Skip to content

সূরা আত তাওবাহ - Page: 3

At-Tawbah

(at-Tawbah)

২১

يُبَشِّرُهُمْ رَبُّهُمْ بِرَحْمَةٍ مِّنْهُ وَرِضْوَانٍ وَّجَنّٰتٍ لَّهُمْ فِيْهَا نَعِيْمٌ مُّقِيْمٌۙ ٢١

yubashiruhum
يُبَشِّرُهُمْ
সুসংবাদ দিচ্ছেন তাদেরকে
rabbuhum
رَبُّهُم
তাদের রব
biraḥmatin
بِرَحْمَةٍ
সাহায্যে দয়ার
min'hu
مِّنْهُ
পক্ষ হতে তাঁর
wariḍ'wānin
وَرِضْوَٰنٍ
ও (তাঁর) সন্তুষ্টির
wajannātin
وَجَنَّٰتٍ
এবং জান্নাতের
lahum
لَّهُمْ
জন্যে তাদের
fīhā
فِيهَا
মধ্যে তার(রয়েছে)
naʿīmun
نَعِيمٌ
সুখ
muqīmun
مُّقِيمٌ
স্থায়ী
তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছেন তাঁর দয়া ও সন্তুষ্টির, আর জান্নাতের যেখানে তাদের জন্য আছে স্থায়ী সুখ-সামগ্রী। ([৯] আত তাওবাহ: ২১)
ব্যাখ্যা
২২

خٰلِدِيْنَ فِيْهَآ اَبَدًا ۗاِنَّ اللّٰهَ عِنْدَهٗٓ اَجْرٌ عَظِيْمٌ ٢٢

khālidīna
خَٰلِدِينَ
তারা চিরস্থায়ী হবে
fīhā
فِيهَآ
মধ্যে তার
abadan
أَبَدًاۚ
অনাগতকাল (পর্যন্ত)
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহর
ʿindahu
عِندَهُۥٓ
কাছে (আছে) তাঁর
ajrun
أَجْرٌ
পুরস্কার
ʿaẓīmun
عَظِيمٌ
বিরাট
যেখানে তারা চিরদিন থাকবে। আল্লাহর কাছেই তো রয়েছে মহাপুরস্কার। ([৯] আত তাওবাহ: ২২)
ব্যাখ্যা
২৩

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْٓا اٰبَاۤءَكُمْ وَاِخْوَانَكُمْ اَوْلِيَاۤءَ اِنِ اسْتَحَبُّوا الْكُفْرَ عَلَى الْاِيْمَانِۗ وَمَنْ يَّتَوَلَّهُمْ مِّنْكُمْ فَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ ٢٣

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছো
لَا
না
tattakhidhū
تَتَّخِذُوٓا۟
তোমরা গ্রহণ করো
ābāakum
ءَابَآءَكُمْ
বাপ-দাদাদেরকে তোমাদের
wa-ikh'wānakum
وَإِخْوَٰنَكُمْ
ও ভাইদেরকে তোমাদের
awliyāa
أَوْلِيَآءَ
বন্ধু্রূপে
ini
إِنِ
যদি
is'taḥabbū
ٱسْتَحَبُّوا۟
তারা অধিক ভালবাসে
l-kuf'ra
ٱلْكُفْرَ
অবিশ্বাসকে
ʿalā
عَلَى
উপর
l-īmāni
ٱلْإِيمَٰنِۚ
ঈমানের (তুলনায়)
waman
وَمَن
এবং যে
yatawallahum
يَتَوَلَّهُم
ভালোবাসবে তাদেরকে
minkum
مِّنكُمْ
মধ্য হতে তোমাদের
fa-ulāika
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
তবে ঐসব লোক
humu
هُمُ
তারাই
l-ẓālimūna
ٱلظَّٰلِمُونَ
সীমালঙ্ঘনকারী
হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের পিতা আর ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না যদি তারা ঈমানের চেয়ে কুফরীকেই বেশি ভালবাসে। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই যালিম। ([৯] আত তাওবাহ: ২৩)
ব্যাখ্যা
২৪

