Skip to content

সূরা আত তাওবাহ - Page: 2

At-Tawbah

(at-Tawbah)

১১

فَاِنْ تَابُوْا وَاَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتَوُا الزَّكٰوةَ فَاِخْوَانُكُمْ فِى الدِّيْنِ ۗوَنُفَصِّلُ الْاٰيٰتِ لِقَوْمٍ يَّعْلَمُوْنَ ١١

fa-in
فَإِن
অতঃপর যদি
tābū
تَابُوا۟
তারা তওবা করে
wa-aqāmū
وَأَقَامُوا۟
ও প্রতিষ্ঠা করে
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَ
সালাত
waātawū
وَءَاتَوُا۟
ও আদায় করে
l-zakata
ٱلزَّكَوٰةَ
যাকাত
fa-ikh'wānukum
فَإِخْوَٰنُكُمْ
তবে ভাই তোমাদের
فِى
ভিত্তিতে
l-dīni
ٱلدِّينِۗ
দীনের
wanufaṣṣilu
وَنُفَصِّلُ
এবং বিস্তারিত বর্ণনা করছি আমরা
l-āyāti
ٱلْءَايَٰتِ
বিধানাবলী
liqawmin
لِقَوْمٍ
জন্যে সম্প্রদায়ের
yaʿlamūna
يَعْلَمُونَ
(যারা) জ্ঞান রাখে
এখন যদি তারা তাওবাহ করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের জন্য আমি স্পষ্ট করে নিদর্শন বলে দিলাম। ([৯] আত তাওবাহ: ১১)
ব্যাখ্যা
১২

وَاِنْ نَّكَثُوْٓا اَيْمَانَهُمْ مِّنْۢ بَعْدِ عَهْدِهِمْ وَطَعَنُوْا فِيْ دِيْنِكُمْ فَقَاتِلُوْٓا اَىِٕمَّةَ الْكُفْرِۙ اِنَّهُمْ لَآ اَيْمَانَ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَنْتَهُوْنَ ١٢

wa-in
وَإِن
আর যদি
nakathū
نَّكَثُوٓا۟
তারা ভঙ্গ করে
aymānahum
أَيْمَٰنَهُم
শপথ তাদের
min
مِّنۢ
থেকে
baʿdi
بَعْدِ
পর
ʿahdihim
عَهْدِهِمْ
চুক্তির তাদের
waṭaʿanū
وَطَعَنُوا۟
ও বিদ্রূপ করে
فِى
সম্পর্কে
dīnikum
دِينِكُمْ
দীনের তোমাদের
faqātilū
فَقَٰتِلُوٓا۟
তখন তোমরা লড়াই করো
a-immata
أَئِمَّةَ
নেতৃবৃন্দের (বিরুদ্ধে)
l-kuf'ri
ٱلْكُفْرِۙ
অবিশ্বাসের
innahum
إِنَّهُمْ
নিশ্চয়ই তারা (এমন যে)
لَآ
নেই(বিশ্বাস)
aymāna
أَيْمَٰنَ
শপথ
lahum
لَهُمْ
কাছে তাদের
laʿallahum
لَعَلَّهُمْ
(এরূপ আচরণে)সম্ভবতঃ তারা
yantahūna
يَنتَهُونَ
বিরত হবে
তারা যদি চুক্তি করার পর তাদের শপথ ভঙ্গ করে আর তোমাদের দীনের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে, তাহলে কাফিরদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে লড়াই কর, শপথ বলে কোন জিনিস তাদের কাছে নেই, (কাজেই শক্তি প্রয়োগ কর) যাতে তারা (শয়ত্বানী কার্যকলাপ থেকে) নিবৃত্ত হয়। ([৯] আত তাওবাহ: ১২)
ব্যাখ্যা
১৩

اَلَا تُقَاتِلُوْنَ قَوْمًا نَّكَثُوْٓا اَيْمَانَهُمْ وَهَمُّوْا بِاِخْرَاجِ الرَّسُوْلِ وَهُمْ بَدَءُوْكُمْ اَوَّلَ مَرَّةٍۗ اَتَخْشَوْنَهُمْ ۚفَاللّٰهُ اَحَقُّ اَنْ تَخْشَوْهُ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ ١٣

