وَمَا جَعَلْنَآ اَصْحٰبَ النَّارِ اِلَّا مَلٰۤىِٕكَةً ۖوَّمَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ اِلَّا فِتْنَةً لِّلَّذِيْنَ كَفَرُوْاۙ لِيَسْتَيْقِنَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ وَيَزْدَادَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْٓا اِيْمَانًا وَّلَا يَرْتَابَ الَّذِيْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ وَالْمُؤْمِنُوْنَۙ وَلِيَقُوْلَ الَّذِيْنَ فِيْ قُلُوْبِهِمْ مَّرَضٌ وَّالْكٰفِرُوْنَ مَاذَآ اَرَادَ اللّٰهُ بِهٰذَا مَثَلًاۗ كَذٰلِكَ يُضِلُّ اللّٰهُ مَنْ يَّشَاۤءُ وَيَهْدِيْ مَنْ يَّشَاۤءُۗ وَمَا يَعْلَمُ جُنُوْدَ رَبِّكَ اِلَّا هُوَۗ وَمَا هِيَ اِلَّا ذِكْرٰى لِلْبَشَرِ ࣖ ٣١
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- jaʿalnā
- جَعَلْنَآ
- আমরা বানিয়েছি
- aṣḥāba
- أَصْحَٰبَ
- কর্মচারীদেরকে
- l-nāri
- ٱلنَّارِ
- দোযখের
- illā
- إِلَّا
- ছাড়া
- malāikatan
- مَلَٰٓئِكَةًۙ
- ফেরেশতাদের
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- jaʿalnā
- جَعَلْنَا
- আমরা বানিয়েছি
- ʿiddatahum
- عِدَّتَهُمْ
- তাদের সংখ্যা
- illā
- إِلَّا
- এছাড়া
- fit'natan
- فِتْنَةً
- পরীক্ষা
- lilladhīna
- لِّلَّذِينَ
- তাদের জন্য (যারা)
- kafarū
- كَفَرُوا۟
- কুফরী করেছে
- liyastayqina
- لِيَسْتَيْقِنَ
- দৃঢ় বিশ্বাস করে যেন
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যাদের (তারা)
- ūtū
- أُوتُوا۟
- দেয়া হয়েছে
- l-kitāba
- ٱلْكِتَٰبَ
- গ্রন্থ
- wayazdāda
- وَيَزْدَادَ
- এবং বাড়ে
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যারা
- āmanū
- ءَامَنُوٓا۟
- ঈমান এনেছে
- īmānan
- إِيمَٰنًاۙ
- ঈমান (তাদের)
- walā
- وَلَا
- এবং না
- yartāba
- يَرْتَابَ
- সন্দেহ করে
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যাদের
- ūtū
- أُوتُوا۟
- দেয়া হয়েছে
- l-kitāba
- ٱلْكِتَٰبَ
- কিতাব
- wal-mu'minūna
- وَٱلْمُؤْمِنُونَۙ
- এবং মুমিনরা
- waliyaqūla
- وَلِيَقُولَ
- এবং বলে যেন
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- যারা
- fī
- فِى
- মধ্যে (রয়েছে)
- qulūbihim
- قُلُوبِهِم
- তাদের অন্তরসমূহের
- maraḍun
- مَّرَضٌ
- রোগ
- wal-kāfirūna
- وَٱلْكَٰفِرُونَ
- এবং কাফিররা
- mādhā
- مَاذَآ
- "কি
- arāda
- أَرَادَ
- ইচ্ছে রাখেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- bihādhā
- بِهَٰذَا
- এই দ্বারা
- mathalan
- مَثَلًاۚ
- উদাহরণ"
- kadhālika
- كَذَٰلِكَ
- এভাবে
- yuḍillu
- يُضِلُّ
- গুমরাহ করেন
- l-lahu
- ٱللَّهُ
- আল্লাহ
- man
- مَن
- যাকে
- yashāu
- يَشَآءُ
- ইচ্ছে করেন
- wayahdī
- وَيَهْدِى
- এবং হিদায়াত দেন
- man
- مَن
- যাকে
- yashāu
- يَشَآءُۚ
- ইচ্ছে করেন
- wamā
- وَمَا
- এবং না
- yaʿlamu
- يَعْلَمُ
- কেউ জানে
- junūda
- جُنُودَ
- সৈন্যদের
- rabbika
- رَبِّكَ
- তোমার রবের
- illā
- إِلَّا
- ছাড়া
- huwa
- هُوَۚ
- তিনি
- wamā
- وَمَا
- এবং নয়
- hiya
- هِىَ
- তা
- illā
- إِلَّا
- এছাড়া
- dhik'rā
- ذِكْرَىٰ
- উপদেশ
- lil'bashari
- لِلْبَشَرِ
- মানুষের জন্যে
