Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা ত্বীন আয়াত ৬

Qur'an Surah At-Tin Verse 6

ত্বীন [৯৫]: ৬ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اِلَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَلَهُمْ اَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُوْنٍۗ (التين : ٩٥)

illā
إِلَّا
Except
(তবে) ব্যতিক্রম
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
(তাদের) যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
believe
ঈমান এনেছে
waʿamilū
وَعَمِلُوا۟
and do
এবং করেছে
l-ṣāliḥāti
ٱلصَّٰلِحَٰتِ
righteous deeds
সৎকর্ম
falahum
فَلَهُمْ
then for them
তাদের জন্য (রয়েছে)
ajrun
أَجْرٌ
(is a) reward
প্রতিফল
ghayru
غَيْرُ
never
অশেষ
mamnūnin
مَمْنُونٍ
ending
অশেষ

Transliteration:

Ill-lal lazeena aamanoo wa 'amilus saalihaati; falahum ajrun ghairu mamnoon (QS. at-Tīn:6)

English Sahih International:

Except for those who believe and do righteous deeds, for they will have a reward uninterrupted. (QS. At-Tin, Ayah ৬)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

কিন্তু তাদেরকে নয় যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে, তাদের জন্য তো আছে অফুরন্ত প্রতিদান। (ত্বীন, আয়াত ৬)

Tafsir Ahsanul Bayaan

কিন্তু তাদেরকে নয় যারা বিশ্বাস করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য তো আছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। [১]

[১] এ আয়াতটি পূর্বের আয়াতের প্রথম অর্থের বিশদ বিবরণ। অর্থাৎ, এ দিয়ে মু'মিনদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে; (তারা অন্তিম বার্ধক্যে পৌঁছলেও তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার)। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অর্থের দিক দিয়ে এটি পূর্বের বাক্যেরই তাকীদ। অবশ্য এই পরিণাম থেকে মু'মিনদেরকে পৃথক করা হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর)

Tafsir Abu Bakr Zakaria

কিন্তু তাদেরকে নয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে; এদের জন্য তো আছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার [১]।

[১] এ আয়াতে মুমিন সৎকর্মশীলগণ এর ব্যতিক্রম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেসব মুফাসসির “আসফালা সাফেলীন” এর অর্থ করেছেন, বার্ধক্যের এমন একটি অবস্থা যখন মানুষ নিজের চেতনা ও স্বাভাবিক জ্ঞান-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে, তারা এই আয়াতের অর্থ এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, বয়সের এই পর্যায়েও তারা ঐ ধরনের সৎকাজগুলো করেনি বলে তাদের ভালো প্রতিদান দেবার ক্ষেত্রে কোন হেরফের হবে না, কমতি হবে না। বাৰ্ধক্যজনিত বেকারত্ব ও কর্ম হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও তাদের আমলানামায় সেসব কর্ম লিখিত হয়, যা তারা শক্তিমান অবস্থায় করত। [তাবারী] রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কোন মুসলিম অসুস্থ হয়ে পড়লে অথবা মুসাফির হলে আল্লাহ্ তা‘আলা আমল লেখক ফেরেশতাগণকে আদেশ দেন, সুস্থ অবস্থায় সে যেসব সৎকর্ম করত, সেগুলো তার আমলনামায় লিপিবদ্ধ করতে থাক।” [বুখারী;২৯৯৬, মুসনাদে আহমাদ; ২/১৯৪, ৩/২৫৮] পক্ষান্তরে যেসব মুফাসসির ‘ফিরিয়ে দেবার’ অর্থ ‘জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে নিক্ষেপ করা’ করেছেন তাদের মতে, মহান আল্লাহ্ তা‘আলা মানুষকে সুন্দর গঠনে সৃষ্টি করে তাকে অনেক নেয়ামত দান করেছেন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে দুনিয়ায় খেল-তামাশায় মত্ত হয়ে যায়। এই অকৃতজ্ঞতার শাস্তি হিসেবে তাদেরকে জাহান্নামের হীনতম ও নিম্নতম পর্যয়ে পৌছে দেয়া হবে। কিন্তু যারা মুমিন ও সৎকর্মী, তাদেরকে নিকৃষ্টতম পর্যায়ে পৌছানো হবে না; বরং তারা জান্নাতে এমন পুরস্কার পাবে যার ধারাবাহিকতা কোনদিন শেষ হবে না, যে পুরষ্কারের কোন কমতি হবে না। [বাদা’ই‘উত তাফসীর, সা‘দী]

Tafsir Bayaan Foundation

তবে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।

Muhiuddin Khan

কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে অশেষ পুরস্কার।

Zohurul Hoque

তারা ব্যতীত যারা ঈমান এনেছে ও সৎকাজ করছে, তাদের জন্য তবে রয়েছে বাধা-বিরতিবিহীন প্রতিদান।