড়া আর কিছুই নয়, যে নামগুলো তোমরা আর তোমাদের পিতৃ পুরুষরা রেখেছ। এ ব্যাপারে আল্লাহ কোন প্রমাণ নাযিল করেননি। আল্লাহ ছাড়া কোন বিধান দাতা নেই। তিনি আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া আর কারো ‘ইবাদাত করবে না, এটাই সঠিক দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না। ([১২] ইউসূফ: ৪০)
ব্যাখ্যা