Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল বালাদ আয়াত ১৭

Qur'an Surah Al-Balad Verse 17

আল বালাদ [৯০]: ১৭ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

ثُمَّ كَانَ مِنَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ وَتَوَاصَوْا بِالْمَرْحَمَةِۗ (البلد : ٩٠)

thumma
ثُمَّ
Then
তদুপরি (এর সাথে)
kāna
كَانَ
he is
সে হলো
mina
مِنَ
of
শামিলও
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
(তাদের মধ্য) যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
believe
ঈমান এনেছে
watawāṣaw
وَتَوَاصَوْا۟
and enjoin each other
ও তারা পরস্পরকে উপদেশ দিয়েছে
bil-ṣabri
بِٱلصَّبْرِ
to patience
ধৈর্যধারণের
watawāṣaw
وَتَوَاصَوْا۟
and enjoin each other
ও তারা পরস্পরকে উপদেশ দিয়েছে
bil-marḥamati
بِٱلْمَرْحَمَةِ
to compassion
দয়া প্রদর্শনের

Transliteration:

Summa kaana minal lazeena aamanoo wa tawaasaw bissabri wa tawaasaw bilmarhamah (QS. al-Balad:17)

English Sahih International:

And then being among those who believed and advised one another to patience and advised one another to compassion. (QS. Al-Balad, Ayah ১৭)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তদুপরি সে মু’মিনদের মধ্যে শামিল হয় আর পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের ও দয়া প্রদর্শনের উপদেশ দেয়। (আল বালাদ, আয়াত ১৭)

Tafsir Ahsanul Bayaan

তদুপরি অন্তর্ভুক্ত হওয়া তাদের যারা ঈমান আনে[১] এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় ধৈর্যধারণের ও দয়া দাক্ষিণ্যের।[২]

[১] এ থেকে জানা গেল যে, উল্লিখিত সৎকর্ম তখনই উপকারী ও পরকালের সুখের কারণ হবে, যখন তার কর্তা ঈমানদার হবে।

[২] ঈমানদারদের একটা গুণ এই যে, তারা একে-অপরকে ধৈর্য ও দয়া-দাক্ষিণ্যের উপদেশ দেয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

তদুপরি সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় যারা ঈমান এনেছে এবং পরস্পরকে উপদেশ দিয়েছে ধৈর্য ধারণের, আর পরস্পর উপদেশ দিয়েছে দয়া অনুগ্রহের [১] ;

[১] এ আয়াতে ঈমানের পর মুমিনের এই কর্তব্য ব্যক্ত করা হয়েছে যে, সে অপরাপর মুসলিম ভাইকে সবর ও অনুকম্পার উপদেশ দেবে। সবরের অর্থ নিজেকে মন্দ কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখা ও সৎকর্ম সম্পাদন করা। مرحمة এর অর্থ অপরের প্রতি দয়ার্দ্র হওয়া। অপরের কষ্টকে নিজের কষ্ট মনে করে তাকে কষ্টদান ও যুলুম করা থেকে বিরত হওয়া। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের উম্মতের মধ্যে এই রহম ও করুণাবৃত্তিটির মতো উন্নত নৈতিক বৃত্তিটিকেই সবচেয়ে বেশী প্রসারিত ও বিকশিত করতে চেয়েছেন। হাদীসে এসেছে, “যে মানুষের প্রতি রহমত করে না আল্লাহ্ তার প্রতি রহমত করেন না” । [বুখারী; ৭৩৭৬, মুসলিম; ৩১৯, মুসনাদে আহমাদ; ৪/৫৬২] অন্য হাদীসে এসেছে, “যে আমাদের ছোটদের রহমত করে না এবং বড়দের সম্মান পাওয়ার অধিকারের প্রতি খেয়াল রাখে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়” । [আবুদাউদ; ৪৯৪৩, তিরমিয়ী; ১৯২০] আরও বলা হয়েছে, “যারা রহমতের অধিকারী (দয়া করে) তাদেরকে রহমান রহমত করেন, তোমরা যমীনের অধিবাসীদের প্রতি রহমত কর তবে আসমানের উপর যিনি আছেন (আল্লাহ্) তিনিও তোমাদেরকে রহমত করবেন।” [আবু দাউদ; ৪৯৪১, তিরমিয়ী; ১৯২৪]

Tafsir Bayaan Foundation

অতঃপর সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, যারা ঈমান এনেছে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় ধৈর্যধারণের, আর পরস্পরকে উপদেশ দেয় দয়া-অনুগ্রহের।

Muhiuddin Khan

অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার।

Zohurul Hoque

তাহলে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত যারা ঈমান এনেছে, আর পরস্পরকে অধ্যবসায় অবলন্বনে প্রচেষ্টা করে ও একে-অন্যে দয়া-দাক্ষিণ্যের প্রয়াস চালায়।