Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আন-নযিআ'ত আয়াত ৩০

Qur'an Surah An-Nazi'at Verse 30

আন-নযিআ'ত [৭৯]: ৩০ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَالْاَرْضَ بَعْدَ ذٰلِكَ دَحٰىهَاۗ (النازعات : ٧٩)

wal-arḍa
وَٱلْأَرْضَ
And the earth
এবং পৃথিবীকে
baʿda
بَعْدَ
after
পরে
dhālika
ذَٰلِكَ
that
এর
daḥāhā
دَحَىٰهَآ
He spread it
তা বিস্তৃত করেছেন

Transliteration:

Wal arda b'ada zaalika dahaaha. (QS. an-Nāziʿāt:30)

English Sahih International:

And after that He spread the earth. (QS. An-Nazi'at, Ayah ৩০)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

অতঃপর তিনি যমীনকে বিস্তীর্ণ করেছেন। (আন-নযিআ'ত, আয়াত ৩০)

Tafsir Ahsanul Bayaan

এবং তারপর তিনি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন।[১]

[১] পূর্বে হা-মীম সিজদার ৯ আয়াতে উল্লেখ হয়েছে যে, خلق (সৃষ্টি করা) এক জিনিস এবং دحى (সমতল, বিস্তৃত ও বাসোপযোগী করা) করা অন্য এক জিনিস। পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে আকাশের পূর্বে। কিন্তু তাকে বিস্তৃত করা হয়েছে আকাশ সৃষ্টির পর। এখানে সেই তত্ত্বই বর্ণিত হয়েছে। সমতল ও বিস্তৃত করার মানে হল, পৃথিবীকে সৃষ্টির বাসোপযোগী করার জন্য যে সমস্ত জিনিসের প্রয়োজন আল্লাহ তাআলা তার প্রতি গুরুত্ব দিলেন। যেমন, যমীন থেকে পানি নির্গত করলেন অতঃপর তা হতে নানা খাদ্যসামগ্রী উৎপন্ন করলেন। পাহাড়সমূহকে পেরেকস্বরূপ মজবুতভাবে যমীনে গেড়ে দিলেন যাতে যমীনটা না হিলে। যেমন, আগামী আয়াতসমূহে এর বর্ণনা রয়েছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

আর যমীনকে এর পর বিস্তৃত করেছেন [১]।

[১] “এরপর তিনি যমীনকে বিছিয়েছেন ”- এর অর্থ এ নয় যে, আকাশ সৃষ্টি করার পরই আল্লাহ্ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। কেননা, কুরআনে কোথাও পৃথিবী সৃষ্টির ব্যাপারটি আগে এবং আকাশ সৃষ্টির ব্যাপারটি পরে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন সূরা আল-বাকারার ২৯ নং আয়াতে। কিন্তু এ আয়াতে আকাশ সৃষ্টির ব্যাপারটি আগে এবং পৃথিবী সৃষ্টির ব্যাপারটি পরে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি আসলে কোন বিপরীতধর্মী বক্তব্য নয়। কেননা, পৃথিবী সৃষ্টি আকাশ সৃষ্টির পূর্বে হলেও পৃথিবী বিস্তৃতকরণ, পানি ও তৃণ বের করা, পাহাড় স্থাপন ইত্যাদি করা হয়েছে আকাশ সৃষ্টির পর। [ইবন কাসীর]

Tafsir Bayaan Foundation

এরপর তিনি যমীনকে বিস্তীর্ণ করেছেন।

Muhiuddin Khan

পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।

Zohurul Hoque

আর পৃথিবী -- এর পরে তাকে প্রসারিত করেছেন।