alā
أَلَا
কি না
tuqātilūna
تُقَٰتِلُونَ
তোমরা যুদ্ধ করবে
qawman
قَوْمًا
সম্প্রদায়ের(বিরুদ্ধে)
nakathū
نَّكَثُوٓا۟
(যারা) ভঙ্গ করেছে
aymānahum
أَيْمَٰنَهُمْ
শপথ তাদের
wahammū
وَهَمُّوا۟
এবং সংকল্প করেছিলো
bi-ikh'rāji
بِإِخْرَاجِ
ব্যাপারে বহিষ্কার করার
l-rasūli
ٱلرَّسُولِ
রাসূলকে
wahum
وَهُم
ও তারা
badaūkum
بَدَءُوكُمْ
তোমাদের সাথে শুরু করেছিলো (বাড়াবাড়ি)
awwala
أَوَّلَ
প্রথম
marratin
مَرَّةٍۚ
বারেই
atakhshawnahum
أَتَخْشَوْنَهُمْۚ
কি তোমরা ভয় করো তাদেরকে
fal-lahu
فَٱللَّهُ
অথচ আল্লাহই
aḥaqqu
أَحَقُّ
অধিক অধিকারী
an
أَن
যে
takhshawhu
تَخْشَوْهُ
তোমরা ভয় করো তাঁকে
in
إِن
যদি
kuntum
كُنتُم
হয়ে থাকো তোমরা
mu'minīna
مُّؤْمِنِينَ
মু'মিন
তোমরা সেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াই কেন করবে না যারা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে, যারা রসূলকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল? প্রথমে তারাই তোমাদেরকে আক্রমণ করেছিল। তোমরা কি তাদেরকে ভয় কর? তোমরা যাকে ভয় করবে তার সবচেয়ে বেশি হকদার হলেন আল্লাহ যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক। ([৯] আত তাওবাহ: ১৩)
ব্যাখ্যা
১৪

قَاتِلُوْهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللّٰهُ بِاَيْدِيْكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنْصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُوْرَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِيْنَۙ ١٤

qātilūhum
قَٰتِلُوهُمْ
তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করো
yuʿadhib'humu
يُعَذِّبْهُمُ
শাস্তি দিবেন তাদেরকে
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
bi-aydīkum
بِأَيْدِيكُمْ
দিয়ে হাত তোমাদের
wayukh'zihim
وَيُخْزِهِمْ
এবং লাঞ্ছিত করবেন তাদেরকে
wayanṣur'kum
وَيَنصُرْكُمْ
এবং সাহায্য করবেন তোমাদেরকে
ʿalayhim
عَلَيْهِمْ
বিরুদ্ধে তাদের
wayashfi
وَيَشْفِ
ও আরোগ্য করবেন
ṣudūra
صُدُورَ
অন্তরসমুহকে
qawmin
قَوْمٍ
সম্প্রদায়ের
mu'minīna
مُّؤْمِنِينَ
(যারা)মু'মিন
তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, তোমাদের হাত দিয়েই আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন, তাদেরকে অপমানিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে সাহায্য করবেন আর মু’মিনদের প্রাণ ঠান্ডা করবেন। ([৯] আত তাওবাহ: ১৪)
ব্যাখ্যা
১৫

وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوْبِهِمْۗ وَيَتُوْبُ اللّٰهُ عَلٰى مَنْ يَّشَاۤءُۗ وَاللّٰهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ ١٥

wayudh'hib
وَيُذْهِبْ
এবং দূর করবেন তিনি
ghayẓa
غَيْظَ
ক্ষোভ (জ্বালা)
qulūbihim
قُلُوبِهِمْۗ
অন্তরসমূহের তাদের
wayatūbu
وَيَتُوبُ
ও তওবা কবুল করবেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
ʿalā
عَلَىٰ
(তাদের) প্রতি
man
مَن
যাদেরকে
yashāu
يَشَآءُۗ
তিনি ইচ্ছে করবেন
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
ʿalīmun
عَلِيمٌ
সর্বজ্ঞ
ḥakīmun
حَكِيمٌ
সুবিজ্ঞ
তিনি তাদের মনের জ্বালা নিভিয়ে দিবেন, আল্লাহ যাকে চাইবেন তাওবাহ করার তাওফীক দিবেন, আর আল্লাহ হলেন সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। ([৯] আত তাওবাহ: ১৫)
ব্যাখ্যা
১৬

اَمْ حَسِبْتُمْ اَنْ تُتْرَكُوْا وَلَمَّا يَعْلَمِ اللّٰهُ الَّذِيْنَ جَاهَدُوْا مِنْكُمْ وَلَمْ يَتَّخِذُوْا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ وَلَا رَسُوْلِهٖ وَلَا الْمُؤْمِنِيْنَ وَلِيْجَةً ۗوَاللّٰهُ خَبِيْرٌۢ بِمَا تَعْمَلُوْنَ ࣖ ١٦

