Skip to content

সূরা আত তাওবাহ - Page: 4

At-Tawbah

(at-Tawbah)

৩১

اِتَّخَذُوْٓا اَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ اَرْبَابًا مِّنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَالْمَسِيْحَ ابْنَ مَرْيَمَۚ وَمَآ اُمِرُوْٓا اِلَّا لِيَعْبُدُوْٓا اِلٰهًا وَّاحِدًاۚ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۗ سُبْحٰنَهٗ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ ٣١

ittakhadhū
ٱتَّخَذُوٓا۟
তারা গ্রহণ করেছে
aḥbārahum
أَحْبَارَهُمْ
পন্ডিতদেরকে তাদের
waruh'bānahum
وَرُهْبَٰنَهُمْ
ও সংসার-বিরাগীদেরকে তাদের
arbāban
أَرْبَابًا
রব হিসেবে (অর্থাৎ হুকুম দেয়ার মালিক)
min
مِّن
বাদ
dūni
دُونِ
দিয়ে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহকে
wal-masīḥa
وَٱلْمَسِيحَ
ও মসীহকে
ib'na
ٱبْنَ
পুত্র
maryama
مَرْيَمَ
মারইয়ামের
wamā
وَمَآ
অথচ না
umirū
أُمِرُوٓا۟
তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে
illā
إِلَّا
এ ছাড়া
liyaʿbudū
لِيَعْبُدُوٓا۟
যেন তারা ইবাদত করে
ilāhan
إِلَٰهًا
ইলাহর
wāḥidan
وَٰحِدًاۖ
একই (অর্থাৎ আল্লাহর)
لَّآ
নেই
ilāha
إِلَٰهَ
কোনো ইলাহ
illā
إِلَّا
ছাড়া
huwa
هُوَۚ
তিনি
sub'ḥānahu
سُبْحَٰنَهُۥ
তিনি পবিত্র
ʿammā
عَمَّا
তা হতে যা
yush'rikūna
يُشْرِكُونَ
তারা শিরক করছে
আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা তাদের ‘আলিম আর দরবেশদেরকে রব বানিয়ে নিয়েছে; আর মারইয়াম-পুত্র মাসীহকেও। অথচ তাদেরকে এক ইলাহ ব্যতীত (অন্যের) ‘ইবাদাত করার আদেশ দেয়া হয়নি। তিনি ব্যতীত সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, পবিত্রতা আর মহিমা তাঁরই, (বহু ঊর্ধ্বে তিনি) তারা যাদেরকে (তাঁর) অংশীদার গণ্য করে তাত্থেকে। ([৯] আত তাওবাহ: ৩১)
ব্যাখ্যা
৩২

يُرِيْدُوْنَ اَنْ يُّطْفِـُٔوْا نُوْرَ اللّٰهِ بِاَفْوَاهِهِمْ وَيَأْبَى اللّٰهُ اِلَّآ اَنْ يُّتِمَّ نُوْرَهٗ وَلَوْ كَرِهَ الْكٰفِرُوْنَ ٣٢

yurīdūna
يُرِيدُونَ
তারা চায়
an
أَن
যে
yuṭ'fiū
يُطْفِـُٔوا۟
তারা ফুঁৎকারে নিভাবে
nūra
نُورَ
আলো
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
bi-afwāhihim
بِأَفْوَٰهِهِمْ
দিয়ে মুখ তাদের
wayabā
وَيَأْبَى
কিন্তু প্রত্যাখ্যান করেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ (সে ইচ্ছা)
illā
إِلَّآ
এ ছাড়া
an
أَن
যে
yutimma
يُتِمَّ
তিনি পূর্ণ করবেন
nūrahu
نُورَهُۥ
আলো তাঁর
walaw
وَلَوْ
এবং যদিও
kariha
كَرِهَ
অপছন্দ করে
l-kāfirūna
ٱلْكَٰفِرُونَ
কাফেররা
তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলোকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তা হতে দিবেন না, তিনি তাঁর আলোকে পূর্ণ না করে ছাড়বেন না, যদিও কাফিরগণ তা অপছন্দ করে। ([৯] আত তাওবাহ: ৩২)
ব্যাখ্যা
৩৩

