কুরআন মজীদ সূরা আল-আনফাল আয়াত ৬৮
Qur'an Surah Al-Anfal Verse 68
আল-আনফাল [৮]: ৬৮ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
لَوْلَاكِتٰبٌ مِّنَ اللّٰهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيْمَآ اَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيْمٌ (الأنفال : ٨)
- lawlā
- لَّوْلَا
- Had not
- যদি না
- kitābun
- كِتَٰبٌ
- an ordainment
- লিখিত বিধান (থাকতো)
- mina
- مِّنَ
- from
- পক্ষ থেকে
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- Allah
- আল্লাহর
- sabaqa
- سَبَقَ
- preceded
- যা পূর্ব হতে নির্ধারিত হয়ে আছে
- lamassakum
- لَمَسَّكُمْ
- surely (would) have touched you
- অবশ্যই তোমাদেরকে স্পর্শ করতো
- fīmā
- فِيمَآ
- for what
- তার জন্যে যা
- akhadhtum
- أَخَذْتُمْ
- you took
- তোমরা গ্রহণ করেছো
- ʿadhābun
- عَذَابٌ
- a punishment
- শাস্তি
- ʿaẓīmun
- عَظِيمٌ
- great
- কঠিন
Transliteration:
Law laa Kitaabum minal laahi sabaqa lamassakum fee maaa akhaztum 'azaabun 'azeem(QS. al-ʾAnfāl:68)
English Sahih International:
If not for a decree from Allah that preceded, you would have been touched for what you took by a great punishment. (QS. Al-Anfal, Ayah ৬৮)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আল্লাহর লেখন যদি পূর্বেই লেখা না হত তাহলে তোমরা যা (মুক্তিপণ হিসেবে) গ্রহণ করেছ তজ্জন্য তোমাদের উপর মহাশাস্তি পতিত হত। (আল-আনফাল, আয়াত ৬৮)
Tafsir Ahsanul Bayaan
আল্লাহর পূর্ব বিধান (লিপিবদ্ধ) না থাকলে[১] তোমরা যা গ্রহণ করেছ, তার জন্য তোমাদের উপর মহাশাস্তি আপতিত হত।
[১] এ ব্যাপারে তাফসীরবিদদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে যে, এই লিপিবদ্ধ বিধান কি ছিল? কেউ বলেন, তাতে গনীমতের মাল হালাল হওয়ার কথা লেখা ছিল। অর্থাৎ, যেহেতু লিপিবদ্ধ তকদীর এই ছিল যে, মুসলিমদের জন্য গনীমতের মাল হালাল হবে। এই জন্য তোমরা মুক্তিপণ নিয়ে এক বৈধ কাজ করেছ। যদি এমন না হত তাহলে মুক্তিপণ নেওয়ার কারণে তোমাদের উপর বড় ধরনের আযাব আসত। কেউ কেউ বলেছেন, তাতে বদর যুদ্ধে মুজাহিদদের জন্য ক্ষমা ঘোষণার কথা লিপিবদ্ধ ছিল। আবার কেউ কেউ বলেন, রসূল (সাঃ)-এর বর্তমানে আযাব না আসার কথা লিপিবদ্ধ ছিল ইত্যাদি।
(এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য ফাতহুল ক্বাদীর দ্রষ্টব্য)
Tafsir Abu Bakr Zakaria
আল্লাহ্র পূর্ব বিধান না থাকলে [১] তোমরা যা গ্রহণ করেছ সে জন্য তোমাদের উপর মহাশক্তি আপতিত হত।
[১] এখানে পূর্ব বিধান বলতে বুঝানো হয়েছে যে, পূর্ব থেকে এ উম্মাতের জন্য গণীমতের মাল ও ফিদিয়া গ্রহণ করা হালাল হওয়ার কথা আল্লাহর পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত ও ফয়সালা অর্থাৎ ‘কাদ্বা’ ও ‘কাদর’ হিসাবে লিখা না হত তবে তোমাদের উপর আযাব আসত। এ ব্যাখ্যা অনুসারে এখানে আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ক্ষমা করার কারণ হিসাবে তার পূর্ব সিদ্ধান্ত ও ফয়সালাকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেছেন। [সাদী, ইবন কাসীর] কোন কোন মুফাসসির বলেনঃ এখানে কিতাব' বলে বুঝানো হয়েছে যে, যদি আল্লাহর কাছে বদরে অংশগ্রহণকারীদের ক্ষমার ব্যাপারটি আগে নির্ধারিত না থাকত, তবে অবশ্যই তোমাদের উপর শাস্তি আপতিত হত। অথবা যদি এটা পূর্বেই লিখিত না থাকত যে, আপনি তাদের মাঝে থাকাকালীন আমি তাদেরকে শাস্তি দেব না, তবে অবশ্যই তাদেরকে শাস্তি পেয়ে বসত। অথবা যদি না জানা অপরাধের কারণে পাকড়াও করবে না এটা লিখা না থাকত, তবে অবশ্যই তাদের উপর শাস্তি আসত। অথবা যদি আমি এ উম্মতের কবীরা গোনাহ তাওবার মাধ্যমে ক্ষমা করব এটা লিখা না থাকত তবে অবশ্যই তাদের উপর শাস্তি আসত। [ফাতহুল কাদীর]
Tafsir Bayaan Foundation
আল্লাহর লিখন অতিবাহিত না হয়ে থাকলে, অবশ্যই তোমরা যা গ্রহণ করেছ, সে বিষয়ে তোমাদেরকে মহা আযাব স্পর্শ করত।
Muhiuddin Khan
যদি একটি বিষয় না হত যা পূর্ব থেকেই আল্লাহ লিখে রেখেছেন, তাহলে তোমরা যা গ্রহণ করছ সেজন্য বিরাট আযাব এসে পৌছাত।
Zohurul Hoque
যদি আল্লাহ্র তরফ থেকে বিধান না থাকতো যা পূর্বেই উল্লেখ হয়েছে, তবে তোমরা যা গ্রহণ করতে যাচ্ছিলে সেজন্য তোমাদের উপরে পড়তো এক বিরাট শাস্তি।