قُلْ اِنْ كَانَ اٰبَاۤؤُكُمْ وَاَبْنَاۤؤُكُمْ وَاِخْوَانُكُمْ وَاَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيْرَتُكُمْ وَاَمْوَالُ ِۨاقْتَرَفْتُمُوْهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسٰكِنُ تَرْضَوْنَهَآ اَحَبَّ اِلَيْكُمْ مِّنَ اللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ وَجِهَادٍ فِيْ سَبِيْلِهٖ فَتَرَبَّصُوْا حَتّٰى يَأْتِيَ اللّٰهُ بِاَمْرِهٖۗ وَاللّٰهُ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الْفٰسِقِيْنَ ࣖ ٢٤

qul
قُلْ
বলো
in
إِن
"যদি
kāna
كَانَ
হয়
ābāukum
ءَابَآؤُكُمْ
বাপ-দাদারা তোমাদের
wa-abnāukum
وَأَبْنَآؤُكُمْ
ও সন্তানেরা তোমাদের
wa-ikh'wānukum
وَإِخْوَٰنُكُمْ
ও ভাইয়েরা তোমাদের
wa-azwājukum
وَأَزْوَٰجُكُمْ
ও স্ত্রীরা তোমাদের
waʿashīratukum
وَعَشِيرَتُكُمْ
ও স্বজনগোষ্ঠি তোমাদের
wa-amwālun
وَأَمْوَٰلٌ
ও ধনসম্পদ
iq'taraftumūhā
ٱقْتَرَفْتُمُوهَا
যা তোমরা অর্জন করেছো
watijāratun
وَتِجَٰرَةٌ
ও ব্যবসা-বাণিজ্য
takhshawna
تَخْشَوْنَ
তোমরা ভয় করো
kasādahā
كَسَادَهَا
মন্দা পড়ার যার
wamasākinu
وَمَسَٰكِنُ
ও বাসগৃহসমূহ
tarḍawnahā
تَرْضَوْنَهَآ
তোমরা পছন্দ করো যা
aḥabba
أَحَبَّ
অধিক প্রিয়
ilaykum
إِلَيْكُم
কাছে তোমাদের
mina
مِّنَ
হতে
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ
warasūlihi
وَرَسُولِهِۦ
ও তাঁর রাসূল (হতে)
wajihādin
وَجِهَادٍ
ও জিহাদ(হতে)
فِى
মধ্যে
sabīlihi
سَبِيلِهِۦ
পথের তাঁর
fatarabbaṣū
فَتَرَبَّصُوا۟
তবে তোমরা অপেক্ষা করো
ḥattā
حَتَّىٰ
যতক্ষণ না
yatiya
يَأْتِىَ
আসেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
bi-amrihi
بِأَمْرِهِۦۗ
নিয়ে তাঁর নির্দেশ
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
لَا
না
yahdī
يَهْدِى
পথে দেখান
l-qawma
ٱلْقَوْمَ
সম্প্রদায়কে
l-fāsiqīna
ٱلْفَٰسِقِينَ
(যারা) সত্যত্যাগী"
বল, ‘যদি তোমাদের পিতারা, আর তোমাদের সন্তানেরা, আর তোমাদের ভাইয়েরা, আর তোমাদের স্ত্রীরা, আর তোমাদের গোষ্ঠীর লোকেরা আর ধন-সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর ব্যবসা তোমরা যার মন্দার ভয় কর, আর বাসস্থান যা তোমরা ভালবাস (এসব) যদি তোমাদের নিকট প্রিয়তর হয় আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করা হতে, তাহলে অপেক্ষা কর যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর চূড়ান্ত ফয়সালা তোমাদের কাছে নিয়ে আসেন।’ আর আল্লাহ অবাধ্য আচরণকারীদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন না। ([৯] আত তাওবাহ: ২৪)
ব্যাখ্যা
২৫