هُوَ الَّذِيْٓ اَرْسَلَ رَسُوْلَهٗ بِالْهُدٰى وَدِيْنِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهٗ عَلَى الدِّيْنِ كُلِّهٖۙ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُوْنَ ٣٣

huwa
هُوَ
তিনি (আল্লাহই)
alladhī
ٱلَّذِىٓ
যিনি
arsala
أَرْسَلَ
পাঠিয়েছেন
rasūlahu
رَسُولَهُۥ
রাসূূলকে তাঁর
bil-hudā
بِٱلْهُدَىٰ
দিয়ে পথনির্দেশ
wadīni
وَدِينِ
ও দীন
l-ḥaqi
ٱلْحَقِّ
সত্য(সহ)
liyuẓ'hirahu
لِيُظْهِرَهُۥ
যেন তিনি বিজয়ী করেন তা
ʿalā
عَلَى
উপর
l-dīni
ٱلدِّينِ
দীনের
kullihi
كُلِّهِۦ
সব অপর
walaw
وَلَوْ
এবং যদিও
kariha
كَرِهَ
অপছন্দ করে
l-mush'rikūna
ٱلْمُشْرِكُونَ
মুশরিকরা
তিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত আর সঠিক দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন যাবতীয় দ্বীনের উপর একে বিজয়ী করার জন্য যদিও মুশরিকগণ অপছন্দ করে। ([৯] আত তাওবাহ: ৩৩)
ব্যাখ্যা
৩৪

۞ يٰٓاَيُّهَا الَّذِينَ اٰمَنُوْٓا اِنَّ كَثِيْرًا مِّنَ الْاَحْبَارِ وَالرُّهْبَانِ لَيَأْكُلُوْنَ اَمْوَالَ النَّاسِ بِالْبَاطِلِ وَيَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۗوَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُوْنَهَا فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۙفَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِيْمٍۙ ٣٤

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوٓا۟
ঈমান এনেছো
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
kathīran
كَثِيرًا
অধিকাংশ
mina
مِّنَ
মধ্য হতে
l-aḥbāri
ٱلْأَحْبَارِ
(আহলে কিতাব) পন্ডিতদের
wal-ruh'bāni
وَٱلرُّهْبَانِ
ও সংসার-বিরাগীদের (অবস্থা এই যে)
layakulūna
لَيَأْكُلُونَ
অবশ্যই তারা খায়
amwāla
أَمْوَٰلَ
ধনসম্পদ
l-nāsi
ٱلنَّاسِ
মানুষের
bil-bāṭili
بِٱلْبَٰطِلِ
ভাবে অন্যায়
wayaṣuddūna
وَيَصُدُّونَ
ও তারা বাধা দেয়
ʿan
عَن
হতে
sabīli
سَبِيلِ
পথ
l-lahi
ٱللَّهِۗ
আল্লাহর
wa-alladhīna
وَٱلَّذِينَ
এবং যারা
yaknizūna
يَكْنِزُونَ
জমা করে রাখে
l-dhahaba
ٱلذَّهَبَ
সোনা
wal-fiḍata
وَٱلْفِضَّةَ
ও রূপা
walā
وَلَا
এবং না
yunfiqūnahā
يُنفِقُونَهَا
তারা ব্যয় করে তা
فِى
মধ্যে
sabīli
سَبِيلِ
পথের
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
fabashir'hum
فَبَشِّرْهُم
তাই সুসংবাদ দাও তাদেরকে
biʿadhābin
بِعَذَابٍ
সম্পর্কে শাস্তি
alīmin
أَلِيمٍ
অতি কষ্টদায়ক
হে বিশ্বাসীগণ! অবশ্যই ‘আলিম ও দরবেশদের অনেকেই ভুয়ো কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষদের সম্পদ গ্রাস করে থাকে আর আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে। যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে আর আল্লাহর পথে তা ব্যয় করে না তাদেরকে ভয়াবহ শাস্তির সুসংবাদ দাও। ([৯] আত তাওবাহ: ৩৪)
ব্যাখ্যা
৩৫

