Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল ক্বেয়ামাহ আয়াত ২৩

Qur'an Surah Al-Qiyamah Verse 23

আল ক্বেয়ামাহ [৭৫]: ২৩ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اِلٰى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ ۚ (القيامة : ٧٥)

ilā
إِلَىٰ
Towards
দিকে
rabbihā
رَبِّهَا
their Lord
তার রবের
nāẓiratun
نَاظِرَةٌ
looking
দৃষ্টিমান হবে

Transliteration:

Ilaa rabbihaa naazirah (QS. al-Q̈iyamah:23)

English Sahih International:

Looking at their Lord. (QS. Al-Qiyamah, Ayah ২৩)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (আল ক্বেয়ামাহ, আয়াত ২৩)

Tafsir Ahsanul Bayaan

তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। [১]

[১] এটা হবে ঈমানদারদের চেহারা। তারা নিজেদের শুভ পরিণামের কারণে বড়ই প্রশান্ত, প্রসন্ন ও দীপ্তিমান হবে। এ ছাড়া তারা আল্লাহর মুখমন্ডল দর্শন লাভেও ধন্য হবে। যা সহীহ হাদীসসমূহে সুসাব্যস্ত এবং আহলে-সুন্নাহর সর্বসম্মত আকীদাও এটাই।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে [১]।

[১] অর্থাৎ সেদিন কিছু মুখমন্ডল হাসি-খুশী ও সজীব হবে এবং তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আখেরাতে জান্নাতীগণ স্বচক্ষে আল্লাহ্ তা‘আলার দীদার (দর্শন) লাভ করবে। আহলে সুন্নাত-ওয়াল-জামা‘আতের সকল আলেম ও ফেকাহবিদ এ বিষয়ে একমত। বহু সংখ্যক হাদীসে এর যে ব্যাখ্যা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে তা হলো, আখেরাতে আল্লাহ্র নেক্কার বান্দাদের আল্লাহ্র সাক্ষাত লাভের সৌভাগ্য হবে। এক হাদীসে এসেছে, “তোমরা প্রকাশ্যে সুস্পষ্টভাবে তোমাদের রবকে দেখতে পাবে” [বুখারী; ৭৪৩৫, ৫৫৪, ৪৭৩, ৪৮৫১, ৭৪৩৪, ৭৪৩৬] অন্য হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বেহশতবাসীরা বেহেশতে প্রবেশ করার পর আল্লাহ্ তা'আলা তাদের জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কি চাও যে, আমি তোমাদের আরো কিছু দান করি? তারা আরয করবে, আপনি কি আমাদের চেহারা দীপ্তিময় করেননি? আপনি কি আমাদের জান্নাতে প্ৰবেশ করাননি এবং জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেননি? তখন আল্লাহ্ তা‘আলা পর্দা সরিয়ে দেবেন। ইতিপূর্বে তারা যেসব পুরষ্কার লাভ করেছে তার কোনটিই তাদের কাছে তাদের ‘রবের’ সাক্ষাতলাভের সম্মান ও সৌভাগ্য থেকে অধিক প্রিয় হবে না। এটিই হচ্ছে সে অতিরিক্ত পুরস্কার যার কথা কুরআনে এভাবে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “যারা নেক কাজ করেছে তাদের জন্য উত্তম পুরস্কার রয়েছে। আর এছাড়া অতিরিক্ত পুরস্কারও রয়েছে।” (সূরা ইউনুস; ২৬) [মুসলিম; ১৮১, তিরমিয়ী; ২৫৫২, মুসনাদে আহমাদ; ৪/৩৩৩] অন্য হাদীসে এসেছে, সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল, আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের রবকে দেখতে পাবো? জবাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যখন মেঘের আড়াল থাকে না তখন সূর্য ও চাঁদকে দেখতে তোমাদের কি কোন কষ্ট হয়? সবাই বলল, না। তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের রবকে এরকমই স্পষ্ট দেখতে পাবে। [বুখারী; ৭৪৩৭, মুসলিম; ১৮২] এ সমস্ত হাদীস এবং অন্য আরো বহু হাদীসের ভিত্তিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীগণ প্রায় সর্বসম্মতভাবেই এ আয়াতের যে অর্থ করেন তাহলো, জান্নাতবাসীগণ আখেরাতে মহান আল্লাহ্র সাক্ষাৎ লাভে ধন্য হবে। কুরআন মজীদের এ আয়াত থেকেও তার সমর্থন পাওয়া যায়। “কক্ষনো নয়, তারা (অর্থাৎ পাপীগণ)” সেদিন তাদের রবের সাক্ষাৎ থেকে বঞ্চিত হবে। [সূরা আল-মুতাফ্ফিফীন; ১৫] এ থেকে স্বতই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, এ বঞ্চনা হবে পাপীদের জন্য নেক্কারদের জন্য নয়। [দেখুন, ইবন কাসীর]

Tafsir Bayaan Foundation

তাদের রবের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপকারী।

Muhiuddin Khan

তারা তার পালনকর্তার দিকে তাকিয়ে থাকবে।

Zohurul Hoque

তাদের প্রভুর দিকে চেয়ে থাকবে,