لَقَدْ نَصَرَكُمُ اللّٰهُ فِيْ مَوَاطِنَ كَثِيْرَةٍۙ وَّيَوْمَ حُنَيْنٍۙ اِذْ اَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ فَلَمْ تُغْنِ عَنْكُمْ شَيْـًٔا وَّضَاقَتْ عَلَيْكُمُ الْاَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ ثُمَّ وَلَّيْتُمْ مُّدْبِرِيْنَۚ ٢٥

laqad
لَقَدْ
নিশ্চয়ই
naṣarakumu
نَصَرَكُمُ
সাহায্য করেছেন তোমাদের
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
فِى
মধ্যে
mawāṭina
مَوَاطِنَ
জায়গায়
kathīratin
كَثِيرَةٍۙ
অনেক
wayawma
وَيَوْمَ
ও দিনে
ḥunaynin
حُنَيْنٍۙ
হুনায়নের (যুদ্ধে)
idh
إِذْ
যখন
aʿjabatkum
أَعْجَبَتْكُمْ
উৎফুল্ল করেছিলো তোমাদের
kathratukum
كَثْرَتُكُمْ
সংখ্যাধিক্য তোমাদের
falam
فَلَمْ
অতঃপর নি
tugh'ni
تُغْنِ
কাজে আসে
ʿankum
عَنكُمْ
জন্যে তোমাদের
shayan
شَيْـًٔا
কিছুমাত্র (সংখ্যাধিক্য)
waḍāqat
وَضَاقَتْ
এবং সংকীর্ণ হয়েছিলো
ʿalaykumu
عَلَيْكُمُ
তোমাদের উপর
l-arḍu
ٱلْأَرْضُ
পৃথিবী
bimā
بِمَا
এ সত্ত্বেও যা
raḥubat
رَحُبَتْ
প্রশস্ত ছিলো
thumma
ثُمَّ
এরপর
wallaytum
وَلَّيْتُم
তোমরা ফিরে গেলে
mud'birīna
مُّدْبِرِينَ
পিঠ প্রদর্শনকারী হয়ে
বস্তুতঃ আল্লাহ তোমাদেরকে বহু যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন আর হুনায়নের যুদ্ধের দিন, তোমাদের সংখ্যার আধিক্য তোমাদেরকে গর্বে মাতোয়ারা করে দিয়েছিল, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি, যমীন সুপ্রশস্ত হওয়া সত্বেও তা তোমাদের নিকট সংকীর্ণই হয়ে গিয়েছিল, আর তোমরা পিছন ফিরে পালিয়ে গিয়েছিলে। ([৯] আত তাওবাহ: ২৫)
ব্যাখ্যা
২৬

ثُمَّ اَنْزَلَ اللّٰهُ سَكِيْنَتَهٗ عَلٰى رَسُوْلِهٖ وَعَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَاَنْزَلَ جُنُوْدًا لَّمْ تَرَوْهَا وَعَذَّبَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْاۗ وَذٰلِكَ جَزَاۤءُ الْكٰفِرِيْنَ ٢٦

thumma
ثُمَّ
এরপর
anzala
أَنزَلَ
অবতীর্ণ করলেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
sakīnatahu
سَكِينَتَهُۥ
তাঁর প্রশান্তি
ʿalā
عَلَىٰ
উপর
rasūlihi
رَسُولِهِۦ
তাঁর রাসূলের
waʿalā
وَعَلَى
ও উপর
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَ
মু'মিনদের
wa-anzala
وَأَنزَلَ
ও অবতীর্ণ করলেন
junūdan
جُنُودًا
(এমন) বাহিনী
lam
لَّمْ
নি
tarawhā
تَرَوْهَا
তা তোমরা দেখতে পাও
waʿadhaba
وَعَذَّبَ
ও শাস্তি দিলেন
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদেরকে) যারা
kafarū
كَفَرُوا۟ۚ
অস্বীকার করেছিলো
wadhālika
وَذَٰلِكَ
ও এটা (ছিলো)
jazāu
جَزَآءُ
কর্মফল
l-kāfirīna
ٱلْكَٰفِرِينَ
কাফেরদের
তারপর আল্লাহ তাঁর রসূলের উপর, আর মু’মিনদের উপর তাঁর প্রশান্তির অমিয়ধারা বর্ষণ করলেন, আর পাঠালেন এমন এক সেনাবাহিনী যা তোমরা দেখতে পাওনি, আর তিনি কাফিরদেরকে শাস্তি প্রদান করলেন। এভাবেই আল্লাহ কাফিরদেরকে প্রতিফল দিয়ে থাকেন। ([৯] আত তাওবাহ: ২৬)
ব্যাখ্যা
২৭