يَّوْمَ يُحْمٰى عَلَيْهَا فِيْ نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوٰى بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوْبُهُمْ وَظُهُوْرُهُمْۗ هٰذَا مَا كَنَزْتُمْ لِاَنْفُسِكُمْ فَذُوْقُوْا مَا كُنْتُمْ تَكْنِزُوْنَ ٣٥

yawma
يَوْمَ
যেদিন
yuḥ'mā
يُحْمَىٰ
গরম করা হবে
ʿalayhā
عَلَيْهَا
উপর তার
فِى
মধ্যে
nāri
نَارِ
আগুনের
jahannama
جَهَنَّمَ
জাহান্নামের
fatuk'wā
فَتُكْوَىٰ
অতঃপর দাগ দেয়া হবে
bihā
بِهَا
দিয়ে তা
jibāhuhum
جِبَاهُهُمْ
কপালে তাদের
wajunūbuhum
وَجُنُوبُهُمْ
ও পাশে তাদের
waẓuhūruhum
وَظُهُورُهُمْۖ
ও পিঠে তাদের
hādhā
هَٰذَا
"(বলা হবে) এই
مَا
যা
kanaztum
كَنَزْتُمْ
জমা করেছিলে তোমরা
li-anfusikum
لِأَنفُسِكُمْ
জন্যে নিজেদের তোমাদের
fadhūqū
فَذُوقُوا۟
এখন তোমরা স্বাদ নাও
مَا
যা
kuntum
كُنتُمْ
তোমরা ছিলে
taknizūna
تَكْنِزُونَ
তোমরা জমা করতে"
যেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে আর তা দিয়ে তাদের কপালে, পার্শ্বদেশে ও পিঠে দাগ দেয়া হবে, (আর তাদেরকে বলা হবে) ‘এটা হল, যা তোমরা নিজেদের জন্য স্তুপীকৃত করেছিলে, কাজেই যা জমা করছিলে তার স্বাদ গ্রহণ কর।’ ([৯] আত তাওবাহ: ৩৫)
ব্যাখ্যা
৩৬

اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللّٰهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِيْ كِتٰبِ اللّٰهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ مِنْهَآ اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ۗذٰلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ ەۙ فَلَا تَظْلِمُوْا فِيْهِنَّ اَنْفُسَكُمْ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِيْنَ كَاۤفَّةً كَمَا يُقَاتِلُوْنَكُمْ كَاۤفَّةً ۗوَاعْلَمُوْٓا اَنَّ اللّٰهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ ٣٦

inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
ʿiddata
عِدَّةَ
সংখ্যা
l-shuhūri
ٱلشُّهُورِ
মাসগুলোর
ʿinda
عِندَ
কাছে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ith'nā
ٱثْنَا
দুই
ʿashara
عَشَرَ
দশ (বারো)
shahran
شَهْرًا
মাসগুলোর
فِى
অনুযায়ী
kitābi
كِتَٰبِ
বিধান
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
yawma
يَوْمَ
(তখন হতে) যেদিন
khalaqa
خَلَقَ
তিনি সৃষ্টি করেছেন
l-samāwāti
ٱلسَّمَٰوَٰتِ
আকাশসমূহ
wal-arḍa
وَٱلْأَرْضَ
ও পৃথিবী
min'hā
مِنْهَآ
মধ্যে তার
arbaʿatun
أَرْبَعَةٌ
চার (মাস)
ḥurumun
حُرُمٌۚ
নিষিদ্ধ
dhālika
ذَٰلِكَ
এটাই
l-dīnu
ٱلدِّينُ
বিধান
l-qayimu
ٱلْقَيِّمُۚ
সুপ্রতিষ্ঠিত
falā
فَلَا
সুতরাং না
taẓlimū
تَظْلِمُوا۟
তোমরা অবিচার করো
fīhinna
فِيهِنَّ
মধ্যে তার
anfusakum
أَنفُسَكُمْۚ
তোমাদের নিজেদের উপর
waqātilū
وَقَٰتِلُوا۟
এবং তোমরা যুদ্ধ করো
l-mush'rikīna
ٱلْمُشْرِكِينَ
মুশরিকদের (সাথে)
kāffatan
كَآفَّةً
সমবেতভাবে
kamā
كَمَا
যেমন
yuqātilūnakum
يُقَٰتِلُونَكُمْ
তোমাদের সাথে তারা যুদ্ধ করে
kāffatan
كَآفَّةًۚ
সমবেতভাবে
wa-iʿ'lamū
وَٱعْلَمُوٓا۟
এবং তোমরা জেনে রাখো
anna
أَنَّ
যে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
maʿa
مَعَ
সাথে (আছেন)
l-mutaqīna
ٱلْمُتَّقِينَ
মুত্তাকীদের
আসমান-যমীন সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কিতাবে (লৌহ মাহফুজে) মাসগুলোর সংখ্যা হল বার। তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস। এটা হল সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন। কাজেই ঐ সময়ের মধ্যে নিজেদের উপর যুলম করো না। মুশরিকদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ কর, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করে। জেনে রেখ, আল্লাহ অবশ্যই মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন। ([৯] আত তাওবাহ: ৩৬)
ব্যাখ্যা
৩৭

