Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা মুযযামমিল আয়াত ৫

Qur'an Surah Al-Muzzammil Verse 5

মুযযামমিল [৭৩]: ৫ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اِنَّا سَنُلْقِيْ عَلَيْكَ قَوْلًا ثَقِيْلًا (المزمل : ٧٣)

innā
إِنَّا
Indeed We
আমরা নিশ্চয়
sanul'qī
سَنُلْقِى
will cast
অর্পণ আমরা শিঘ্রই করবো
ʿalayka
عَلَيْكَ
upon you
তোমার উপর
qawlan
قَوْلًا
a Word
বাণী
thaqīlan
ثَقِيلًا
heavy
ভারী

Transliteration:

Innaa sanulqee 'alika qawalan saqeelaa (QS. al-Muzzammil:5)

English Sahih International:

Indeed, We will cast upon you a heavy word. (QS. Al-Muzzammil, Ayah ৫)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি তোমার উপর গুরুভার কালাম নাযিল করব (বিশ্বের বুকে যার প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্বভার অতি বড় কঠিন কাজ)। (মুযযামমিল, আয়াত ৫)

Tafsir Ahsanul Bayaan

আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করব গুরুভার বাণী। [১]

[১] রাতের কিয়াম (নামায) যেহেতু মানুষের জন্য সাধারণতঃ ভারী হয়ে থাকে, তাই 'জুমলা মু'তারিযা' (পূর্বের বিষয়ের সাথে সম্পর্কহীন বাক্য) স্বরূপ বললেন যে, আমি এর থেকেও বেশী ভারী কথা তোমার উপর অবতীর্ণ করব। অর্থাৎ, কুরআন। যার বিধি-বিধানের উপর আমল করা, তার নির্ধারিত সীমা রক্ষা করা এবং তার দাওয়াত ও প্রচার অতি কঠিন ও ভারী কাজ। কেউ কেউ ভারী বলতে সেই ভার বুঝিয়েছেন, যা অহী অবতরণের সময় তাঁর উপর আপতিত হত। যার ভারে প্রচন্ড শীতের দিনেও তিনি ঘর্মসিক্ত হতেন। (ইবনে কাসীর)

Tafsir Abu Bakr Zakaria

নিশ্চয় আমরা আপনার প্রতি নাযিল করছি গুরুভার বাণী [১]।

[১] এখানে ভারী বা গুরুতর বাণী বলে পবিত্র কুরআন বোঝানো হয়েছে। গুরুভার বাণী বলার কারণ হলো, তার নির্দেশ অনুসারে কাজ করা অনেক বেশী কঠিন ওগুরুতর কাজ। তাছাড়া এ জন্যও একে গুরুভার ও কঠিন বাণী বলা হয়েছে যে, তার অবতরণের ভার বহন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল। যায়েদ ইবনে সাবেত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বৰ্ণনা করেছেন যে, একবার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর অহী নাযিল হওয়ার সময় তিনি আমার উরুর ওপর তাঁর উরু ঠেকিয়ে বসেছিলেন। আমার উরুর ওপর তখন এমন চাপ পড়ছিলো যে, মনে হচ্ছিলো তা এখনই ভেঙে যাবে। [বুখারী; ৭৭৫, ৫০৪৩] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বৰ্ণনা করেন, আমি প্রচণ্ড শীতের দিনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অহী নাযিল হতে দেখেছি। সে সময়ও তাঁর কপাল থেকে ঘাম ঝরতে থাকতো। [বুখারী; ২] অন্য বর্ণনায় আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেছেন, উটনীর ওপর সওয়ার থাকা অবস্থায় যখনই তার ওপর অহী নাযিল হতো উটনী তখন তার বুক মাটিতে ঠেকিয়ে দিতো। অহী নাযিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে নড়াচড়া পর্যন্ত করতে পারতো না। [মুসনাদে আহমাদ; ৬/১১৮, মুস্তাদরাকে হাকিম; ২/৫০৫] [ইবন কাসীর]

Tafsir Bayaan Foundation

নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি এক অতিভারী বাণী নাযিল করছি।

Muhiuddin Khan

আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি গুরুত্বপূর্ণ বাণী।

Zohurul Hoque

নিঃসন্দেহ আমরা তোমার উপরে চাপাচ্ছি এক গুরুভার বাণী।