ثُمَّ يَتُوْبُ اللّٰهُ مِنْۢ بَعْدِ ذٰلِكَ عَلٰى مَنْ يَّشَاۤءُۗ وَاللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ ٢٧

thumma
ثُمَّ
অতঃপর
yatūbu
يَتُوبُ
ক্ষমাপরায়ণ হলেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
min
مِنۢ
থেকেও
baʿdi
بَعْدِ
পর
dhālika
ذَٰلِكَ
এর
ʿalā
عَلَىٰ
(তারা) প্রতি
man
مَن
যাকে
yashāu
يَشَآءُۗ
তিনি ইচ্ছে করেন
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
ghafūrun
غَفُورٌ
ক্ষমাশীল
raḥīmun
رَّحِيمٌ
পরম দয়ালু
এরপরও আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছে করবেন তাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু। ([৯] আত তাওবাহ: ২৭)
ব্যাখ্যা
২৮

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْٓا اِنَّمَا الْمُشْرِكُوْنَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هٰذَا ۚوَاِنْ خِفْتُمْ عَيْلَةً فَسَوْفَ يُغْنِيْكُمُ اللّٰهُ مِنْ فَضْلِهٖٓ اِنْ شَاۤءَۗ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ ٢٨

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوٓا۟
ঈমান এনেছো
innamā
إِنَّمَا
মূলতঃ
l-mush'rikūna
ٱلْمُشْرِكُونَ
মুশরিকরা
najasun
نَجَسٌ
অপবিত্র
falā
فَلَا
অতএব না
yaqrabū
يَقْرَبُوا۟
তারা নিকটবর্তী হবে
l-masjida
ٱلْمَسْجِدَ
মাসজিদে
l-ḥarāma
ٱلْحَرَامَ
হারামের
baʿda
بَعْدَ
পরে
ʿāmihim
عَامِهِمْ
বছরের তাদের
hādhā
هَٰذَاۚ
এই
wa-in
وَإِنْ
এবং যদি
khif'tum
خِفْتُمْ
তোমরা ভয় করো
ʿaylatan
عَيْلَةً
দারিদ্র্যের
fasawfa
فَسَوْفَ
তবে শীঘ্রই
yugh'nīkumu
يُغْنِيكُمُ
অভাবমুক্ত করবেন তোমাদের
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
min
مِن
দিয়ে
faḍlihi
فَضْلِهِۦٓ
অনুগ্রহ তাঁর
in
إِن
যদি
shāa
شَآءَۚ
তিনি ইচ্ছে করেন
inna
إِنَّ
নিশ্চয়ই
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
ʿalīmun
عَلِيمٌ
সর্বজ্ঞ
ḥakīmun
حَكِيمٌ
মহাবিজ্ঞ
ওহে বিশ্বাসীগণ! মুশরিকরা হল অপবিত্র, কাজেই এ বছরের পর তারা যেন মাসজিদে হারামের নিকট না আসে। তোমরা যদি দরিদ্রতার ভয় কর, তবে আল্লাহ ইচ্ছে করলে অচিরেই তাঁর অনুগ্রহের মাধ্যমে তোমাদেরকে অভাব-মুক্ত করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, মহাবিজ্ঞানী। ([৯] আত তাওবাহ: ২৮)
ব্যাখ্যা
২৯

قَاتِلُوا الَّذِيْنَ لَا يُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَلَا يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللّٰهُ وَرَسُوْلُهٗ وَلَا يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ حَتّٰى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَّدٍ وَّهُمْ صَاغِرُوْنَ ࣖ ٢٩