اِنَّمَا النَّسِيْۤءُ زِيَادَةٌ فِى الْكُفْرِ يُضَلُّ بِهِ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا يُحِلُّوْنَهٗ عَامًا وَّيُحَرِّمُوْنَهٗ عَامًا لِّيُوَاطِـُٔوْا عِدَّةَ مَا حَرَّمَ اللّٰهُ فَيُحِلُّوْا مَا حَرَّمَ اللّٰهُ ۗزُيِّنَ لَهُمْ سُوْۤءُ اَعْمَالِهِمْۗ وَاللّٰهُ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الْكٰفِرِيْنَ ࣖ ٣٧

innamā
إِنَّمَا
প্রকৃতপক্ষে
l-nasīu
ٱلنَّسِىٓءُ
নাসী (অর্থাৎ হারাম মাসকে পিছিয়ে দেয়া)
ziyādatun
زِيَادَةٌ
(আরও) বাড়িয়ে দেয়া
فِى
উপর
l-kuf'ri
ٱلْكُفْرِۖ
অবিশ্বাসের
yuḍallu
يُضَلُّ
পথভ্রষ্ট করা হয়
bihi
بِهِ
দিয়ে তা
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদেরকে) যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
অবিশ্বাস করেছে
yuḥillūnahu
يُحِلُّونَهُۥ
হালাল করে তারা তা
ʿāman
عَامًا
কোনো বছর
wayuḥarrimūnahu
وَيُحَرِّمُونَهُۥ
আবার (প্রয়োজনে) হারাম করে তারা তা
ʿāman
عَامًا
(অন্য) কোনো বছর
liyuwāṭiū
لِّيُوَاطِـُٔوا۟
যেন তারা পুরো করে নিতে পারে
ʿiddata
عِدَّةَ
সংখ্যা
مَا
যা
ḥarrama
حَرَّمَ
হারাম করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
fayuḥillū
فَيُحِلُّوا۟
তাই তারা হালাল করে
مَا
যা
ḥarrama
حَرَّمَ
হারাম করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُۚ
আল্লাহ
zuyyina
زُيِّنَ
শোভনীয় করা হয়েছে
lahum
لَهُمْ
জন্যে তাদের
sūu
سُوٓءُ
মন্দ
aʿmālihim
أَعْمَٰلِهِمْۗ
কাজগুলো তাদের
wal-lahu
وَٱللَّهُ
আর আল্লাহ
لَا
না
yahdī
يَهْدِى
সঠিক পথ দেখান
l-qawma
ٱلْقَوْمَ
সম্প্রদায়কে
l-kāfirīna
ٱلْكَٰفِرِينَ
সত্য অমান্যকারী
নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেয়া কুফরীর উপর আরেক কুফরী কাজ যা দ্বারা কাফিরদেরকে পথভ্রষ্ট করা হয়। এক বছর তারা একটি মাসকে হালাল করে, আরেক বছর ঐ মাসটিকে হারাম করে যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়। এভাবে তারা আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোকে হারাম করে নেয়। তাদের খারাপ কাজগুলো তাদের কাছে আনন্দদায়ক। আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না। ([৯] আত তাওবাহ: ৩৭)
ব্যাখ্যা
৩৮