am
أَمْ
কি
ḥasib'tum
حَسِبْتُمْ
মনে করেছো তোমরা
an
أَن
যে
tut'rakū
تُتْرَكُوا۟
তোমাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে
walammā
وَلَمَّا
অথচ নি
yaʿlami
يَعْلَمِ
জানেন(এখন পর্যন্ত)
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদেরকে) কারা
jāhadū
جَٰهَدُوا۟
তারা জিহাদ করেছে (তাঁর পথে)
minkum
مِنكُمْ
মধ্য থেকে তোমাদের
walam
وَلَمْ
ও নি
yattakhidhū
يَتَّخِذُوا۟
ও তারা গ্রহণ করে(অন্য কাউকে)
min
مِن
দিয়ে
dūni
دُونِ
বাদ
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহ
walā
وَلَا
ও না
rasūlihi
رَسُولِهِۦ
তাঁর রাসূল
walā
وَلَا
ও না
l-mu'minīna
ٱلْمُؤْمِنِينَ
মু'মিনদেরকে
walījatan
وَلِيجَةًۚ
অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
khabīrun
خَبِيرٌۢ
খুব জানেন
bimā
بِمَا
ঐ বিষয়ে যা
taʿmalūna
تَعْمَلُونَ
তোমরা কাজ করছো
তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদেরকে এমনিই ছেড়ে দেয়া হবে যে পর্যন্ত আল্লাহ জেনে না নেবেন তোমাদের মধ্যে কারা তাঁর পথে জিহাদ করেছে, আর আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মু’মিনদের ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেন নি? তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ বিশেষভাবে অবহিত। ([৯] আত তাওবাহ: ১৬)
ব্যাখ্যা
১৭

مَا كَانَ لِلْمُشْرِكِيْنَ اَنْ يَّعْمُرُوْا مَسٰجِدَ اللّٰهِ شٰهِدِيْنَ عَلٰٓى اَنْفُسِهِمْ بِالْكُفْرِۗ اُولٰۤىِٕكَ حَبِطَتْ اَعْمَالُهُمْۚ وَ فِى النَّارِ هُمْ خٰلِدُوْنَ ١٧

مَا
না
kāna
كَانَ
হতে পারে (এমন)
lil'mush'rikīna
لِلْمُشْرِكِينَ
জন্যে মুশরিকদের
an
أَن
যে
yaʿmurū
يَعْمُرُوا۟
রক্ষণাবেক্ষণ করবে তারা
masājida
مَسَٰجِدَ
মাসজিদসমূহের
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
shāhidīna
شَٰهِدِينَ
(যখন) তারা সাক্ষ্যদাতা
ʿalā
عَلَىٰٓ
উপর
anfusihim
أَنفُسِهِم
নিজেদের তাদের
bil-kuf'ri
بِٱلْكُفْرِۚ
সম্পর্কে অবিশ্বাস
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোকের
ḥabiṭat
حَبِطَتْ
নষ্ট হয়েছে
aʿmāluhum
أَعْمَٰلُهُمْ
কাজকর্ম তাদের
wafī
وَفِى
ও মধ্যে
l-nāri
ٱلنَّارِ
জাহান্নামের
hum
هُمْ
তারা
khālidūna
خَٰلِدُونَ
চিরস্থায়ী হবে
মুশরিকদের এটা কাজ নয় যে, তারা আল্লাহর মাসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারী সেবক হবে যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফরীর সাক্ষ্য দেয়, তাদের সমস্ত কাজ বরবাদ হয়ে গেছে, জাহান্নামেই তারা হবে চিরস্থায়ী। ([৯] আত তাওবাহ: ১৭)
ব্যাখ্যা
১৮

اِنَّمَا يَعْمُرُ مَسٰجِدَ اللّٰهِ مَنْ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَاَقَامَ الصَّلٰوةَ وَاٰتَى الزَّكٰوةَ وَلَمْ يَخْشَ اِلَّا اللّٰهَ ۗفَعَسٰٓى اُولٰۤىِٕكَ اَنْ يَّكُوْنُوْا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ ١٨

innamā
إِنَّمَا
মূলত
yaʿmuru
يَعْمُرُ
রক্ষণাবেক্ষণ করবে
masājida
مَسَٰجِدَ
মাসজিদসমূহের
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
man
مَنْ
(সেই) যে
āmana
ءَامَنَ
ঈমান এনেছে
bil-lahi
بِٱللَّهِ
উপর আল্লাহর
wal-yawmi
وَٱلْيَوْمِ
ও দিনের
l-ākhiri
ٱلْءَاخِرِ
আখিরাতের
wa-aqāma
وَأَقَامَ
ও প্রতিষ্ঠা করে
l-ṣalata
ٱلصَّلَوٰةَ
সালাত
waātā
وَءَاتَى
ও আদায় করে
l-zakata
ٱلزَّكَوٰةَ
যাকাত
walam
وَلَمْ
ও না
yakhsha
يَخْشَ
ভয় করে (অন্য কাউকে)
illā
إِلَّا
ছাড়া
l-laha
ٱللَّهَۖ
আল্লাহ
faʿasā
فَعَسَىٰٓ
আশা করা যায়
ulāika
أُو۟لَٰٓئِكَ
ঐসব লোক
an
أَن
যে
yakūnū
يَكُونُوا۟
তারাই হবে
mina
مِنَ
অন্তর্ভুক্ত
l-muh'tadīna
ٱلْمُهْتَدِينَ
সঠিক পথপ্রাপ্তদের
আল্লাহর মাসজিদের আবাদ তো তারাই করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারাই হবে সঠিক পথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। ([৯] আত তাওবাহ: ১৮)
ব্যাখ্যা
১৯

