Skip to content

সূরা আত তাওবাহ - Page: 13

At-Tawbah

(at-Tawbah)

১২১

وَلَا يُنْفِقُوْنَ نَفَقَةً صَغِيْرَةً وَّلَا كَبِيْرَةً وَّلَا يَقْطَعُوْنَ وَادِيًا اِلَّا كُتِبَ لَهُمْ لِيَجْزِيَهُمُ اللّٰهُ اَحْسَنَ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ ١٢١

walā
وَلَا
এবং না
yunfiqūna
يُنفِقُونَ
তারা ব্যয় করে
nafaqatan
نَفَقَةً
(এমন) কোনো ব্যয়
ṣaghīratan
صَغِيرَةً
ছোট
walā
وَلَا
এবং না
kabīratan
كَبِيرَةً
বড়
walā
وَلَا
এবং না
yaqṭaʿūna
يَقْطَعُونَ
তারা অতিক্রম করে
wādiyan
وَادِيًا
(এমন) উপত্যকা
illā
إِلَّا
এ ছাড়া যে
kutiba
كُتِبَ
লেখা হয়
lahum
لَهُمْ
জন্যে তাদের
liyajziyahumu
لِيَجْزِيَهُمُ
যেন প্রতিফল দেন তাদেরকে
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
aḥsana
أَحْسَنَ
অতি উত্তম
مَا
যা
kānū
كَانُوا۟
তারা ছিলো
yaʿmalūna
يَعْمَلُونَ
তারা কাজ করতে
আর এটাও হবে না যে, তারা কম বা বেশী মাল (আল্লাহর পথে) খরচ করবে আর (জিহাদে) তারা কোন উপত্যকা অতিক্রম করবে অথচ তা তাদের নামে লেখা হবে না (অবশ্যই লেখা হবে) যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের কাজের উৎকৃষ্ট প্রতিদান দিতে পারেন। ([৯] আত তাওবাহ: ১২১)
ব্যাখ্যা
১২২

۞ وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُوْنَ لِيَنْفِرُوْا كَاۤفَّةًۗ فَلَوْلَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَاۤىِٕفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوْا فِى الدِّيْنِ وَلِيُنْذِرُوْا قَوْمَهُمْ اِذَا رَجَعُوْٓا اِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُوْنَ ࣖ ١٢٢

wamā
وَمَا
এবং না
kāna
كَانَ
সঙ্গত (ছিলো)
l-mu'minūna
ٱلْمُؤْمِنُونَ
মু'মিনদের (জন্যে যে)
liyanfirū
لِيَنفِرُوا۟
যেন তারা বের হবে
kāffatan
كَآفَّةًۚ
সবাই (একযোগে)
falawlā
فَلَوْلَا
আর কেন না
nafara
نَفَرَ
বের হলো
min
مِن
হতে
kulli
كُلِّ
প্রত্যেক
fir'qatin
فِرْقَةٍ
দলের
min'hum
مِّنْهُمْ
মধ্য থেকে তাদের
ṭāifatun
طَآئِفَةٌ
একটি অংশ
liyatafaqqahū
لِّيَتَفَقَّهُوا۟
যেন তারা গভীর জ্ঞান অনুশীলন করতো
فِى
ব্যাপারে
l-dīni
ٱلدِّينِ
দীনের
waliyundhirū
وَلِيُنذِرُوا۟
এবং যেন তারা সতর্ক করে
qawmahum
قَوْمَهُمْ
সম্প্রদায়কে তাদের
idhā
إِذَا
যখন
rajaʿū
رَجَعُوٓا۟
তারা ফিরে যায়
ilayhim
إِلَيْهِمْ
দিকে তাদের
laʿallahum
لَعَلَّهُمْ
যাতে তারা(এভাবে)
yaḥdharūna
يَحْذَرُونَ
(ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে) সতর্ক থাকে
মু’মিনদের সকলের একসঙ্গে অভিযানে বের হওয়া ঠিক নয়। তাদের প্রত্যেক দল থেকে একটি অংশ কেন বের হয় না যাতে তারা দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞানের অনুশীলন করতে পারে এবং ফিরে আসার পর তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে যাতে তারা (অসদাচরণ) থেকে বিরত হয়? ([৯] আত তাওবাহ: ১২২)
ব্যাখ্যা
১২৩

يٰٓاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا قَاتِلُوا الَّذِيْنَ يَلُوْنَكُمْ مِّنَ الْكُفَّارِ وَلْيَجِدُوْا فِيْكُمْ غِلْظَةًۗ وَاعْلَمُوْٓا اَنَّ اللّٰهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ ١٢٣

yāayyuhā
يَٰٓأَيُّهَا
হে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছো
qātilū
قَٰتِلُوا۟
তোমরা যুদ্ধ করো
alladhīna
ٱلَّذِينَ
(তাদের বিরুদ্ধে) যারা
yalūnakum
يَلُونَكُم
কাছাকাছি আছে তোমাদের
mina
مِّنَ
মধ্যে হতে
l-kufāri
ٱلْكُفَّارِ
কাফেরদের
walyajidū
وَلْيَجِدُوا۟
ও যেন তারা পায়
fīkum
فِيكُمْ
মধ্যে তোমাদের
ghil'ẓatan
غِلْظَةًۚ
কঠোরতা
wa-iʿ'lamū
وَٱعْلَمُوٓا۟
এবং তোমরা জেনে রাখো
anna
أَنَّ
যে
l-laha
ٱللَّهَ
আল্লাহ
maʿa
مَعَ
সাথে (আছেন)
l-mutaqīna
ٱلْمُتَّقِينَ
মুত্তাকীদের
হে মু’মিনগণ! যে সব কাফির তোমাদের নিকটবর্তী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যাতে তারা তোমাদের মধ্যে দৃঢ়তা দেখতে পায়, আর জেনে রেখ যে, আল্লাহ মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন। ([৯] আত তাওবাহ: ১২৩)
ব্যাখ্যা
১২৪

وَاِذَا مَآ اُنْزِلَتْ سُوْرَةٌ فَمِنْهُمْ مَّنْ يَّقُوْلُ اَيُّكُمْ زَادَتْهُ هٰذِهٖٓ اِيْمَانًاۚ فَاَمَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا فَزَادَتْهُمْ اِيْمَانًا وَّهُمْ يَسْتَبْشِرُوْنَ ١٢٤

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
مَآ
যা
unzilat
أُنزِلَتْ
অবতীর্ণ করা হয়
sūratun
سُورَةٌ
কোনো সূরাহ
famin'hum
فَمِنْهُم
তখন মধ্যে তাদের
man
مَّن
কেউ কেউ
yaqūlu
يَقُولُ
বলে
ayyukum
أَيُّكُمْ
"মধ্যে কার তোমাদের
zādathu
زَادَتْهُ
বৃদ্ধি করেছে তার
hādhihi
هَٰذِهِۦٓ
এটা (দিয়ে)
īmānan
إِيمَٰنًاۚ
ঈমান"
fa-ammā
فَأَمَّا
অতঃপর আর বাস্তবিকই
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যারা
āmanū
ءَامَنُوا۟
ঈমান এনেছে
fazādathum
فَزَادَتْهُمْ
তখন তা তাদের বৃদ্ধি করেছে
īmānan
إِيمَٰنًا
ঈমান
wahum
وَهُمْ
এবং তারা
yastabshirūna
يَسْتَبْشِرُونَ
আনন্দিত হয়
যখনই কোন সূরাহ নাযিল হয় তখন তাদের কতক লোক (বিদ্রূপ করে) বলে- ‘‘এতে তোমাদের কার ঈমান বৃদ্ধি হল?’’(মুনাফিকরা জেনে রাখুক) যারাই ঈমান এনেছে তাদের ঈমান বৃদ্ধি হয় আর তারা এতে আনন্দিত হয়। ([৯] আত তাওবাহ: ১২৪)
ব্যাখ্যা
১২৫