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا مَا لَكُمْ اِذَا قِيْلَ لَكُمُ انْفِرُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ اثَّاقَلْتُمْ اِلَى الْاَرْضِۗ اَرَضِيْتُمْ بِالْحَيٰوةِ الدُّنْيَا مِنَ الْاٰخِرَةِۚ فَمَا مَتَاعُ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا فِى الْاٰخِرَةِ اِلَّا قَلِيْلٌ ٣٨

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছো
مَا
কি
lakum
لَكُمْ
তোমাদের হয়েছে
idhā
إِذَا
যখন
qīla
قِيلَ
বলা হয়
lakumu
لَكُمُ
উদ্দেশ্যে তোমাদের
infirū
ٱنفِرُوا۟
তোমরা বের হও
فِى
মধ্যে
sabīli
سَبِيلِ
পথের
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
ithāqaltum
ٱثَّاقَلْتُمْ
বোঝার ভার নুয়ে পড়ছো তোমরা
ilā
إِلَى
উপর
l-arḍi
ٱلْأَرْضِۚ
জমিনের
araḍītum
أَرَضِيتُم
কি সন্তুষ্ট হয়েছো তোমরা
bil-ḥayati
بِٱلْحَيَوٰةِ
নিয়ে জীবন
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
পার্থিব
mina
مِنَ
পরিবর্তে
l-ākhirati
ٱلْءَاخِرَةِۚ
আখেরাতের
famā
فَمَا
অথচ নয়
matāʿu
مَتَٰعُ
ভোগ সামগ্রী
l-ḥayati
ٱلْحَيَوٰةِ
জীবনের
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
পার্থিব
فِى
তুলনায়
l-ākhirati
ٱلْءَاخِرَةِ
আখেরাতের
illā
إِلَّا
এ ছাড়া
qalīlun
قَلِيلٌ
অতি তুচ্ছ
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের হয়েছে কী যে, যখন তোমাদেরকে আল্লাহর পথে বের হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় তখন তোমরা আরো জোরে মাটি কামড়ে ধর। তোমরা কি আখেরাতের স্থলে দুনিয়ার জীবনকেই বেশি পছন্দ কর? আখেরাতের তুলনায় পার্থিব জীবনের ভোগ সামগ্রী তো অতি সামান্য। ([৯] আত তাওবাহ: ৩৮)
ব্যাখ্যা
৩৯

اِلَّا تَنْفِرُوْا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا اَلِيمًاۙ وَّيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوْهُ شَيْـًٔاۗ وَاللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ٣٩

illā
إِلَّا
যদি না
tanfirū
تَنفِرُوا۟
তোমরা বের হও
yuʿadhib'kum
يُعَذِّبْكُمْ
তিনি শাস্তি দিবেন তোমাদের
ʿadhāban
عَذَابًا
শাস্তি
alīman
أَلِيمًا
বড় কষ্টদায়ক
wayastabdil
وَيَسْتَبْدِلْ
ও তিনি পরিবর্তন করবেন
qawman
قَوْمًا
(অন্য) জাতিকে
ghayrakum
غَيْرَكُمْ
ছাড়া তোমাদের
walā
وَلَا
এবং না
taḍurrūhu
تَضُرُّوهُ
তার তোমরা ক্ষতি করতে পারবে
shayan
شَيْـًٔاۗ
কিছুমাত্র
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
kulli
كُلِّ
সব
shayin
شَىْءٍ
কিছুর
qadīrun
قَدِيرٌ
সর্বশক্তিমান
তোমরা যদি যুদ্ধাভিযানে বের না হও, তাহলে তোমাদেরকে ভয়াবহ শাস্তি দেয়া হবে, আর তোমাদের স্থলে অন্য সম্প্রদায়কে আনা হবে (অথচ) তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। ([৯] আত তাওবাহ: ৩৯)
ব্যাখ্যা
৪০