qātilū
قَٰتِلُوا۟
তোমরা যুদ্ধ করো
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদের বিরুদ্ধে) যারা
لَا
না
yu'minūna
يُؤْمِنُونَ
ঈমান আনে
bil-lahi
بِٱللَّهِ
উপর আল্লাহর
walā
وَلَا
এবং না
bil-yawmi
بِٱلْيَوْمِ
উপর দিনের
l-ākhiri
ٱلْءَاخِرِ
আখেরাতের
walā
وَلَا
এবং না
yuḥarrimūna
يُحَرِّمُونَ
নিষিদ্ধ করে
مَا
যা কিছু
ḥarrama
حَرَّمَ
নিষিদ্ধ করেছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
warasūluhu
وَرَسُولُهُۥ
ও তাঁর রাসূল
walā
وَلَا
এবং না
yadīnūna
يَدِينُونَ
আনুগত্য করে
dīna
دِينَ
দ্বীনের
l-ḥaqi
ٱلْحَقِّ
সত্যকে
mina
مِنَ
মধ্য হতে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যাদেরকে
ūtū
أُوتُوا۟
দেয়া হয়েছে
l-kitāba
ٱلْكِتَٰبَ
কিতাব
ḥattā
حَتَّىٰ
যতক্ষণ না
yuʿ'ṭū
يُعْطُوا۟
তারা দেয়
l-jiz'yata
ٱلْجِزْيَةَ
(জিযিয়া) কর
ʿan
عَن
দিয়ে
yadin
يَدٍ
(নিজেদের) হাত
wahum
وَهُمْ
এমতাবস্হায় যে তারা
ṣāghirūna
صَٰغِرُونَ
ছোট (হয়ে থাকে)
যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না, আর শেষ দিনের প্রতিও না, আর আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করেছেন তাকে হারাম গণ্য করে না, আর সত্য দ্বীনকে নিজেদের দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে না তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর যে পর্যন্ত না তারা বশ্যতা সহকারে স্বেচ্ছায় ট্যাক্স দেয়। ([৯] আত তাওবাহ: ২৯)
ব্যাখ্যা
৩০

وَقَالَتِ الْيَهُوْدُ عُزَيْرُ ِۨابْنُ اللّٰهِ وَقَالَتِ النَّصٰرَى الْمَسِيْحُ ابْنُ اللّٰهِ ۗذٰلِكَ قَوْلُهُمْ بِاَفْوَاهِهِمْۚ يُضَاهِـُٔوْنَ قَوْلَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا مِنْ قَبْلُ ۗقَاتَلَهُمُ اللّٰهُ ۚ اَنّٰى يُؤْفَكُوْنَ ٣٠

waqālati
وَقَالَتِ
আর বলে
l-yahūdu
ٱلْيَهُودُ
ইয়াহুদীরা
ʿuzayrun
عُزَيْرٌ
"উজাইর
ub'nu
ٱبْنُ
পুত্র
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর"
waqālati
وَقَالَتِ
আর বলে
l-naṣārā
ٱلنَّصَٰرَى
নাসারা (খ্রিষ্টানরা)
l-masīḥu
ٱلْمَسِيحُ
"মসীহ (ঈসা আঃ)
ub'nu
ٱبْنُ
পুত্র
l-lahi
ٱللَّهِۖ
আল্লাহর"
dhālika
ذَٰلِكَ
এটা
qawluhum
قَوْلُهُم
কথা তাদের
bi-afwāhihim
بِأَفْوَٰهِهِمْۖ
দিয়ে মুখ তাদের
yuḍāhiūna
يُضَٰهِـُٔونَ
তারা মিল রেখে বলে
qawla
قَوْلَ
কথা
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদের) যারা
kafarū
كَفَرُوا۟
অস্বীকার করেছে
min
مِن
থেকেও
qablu
قَبْلُۚ
পূর্ব
qātalahumu
قَٰتَلَهُمُ
ধ্বংস করুন তাদের
l-lahu
ٱللَّهُۚ
আল্লাহ
annā
أَنَّىٰ
কেমন করে
yu'fakūna
يُؤْفَكُونَ
তাদের ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে
ইয়াহূদীরা বলে, ‘উযায়র আল্লাহর পুত্র। আর নাসারারা বলে, ‘মাসীহ আল্লাহর পুত্র। এসব তাদের মুখের কথা। এতে তারা তাদের পূর্বেকার কাফিরদের কথারই অনুকরণ করে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন! কেমনভাবে তারা সত্য পথ থেকে দূরে ছিটকে পড়েছে। ([৯] আত তাওবাহ: ৩০)
ব্যাখ্যা