আমিই কেবল ফেরেশতাদেরকে জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক করেছি। আর তাদের (এই) সংখ্যাকে কাফিরদের জন্য একটা পরীক্ষা বানিয়ে দিয়েছি (কেননা তারা এ কথা বিশ্বাসই করতে পারবে না যে মাত্র ঊনিশ জন ফেরেশতা বিশাল জাহান্নামের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবে) আর যেন কিতাবধারীগণ তা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে আর ঈমানদারদের ঈমান আরো বৃদ্ধি পায় এবং কিতাবধারীগণ ও ঈমানদারগণ যেন কোন রকম সন্দেহের মধ্যে না থাকে। যাদের অন্তরে রোগ আছে তারা আর কাফিররা যাতে বলে উঠে, ‘‘ এ ধরণের কথা দিয়ে আল্লাহ কী বোঝাতে চেয়েছেন?’’ এভাবে আল্লাহ যাকে চান গুমরাহ করেন আর যাকে চান সঠিক পথে পরিচালিত করেন। তোমার প্রতিপালকের বাহিনী (কারা এবং এর স্যখ্যা কত সে) সম্পর্কে তিনি ছাড়া কেউ জানে না। (জাহান্নামের) এ (বর্ণনা দেয়া হল) কেবল মানুষের নসীহত লাভের জন্য। ([৭৪] আল মুদ্দাসসির: ৩১)ব্যাখ্যা
كَلَّا وَالْقَمَرِۙ ٣٢
- kallā
- كَلَّا
- কক্ষণও নয়
- wal-qamari
- وَٱلْقَمَرِ
- শপথ চাঁদের
(এটা) কক্ষনো (ভিত্তিহীন) না, চাঁদের কসম, ([৭৪] আল মুদ্দাসসির: ৩২)ব্যাখ্যা
وَالَّيْلِ اِذْ اَدْبَرَۙ ٣٣
- wa-al-layli
- وَٱلَّيْلِ
- শপথ রাতের
- idh
- إِذْ
- যখন
- adbara
- أَدْبَرَ
- প্রত্যাবর্তন করে
রাতের কসম যখন তার অবসান হয়, ([৭৪] আল মুদ্দাসসির: ৩৩)ব্যাখ্যা
وَالصُّبْحِ اِذَآ اَسْفَرَۙ ٣٤
- wal-ṣub'ḥi
- وَٱلصُّبْحِ
- এবং প্রভাতের
- idhā
- إِذَآ
- যখন
- asfara
- أَسْفَرَ
- উজ্জ্বল হয়
প্রভাতের কসম- যখন তা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, ([৭৪] আল মুদ্দাসসির: ৩৪)ব্যাখ্যা
اِنَّهَا لَاِحْدَى الْكُبَرِۙ ٣٥
- innahā
- إِنَّهَا
- তা নিশ্চয়
- la-iḥ'dā
- لَإِحْدَى
- একটি নিশ্চয়
- l-kubari
- ٱلْكُبَرِ
- বড়গুলোর
এই জাহান্নাম বড় বড় বিপদগুলোর একটি, ([৭৪] আল মুদ্দাসসির: ৩৫)ব্যাখ্যা
نَذِيْرًا لِّلْبَشَرِۙ ٣٦
- nadhīran
- نَذِيرًا
- সতর্ককারী
- lil'bashari
- لِّلْبَشَرِ
- মানুষের জন্যে
মানুষের জন্য সতর্ককারী, ([৭৪] আল মুদ্দাসসির: ৩৬)ব্যাখ্যা
لِمَنْ شَاۤءَ مِنْكُمْ اَنْ يَّتَقَدَّمَ اَوْ يَتَاَخَّرَۗ ٣٧
- liman
- لِمَن
- (তার) যে জন্যে
- shāa
- شَآءَ
- ইচ্ছে করেে
- minkum
- مِنكُمْ
- তোমাদের মধ্যে
- an
- أَن
- যে
- yataqaddama
- يَتَقَدَّمَ
- অগ্রসর হবে
- aw
- أَوْ
- অথবা
- yata-akhara
- يَتَأَخَّرَ
- পিছিয়ে যাবে
তোমাদের মধ্যে যে (কল্যাণের পথে) এগিয়ে যেতে চায় অথবা পেছনে পড়ে থাকতে চায় তার জন্য ([৭৪] আল মুদ্দাসসির: ৩৭)ব্যাখ্যা
كُلُّ نَفْسٍۢ بِمَا كَسَبَتْ رَهِيْنَةٌۙ ٣٨
- kullu
- كُلُّ
- প্রত্যেক
- nafsin
- نَفْسٍۭ
- ব্যক্তি
- bimā
- بِمَا
- যা বিনিময়ে
- kasabat
- كَسَبَتْ
- অর্জন করেছে
- rahīnatun
- رَهِينَةٌ
- দায়ে আবদ্ধ
প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের দায়ে আবদ্ধ। ([৭৪] আল মুদ্দাসসির: ৩৮)ব্যাখ্যা
اِلَّآ اَصْحٰبَ الْيَمِيْنِ ۛ ٣٩
- illā
- إِلَّآ
- ছাড়া
- aṣḥāba
- أَصْحَٰبَ
- ব্যক্তিগণ
- l-yamīni
- ٱلْيَمِينِ
- ডানদিকস্থ
কিন্তু ডান পাশের লোকেরা নয়। ([৭৪] আল মুদ্দাসসির: ৩৯)ব্যাখ্যা
فِيْ جَنّٰتٍ ۛ يَتَسَاۤءَلُوْنَۙ ٤٠
- fī
- فِى
- মধ্যে
- jannātin
- جَنَّٰتٍ
- বেহেশতের
- yatasāalūna
- يَتَسَآءَلُونَ
- জিজ্ঞাসা পরস্পরে করবে
তারা থাকবে জান্নাতে। তারা পরস্পরকে জিজ্ঞেস করবে ([৭৪] আল মুদ্দাসসির: ৪০)ব্যাখ্যা