وَاَمَّا الَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ فَزَادَتْهُمْ رِجْسًا اِلٰى رِجْسِهِمْ وَمَاتُوْا وَهُمْ كٰفِرُوْنَ ١٢٥

wa-ammā
وَأَمَّا
আর পক্ষান্তরে
alladhīna
ٱلَّذِينَ
যাদের
فِى
মধ্যে (আছে)
qulūbihim
قُلُوبِهِم
অন্তরসমূহে তাদের
maraḍun
مَّرَضٌ
রোগ
fazādathum
فَزَادَتْهُمْ
তখন তা তাদের বৃদ্ধি করেছে
rij'san
رِجْسًا
কলুষতার
ilā
إِلَىٰ
সাথে
rij'sihim
رِجْسِهِمْ
কলুষতা তাদের
wamātū
وَمَاتُوا۟
এবং তারা মারা গিয়েছে
wahum
وَهُمْ
এ অবস্থায় যে তারা
kāfirūna
كَٰفِرُونَ
কাফের (থাকবে)
আর যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাদের নাপাকীর উপর আরো নাপাকী বাড়িয়ে দেয় (প্রতিটি নতুন সূরা), আর তাদের মৃত্যু হয় কাফির অবস্থায়। ([৯] আত তাওবাহ: ১২৫)
ব্যাখ্যা
১২৬

اَوَلَا يَرَوْنَ اَنَّهُمْ يُفْتَنُوْنَ فِيْ كُلِّ عَامٍ مَّرَّةً اَوْ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ لَا يَتُوْبُوْنَ وَلَا هُمْ يَذَّكَّرُوْنَ ١٢٦

awalā
أَوَلَا
কি না
yarawna
يَرَوْنَ
তারা দেখে
annahum
أَنَّهُمْ
যে তারা
yuf'tanūna
يُفْتَنُونَ
পরীক্ষায় নিক্ষিপ্ত হয়
فِى
মধ্যে
kulli
كُلِّ
প্রত্যেক
ʿāmin
عَامٍ
বছরে
marratan
مَّرَّةً
একবার
aw
أَوْ
বা
marratayni
مَرَّتَيْنِ
দু'বার
thumma
ثُمَّ
এরপরও
لَا
না
yatūbūna
يَتُوبُونَ
তারা তওবা করে
walā
وَلَا
আর না
hum
هُمْ
তারা
yadhakkarūna
يَذَّكَّرُونَ
শিক্ষা নেয়
তারা কি দেখে না যে, প্রতি বছরই তাদেরকে একবার বা দু’বার পরীক্ষায় ফেলা হয়; তারপরেও তারা তাওবাও করে না, আর শিক্ষাও গ্রহণ করে না। ([৯] আত তাওবাহ: ১২৬)
ব্যাখ্যা
১২৭

وَاِذَا مَآ اُنْزِلَتْ سُوْرَةٌ نَّظَرَ بَعْضُهُمْ اِلٰى بَعْضٍۗ هَلْ يَرٰىكُمْ مِّنْ اَحَدٍ ثُمَّ انْصَرَفُوْاۗ صَرَفَ اللّٰهُ قُلُوْبَهُمْ بِاَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ ١٢٧

