Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আত-তাকভীর আয়াত ১৯

Qur'an Surah At-Takwir Verse 19

আত-তাকভীর [৮১]: ১৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اِنَّهٗ لَقَوْلُ رَسُوْلٍ كَرِيْمٍۙ (التكوير : ٨١)

innahu
إِنَّهُۥ
Indeed it
নিশ্চয়ই তা
laqawlu
لَقَوْلُ
(is) surely a word
অবশ্যই বাণী
rasūlin
رَسُولٍ
(of) a Messenger
বার্তা-বাহকের
karīmin
كَرِيمٍ
noble
সম্মানিত

Transliteration:

Innahoo laqawlu rasoolin kareem (QS. at-Takwīr:19)

English Sahih International:

[That] indeed, it [i.e., the Quran] is a word [conveyed by] a noble messenger [i.e., Gabriel] (QS. At-Takwir, Ayah ১৯)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

এ কুরআন নিশ্চয়ই সম্মানিত রসূলের (অর্থাৎ জিবরাঈলের) আনীত বাণী। (আত-তাকভীর, আয়াত ১৯)

Tafsir Ahsanul Bayaan

নিশ্চয়ই এ (কুরআন) সম্মানিত বার্তাবহ (জিবরীলের) আনীত বাণী, [১]

[১] যেহেতু তিনি আল্লাহর নিকট থেকে তা মহানবী (সাঃ)-এর নিকট আনয়ন করেছেন। এ রসূল (বার্তাবহ) থেকে উদ্দেশ্য হল জিবরীল (আঃ)।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

নিশ্চয়ই এ কুরআন সম্মানিত রাসূলের আনীত বাণী [১]

[১] এখানে সম্মানিত বাণীবাহক رَسُوْلٍ كَرِيْمٍ বলতে অহী আনার কাজে লিপ্ত ফেরেশতা জিবরাঈল আলাইহিস্ সালামকে বোঝানো হয়েছে। পরবর্তী আয়াতে এ-কথাটি আরো সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে। নবী-রাসূলগণের মতো ফেরেশতাগণের বেলায়ও রাসূল শব্দ ব্যবহৃত হয়। উল্লেখিত সবগুলো বিশেষণ জিবরাঈল আলাইহিস্ সালাম এর জন্যে বিনা দ্বিধায় প্রযোজ্য। তিনি যে শক্তিশালী, তা অন্যত্রও বলা হয়েছে, عَلَّمَهٗ شَدِيْدُالْقُوٰى “তাঁকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী” [সূরা আন-নাজম; ৫] । তিনি যে আরশ ও আকাশবাসী ফেরেশতাগণের মান্যবর তা মি'রাজের হাদীস দ্বারা প্ৰমাণিত আছে; তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাথে নিয়ে আকাশে পৌছলে তাঁর আদেশে ফেরেশতারা আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়। তিনি যে أمين তথা বিশ্বাসভাজন তা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না; আল্লাহ্ তা’আলা নিজেই তার আমানত বা বিশ্বস্ততার ঘোষণা দিয়েছেন, তাকে অহীর আমানত দিয়েছেন। [ইবন কাসীর, কুরতুবী]

আর কুরআনকে “বাণীবাহকের বাণী” বলার অর্থ এই নয় যে, এটি ঐ সংশ্লিষ্ট ফেরেশতার নিজের কথা। বরং “বাণীবাহকের বাণী” শব্দ দু‘টিই একথা প্ৰকাশ করছে যে, এটি সেই সত্তার বাণী যিনি তাকে বাণীবাহক করে পাঠিয়েছেন। সূরা ‘আল-হাক্কা’র ৪০ আয়াতে এভাবে কুরআনকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী বলা হয়েছে। সেখানেও এর অর্থ এই নয় যে, এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজের রচনা। বরং একে “রাসূলে করীমের” বাণী বলে একথা সুস্পষ্ট করা হয়েছে যে, আল্লাহ্র রাসূল হিসেবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটি পেশ করছেন, মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ হিসেবে নয়। উভয় স্থানে বাণীকে ফেরেশতা ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে সম্পর্কিত করার কারণ হচ্ছে এই যে, আল্লাহ্র বাণী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে বাণীবহনকারী ফেরেশতার মুখ থেকে এবং লোকদের সামনে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছিল। [বাদায়িউত তাফসীর]

Tafsir Bayaan Foundation

নিশ্চয় এ কুরআন সম্মানিত রাসূলের* আনিত বাণী।

*জিবরীল (আলাইহিস সালাম)।

Muhiuddin Khan

নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের আনীত বাণী,

Zohurul Hoque

নিঃসন্দেহ এ তো হচ্ছে এক সম্মানিত রসূলের বাণী --