Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আন-নাবা আয়াত ৩৮

Qur'an Surah An-Naba Verse 38

আন-নাবা [৭৮]: ৩৮ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

يَوْمَ يَقُوْمُ الرُّوْحُ وَالْمَلٰۤىِٕكَةُ صَفًّاۙ لَّا يَتَكَلَّمُوْنَ اِلَّا مَنْ اَذِنَ لَهُ الرَّحْمٰنُ وَقَالَ صَوَابًا (النبإ : ٧٨)

yawma
يَوْمَ
(The) Day
সেদিন
yaqūmu
يَقُومُ
will stand
দাঁড়াবে
l-rūḥu
ٱلرُّوحُ
the Spirit
রূহ (জিবরাইল)
wal-malāikatu
وَٱلْمَلَٰٓئِكَةُ
and the Angels
ও ফেরেশতারা
ṣaffan
صَفًّاۖ
(in) rows
সারিবদ্ধ ভাবে
لَّا
not
না
yatakallamūna
يَتَكَلَّمُونَ
they will speak
তারা কথা বলবে
illā
إِلَّا
except
(সে) ছাড়া
man
مَنْ
(one) who -
যাকে
adhina
أَذِنَ
permits
অনুমতি দেবেন
lahu
لَهُ
[for] him
তার জন্যে
l-raḥmānu
ٱلرَّحْمَٰنُ
the Most Gracious
দয়াময়
waqāla
وَقَالَ
and he (will) say
এবং বলবে
ṣawāban
صَوَابًا
(what is) correct
যথাযথ

Transliteration:

Yauma yaqoo mur roohu wal malaa-ikatu saf-fal laa yata kalla moona illa man azina lahur rahmaanu wa qaala sawaaba (QS. an-Nabaʾ:38)

English Sahih International:

The Day that the Spirit [i.e., Gabriel] and the angels will stand in rows, they will not speak except for one whom the Most Merciful permits, and he will say what is correct. (QS. An-Naba, Ayah ৩৮)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

সেদিন রূহ (জিবরাঈল) আর ফেরেশতারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে, কেউ কোন কথা বলতে পারবে না, সে ব্যতীত যাকে পরম করুণাময় অনুমতি দিবেন, আর সে যথার্থ কথাই বলবে। (আন-নাবা, আয়াত ৩৮)

Tafsir Ahsanul Bayaan

সেদিন রূহ (জিবরীল) ও ফিরিশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে,[১] পরম করুণাময় যাকে অনুমতি দিবেন সে ছাড়া অন্যেরা কথা বলতে পারবে না এবং সে সঠিক কথা বলবে। [২]

[১] এখানে জিবরীল (আঃ) সহ রূহের কয়েকটি অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে। ইমাম ইবনে কাসীর আদম-সন্তান (মানুষ)-এর অর্থকেই সঠিকতার অধিক কাছাকাছি বলে মন্তব্য করেছেন।

[২] এই অনুমতি আল্লাহ তাআলা ফিরিশতাগণকে এবং স্বীয় পয়গম্বরগণকে দান করবেন এবং তাঁরা যা কিছু কথা বলবেন তা হক, সত্য ও সঠিক বলবেন। অথবা এর ভাবার্থ হল যে, অনুমতি কেবলমাত্র তার জন্য দেওয়া হবে, যে সঠিক কথা বলেছে; অর্থাৎ, কলেমা তাওহীদের স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

সেদিন রূহ্ ও ফেরেশ্তাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁরাবে [১]; সেদিন কেউ কথা বলবে না, তবে ‘রহমান’ যাকে অনুমতি দেবেন সে ছাড়া, এবং সে সঠিক কথা বলবে [২]।

[১] অধিকাংশ তাফসীরকারগণের মতে ‘রূহ’ বলে এখানে জিবরাঈল আলাইহিস্ সালামকে বোঝানো হয়েছে। [মুয়াসসার, সা‘দী] ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত আছে যে, রূহ দ্বারা আল্লাহ্ তা‘আলার এক বড় আকৃতির ফেরেশতাকে বোঝানো হয়েছে। কাতাদাহ বলেন, এখানে রূহ বলে আদম সন্তানদেরকে বোঝানো হয়েছে। শেষোক্ত দু‘টি তাফসীর অনুযায়ী দুটি সারি হবে- একটি রূহের ও অপরটি ফেরেশতাগণের। [আত-তাফসীর আস-সাহীহ]

[২] এখানে কথা বলা মানে শাফা‘আত করা বলা হয়েছে। শাফা‘আত করতে হলে যে ব্যক্তিকে যে গুনাহগারের জন্য আল্লাহ্র পক্ষ থেকে শাফা‘আত করার অনুমতি দেয়া হবে একমাত্র সে-ই তার জন্য শাফা‘আত করতে পারবে। আর শাফা‘আতকারীকে সঠিক ও যথার্থ সত্য কথা বলতে হবে। অন্যায় সুপারিশ করতে পারবে না। [দেখুন, কুরতুবী]

Tafsir Bayaan Foundation

সেদিন রূহ* ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, যাকে পরম করুণাময় অনুমতি দেবেন সে ছাড়া অন্যরা কোন কথা বলবে না। আর সে সঠিক কথাই বলবে।

*হযরত জিবরীল (আঃ)।

Muhiuddin Khan

যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে।

Zohurul Hoque

সেইদিন আর-রূহ ও ফিরিশ্‌তাগণ সারবেঁধে দাঁড়াবে, পরম করুণাময় যাকে অনুমতি দেবেন সে ব্যতীত তাদের কেউ কথা বলতে পারবে না, আর সে সঠিক কথা বলবে।