wa-idhā
وَإِذَا
এবং যখন
مَآ
যা
unzilat
أُنزِلَتْ
অবতীর্ণ হয়
sūratun
سُورَةٌ
কোনো সূরাহ
naẓara
نَّظَرَ
দেখে
baʿḍuhum
بَعْضُهُمْ
একে তাদের
ilā
إِلَىٰ
দিকে
baʿḍin
بَعْضٍ
অন্যের
hal
هَلْ
"(তারা ইশারায় বলে) কি
yarākum
يَرَىٰكُم
তোমাদের দেখছে
min
مِّنْ
কোনো
aḥadin
أَحَدٍ
একজন"
thumma
ثُمَّ
এরপর
inṣarafū
ٱنصَرَفُوا۟ۚ
তারা সরে পড়ে
ṣarafa
صَرَفَ
ফিরিয়ে দিয়েছেন
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহ
qulūbahum
قُلُوبَهُم
অন্তরগুলোকে তাদের
bi-annahum
بِأَنَّهُمْ
কারণ তারা
qawmun
قَوْمٌ
(এমন)সম্প্রদায়
لَّا
(যে) না
yafqahūna
يَفْقَهُونَ
তারা বুঝে
যখনই কোন সূরাহ নাযিল হয় তখনই তারা পরস্পরে চোখ চাওয়া-চাওয়ি করে আর (ইঙ্গিতে জিজ্ঞেস করে) ‘তোমাদেরকে কেউ দেখছে না তো?’’ অতঃপর তারা চুপিসারে সরে পড়ে। আল্লাহ তাদের অন্তরকে (সত্য পথ থেকে) ফিরিয়ে দিয়েছেন, কেননা তারা এমনই এক সম্প্রদায় যারা বুঝে না। ([৯] আত তাওবাহ: ১২৭)
ব্যাখ্যা
১২৮

لَقَدْ جَاۤءَكُمْ رَسُوْلٌ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ عَزِيْزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيْصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِيْنَ رَءُوْفٌ رَّحِيْمٌ ١٢٨

laqad
لَقَدْ
নিশ্চয়ই
jāakum
جَآءَكُمْ
তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের
rasūlun
رَسُولٌ
একজন রাসূল
min
مِّنْ
মধ্য হতে
anfusikum
أَنفُسِكُمْ
নিজেদের তোমাদের
ʿazīzun
عَزِيزٌ
কষ্টদায়ক
ʿalayhi
عَلَيْهِ
কাছে তার
مَا
যা
ʿanittum
عَنِتُّمْ
তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হও
ḥarīṣun
حَرِيصٌ
সে কল্যাণকামী
ʿalaykum
عَلَيْكُم
জন্যে তোমাদের
bil-mu'minīna
بِٱلْمُؤْمِنِينَ
সাথে মু'মিনদের
raūfun
رَءُوفٌ
স্নেহশীল
raḥīmun
رَّحِيمٌ
পরম দয়ালু
তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের নিকট একজন রসূল এসেছেন, তোমাদেরকে যা কিছু কষ্ট দেয় তা তার নিকট খুবই কষ্টদায়ক। সে তোমাদের কল্যাণকামী, মু’মিনদের প্রতি করুণাসিক্ত, বড়ই দয়ালু। ([৯] আত তাওবাহ: ১২৮)
ব্যাখ্যা
১২৯

فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۗ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ ࣖ ١٢٩

fa-in
فَإِن
অতঃপর যদি
tawallaw
تَوَلَّوْا۟
তারা ফিরে যায়
faqul
فَقُلْ
তবে বলো
ḥasbiya
حَسْبِىَ
"আমরা জন্যে যথেষ্ট
l-lahu
ٱللَّهُ
আল্লাহই
لَآ
নেই
ilāha
إِلَٰهَ
কোনো ইলাহ
illā
إِلَّا
ছাড়া
huwa
هُوَۖ
তিনি
ʿalayhi
عَلَيْهِ
উপর তাঁরই
tawakkaltu
تَوَكَّلْتُۖ
আমি নির্ভর করেছি
wahuwa
وَهُوَ
এবং তিনিই
rabbu
رَبُّ
রব/অধিপতি
l-ʿarshi
ٱلْعَرْشِ
আরশের
l-ʿaẓīmi
ٱلْعَظِيمِ
মহান"
এ সত্ত্বেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে বলে দাও- আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তাঁর উপরই আমি ভরসা করি, তিনি হলেন মহান আরশের মালিক। ([৯] আত তাওবাহ: ১২৯)
ব্যাখ্যা