۞ اَجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاۤجِّ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ وَجَاهَدَ فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۗ لَا يَسْتَوٗنَ عِنْدَ اللّٰهِ ۗوَاللّٰهُ لَا يَهْدِى الْقَوْمَ الظّٰلِمِيْنَۘ ١٩

ajaʿaltum
أَجَعَلْتُمْ
কি তোমরা মনে করেছো
siqāyata
سِقَايَةَ
পানি পান করানো
l-ḥāji
ٱلْحَآجِّ
হাজ্বীদের
waʿimārata
وَعِمَارَةَ
ও রক্ষণাবেক্ষণ করা
l-masjidi
ٱلْمَسْجِدِ
মাসজিদে
l-ḥarāmi
ٱلْحَرَامِ
হারামের
kaman
كَمَنْ
সমান তার যে
āmana
ءَامَنَ
ঈমান এনেছে
bil-lahi
بِٱللَّهِ
প্রতি আল্লাহর
wal-yawmi
وَٱلْيَوْمِ
ও দিনের
l-ākhiri
ٱلْءَاخِرِ
আখিরাতের
wajāhada
وَجَٰهَدَ
ও জিহাদ করে
فِى
মধ্যে
sabīli
سَبِيلِ
পথের
l-lahi
ٱللَّهِۚ
আল্লাহর
لَا
নয়
yastawūna
يَسْتَوُۥنَ
তারা সমান
ʿinda
عِندَ
নিকট
l-lahi
ٱللَّهِۗ
আল্লাহর
wal-lahu
وَٱللَّهُ
এবং আল্লাহ
لَا
না
yahdī
يَهْدِى
সঠিক পথ দেখান
l-qawma
ٱلْقَوْمَ
সম্প্রদায়কে
l-ẓālimīna
ٱلظَّٰلِمِينَ
(যারা)সীমালঙ্ঘনকারী
হাজীদেরকে পানি পান করানো আর মাসজিদে হারামের আবাদ করাকে কি তোমরা তাদের কাজের সমান মনে কর যারা আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস করে আর আল্লাহর পথে জিহাদ করে? আল্লাহর দৃষ্টিতে এরা সমান নয়। (যারা ভ্রান্তপথে আল্লাহর সন্তুষ্টি খুঁজে এমন) যালিম সম্প্রদায়কে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন না। ([৯] আত তাওবাহ: ১৯)
ব্যাখ্যা
২০

اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَهَاجَرُوْا وَجَاهَدُوْا فِيْ سَبِيْلِ اللّٰهِ بِاَمْوَالِهِمْ وَاَنْفُسِهِمْۙ اَعْظَمُ دَرَجَةً عِنْدَ اللّٰهِ ۗوَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الْفَاۤىِٕزُوْنَ ٢٠

alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
wahājarū
وَهَاجَرُوا۟
ও হিজরত করেছে
wajāhadū
وَجَٰهَدُوا۟
ও জিহাদ করেছে
فِى
মধ্যে
sabīli
سَبِيلِ
পথের
l-lahi
ٱللَّهِ
আল্লাহর
bi-amwālihim
بِأَمْوَٰلِهِمْ
দিয়ে ধনসম্পদ তাদের
wa-anfusihim
وَأَنفُسِهِمْ
ও প্রাণসমূহ তাদের (দিয়ে)
aʿẓamu
أَعْظَمُ
(তারা) অতি বড়
darajatan
دَرَجَةً
মর্যাদায় (অধিষ্ঠিত)
ʿinda
عِندَ
কাছে
l-lahi
ٱللَّهِۚ
আল্লাহর
wa-ulāika
وَأُو۟لَٰٓئِكَ
এবং ঐসব লোক
humu
هُمُ
তারাই
l-fāizūna
ٱلْفَآئِزُونَ
সফলকাম
যারা ঈমান আনে, হিজরাত করে, আর নিজেদের জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে, আল্লাহর নিকট তাদের বিরাট মর্যাদা রয়েছে, এরাই হল সফলকাম। ([৯] আত তাওবাহ: ২০)
ব্যাখ্যা