اِلَّا تَنْصُرُوْهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللّٰهُ اِذْ اَخْرَجَهُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ثَانِيَ اثْنَيْنِ اِذْ هُمَا فِى الْغَارِ اِذْ يَقُوْلُ لِصَاحِبِهٖ لَا تَحْزَنْ اِنَّ اللّٰهَ مَعَنَاۚ فَاَنْزَلَ اللّٰهُ سَكِيْنَتَهٗ عَلَيْهِ وَاَيَّدَهٗ بِجُنُوْدٍ لَّمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِيْنَ كَفَرُوا السُّفْلٰىۗ وَكَلِمَةُ اللّٰهِ هِيَ الْعُلْيَاۗ وَاللّٰهُ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ ٤٠

illā
إِلَّا
যদি না
tanṣurūhu
تَنصُرُوهُ
তোমরা সাহায্য করো তাকে
faqad
فَقَدْ
তবে নিশ্চয়ই
naṣarahu
نَصَرَهُ
সাহায্য করেছেন তাকে
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
idh
إِذْ
যখন
akhrajahu
أَخْرَجَهُ
বের করেছিলো তাকে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
অবিশ্বাস করেছে
thāniya
ثَانِىَ
(সে ছিলো) দ্বিতীয়
ith'nayni
ٱثْنَيْنِ
দুজনের
idh
إِذْ
যখন
humā
هُمَا
তারা দু'জনে (ছিলো)
فِى
মধ্যে
l-ghāri
ٱلْغَارِ
গুহার
idh
إِذْ
তখন
yaqūlu
يَقُولُ
সে বলেছিলো
liṣāḥibihi
لِصَٰحِبِهِۦ
উদ্দেশ্যে সাথীর তার
لَا
"না
taḥzan
تَحْزَنْ
চিন্তিত হয়ো তুমি
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
maʿanā
مَعَنَاۖ
সাথে (আছেন)আমাদের"
fa-anzala
فَأَنزَلَ
তখন অবতীর্ণ করলেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
sakīnatahu
سَكِينَتَهُۥ
প্রশান্তি তাঁর
ʿalayhi
عَلَيْهِ
উপর তার
wa-ayyadahu
وَأَيَّدَهُۥ
ও শক্তিশালী করলেন তাকে
bijunūdin
بِجُنُودٍ
দিয়ে (এমন সব) সৈন্য
lam
لَّمْ
নি
tarawhā
تَرَوْهَا
যাদেরকে তোমরা দেখতে পাও
wajaʿala
وَجَعَلَ
ও করলেন
kalimata
كَلِمَةَ
কথাকে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
অবিশ্বাস করেছিলো
l-suf'lā
ٱلسُّفْلَىٰۗ
নিচু
wakalimatu
وَكَلِمَةُ
ও (করলেন) কথা
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
hiya
هِىَ
তা
l-ʿul'yā
ٱلْعُلْيَاۗ
সমুন্নত
wal-lahu
وَٱللَّهُ
ও আল্লাহ
ʿazīzun
عَزِيزٌ
মহাপরাক্রমশালী
ḥakīmun
حَكِيمٌ
মহাবিজ্ঞ
যদি তোমরা তাকে [অর্থাৎ রসূল (সা.)-কে] সাহায্য না কর (তাতে কোনই পরোয়া নেই) কারণ আল্লাহ তো তাকে সেই সময় সাহায্য করেছেন যখন কাফিররা তাকে বের করে দিয়েছিল, সে ছিল দু’জনের দ্বিতীয়জন যখন তারা দু’জন গুহার মধ্যে ছিল, যখন সে তার সঙ্গীকে বলছিল, ‘চিন্তা করো না, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন’। তখন আল্লাহ তার প্রতি তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করলেন আর তাকে এমন সেনাবাহিনী দিয়ে শক্তিশালী করলেন তোমরা যা দেখতে পাওনি, আর তিনি কাফিরদের মুখের বুলিকে গভীর নীচে ফেলে দিলেন। আর আল্লাহর বাণীই রয়েছে সর্বোচ্চ। আল্লাহ হলেন প্রবল পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী। ([৯] আত তাওবাহ: ৪০)
ব্যাখ্যা